এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পরী ও সুপারহিরো

    সুষুপ্ত পাঠক লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ জুন ২০২৪ | ৩৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • একটা রহস্যময় সোনালী মাকড়সার কামড় খেয়ে তিনদিন জ্বরে অচৈতন্য ছিল সে। চারদিনের দিন জ্বর সেরে উঠে সে দেখতে পায় মাকড়সার মত সে দেয়াল বাইতে পারছে! এমনকি হাতের পালস দেখার জায়গা থেকে মাকড়সার জালও বের হচ্ছে!

    অসাধারণ! নিজেকে সে তৎক্ষণাত ‘মাকড়সা-মানব’ নাম দেয়।

    নিজের ঘরে সে দেয়াল সিলিং বেয়ে ঠিক একটা মাকড়সার মত করেই হেঁটে আসে। সিলিংয়ে ঝুলে থাকে, পড়ে না। সামনে হাত দুটো আর পা দুটো ভাঁজ করে ছড়িয়ে। টিভিতে হাজারবার দেখা স্পাইডারম্যানের নকল করে।

    আমি একজন সুপারহিরো! মাকড়সা-মানব নিজেকেই নিজে চেঁচিয়ে শোনায় খুশিতে।

    এখন তার করণীয় কি ঠিক করতে হবে। ঘন্টাখানেক নিজেকে নিয়ে উদযাপন শেষে এই মধ্যরাতে মাকড়সা-মানব ভাবতে বসে। নিজের সামাজিক পরিচয় আড়াল করতে তাকে একটা ছদ্মবেশী পোশাক পরতে হবে। সেরকম একটি পোশাক ডিজাইন করে বানাতে হবে। সবচেয়ে ভালো হতো নিজে যদি দর্জির কাজ জানত!

    আরে বিসিএসওয়ালী! মনে পড়ে মাকড়সা-মানবের। সে তো সেলাইয়ের কাজ জানে। নিজের জামা সে নিজেই বানায়। সে তাকে সাহায্য করতে পারে। তার সঙ্গে মাকড়সা-মানবের একটা অসমাপ্ত ওয়েবসাইটের মত প্রেম প্রেম সম্পর্ক আছে। কিছু ওয়েবসাইট আছে না এখনো লঞ্চ করেনি, ঠিকঠাক কোন কিছু সাজানো হয়নি- এই প্রেমটা তেমনই। যে কোনদিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবার পুরোদমে তৈরি হয়ে চালু হতেও পারে।

    অবশ্যই সে স্টান লী’র স্পাইডারম্যানের পোশাক থেকে নিজের জন্য ভিন্ন ডিজাইন বানাবে। কপিরাইট থেকে বাঁচার বিষয় আছে। আজকাল তো অন্যের মত করে হাঁচি দিলেও কপিরাইট লঙ্ঘন হয়ে যায়!

    কিন্তু...। 

    আসল সমস্যা তার মাথায় আসে। মাকড়সা-মানব কাদের জন্য এসব করবে? বিছানার উপর শুয়ে চিন্তিতভাবে সে হাত থেকে জাল ছুড়ে দেয়ালে ঝুলানো একটা কাঠের কারুকাজ করা শো-পিসকে টেনে নামায়। প্রচুর প্রাক্টিস করতে হবে। জাল ছোড়ায় ও টারজানের মত জাল দিয়ে শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটে চলা। রাত গভীর হলে এরকম প্রাক্টিস করার জায়গা খুঁজতে হবে। কিন্তু এরকম জায়গা কোথায় এই শহরে? সারারাত শহরটা জেগে থাকে প্রস্টিটিউটের মত!

    আচ্ছা, তাহলে মাকড়সা-মানবের কাজটা কি হতে চলেছে? সমাজের চোর ডাকাত হাইজ্যাকার দুর্নীতিবাজদের ধরে ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া। অন্তত পিটার পার্কার তাই করত। স্টান লী সেটাই দেখাতো। মাকড়সা-মানব সেটাই করবে। কিন্তু...

