কবিতা ও কিছু কথাসুদীপ ঘোষাল কবিতা ছড়িয়ে আছে জীবনে,প্রকৃতির মাঝে।তবে সবসময় সে ধরা দেয় না।প্রত্যকের অন্তরে জাগ্রত একজন, সদা কথা বলে নিজের সঙ্গে। তার জন্য আবেগ আর, সাধনার প্রয়োজন। কবিতালেখক, লিখতেই পারেন কিন্তু কবিতা হল কি না পাঠক বলবেন।প্রেম করা যায় না,হয়ে যায়। একজন কবির মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, মনের ভিতর ভীষণভাবে অনুরণনশীল বস্তুর বহিঃপ্রকাশ কবিতা লেখায় সমৃদ্ধ হচ্ছে কী?লেখার সময়ে সচেতন ভাবে লেখনীর মধ্যে কবিতার ভাব অনুভব করি না! অবচেতন মন থেকে উঠে আসা দিনলিপির বোধকে প্রকাশ করি কি শব্দচয়নে? শব্দচয়ন সঠিক হচ্ছে কি? কবিতা লেখার কি কোন নিয়ম হয়। কবিতার কি ব্যাকরণ হয়? নানা মুনি নানা মত? অনেকে বলেন, প্রচুর পড়াশোনা না করলে কবি হওয়া যায় না। আবার বাস্তবে দেখি নিরক্ষর ... ...
চতুর্থ পর্ব দুই ... ...
তিন ... ...
দ্বিতীয় পর্ব দুইদু ... ...
কবি জয়দেব থেকে শুরু করে কত কবি লেখকের বাস এই নদীর পাড়ে। তাছাড়া বিভিন্ন পেশার লোকেরা মিলেমিশে থাকেন এখানে।তাদের সুখদুখমাখা গাথা এই উপন্যাসে বিবৃত হয়েছে। প্রথম পর্ব অজয়পাড়ের উপকথাসুদীপ ঘোষাল একঅজয়নদের পাড়ে অবস্থিত কয়েকটি গ্রাম বর্ধিষ্ণু। সেইসব গ্রামের ছেলেরা ধনীর দুলাল।তারা কানডা,সিঙ্গাপুর,সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিন্তু এখানকার বেশিরভাগ লোক গরীবের দলে। আর অজয়নদের আশেপাশের গ্রামগুলিতে কবি জয়দেব থেকে শুরু করে কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বাসস্থল। আমাদের বন্ধু সোমনাথ কমার্শিয়াল আর্টস দু-একটা করেন শিল্পী। পার্থপ্রতিম দেবের কাছে এখন শিক্ষারত। গুরুদেব ছিলেন বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়, শান্তিনিকেতন।শিব চন্দ্র হাই স্কুলে পড়তেন। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়, এইচএস অব্দি পড়াশোনা করেছেন। সেভেন, এইটে পড়তে পড়তে আঁকা শুরু।একদম বালক ... ...
চারঘোলাসুদীপ ঘোষালস্কুল থেকে ফেরে বিজু ঠিক পাঁচটার মধ্যে। কিন্তু তার স্ত্রী খুব চিন্তিত। সাতটা বেজে গেলো এখনও বিজু ফিরে এল না। বিজুর স্ত্রী পাড়ার সব প্রতিবেশীদের বলল,দেখুন আটটা বেজে গেল এখনও আমার স্বামী ঘরে ফেরে নি।পাড়ার ছেলে পিরু বলল, চিন্তা নেই। আমি আছি। দেখছি ফোন করে। ফোন নাম্বার ছিল পিরুর কাছে। কিন্তু ফোনের রিং হয়ে যাচ্ছে। কোন উত্তর নেই। বার বার বারোবার ফোন করেও কোন উত্তর পাওয়া গেল না।বিজু আর রাজু- মাষ্টার দুই বন্ধু। তারা দুজনে মোটর সাইকেলে স্কুলে যায়। তাই বিজুর স্ত্রী নিশ্চিত হল, রাত আটটা বেজে গেল। তার মানে কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাজু- মাষ্টারমশাইয়ের মোটর সাইকেল আ্যক্সিডেন্ট হয়েছে ... ...
তিন ... ...
দুই ... ...
দুই ... ...
ধারাবাহিক আরশীর ওপাড়ে পড়শীর বাগিচাসুদীপ ঘোষালএকবর্ধমান জেলার পূর্ব অংশে কেতুগ্রাম থানা। হিন্দু ও মুসলমানের মিলিত মেলায় গড়ে উঠেছে এই জীবন মাঠ। এই থানার অন্তর্গত অনেকগুলি গ্রামের এই ইতিহাস। এখানে সতীপীঠ আছে দুটি। একটি নিরোলের কাছে অট্টহাস আর দ্বিতীয়টি কেতুগ্রামের বহুলা মায়ের মন্দির। কতকগুলি বর্ধিষ্ণু গ্রাম এখানে আছে। নিরোল, পাঁচুন্দি। গোমাই, কেতুগ্রাম, পুরুলিয়া, কোপা, কোমডাঙ্গা, ভুলকুড়ি, চরখী, শিবলুন, বেলুন, অম্বলগ্রাম প্রভৃতি আরও অনেক গ্রাম নিয়ে এই বিশাল এলাকা।কেতুগ্রামের মসজিদের আজানের সুর ছড়িয়ে পড়ে এলাকার গ্রামে গ্রামে। সকলের মঙ্গলের স্বার্থে এই ব্যবস্থা। গঙ্গাটিকুরি গ্রামে আর পুরুলিয়া গ্রামে এখনও গেলে অনেক পুরোনো রাজবাড়ি দেখা যাবে। প্রতিটি গ্রামের আনাচে কানাচে মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাস ফিস ফাস করে ... ...