[ আমার চোখে দেখা আর হৃদয়ে্র অনুভবে জারিত এই ছোট্ট ছোট্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনাগুলি এখনো মোছেনি আমার মাথার স্মৃতিকোষগুলোর থেকে। তার থেকে তুলে আনা এই মণি-কাঞ্চনগুলোয় যেমন পেয়েছি সাক্ষাৎ ভগবানদের, তেমনি কিছু কিছু সাংঘাতিক ঘটনা নেহাৎ-ই সহ্য করেছি উপায়ান্তরহীন যাপনে। ক্রোধে ফেটে পড়েছি মননে। রক্তচাপ বাড়িয়েছি বারংবার – মধ্যবিত্ত মনোভাবনায়। পেয়েছি আচম্বিত বাড়ানো হাত - অকাতর অকৃপন স্পর্শে। ... ...
[ আমার চোখে দেখা আর হৃদয়ে্র অনুভবে জারিত এই ছোট্ট ছোট্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনাগুলি এখনো মোছেনি আমার মাথার স্মৃতিকোষগুলোর থেকে। তার থেকে তুলে আনা এই মণি-কাঞ্চনগুলোয় যেমন পেয়েছি সাক্ষাৎ ভগবানদের, তেমনি কিছু কিছু সাংঘাতিক ঘটনা নেহাৎ-ই সহ্য করেছি উপায়ান্তরহীন যাপনে। ক্রোধে ফেটে পড়েছি মননে। রক্তচাপ বাড়িয়েছি বারংবার – মধ্যবিত্ত মনোভাবনায়। ... ...
সিঁড়ির সাতকাহন (১) শহর কলকাতায় জন্ম আমার। পুরোনো দিনের পার্টিশনড হয়ে যাওয়া একটা ছোট্ট দোতলা বাড়িতে। তখনো পার্টিশন এর পাঁচিল ওঠে নি। তাই তিনখানা সংসারের বারো ঘর আর একখানা উঠোন থাকলেও সিঁড়ি ছিল তিনখানা। এর মধ্যে যে সিড়িটা সবচেয়ে পুরোনো, একমাত্র সেটা দিয়েই তিনতলায় ওঠা যেত। এক একটা তলায় ওঠার জন্য সে সিঁড়িটার ছিল তিনখানা বাঁক। সেই তিনটে বাঁক পেরিয়ে একতলা থেকে দোতলায় উঠেই সামনের আয়তাকার চাতালটাকে তখন বলা হত “সাজা’। যার একদিক দিয়ে ঘরে ঢোকা যেত। সেই সাজায় ছিল দুখানা জানলা। সেই রঙিন কাঁচের খিলান মাথায়, দুখানা করে পেল্লায় পাল্লা। গোটা সিঁড়িটায় থাকতো একটা আবছা অন্ধকার। তখন সিঁড়ির ওপরে দিয়ে কোনো ... ...
বেথুন রো-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের অন্যতম সুসন্তান মহাত্মা ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি ধর্মপ্রচারক, তিনি বেশ কয়েকটি পত্রিকা প্রকাশ ও পরিচালনা করেছিলেন । তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ছিলেন। ব্রহ্মবান্ধবের পূর্বনাম ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলী জেলার খন্যানের বাসিন্দা ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয় ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৬১ তে (১লা ফাল্গুন। ১২৬৭ বঙ্গাব্দ)। এঁদের আদি বাড়ি ছিল কৃষ্ণনগরের খানাকুল গাঁ-এ। ভবানীচরণের প্রপিতামহ মদনমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ধার্মিক ও সৎ ব্যক্তি হলেও কৌলিন্যপ্রথানুযায়ী পঞ্চাশখানা বিয়ে করেছিলেন। এখন ভাবলেই কেমন যেন গা শিরিশির করে ওঠে। পঞ্চাশবার বিয়ের পিঁড়েতে চাপা – জাস্ট ইনকরিজেবল। ব্যানার্জী মশাই শেষ বিবাহখানি করেছিলেন মাত্র একটা সুপারী গ্রহণ করে। ভাবানীচরনের ঠাকুর্দা হরচন্দ্র ... ...
বেথুন রো-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের অন্যতম সুসন্তান মহাত্মা ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি ধর্মপ্রচারক, তিনি বেশ কয়েকটি পত্রিকা প্রকাশ ও পরিচালনা করেছিলেন । তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ছিলেন। ব্রহ্মবান্ধবের পূর্বনাম ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলী জেলার খন্যানের বাসিন্দা ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয় ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৬১ তে (১লা ফাল্গুন। ১২৬৭ বঙ্গাব্দ)। এঁদের আদি বাড়ি ছিল কৃষ্ণনগরের খানাকুল গাঁ-এ। ভবানীচরণের প্রপিতামহ মদনমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ধার্মিক ও সৎ ব্যক্তি হলেও কৌলিন্যপ্রথানুযায়ী পঞ্চাশখানা বিয়ে করেছিলেন। এখন ভাবলেই কেমন যেন গা শিরিশির করে ওঠে। পঞ্চাশবার বিয়ের পিঁড়েতে চাপা – জাস্ট ইনকরিজেবল। ব্যানার্জী মশাই শেষ বিবাহখানি করেছিলেন মাত্র একটা সুপারী গ্রহণ করে। ভাবানীচরনের ঠাকুর্দা হরচন্দ্র ... ...
বলছি সেই সিমলে পাড়ার গপ্পো। সিমলা স্ট্রিট কলিকাতার একটি প্রাচীন রাস্তা। মার্ক উডের (১৭৮৪) ও আপজনের (১৭৯৩) কলিকাতা মানচিত্রে রাস্তাটির কোনও উল্লেখ না থাকলেও সম্ভবত উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রাস্তাটি নির্মিত হয়ে থাকবে। লেফটেন্যান্ট এইচ অ্যাবারক্রম্বি (Lt. H. Abercrombie) এবং ক্যাপ্টেন এইচ. এন. ফরবেস (Capt. H. N. Forbes) মিলিতভাবে ১৮৩৬ খ্রিঃ কলকাতার যে মানচিত্র প্রস্তুত করেন, তাতে এই পথটি দেখানো আছে। শক সাহেব ১৮৬৬ খ্রিঃ কলিকাতার জনগণনার যে প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তাতে কলিকাতা শহরের ৪৩৮টি রাস্তার একটি তালিকা দেওয়া আছে। ওই তালিকার মধ্যে ১১৯ নম্বরে সিমলা স্ট্রিটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সিমলা নামটি কলিকাতার ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সম্রাট ফারুকশিয়ারের ... ...
সিমলে মানে শুধু নরেন দত্ত আর গিরীশ-নকুড়ের জলভরাই নয়, সিমলে হল সে সময়কালের একটা জীবন্ত উপাদান। ঘটনাবহুল। হীরের নাকছাবির ঔজ্জ্বলে চক্মক্। আসুন, দেখে নিই হাতে পাওয়া কিছু তথ্যের সালতামামি। ... ...
১৮২৮এ কলকাতায় এলেন গালিব। সিমলে পাড়ায় উঠলেন। বছর দেড়েক ছিলেন কলকাতায়। তারমানে ১৯৩০ ধরে নেওয়া যাক। সে সময় কোথায়ই বা বেথুন রো আর কোথায়ই বা রামদুলাল সরকার স্ত্রীট বা মানিকতলা স্ট্রীট ! ১৩৩ নম্বর বাড়ির চারদিকই বেশ ফাঁকা ফাঁকা। বেথুন স্কুল কলেজ তো সেদিনের ব্যাপার। তবে হ্যাঁ, রোজ সকালে উঠেই গালিব সাহেব দেখতেন তাঁর ভাড়া বাড়ির ... ...
)হেদুয়া পার্ক এর ঠিক উল্টোদিকে, একদিকে চার্চ – পাশে বেথুন স্কুলকলেজ, আর এক দিকে বৈকুণ্ঠ বুক হাউসের মাঝখান দিয়ে শুরু হয়েছে রামদুলাল সরকার স্ট্রীট। একটু এগোলে বাঁদিকে গাড়িবারান্দাওলা বাড়ি। তলায় সেই গিরীশ চন্দ্র ঘোষ আর নকুড় চন্দ্র নন্দী’র প্রাচীন মিষ্টির দোকান। আরো একটু এগিয়ে যে রাস্তাটা সোজা বিবেকানন্দ রোড অব্দি চলে গেছে সেই রাস্তার মুখেই ডানহাতি প্রাক্তন মেয়র গোবিন্দ চন্দ্র দে’র বাড়ি। আর একটু এগোলেই বাঁহাতে গেলেই গৌর মোহন মুখার্জী লেন। স্বামী বিবেকানন্দের পৈত্রিক ভিটে। মান্না দে’র কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দে’র ও বাড়ী এই গলিতেই। সিমলে পাড়া। আমার ছোটোবেলা। গোবিন্দ দে’র বাড়ীর ঠিক উল্টোদিকেই ছিল ‘চলন্তিকা বোর্ডিং হাউস’। ... ...