    আবার কিন্তু চলে আসে। 

    কেউ কি বসে আছে অপরাধীকে ধরে আনার জন্য? অপরাধী কি লুকিয়ে আছে যে মাকড়সা-মানব তাকে ধরে তুলে এনে শহরের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিংয়ে ঝুঁলিয়ে রেখে পুলিশকে ফোন দিবে- ব্যাংক ডাকাতকে ঝুঁলিয়ে রেখেছি, এক্ষুণি চলে আসুন...।

    ব্যাংক ডাকাতদের সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাদের পুলিশ গার্ড দিয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এদের যে কাউকে ধরে মাথা নিচে রেখে ঠ্যাং ধরে শহরের ট্রাফিক সিগনেলে ঝুঁলিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দৌড়ে আসবে তাকে উদ্ধার করতে। তারপর কে এই কাজ করেছে তার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন হবে। দুষ্কৃতকারী যে-ই হোক তাকে ছাড়া হবে না তার ঘোষণা আসবে। মাকড়সা-মানব তাহলে তার সুপারহিরো পাওয়ার দিয়ে কি করতে পারে? কি করে অপরাধীদের শাস্তি দিবে? কেবল সার্কাসের বানরের মত সে নিজের হাতের সুপারনেচারালা জাল দিয়ে ঝুলে ঝুলে দর্শকদের মনোরঞ্জন দিবে?

    ঘন্টাখানেক আগের নিজেকে আবিস্কার করার উচ্ছ্বাস এখন অনেকখানি ধাক্কা খেয়েছে। শহরের আলোচিত একজন খুনী, একটি কিশোরী মেয়েকে খুন করেছে, সবাই জানে খুনি সে, দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। সমাজের সন্মানিত শিল্পপতি তিনি। তাকে মাকড়সা-মানব রাজউকের ঘড়ির কাটার সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রাখতে পারে মাথা নিচে রেখে। কিন্তু তাকে নিরাপদে উদ্ধার করতে সবকটা দমকল বাহিনী এসে হাজির হবে। তাকে এভাবে হয়রানী করার জন্য পুরো শহর অস্থির হয়ে তার নিরাপত্তা দিতে না পারার জন্য কর্তৃপক্ষের নিন্দা করবে। এ শহর কি চায় কোন সুপারহিরো আসুক?

    ইউটিউবে স্পাইডারম্যান দেখলো মাকড়সা-মানব। জালে ভরে দুজন ব্যাংক ডাকাতকে রাস্তার একটা ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে রেখে পুলিশকে খবর দিলো। পুলিশ এসে হাসিমুখে স্পাইডারম্যানকে ধন্যবাদ জানালো আর স্পাইডারম্যান তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দু হাতের জাল দুপাশের দালানে দালানে ছড়িয়ে দিয়ে ঝড়ের গতিতে উড়তে লাগল...।

    এখন সে কি করতে পারে? ঘরের মধ্যে পায়চারী করতে থাকে মাকড়সা-মানব।

    বিসিএসওয়ালী অনেক রাত পর্যন্ত জেগে পড়াশোনা করে। এবার নিয়ে সে তিনবার বিসিএস দিচ্ছে। এবারই শেষ চান্স। তারপর আর চাকরির বয়স থাকবে না। মাকড়সা-মানব ঠিক করে বিসিএসওয়ালীর কাছে যাবে। যত রাতই হোক সমস্যা নেই।  সে এখন মাকড়সা-মানব। বিল্ডিং বেয়ে বেয়ে চলে যাওয়া কোন বিষয়ই নয়। 

    মাকড়সা-মানব বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিলো পাশের বিল্ডিংয়ে। খপ করে গেঁথে রইল। তারপর সেটা বেয়ে উপরে উঠে একদম ছাদে চলে গেলো। সেখান থেকে একটা জাল ছড়িয়ে দিলো মেইন রাস্তার ওপারের একটা বিল্ডিংয়ের গায়ে। তারপর এখান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তীরের গতিতে গিয়ে পৌঁছালো সেখানে। এভাবে মিনিট পনেরো পর সে বিসিএসওয়ালীর বিল্ডিংয়ে গায়ে এসে খপ করে গেঁথে গেলো। 

