একটা রহস্যময় সোনালী মাকড়সার কামড় খেয়ে তিনদিন জ্বরে অচৈতন্য ছিল সে। চারদিনের দিন জ্বর সেরে উঠে সে দেখতে পায় মাকড়সার মত সে দেয়াল বাইতে পারছে! এমনকি হাতের পালস দেখার জায়গা থেকে মাকড়সার জালও বের হচ্ছে!অসাধারণ! নিজেকে সে তৎক্ষণাত ‘মাকড়সা-মানব’ নাম দেয়।নিজের ঘরে সে দেয়াল সিলিং বেয়ে ঠিক একটা মাকড়সার মত করেই হেঁটে আসে। সিলিংয়ে ঝুলে থাকে, পড়ে না। সামনে হাত দুটো আর পা দুটো ... ...
পৃথিবীর সব মানুষ যে এক, মানুষের যে মানুষ ছাড়া আর কোন পরিচয় নেই এই সত্যটি আমি জেনেছিলাম পর্ণগ্রাফি দেখার পর। ‘সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই’ এই বাক্য মুখস্ত করে বায়ুবীয়ভাবে আমি পৃথিবীর মানবজাতির একমাত্র পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হইনি। বহু দেশীয় পর্ণগ্রাফি দেখে আমি নিশ্চিত হয়েছি পৃথিবীর সব জাতি, সম্প্রদায়, জাতিসংঘের স্বীকৃত দেশ, অস্বীকৃত দেশ - সব জায়গার পুরুষদেরই বিচি আছে। আছে তাদের লিঙ্গ। আর সব মেয়েদের দুটো ... ...
অনেক বিয়ার গেলা হয়েছিল। ফলে যা হয় সবাই খুব হাসছিলাম। হাসতে হাসতে মুখ লাল হয়ে গিয়েছিল। একটা পুরোনো বাড়ির অন্ধকাচ্ছন্ন ঘরে বিয়ারের আড্ডা। আমি ছাড়া বাকীদের তেমন চিনি না। একজন ছোলা ব্যবসায়ী ছিলেন এবছর যিনি ছোলা ডাবল দামে বিক্রি করে লাল হয়ে গেছেন। একজন মানুষের মাংস বিক্রেতা, ডাক্তার, প্রকৌশলী আর রাজনীতিবিদ। আলাদা আলাদা টেবিলে বিয়ার খেতে খেতে কি করে যেন একটা টেবিলে কখন ... ...
একদিন বিকেলবেলা, ১৯৮৯ সালের সেদিন বুধবার, আমাদের পাড়া দিয়ে একটা মিছিল যাচ্ছিল। একজন লেখককের ফাঁসি চায়। কেউ তার সম্পর্কে জানে না। কিন্তু নামটা আমাদের কাছে অচেনা বিদেশী মনে হয় না। তো মিছিলটায় এমন পায়ের ধুলোর ঝড় উঠেছিল, আমি আর চোখে কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। চোখ ডলতে ডলতে চেনা রাস্তা ছেড়ে বেপাড়ায় চলে গিয়েছিলাম আর সেখান থেকে শহরের বাইরে লোকালয় ছেড়ে জনবিরল একটা জায়গায় চলে আসি। আর তখন একটা ভাল্লুক ... ...
আমাদের মেসবাড়িতে যদি কেউ আমার খোঁজ করতে এসে সিঁড়িঘরে একটা চিতাবাঘকে দেখতে পান তো ভড়কে যাবেন না যেন। একটা তোষকের উপর চিতাটা পড়ে পড়ে ঘুমায়। কেউ এলে চোখ মেলে কুটিল চোখে একপলক চেয়ে দেখে কেবল। তারপরই মৃদু নাকডাকার শব্দ পাওয়া যায়। আজ পর্যন্ত কাউকে কামড়ে দিয়েছে এমন রেকর্ড নেই।আমাদের বাড়িওয়ালা এখানে থাকেন না। কোথায় থাকেন আমরা কেউ জানি না। তার অবর্তমানে চিতাটাই বাড়ির মালিক। আমাদের ধারণা ... ...