গুরু বলি কারে : কল্লোল দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৩ মে ২০১১ | ১২৬৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ১০
- তবে ভেবে দ্যাখ দিনি, এই জগত সংসারের হাজার হাজার কোটি কোটি মানুষদের মধ্যে তুই লাখে এক।
- তা বটে।
- কেমন গর্ব হয় বল?
- তা হয়।
- হয়ে গ্যালো। তোরে অহম ধরলো। তোর দ্বারা আর কিছু হবে না।
- সে তো তুমিও।
- অ্যায়, ধরেছিস এক্কেরে ঠিক।
- তবে?
- তাই তো মাধুকরী।
- সে আবার কী?
- সে ভিক্ষেই তো। ভিক্ষে করলে সবার কাছে মাথা নীচু করতে হয়। মাথা নীচু করতে শেখ, তবে পার পাবি। রোজ তিন জনের কাছে ভিক্ষে করবি। পয়সা চাইবি না। এই যেমন চা খাওয়াতে বলবি, একটা বিড়ি চাইবি, তাতেই হবে। সক্কলের কাছে মাথা নীচু করতে শিখবি।
সেই যে মাথাটা নামিয়ে দিয়েছিলেন।
অমাবস্যায় চাঁদের উদয়। সে তো গুরুই পারেন। যিনি অ¡ন্ধার (গু) দূর করেন (রু)।
আমার সনাতন গুরু।
প্রিয় বইয়ের সাথে আলাপ : কল্লোল দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বই | ১৯ এপ্রিল ২০১০ | ২৩৯০ বার পঠিত
একদিকে শার্লক হোমস যখন আঙ্গুলের ক্ষয়ে যাওয়া নখ, জুতোর গোড়ালি, কলারের ভাঙ্গা কোনা থেকে মানুষ সম্পর্কে "অকাট্য" ধারণা তৈরী করছেন, তখন একটা মানুষের বলা গল্পের পটভূমি, তার শরীরভাষার মতন, সেইসময়কার যুক্তিকাঠামোর বাইরে থাকা বিষয় কে, গুরুত্ব দিয়ে ভাবা - নি:সন্দেহে সাহসের পরিচয়। এর কিছু আগেকার ঘটনা (১৮৩৮) গৌতম ভদ্র তার "জাল রাজার কথা"তে, দেখিয়েছেন মানুষ চেনার ঐ সব লক্ষণগুলিকে, ঔপনিবেশিক বিচারব্যবস্থা কিভাবে অস্বীকার করছে।
প্রিয় বইয়ের সাথে আলাপ : কল্লোল দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৫ এপ্রিল ২০১০ | ১১৯৮ বার পঠিত
একদিকে শার্লক হোমস যখন আঙ্গুলের ক্ষয়ে যাওয়া নখ, জুতোর গোড়ালি, কলারের ভাঙ্গা কোনা থেকে মানুষ সম্পর্কে ""অকাট্য"" ধারণা তৈরী করছেন, তখন একটা মানুষের বলা গল্পের পটভূমি, তার শরীরভাষার মতন, সেইসময়কার যুক্তিকাঠামোর বাইরে থাকা বিষয় কে, গুরুত্ব দিয়ে ভাবা - নি:সন্দেহে সাহসের পরিচয়।
মৃত্যুদণ্ড বিতর্ক : কল্লোল দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৮ নভেম্বর ২০১০ | ১৩৭৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
কেন একজন খুনি, খুন হওয়া মানুষটির মানুষগুলির পরিবারের সেবাতে নিযুক্ত হবে না? কেন একজন চোর কায়িক বা মানসিক শ্রম দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষটির ক্ষতিপূরণ করবে না? ঠিক ঠিক এমনটিই হতে হবে তার কোন মাথার দিব্যি নেই, অন্য অনেক কিছুই হতে পারে যার মূলে থাকবে অপরাধী মানুষটির অপরাধবোধকে জাগিয়ে তোলা। কোন বিচার-আইন-শাস্তি ব্যবস্থা যতক্ষণ না অপরাধীকে মানসিকভাবে তার অপরাধের গুরুত্ব, সমাজে (বৃহত্তর এবং সংকীর্ণ সব অর্থেই) তার কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতন না করতে পারছে ততক্ষণ সে ব্যবস্থা অর্থহীন। অপরাধ লাঘব বা নির্মূল করার লড়াইয়ে তা চূড়ান্ত ব্যর্থ।
সোনামুখীর মাওবাদীরা : কল্লোল দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | খবর : টাটকা খবর | ১৯ জুলাই ২০১০ | ১১৫৩ বার পঠিত
৩০ জুন, ভোর ৫টা। গ্রামটি ঘিরে ছিলো যৌথ বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশের ৩০০ জনের একটি দল। জঙ্গলে ঝোপে লুকিয়ে ছিলো লাঠি আর বন্দুক। শেষ পর্যন্ত ওরা এলো। মাথায় কলো কাপড়, জংলা ঊর্দি গায়ে ওরা এলো অসংখ্য জিপ আর কালো ভ্যান নিয়ে। সাথে এলো ওখানকারই বীরচন্দ্রী গ্রামের বীর চাঁদেরা, সিপিএম কর্মীরা। প্রশান্ত দাস আর জিতু সাউ, স্থানীয় সিপিএম নেতা। এরা অবশ্য এর কিছুদিন আগে থাকতেই সোনামুখীতে আসছে আর শাসিয়ে যাচ্ছে মহিলাদের - ইজ্জত থাকবে না।
৩০ জুন, যখন যৌথ বাহিনী এলো তখন গ্রামের পুরুষরা সবাই গ্রাম ছেড়ে গেছে। সেটা বড়ো কিছু নয়। এ তো নিত্যনৈমিত্যিক। পুলিশ বা যৌথ বাহিনী আসছে খবর পেলেই পুরুষদের গ্রাম ছেড়ে যেতে হয়। এটাই নিয়ম। অন্যথায় মার-ধোর, জেল-হাজত, মিথ্যা মামলা-হয়রানি। সোনামুখী ও তার আশেপাশের গ্রাম বীরহান্ডি, শিমলি, বাঁকশোল, ঘৃতখাম, দিদিধা, জারুদিয়ায়ও এসব নিত্যিকার ব্যাপার স্যাপার।
সরকারী খবর, সোনামুখীতে মাওবাদীরা ছিলো। অথচ সেদিন যারা আহত, লঞ্ছিত হয়েছেন দুজন বয়স্ক মানুষ বদে সকলেই মহিলা ।
ব্যাঙ্গালুরুর ফ্যাৎরা পুজো : কল্লোল দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০২ অক্টোবর ২০১১ | ১০৯৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
সাঁঝের ঝোঁকে তিন মূর্তি হাজির। জলপথে আড্ডা চলছিলো এক শুক্কুর সন্ধ্যায় বন্ধু পম্পা-নীলাঞ্জনের ছাদে, সেখানে প্রায় চাঁদেরই সাম্পান বেয়ে হাজির, সৈকত, বরুণ আর গৌরব। তিনজন তিন আকৃতির। সৈকতকে ভীমের রোল দিলে আর কেউ ঠেক খাবে না। গৌরব বেশ গণেশ মতন, আর বরুণ ফ্রেঞ্চ কাটে কাত্তিকটি। এরা তিনজনাই বেঙ্গলী-ইন-ব্যাঙ্গালোরের ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। সাঝেঁর ঝোঁকে এহেন অতর্কিত হামলা - কওহে ইহার কারণ কী?