কোফু লশেমির সিনেমা : রঙ্গন
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১০ জুন ২০০৭ | ১১৩৩ বার পঠিত
কোফু লশেমি বিশুদ্ধ সিনেমায় বিশ্বাস করেন। তাই কিছু বেয়াড়া সিনেমা ফ্যনাটিক বাদে তাঁর সিনেমা কেউ দেখে নি। কোফু লশেমির সিনেমা যখন দেখানো হয় তখন পর্দাটাকে রাখা হয় হলের মাঝখানে। আর তাকে ঘিরে গোল হয়ে চেয়ারে দর্শক বসে থাকেন। তবে চেয়ারগুলো যেন গায়ে গায়ে না থাকে। দুজন দর্শকের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব প্রায় তিন ফুটের মত। ন্যাড়া হলঘরে মধ্যে একটা পর্দা রেখে সিনেমা দেখা প্রায় তন্ত্রাভ্যাসের পর্যায়ে চলে যায়। বিখ্যাত ফিল্ম সমালোচক জারিদে কাদা এই সিনেমা সম্পর্কে বলেছেন: " Here cinema is not an art from but a ritual, not an expression but a blank, not something to marvel at, but something to have intercourse with '.
বংশোপক্রমণিকা : রঙ্গন
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১৬ নভেম্বর ২০০৮ | ৮৩৯ বার পঠিত
বাঁশ তো কাঁদবেই। যে বাঁশের ফিলামেন্টে প্রথম কৃত্রিম আলোকরশ্মি জ্বলে উঠল, যে বাঁশের কেল্লায় তিতুমীর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মহান যুদ্ধ লড়ে গেলেন, যে বাঁশঝাড়ের মাথায় চাঁদ উঠলে কাজলাদিদির কথা মনে পড়ত, এখন সেই বাঁশ শুধু দেবার জন্য? একসময় বাঙালী কিন্তু বাঁশের যথেষ্ট কদর করত। তখন শত্রুকে নির্বংশ হবার অভিশাপ দেওয়া হত, এবং বন্ধুকে বংশরক্ষা বা বংশবৃদ্ধির শুভেচ্ছা জানানো হত। হায় বাঁশ, তোমার সে দিন নাই। এখন তুমি স্রেফ দেওয়ার জন্য, নেওয়ার জন্য নও।
চক্রাতা : দময়ন্তী ও রঙ্গন
বুলবুলভাজা | ভ্রমণ | ০৬ জুন ২০০৭ | ১৪১৬ বার পঠিত
আসলে ঠিক ছিল "লা কোয়েন্টা" প্রোজেক্টের অমিতাভদের সাথে জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে যাব ২০০৬ এর ২৬শে জানুয়ারীর ছুটিটায়। তাই ২৭শে শুক্রবার, ছুটিও নিয়ে রেখেছিলাম। ২৩ তারিখ অমিতাভ বলল ওদের গ্রুপের একজনের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাই ওরা কেউই যাচ্ছে না। যা: তাহলে কি হবে? আমার তো মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত তৈরী হয়ে আছে যাবে বলে। কি করা যায়? শুরু করলাম খোঁজখবর। কিন্তু খুব বেশী সুবিধা হল না। অত কম নোটিশে জিম করবেট ব্যবস্থা করা, তাও একলা একলা, প্রায় অসম্ভব।
সাগরদ্বীপ : রঙ্গন
বুলবুলভাজা | ভ্রমণ | ০৫ আগস্ট ২০০৭ | ৯৫১ বার পঠিত
ঐ যে কি যে বলে না- একটি ধানের ইয়ের উপর একটি ইসের বিন্দু। এ যাওয়া সেইরকমই যাওয়া। তবে একবার নয়। তিনবার। তাই এখন আর মনে পড়ে না ঠিক কখন, কোনটার পরে কোনটা। শুধু বিদেশের হোটেলের জানলায় যখন কালো মেঘ আর হাওয়ার শোঁ শোঁ, রাস্তায় লোকজন কম, জানলা দিয়ে দূর মসজিদের মিনার দেখা যায় না, তখন বাংলার শেষ জনপদের দুর্গাপূজার শান্ত স্মৃতি নিয়ে বসে থাকি। আসছে কালে আবার হবে।
