ড্রেসিং টেবিলআমার পিতা মাতার বিবাহের দিন, হয়তো অনেকের মনে আছে, কারণ, সেইদিন প্রথম আমদের দেশে লোকসভা নির্বাচনের দিন, বালিগঞ্জ কেন্দ্রে। দিনটা ছিল বিবাহ আর বৌভাতের মাঝের দিন, সেই কারণে ভোট দিতে কারো কোন অসুবিধাই হয় নি। কম কথায়, বিয়ের সম্বন্ধের কথাটা সেরে নি। আমার ঠাকুমা অনেক পুত্র কন্যা রেখে চোখ বুঝলেন, ঠাকুর্দা অথৈ জলে পড়লেন। আমার বাবা বড় ছেলে, সেই কারণে তার বিবাহের ... ...
এখানে সাতটা নাগাদ সূর্যোদয় হয়। আমি বারান্দায় বসে চা খেয়ে নতুন দিনের জন্য তৈরি হতে থাকি। ভাবনার মধ্যে থাকে কিছুটা বিগত দিনগুলো অথবা সামনের অজানা দিন। আজকের দিনকে সেরকম একটা গুরুত্ব দিই না, মানে সেরকম ভাবে তাকে দু চোখ ভরে দেখি না, সেইজন্যই দিনটিও আমাকে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায়। আজকে মনে হল, অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যত নিয়ে এই কাল ... ...
ভালবাসি মা কে, বাবা কে, তারা আমার হৃদয়ে আছে, পাশেই আছে, সবসময়।ভালবাসি আমার পরিবার কে।ভালবাসি আমার বন্ধু, বান্ধবীদের, আমার বান্ধবীসম স্ত্রীকে।ভালবাসি নীল আকাশে সাদা মেঘ, সবুজ গাছ গাছালি, ছোট্ট নদী, যারা সমুদ্র এড়িয়ে চলে। ভালবাসি বৃষ্টির বড় ফোটাতে ভিজতে, অথবা দুপুর রোদে ছুটতে।ভালবাসি শব্দ, অথবা ভালবেসে নি:স্তব্ধতা কে আপন করে রাখতে।ভালবাসি ছোট বেলা, কফি হাউসের অশান্ত যৌবন, ফিরে তাকান বার্ধক্য, দখিনের জানলা ধরে।ভালবাসি একা একা নিজের মনে কথা বলা, গল্প বলা।ভালবাসি যা খুশি পড়তে, লিখতে।ভালবাসি সবার সঙ্গে মিছিলে পায়ে পা মেলাতে, প্রতিবাদে মুখর হতে।ভালবাসি তোমায়, ভালবাসি তোমাদের সবাইকে, এই পৃথিবীকে, সব মানুষ কে।ভালবাসা, তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা, তুমি আমার একান্ত আপন, ... ...
San Francisco Bay (This is a protest note and voicing our solidarity for the eleven thousand employees, who were fired abruptly by Facebook yesterday across the globe, for no lapse by the dedicated team)আজ পারকে বাচ্চারা খেলতে আসেনি, অন্য দিনের মতন,বিকেলের কুয়াশা ঢাকা পাহাড়, অবাক হয়ে ভাবেআজ ওরা কোথায় গেল।রাস্তা একদম ফাকা, রাস্তার দু ধারে নতুন ফুলে পাতায় সাজিয়ে গাছেরা ভাবে,এই সময় তো কত মানুষ কাজ থেকে ফেরে,আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে, ভালবাসা জানায়,আজ ওরা কোথায় গেল।আজ হাসি নেই, কথা নেই, জীবনের গতি নেই, আনন্দ নেই, আছে মর্গের নি:স্তব্ধতা, হতাশা, চাপা কান্না, আভিমান।মাঝ রাতে এসেছে এগার হাজার মেল, একসঙ্গে সবার কাছে।আগামি কাল থেকে ... ...