    বিসিএসওয়ালীর জানালা সে চেনে। জানালার সামনে পড়ার টেবিল। সেখানে বসে সে গুণগুণ করে পরীক্ষার পড়া পড়ে। তার ঘরের লাইট জ্বলছে। রাত একটা বাজে। বিসিএসওয়ালী এখনো পড়ছে।

    এবারো সে ফেল করবে মাকড়সা-মানব জানে। বিসিএস পাশ না করলে সে জীবনেও বিয়ে করবে না এমনটা সে তার বাবা-মার কাছে জানিয়েছে। মাকড়সা-মানবের কেন যেন মনে হয় সে ইচ্ছে করেই পাশ করতে চায় না। বিয়ে করতে না চাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়।  কিন্তু সেটি চাইতে নানা রকম উছিলার আশ্রয় নিতে হয়। একটি মেয়ের জন্য কাজটি ভীষণ কঠিন।

    মাকড়সা-মানব টিকিটিকির মত বেয়ে বেয়ে মাথাটা বিসিএসওয়ালীর জানালার নিচ থেকে আস্তে আস্তে উঁকি মারার মত করে তোলে। জানালার বাইরে এই অদ্ভূত দৃশ্য দেখে বিসিএসওয়ালী ও আল্লাগো বলে প্রাথমিক ধাক্কা খেয়ে শান্ত হয়ে যায়। মাকড়সা-মানব খিকখিক করে হাসে।

    চোখ পাঁকিয়ে বিসিএসওয়ালী বলে, এই বিদ্যা কবে অর্জন করলা? তুমি কি বিল্ডিং বেয়ে আসছো?

    শুধু বিল্ডিং বাইতে নয়, আমি জালও ছাড়তে পারি। বলে সে তার হাত থেকে জাল ছড়িয়ে জানালার গ্রিলে আটকে নিজেকে শূন্যে ঝুলিয়ে দেখালো।

    থামো থামো! রাতদুপুরে নাটক দেখাতে হবে না।

    ঘরে আসতে দাও। একটু কথা আছে।

    রাত কটা বাজে? একটা যুবতী মেয়ের ঘরে তোমার মত দামড়া ঢুকবে এটা পিটার পার্কারদের দেশ না। তুমি এই দেশে স্পাইডারম্যান হয়ে কিচ্ছু করতে পারবে না। তারচেয়ে বয়স থাকতে থাকতে বিসিএস দিয়ে একটা সরকারী চাকরি বাগাতে পারলে দেখতে তোমার দুটো ডানা গজিয়েছে। তুমিই সুপারহিরো। এইসব জাল আর বিল্ডিং বাওয়া দিয়ে কি হবে?

    এসব নিয়েই তোমার সঙ্গে একটু কথা আছে। প্লিজ আমি ছাদ দিয়ে আসছি তুমি দরজাটা খোলো।

    চুপ!  বাবা-মা ও ঘরে ঘুমাচ্ছে। কোন শব্দ যেন না হয়। জানালার বাইরে থেকেই যা বলার বলো তারপর কেটে পড়ো। তুমি সুপারহিরো বলে আমার কিন্তু একটু্‌ও আগ্রহ হচ্ছে না।

    আচ্ছা ঠিক আছে। একটা কথা আমাকে বলো।

    বলো শুনছি। তবে বেশি সময় নিবে না। আমার পড়া আছে।

    দেড়টা বাজে। আর কি পড়বে? তুমি সত্যি পরীক্ষা পাশের জন্য পড়ো? আমার তো মনে হয় না।

    ঠিক ধরেছো। আমার ঘুম আসে না আসলে। ঘুম আসে না বলেই আমি কিছু একটা মনোযোগ দিয়ে করছি তেমন করে নিজেকে বুঝাই। আমি কতদিন ধরে ঘুমাই না জানো?

    কতদিন ধরে?