"গভীর নির্জন পথে" ও কিছু কথা : ইন্দ্রাণী, কল্লোল, রঙ্গন ও দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বই | ০১ জুলাই ২০০৭ | ১৮২৭ বার পঠিত
জনপ্রিয় পাক্ষিকের ধারাবাহিক উপন্যাসে বাউল সাধনত্ত্বের বিশদ কিছু বিবরণে বিব্রত, বিরক্ত পাঠককুল। মাঝপথে উপন্যাস পাঠ বন্ধ করেছেন অনেকেই। শুনতে পাই।
নিজে যখন পড়ি, একটি ক্ষীণতনু পুস্তকের কথা মনে আসে। অনেকদিন আগে পড়া। একযুগ? তা' হবে হয়তো। খুঁজে বার করে আনি বইটি। জখম শিরদাঁড়া, পাতাগুলি ঈষৎ হলদে। 'গভীর নির্জন পথে'। লেখক সুধীর চক্রবর্তী। প্রথম সংস্করণ ১৯৮৯। প্রকাশক -আনন্দ। সে'সময় চল্লিশ টাকা দাম ছিল বইখানির।
দ্য গ্রেট ওয়ার ফর সিভিলাইজেশান : রঙ্গন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বই | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ১১৯১ বার পঠিত
এই বই নিয়ে কোনো আলোচনা বা সমালোচনার স্পর্ধা আমার নেই। এমনকি প্রায় এক হাজার তিনশ পাতার বইটির এক-চতুর্থাংশ মাত্র পড়ে উঠেছি। কাজেই এই লেখাটা আমার পড়ার সমান্তরালে গড়ে উঠবে। লেখাটার একটাই মানে হতে পারে। পড়তে পড়তে নিজের মুগ্ধতা, সংশয়, চিন্তা বা জিজ্ঞাসা অন্য অনেকের সাথে ভাগ করে নেওয়া। যে বেইরুটবাসী সাংবাদিক নিজের জীবনের প্রায় পুরোটাই পশ্চিম এশিয়াকে বুঝতে চাইছেন, যিনি আফগানিস্থানের পুশ্তু থেকে আরবের ঠেঁট আরবী ভাষায় সমান দক্ষ, যাঁর তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সূত্রে তৈরি প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ডকুমেন্ট ও ফাইলের ভিত্তিতে এই বই গড়ে উঠেছে
ন্যাকারবোকার পদ্য : রঙ্গন
বুলবুলভাজা | কাব্য | ০১ জানুয়ারি ২০০৫ | ১০১৯ বার পঠিত
বলে খোমা গম্ভীর, "বোকা মোর ভাই রে, /
দুনিয়াটা অ্যালায়েন্স, আর কিছু নাই রে। /
একা নিবি, একা খাবি, মেরে দিবি বাংলা, /
সেইকালে ভেবেছিল হুঁকোমুখো হ্যাংলা।
উভকামী বিদ্বেষ অথবা 'এই বাইগুলো এত ফাজিল হয় না মাইরি!' : রঙ্গন
বুলবুলভাজা | অন্য যৌনতা | ০২ জুলাই ২০২২ | ২৪১৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
এত থিওরি কপচে কীই বা হয়? আমার খোঁজার পরিধি আপনার দ্বিগুণ বলে হিংসে করেই বা কী হবে? চলুন না প্রেমে পড়ি, প্রেমিকের কি আর ওরিয়েন্টেশন হয়? ব্রহ্মা শতরূপাকে মেপে কেটেছেঁটে সাইজ করে নিলেও, শিব কিন্তু অত ঝামেলায় যাননি। শক্তি হোন বা হরি, যেমন-কে-তেমন গ্রহণ করেছেন। প্রেমিকের মাপকাঠিতে তাই তাঁর চেয়ে ভারি আর কেউ নেই। আর একটা কথা, যে থাকার সে থাকবেই, ঠেলে সরিয়ে দিলেও শেষ মুহূর্ত অবধি সম্পর্কটাকে বাঁচানোর জন্য লড়ে যাবে। আর যে না থাকার, সে স্ট্রেট গে বাই ট্রান্স যাই হোক না কেন থাকবে না। বিশ্বাস করুন, মেঘে মেঘে বয়েস তো কম হল না, নিজের ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।