প্রতিমাদি : শক্তি দত্ত রায়
বুলবুলভাজা | অপার বাংলা | ২৫ মার্চ ২০১৮ | ৯০০ বার পঠিত | মন্তব্য : ১০
নারীদিবসের গোলাপি শুভেচ্ছা, সুললিত শুভেচ্ছাবাণীতে ফেসবুক ভরপুর। গয়নার দোকানের বিজ্ঞাপন, দোকানে দোকানে নারীদিবসের ভর্তুকিতে দামি জিনিস পাওয়া যাচ্ছে, খুব আনন্দ করছে অনেকে, কেউ আবার বিরাগ পোষণ করছে, অনেক পুরুষরা লঘু রসিকতাও করছেন। আমার প্রতিনিয়ত মনে পড়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে দেখা অন্তরালের বিজয়িনীদের কথা। তখন তো এত কিছু ছিলো না, থাকলে হয়তো কেউ তাঁদের সম্বর্ধনা দিতো। সে তো অন্যরকম সময় ছিল। দেশভাগের ক্ষত, মুক্তিযুদ্ধ, সপ্নদর্শী আত্মঘাতীর দল চারদিকে, ক্ষুৎকাতর সাহিত্য, সব মিলিয়ে এক আশ্চর্য গোধূলি, ভালো কি মন্দ বোঝা যায়না। তারই মধ্যে মেয়েরা বেরিয়ে এসেছে সংসারের হাল ধরতে, সবার বাড়িতেই পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তু আত্মীয়, দিশাহারা সময়। সেই অলাতচক্র ভেদ করেছেন যে সব মেয়েরা, যাঁরা করতে পারেননি, সবার কথাই মনে পড়ে, এইসব দিনে আরো বেশি।
শ্যাওলা : শক্তি দত্ত রায়
বুলবুলভাজা | অপর বাংলা | ১২ জুন ২০১১ | ৮৩২ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৯
বাবা সত্যি এসে পড়েছেন। ভাইকে ডাকেননি, আমাকে ডেকেছেন। মাও তাড়াতাড়ি হাতটাত মুছে এগিয়ে এসেছেন। বোন ছুটে এসেছে। বাবার সঙ্গে চেন বাঁধা কি সুন্দর কুকুরছানা - কী হবে ওর নাম! তিব্বতীরা এসেছিল। বাবা ভূটান সীমান্ত থেকে একটা উলের কোট আর কুকুরছানা কিনে ট্রেনে বুক করে নিয়ে এসেছেন, আমাদের পুজোর উপহার। মা চা নিয়ে এসে বললেন স্যুটকেসটা কই, ট্রেনের জামাকাপড় ছাড়ো তো আগে, নাও কাপড়টা ধরো। বাবার খেয়াল হলো, তাইতো, কুকুর তো নিরাপদেই এসেছে কিন্তু ওকে গার্ড সাহেবের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে আর মালপত্র আনা হয়নি। তবে হ্যঁ¡, বোনাসের তিনশো টাকা থেকে দুচারটে জামা কাপড় কিনে নিলেই হবে। বাবা সর্বদাই নিরুদ্বিগ্ন। ওমা, পকেটও ফাঁকা। একটুক্ষণ স্তম্ভিত থেকে মা-ই বললো, পকেটমার হয়ে গেল?