    চৌদ্দ বছর বয়সে আমার প্রথম মিনস হবার পর থেকে! এই জন্যই তো বিয়ে করবো না।

    তাহলে তো ভালোই। বাকী রাত আসো গল্প করে কাটিয়ে দেই।

    জ্বি না মাকড়সা সাব, আপনার আজাইড়া গল্প শোনার কোন ইচ্ছে আমার নেই!

    তুমি আমাকে একটা ড্রেস বানিয়ে দিবে। আমি ডিজাইন করে দিবো।

    স্পাইডারম্যানের মত... বিসিএসওয়ালী মুখ টিপে হাসল।

    নিজেকে তো আড়াল করে রাখতে হবে।

    শোনো, তোমাকে একটা কথা বলি। তুমি কার বালটা ফেলবে আমাকে বলো? সমস্ত সুপারহিরো ফেইল!

    আমিও ভেবেছি। তাহলে এটা আমার মধ্যে এলো কেন?

    সার্কাস দলে নাম লেখাও। আয়ের পথ হবে।

    ঠাট্ট করছো?

    সিরিয়াস বলছি ভাই। এটা ছাড়া তোমার এই বিদ্যার কোন ভাত নাই। অপরাধীরা কেউ গোপন নেই। তারা কেউ লুকিয়ে নেই। কাকে তুমি ধরবে? ধরে কাদের কাছে তুলে দিবে? স্টান লী এই দেশে জন্ম নিলে স্পাইডারম্যানকে জন্ম দিতেন না।

    ঠিক। তোমার মত বিসিএসের পড়া মুখস্ত করত!

    বিসিএসওয়ালী কুটিল চোখে তাকায় মাকড়সা-মানবের দিকে।

    ভাগো এখন। অনেক রাত। ফটো! বিসিএসওয়ালী তাড়া দেয়।

    মাকড়সা-মানব দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তারপর মাথা নিচে দিয়ে একটা ব্যাঙের মত করে নিচে নামতে থাকে। কিন্তু ব্যাঙের মত লাফায় না। টিকটিকির মত, মাকড়সার মত করে নামে। বিসিএসওয়ালী বারান্দায় এসে দেখে অন্ধকারে কাঁধটা হতাশায় নিঁচু হয়ে গেছে মাকড়সা-মানবের। বিল্ডিং থেকে বিল্ডিং জাল বিছিয়ে উড়ে উড়ে যাবার বদলে সে অন্ধকার গলি ধরে হেঁটে যাচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত দেখা যায় বিসিএসওয়ালী চেয়ে দেখল তাকে। অন্ধকারটা যেখানে জমাট সেখানে সুপারহিরো মিলিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বিসিএসওয়ালী এসে আবার পড়ার টেবিলে বসল। গুণগুণ করে সে আসলে এতক্ষণ একটা ছবি আঁকছিল। একটা পরীর ছবি। ডানাওয়ালা একটি পরীর ছবি। এখন পরীটার পাশে একটা সুপারহিরোর ছবি আঁকল সে। মুখোশ পরা শরীরের সঙ্গে লেপ্টে থাকা টাওজার-ফুল সিলভ জামা। পায়ে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত বুট। অনেকদিন আগে থেকে সেই চৌদ্দ বছর বয়সে সে প্রথম টের পেয়েছিল সে একটা পরী। সে উড়তে পারে। অনেক রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে সে বারান্দায় এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর রাতের আকাশে তার সাদা কবুতের ডানার মত দুটি ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়। কিন্তু এই উড়াউড়ি কোন কাজের কাজ নয়। তাকে অফিসের জন্য বাসের লাইনে দাঁড়িয়ে, লোকজনের সঙ্গে যুদ্ধ করে রোজ অফিস করতে হয়। একজন পরীকে কেউ আলাদা করে খাতির করে না। সে যদি রোজ আকাশ দিয়ে উড়ে নিচের যানজট এড়িয়ে অফিস করতে চায় তাকে কি সবাই মেনে নিবে?

    লেখক: সুষুপ্ত পাঠক
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন