এই নিশুতিরাতের কোলে আমার ভাঙাচোরা দেহ পড়ে আছে। তার শান্ত কোলে মাথা রাখি, যেন মায়েরই তেলহলুদমাখা আঁচল। সে আমার মাথায় বিলি কেটে দিতে দিতে দুয়োরাণীর গল্প শোনায়। আমলকি গাছের পাতার ফাঁকে চাঁদ পোষা সারমেয়টি, সামনের জোড়া পায়ের ফাঁকে মাথা রেখে হাওয়া মাখতে মাখতে সেই গল্প শোনে। আমার চোখের কোণ থেকে গলে গলে পড়ে শূন্যতার নানা রঙ। যখন বুকের খোল শূন্যতার ভরাটে বানভাসি, তখন চোখের প্রণালী যে বাড়তিটুকু গড়িয়ে দেয়, তাকে ভালোবাসা বলে জানে মধ্যযামের পৃথিবী। এসব সময়ে আমি নিজেকে নিজে বলে চলি, ভালো আছি, ভালো আছি, ভালো আছি, ভালোই ---। দিন যায় ব্যস্ততায়। সেই ব্যস্ততার ভেতর যদি নিজেই নিজেকে লিপ্ত ... ...
রক্ত আর অশ্রুস্রাবের ভেতর কবিতার কায়ায় যিনি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন।। যাজ্ঞসেনী গুপ্ত কৃষ্ণা এ এমন এক বই যার আলোচনা করতে গেলে আগে তাকে হজমিয়ে গুলি বানিয়ে ফেলতে হবে।তারপর দরকার মতো চুষে খুঁটে তার হকিকতি রীত-প্রকরণ। তবে কিনা একজন কবির মনোজগতে ঢুকে পড়া অত সহজ হয় না। কোনো শব্দ তিনি কেন ব্যবহার করছেন, বাক্যের কোন অংশে ব্যবহার করছেন - কবিতায় যা বলছেন তার হাড়মজ্জা পাঠকের পক্ষে পুরোপুরি জানা যে সম্ভব নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না সম্ভবত। উদাহরণ দিই একটা। ধরুন রবীন্দ্রনাথের কোনো একটি কবিতা। বিশারদেরা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে কবির জীবন দর্শন, সমাজ চিন্তা ইত্যাদির জাঁকে বসিয়ে বুঝিয়ে দিলেন কবি কবিতাটিতে কী বলেছেন। কিন্তু তাই বলে কখনই ... ...