আজ তো মহালয়াদেবী পক্ষের শুরুআপনি এবার মর্ত্য লোকে নেমে আসবেন।আবার বিসর্জনের বাজানা শুনে চলে যাবেন।আজ একটা আপনাকে অনুরোধ করি খালি যাওয়া আসা করে কি লাভ।এখানে থেকে যান, অসুর গুলিকেনিধন করে যান।কারণ মানুষের শিরদাঁড়া হারিয়ে গেছে । সবাই আমাদের বোকা বানাচ্ছে।আপনি হলেন একমাত্র ভরসা।তাই সবাই বলি: থেকে যান, থেকে যান, থেকে যান।শিব ঠাকুর কে, খবর পাঠান,আপনি কাজ শেষ করে যাবেন ।মানুষ আপনাকে চায়,নইলে শুধু আসা, যাওয়াকিছু তো যায়না পাওয়া। ... ...
আসলে arithmetic, অন্যান্য ম্যাথ্স থেকে কঠিন। বুদ্ধি খরচ করতে হয় অনেক বেশি। অনেক টা ধাধার মতন। অনেক শিক্ষকই এটা ভাল জানেন না। কি করে করতে হয় জানেন, কেন করতে হয় জানেন না। আমার এ ব্যপারে খুব করুণ অভিজ্ঞতা আছে।ক্লাস এইটে science পাব কিনা ঠিক হত। arithmetic, algebra আর geometry মিলিয়ে। সেটা আবার গড় করা হয়, 1st, 2nd আর 3rd term মিলিয়ে। সেটা St Lawrence স্কুলের আরেকটা অঙ্ক।যাই হোক, আমি 1st term e arithmetic e 40 out of 100 পেলাম। অন্য গুলো আর কিছু বেশি। বাবা arithmetic এর একজন গৃহশিক্ষক ঠিক করলেন। প্রতি রবিবার তিনি আমার সকালে তিনটি ঘন্টা নস্ট করতেন। সব অঙ্ক উত্তর ... ...
[সিঙ্গাপুরে ২০০৫ সালে 'মিলন' সাহিত্য পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত ]এটাতে ফনট সমস্যা হয়েছে, তাই নতুন করে লিখতে হবে। ... ...
Give me back my childhood, yes .. my childhood আমি খুব সাধারণ মাপের লোক, আজকের চলতি ভাষায়, একদম ‘আম আদমি’। আলাদা করে সেরকম কিছু বলার মতন রং বে রঙ্গের ঘটনা নেই। তবে, অনেকের মতন আমার ছোটোবেলা বেশ আনন্দে কেটে গিয়েছিল, সেই কথাটাই একটু, সাহস করে আজ বলব। বড় হয়ে আনন্দেই আছি, তবে অতটা, না, সত্যি কথা বলতে বাধা কোথায়। অনেকদিন ছোটোবেলার শিশুটাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলাম, তাকে ইচ্ছে মতন খেলতে দি নি, ছুটোছুটি করতে দি নি, কেন যানি এতদিন বড় সেজে বসে ছিলাম। ... ...
১৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৮.. কলকাতা আজ বিশ্বকর্মা পূজোভোর চারটেয় ঘুম ভেঙ্গে গেছেজানালের দিকে চেয়ে বসে আছি..কখন ভোরের আলো ফুটবে. হাতে বেশী সময় নেই. স্কুল খোলা..আটটার মধ্যে বেরোতে হবে..তার আগে চান খাওয়া. যত তারাতাড়ি সম্ভব ছাদে গিয়ে আকাশে ঘুড়িটা ওড়াতে হবেসারা বছর পয়সা জমাই আজকের দিনটার জন্য.কাল বিকেলে কিনলাম ১০টা মাঝারি ঘুরি.. ৫টা বড় ঘুরি আর মাঞ্জা সুতর লাটাই..নিজে মাঞ্জা দিলে ভাল হত যেমন খোকন..বাবলুরা দিল..কিন্তু অত সময় কোথায়.আমাদের লেক প্লেসের বাড়ির ছাদটা বেশ বড়. সাত আট জন একসাথে ঘুড়ি ওড়াতে পারে. আসলে এটা আমাদের ছাদ বলাটা ঠিক হবেনা. এটা সবার ছাদ..যে কেউ যখন খুসি আস্তে যেতে পারে. আজ কমকরে দশ জন ... ...