দ্বিতীয় পুরুষ : আহমেদ খান হীরক
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৮ এপ্রিল ২০১৮ | ১৮০৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
তুমি হড়বড়িয়ে বলো, আমি নিয়াজকে খুঁজছি। নিয়াজের বিরাট প্রবলেম… ঢাকার ঝড় নিয়াজের গ্রামেও হানা দিছে! নিয়াজ আছে কি আপনার ওখানে?
নারীকণ্ঠটা জানায় সে কোনো নিয়াজকে চেনে না। তবে না… একটা নিয়াজকে সে চিনত। অনেক দিন আগে। কিন্তু ওই নিয়াজকে গত বছর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এখন অনেক দিন হয়ে যাওয়ায় নিয়াজকে এখন কেউ আর খোঁজেও না। আপনি কি সেই নিখোঁজ নিয়াজকে খুঁজছেন?
তুমি বোধশূন্য হয়ে থাকা অবস্থাতেই বলে, আমি সবগুলো নিয়াজকেই খুঁজছি! ঢাকা শহর থেকে হাজার হাজার নিয়াজ বোধহয় নেই। আমি সবগুলো নিয়াজকে খুঁজছি!
নারীকণ্ঠটায় এবার সন্দেহের ঘোর—কে আপনি আসলে বলেন তো? সত্যি করে বলেন তো?
তুমি তোমার পরিচয় দিতে যাও, কিন্তু নিজেকে আবার সংবরণ করে নাও। অপরিচিত কারো কাছে নিজের পরিচয় এখন কোনোভাবেই প্রকাশ করা যায় না। তুমি তখন বলো, আমি নিয়াজ!
সেলিব্রেশন : আহমেদ খান হীরক
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : ইদের কড়চা | ২৮ মে ২০২১ | ২৯০০ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
পুলিশের সাথে বার্তালাপ পছন্দ করে নি সাবকনসাস। সে বলছে, বাসায় চলো…! রিকশা স্টার্ট নিতেই পেছন থেকে পুলিশের হাঁক—ওই ব্যাটারি, সামনে দাঁড়া! আমি আর রিকশাওয়ালা, দুজনেই, ঘাড় ঘুরিয়ে, পুলিশটাকে দেখে, যেন দেখিই নি এমনভাব করে, গতি না বাড়িয়ে না কমিয়ে, চলতে থাকি। সাবকনসাস টোকা দিতে থাকে--বাসায় চলো! কিছু এগিয়ে এলেই একটা মোড়। মোড়ের আগে অন্ধকার। আলোর কাছে পৌঁছানোর আগেই মোটর সাইকেল। পুলিশ। ‘ওই ব্যাটা, তোকে না দাঁড়াইতে কইলাম!’ রিক্সাওয়ালা দাঁড়িয়ে যায়। আমি নেমে যাই। ‘হাতে কী?’ ‘কাবাব।' ‘আর?’ ‘মদ।' ‘কী মদ?’ ‘কেরু।' ‘লাল না সাদা?’ ‘লাল।' ‘আপনি তো ভালো মানুষ। কোনো যাতনা ছাড়াই সব বইলা দিলেন।
জ্বিন : আহমেদ খান হীরক
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ১৮ অক্টোবর ২০২১ | ২৫৫৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪
টনা যে এদিকেও মোড় নিতে পারে তা একদম ভাবিনি।
সাত মাসের বিয়ে আমাদের। ঢাকাতেই। পারিবারিকভাবেই। প্রেমের মতো সময়বিধ্বংসী জিনিসে আমার কূলায়নি। মিলিকে বন্ধুরা মিলে দেখতে গিয়েছিলাম। পছন্দ হয়েছিল। গ্রামের বাড়িতে আম্মা ছিলেন শুধু, তাকে ডেকেই বিয়েটা সেরে ফেলেছিলাম। তারপর তিন দিনের হানিমুনে কক্সবাজার। তারপর আবার অফিস, মিলির ক্লাস নেয়া। রুটিন জীবন।
কিন্তু গ্রাম থেকে আম্মাদের ডাক...। বউ দেখেনি কেউ! আত্মীয়-স্বজনকে তবু থামানো যাচ্ছে, পাড়া-প্রতিবেশীরা তো প্রতিদিন একবার করে বলে বউ দেখব! আমি বলি, আরে বউ তো আমিই ঠিকমতো দেখে উঠতে পারলাম না। ও ওর ক্লাস নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আমি আমার চাকরি নিয়ে! ঢাকার জীবন জানেন না কেমন?