চোপ ! আইপিএল চলছে ! : সিদ্ধার্থ সেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০২ এপ্রিল ২০১৩ | ২৭৭০ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪৫
আশা করি কাল কলকাতায় কোনো প্রতিবাদ হবে না। প্রতিবাদ হলে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব, প্রতিবাদকারীদের ধরে চোখ উপড়ে হাঁটু ভেংগে পেটের নাড়িভুঁড়ি বার করে দিতে হবে! সবথেকে ভাল হয় লাশগুলো রাস্তার ওপর সাজিয়ে রাখলে, বা ত্রিফলা ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দিলে। যাতে প্রতিবাদের প্রতিবাদ করার আগে মানুষের গায়ের রক্ত একবার হিম হয়ে যায়। আশা রাখি, বিপুল জনাদেশে জিতে আসা মুখ্যমন্ত্রী আমাদের এই গণতান্ত্রিক দাবিটুকু পূরণ করবেন। অবশ্য এই দাবিটুকু করতে গিয়েও ‘কুমীর তোর জলকে নেমেছি’ বলে ফেললাম কি না, এখনই ঠিক বুঝতে পারছি না।
রামচরিতমানস : সিদ্ধার্থ সেন
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১০ মে ২০১৪ | ১১৭১ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৬
রামচন্দ্র জানতেন, এবং বুঝতেন, জম্বুদ্বীপে পাকাপাকি সাম্রাজ্য বিস্তার করতে গেলে, পপুলার সাপোর্ট তাঁর দরকার। শুধুমাত্র গায়ের জোরে এই আসমুদ্র-হিমাচল দাবিয়ে রাখা বেশিদিন সম্ভব নয়। আজ লঙ্কা জয়ের দরকার হয়ে পড়েছে কারণ এই অযোধ্যাই হবে তাঁদের আর্য-সাম্রাজ্যের পরীক্ষাগার। কিন্তু দশরথ বা গৌতম মুনির মতন ওটাকেই মূল লক্ষ্য বলে রামচন্দ্র ধরে নেননি। কারণ কেউ জানুক বা না জানুক, এটা ঘটনা যে আর্যত্ব দিয়ে রামচন্দ্রের কিছু এসে যায় না। ওটা ততদিন-ই দরকার, যতদিন ক্ষমতার পক্ষে কাজ করবে। রামচন্দ্র বোঝেন ব্যবসা। ক্ষমতার ব্যবসা। যে বা যা তাঁকে ক্ষমতা এনে দেবে, তিনি তাকেই ব্যবহার করবেন। যেমন, এই মুহূর্তে, অযোধ্যার ক্ষমতায় নিজের গদি সুনিশ্চিত করতে হলে, লঙ্কা অভিযান দরকারি, আর তাই ব্যবহার্য।
সন্দীপন সম্বন্ধে যে দুটো একটা কথা ... : সিদ্ধার্থ সেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১২ অক্টোবর ২০১২ | ১১১০ বার পঠিত | মন্তব্য : ৬
আসলে, নিজের জীবনের বাইরে একটা লাইন-ও না লেখার সমস্যা এটাই। এক সময়ে ক্লান্তিকর পুনরাবৃত্তির আবর্তে বাঁধা পড়তে হয়। সেটাকে তখন চালাতে হয় ফর্ম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে। নাহলে 'রুবি কখন আসবে' লেখার পরে 'এখন আমার কোনো অসুখ নেই' লেখার কোনো মানে হয়না। পাড়ার বেকার ছেলের সাথে কিশোরী কন্যার পালিয়ে যাবার কাহিনি 'কুকুর সম্বন্ধে'তে লিখে দেবার পর 'রিক্তের যাত্রায় জাগো'তে লেখার দরকার পড়ে না। তাও এক-ই রকম ভংগীতে। 'স্বর্গের নির্জন উপকুলে' উপন্যাসটাই অদরকারী হয়ে পড়ে। আবার 'কুকুর সম্বন্ধে' আর 'আমি আরব গেরিলাদের সমর্থন করি' লেখার পর 'ভারতবর্ষ' লেখার কোনো দরকার পড়ে না। যদিও বুট পরা শ্রীরামচন্দ্রের পদধ্বনি নিয়ে না লিখলে সমাজ সচেতন হওয়া যাবে না, বা ব্যর্থ বিপ্লব নিয়ে না লিখলে, এরকম ভাবনা অপরাহ্নের সন্দীপনকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল কিনা জানি না। 'হিরোশিমা মাই লাভ'কে অনেকে সন্দীপনের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে, কেন জানা নেই। সেটা কি এই কারণে যে একমাত্র এই উপন্যাসেই রাজকুমারের তরবারী নামিয়ে রেখে চলিত জং ধরা সাহিত্যভাষার অনেক কাছাকাছি এসেছিলেন, যাতে মানুষ আইডেন্টিফাই করতে পারে সহজে? আর, এই সম্ভাবনার কথা মাথায় আসলে সন্দীপন নিজেই হয়ত মাথায় কালির দোয়াত ঠুকে আত্মহত্যা করতেন।