পরজীবী সাম্রাজ্যবাদ যত'ই তার মৃত্যুর দিকে এগিয়েছে তত তার নোংরা রুপগুলি ফুটে ফুটে বেরিয়ে এসেছে। এমন'ই এক তার ভয়ংকর নোংরা রূপ আজকের দিনে ভোগবাদ; যা আমাদের আত্মকেন্দ্রিক থেকে আর আত্মকেন্দ্রিকতর করে তুলছে। আজ আমাদের দেশে সাম্রাজ্যবাদীদের নয়াউদারবাদী অর্থনীতি -“গ্যাট” চুক্তি ও বিশ্বব্যাংক আইএমএফ সহ আরো বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী সংস্থার ঋণের জাল, যেমন ভাবে পুরোপুরি স্তব্ধ করেছে দেশীয় পুঁজির বিকাশ। তেমনি বাড়িয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শোষণ। আমাদের মন থেকে শরীরের সারা জায়গা জুড়ে সাম্রাজ্যবাদ তার জাল বিস্তার করেছে। আর আমাদের কে একই চক্করে ক্রমাগত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাজেহাল করে দিচ্ছে। মস্তিস্ক থেকে শারীরিক শ্রম সব শুষে নিয়ে বারেবারে ফুলেফেঁপে উঠছে। আমরা সাম্রাজ্যবাদের খপ্পরে তিনটি লোহার শক্ত ... ...
(১)বেশ কিছুদিন হতে গেলো 'ফোবর্স'র তালিকা প্রকাশ হয়েছে। যাতে দেখানো হয়েছে ভারতের ১০০ জন অতি ধনীর সম্পত্তি বেড়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, গত বছরের তুলনায় এবছর। বর্তমানে এদের মোট সম্পদের পরিমাণ নাকি ৮০ হাজার কোটি ডলার। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোচ্ছে দেশের সংখ্যাগুরু শ্রমজীবী মানুষের! শ্রমিক-কর্মী রুটিন মাফিক ছাঁটাই হতে হতে স্বাভাবিকে পরিণত হয়েছে আজ আমাদের দেশে। যেন এটা হবেই! এটাই স্বাভাবিক। ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার মতন কেসে পরিণত হয়েছে।এই ১০০ জনের তালিকায়, প্রথম ১০ জনে থাকা বৃহৎ পুঁজির ব্যবসাদারদের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে- ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। সমস্ত পণ্যে হাত বসানো, আদানি- স্বাভাবিক ভাবেই রয়েছে এই তালিকার ... ...
১.বন্দর নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।২.উপকূলীয় ভাঙন কমাতে হবে।৩. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির পুনর্বাসন এবং বিনামূল্যে অস্থায়ী আবাস দিতে হবে।৪.দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া জেলেদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।৫.জেলেদের ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে।৬.কেরোসিন তেলে ভর্তুকি দিতে হবে।৭.ক্ষতিগ্রস্ত মুথালাপোঝি বন্দরকে সংশোধন করতে হবে।এই সাতটি দাবি নিয়ে মূলত আন্দোলন করছে ভিজিঞ্জাম বন্দরের মৎসজীবীরা, ২০১৬ সাল থেকে। যবে দিয়ে ফাটকা পুঁজির খ্যাতনামা গাট্টাগোট্টা ব্যবসায়ী- আদানী গোষ্ঠী এই বন্দরে ৭৫০০০ হাজার কোটির প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। তবে দিয়ে বন্দরের লাগোয়া চার্চে, শান্তির পায়রা গুলির আসাও বন্ধ হয়েছে। মৎসজীবীদের আর কী! তাদের জীবনে সুখ শান্তি তেমন করে ছিলোই বা কবে? কখন?গৌতম আদানির সংস্থা ইতিমধ্যেই আন্দোলনে মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়ানোর অপরাধে কমপক্ষে ... ...
ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলাতে কচলাতে বউ বা মায়ের কাছে 'বেড টি’ চাওয়া কিংবা নিজের পরা জামা-কাপড় কাচবার জন্যে মায়ের অপেক্ষায় বাথরুমের এক কোণে ডাঁই করে রেখে দেওয়া- শিশুর দল এখন মোল্লা দেশের নারী মুক্তি নিয়ে মত্ত। এমনকি আমাদের ঘরের বাপ-কাকা'রা যারা নিজেদের মেয়েদের রুটিন মাফিক জীবন ও শরীর ঢাকা পোশাক পরার বিধান দেন, তা না হলেই নিজের “স্ত্রী” মানে মেয়ের মায়ের গায়ে হাত তুলতেও পিছু হটেন না, তারাও আজ ইরানের মোল্লা সরকার কে- নারী স্বাধীনতা হরণকারী বলে সেলফোনের ভেতরে কেটে কুচিয়ে দিতে ব্যস্ত। বেশ মজার বিষয় না! এতটা দ্বিচারী চেতনা সম্পন্ন কেন এরা? এতেও কি কেবল তাদের দোষ? না! ... ...
মা মারা গেছেন! তাও আবার কী নকশালবাদী'দের মা মারা গেছেন- বেজায় হুল্লোড় হউক; কিছুদিন আগেই সুপ্রিমকোর্টে সাই'র বেল আটকে দেওয়ার ‘মস্তিষ্ক’ যুক্তি। তারপর মোদীসাহেবের কলমধারী নকশালদের 'ছেঁটে ফেলার’ বিবৃতি এবং শেষে শহীদ কিষানজ্বী'র মায়ের মৃত্যু! আশা করি ভালো খবর সংসদীয় বিরোধী শিবির গুলির কাছে, এই তিনটিই? তবে এই 'ছেঁটে ফেলা' বিবৃতি ধরেই মাথায় এলো- বেশ কয়েক বছর আগের কথা; আমার সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত পড়বার সৌভাগ্য হয়েছিল এমন ই এক জাঁদরেল নকশালবাদীর, তাঁর মা কে লেখা একটি চিঠি। আমি সেই চিঠিটি পড়ে খানিকক্ষণ গুম মেরে বসেছিলাম। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছিলাম। এমন হয় কি করে? বন্দুক কাধে তুলে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো নকশালবাদীদের মনে- এতো ... ...
Bhattacharjyo Debjit আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃহারেমে বন্দিনী রাজকন্যা ... ...