আত্মহত্যার ঠেকাতে গেলে সামগ্রিক সহমর্মিতা দরকার। ... ...
পরমাণুর ধারণা থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রন-প্রোটন-নিউট্রন হয়ে কোয়ার্ক-লেপ্টনের যুগ পেরিয়ে হিগ্স বোসন ঃ কণিকা জগতের এই চার প্রজন্মের কথা সংক্ষেপে ধরা হয়েছে এই প্রবন্ধে। বলা বাহুল্য পত্র-পত্রিকা ও গবেষণাপত্রে প্রকাশিত তথ্যকে কিছুটা নিজের বিবেচনামত সরল করে পরিবেশন করা হয়েছে। ... ...
বেশ কয়েক বছর আগের কথা; পলিমার সোসাইটি-র একটা আলোচনাসভায় পলিমারবিজ্ঞানী প্রফেসর অনিল ভৌমিক-এর বক্তৃতার বিষয়বস্তু ছিল ‘আরো বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার করুন’। পৃথিবীর নানারকম সমস্যার সমাধানে প্লাস্টিক কিভাবে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে, তা সেই আলোচনায় ব্যাখ্যা করা ছিল। আর গত ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে খবরের কাগজ থেকে শুরু করে সেই দিনের যাবতীয় কার্যকলাপের দিকে চোখ রেখে মনে হল পরিবেশ মানে শুধু দূষন আর বিশেষভাবে প্লাস্টিক দূষণ, আর ৫ই জুন আসলে প্লাস্টিক বিরোধি দিবস; তাই সমস্ত আলোচনা-পদক্ষেপ সবই প্লাস্টিক দ ... ...
হ্যাঁ আমি নারীদিবস পালনে বিশ্বাস করি। আরো নানারকম দিবসের পালনেও বিশ্বাস করি তবে সে কথায় পরে আসছি। আগে একটা গল্প বলি, একটা মেয়ের গল্প। জন্মসূত্রে মেয়েটি ভারতীয় নারী সমাজের সেই ‘ক্রিমি লেয়ার’ এর সদস্য যারা জন্ম ইস্তক পরিবারের সম্পদ হিসেবেই গণ্য হয়েছে, বোঝা নয়। যাদের ১৮, ২০, ২২ এমনকি ২৫ বছরেও শুধুমাত্র ‘বিয়ের জন্য’ অপেক্ষায় থাকতে হয় নি, যারা যদ্দুর সম্ভব যেমন ইচ্ছে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে, আর্থিক ও পারমার্থিক (আহ্ সব কথা ধরতে হয় নাকি !) দিক থেকে স্বয়ম্ভর হবার সুযোগ পেয়েছে, এ হল সেই দলের মেয়ে। ... ...
কথাটা হচ্ছিল চুরি নিয়ে। কে না জানে ‘না বলিয়া পরের দ্রব্য...’ বা ‘চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা...’। কিন্তু সব দ্রব্যও সোনার গয়নার মত সোজাসাপ্টা ব্যাপার নয় আর সব ক্ষেত্রে আপন-পর হিসেবও এমন সহজ-সরল নয় যে একরকমের ধারণা দিয়েই যে কোন বিষয়কে চুরি বলে দাগিয়ে দেওয়া যাবে আর একরকমের পুলিশবাহিনী দিয়ে তার মোকাবিলা করা যাবে। ঝামেলা এটাই।
কথাটা উঠেছিল একটা লেখার বিষয়ে। কোন লেখা কার লেখা সেসব আপাততঃ উল্লেখ করলাম না কারণ কথাটা প্রায়ই ওঠে, তাই আগে বিষয়টাতেই ঢুকে পড়ি। একটা বিষয়ের ওপর বাঙলায় লেখা একটা প্রবন্ধ পড়ে একজন ... ...
দেখতে দেখতে ডিসেম্বর এসে গেল। শীতকাল আসুক না আসুক, নতুন ৫০০ নোট বাজারে মিলুক না মিলুক, এ টি এম-এ টাকা থাকুক না থাকুক, মরসুমী ফুলের চারা বসানোর সময় এসে গেছে। আর ওইখানে দেরী নট অ্যালাওড ! কুচি কুচি টবে কিম্বা কাগজ মুড়ে ছোট ছোট বান্ডিলে চারা নিয়ে রাস্তার ধারে, দোকানের রোয়াকে যেখানে সেখানে চাটাই পেতে বসে পড়তে দেখা যাচ্ছে চারা ব্যাপারীদের। ফুলবিলাসীর এখন টেনশনের শেষ নেই। এই যে বর্ষা পেরিয়ে পুজোটাও যেতে না যেতেই চন্দ্রমল্লিকায় কুঁড়ি এসে যায় হৈ হৈ করে, এ ভারী জ্বালাতন। একবার কুঁড়ি এসে গেলে গাছগুলোর আর ... ...
মুখবন্ধ
হারিয়ে যাওয়া মানে তো আসলে একরকমের শেষ হয়ে যাওয়া। একটা জিনিসের সঙ্গে, একটা মানুষের সঙ্গে, একটা জীবনের সঙ্গে আমাদের চলাটা ফুরিয়ে যাওয়া। দেখতে গেলে আদি-অন্তহীন এক ফুরিয়ে যাওয়ার মধ্যেই আমরা বাঁচি, প্রতি মুহুর্তই অনবরত ফুরিয়ে যায়, কোনো মুহুর্তই তার আগের-পরের মুহুর্তের মত নয়। কিন্তু যে ফুরোনো হঠাৎ আসে, খবর না দিয়ে আসে, অসময়ে আসে, তাকেই আমরা হারিয়ে যাওয়া বলি। ব্যাগ খুলে দেখি খাপটা পড়ে আছে, কলমটা নেই, সকালে বেরোবার আগে দেখি একপায়ের মোজা নেই, দিনের শেষে কানে হাত দিয়ে দেখি একটা দুল নেই। আ ... ...
একপশলা বর্ষণের পর বসন্ত পূর্ণোদ্যমে রঙিন বেশে অবতীর্ণ হইয়াছে। পর্ণমোচী বৃক্ষগুলিতে যে কয়টি পত্র অবশিষ্ট ছিল তাহারা শাখাচ্যুত হইয়াছে; নিস্পত্র শাখাসমূহ আকাশের দিকে হাত তুলিয়া যেন নবযৌবনের প্রার্থনা জানাইতেছে। উহাদের প্রার্থনা পূর্ণ হইবার আয়োজনও প্রায় সম্পন্ন; কিছু কিছু শাখায় ইতোমধ্যেই নবীন পত্রসম্ভার। চিরহরিৎ বৃক্ষগুলির পত্ররাজিও এই অকালবর্ষণে ধুইয়া উজ্জ্বল বর্ণ ধারণ করিয়াছে। কৃষিক্ষেত্রে নবীন ধান্যচারা অতি মনোরম শ্যামল মখমলের ন্যায় বিস্তৃত, সজিনা শাখায় ফুল ও দন্ডবৎ ডাঁটার সমাবেশ, আম্রশাখাসমূহে ত ... ...
রাস্তা কারুর একার নয় ঃ
ভয় করে। রাস্তাটা পার হতে গিয়ে যেদিন প্রথম দেখি রাস্তার ডিভাইডারে বাঁশ বাঁধা শুরু হচ্ছে, সেদিন থেকে কেমন একটা ভয় ভয় করে। এই বাঁধনই দিন দিন শক্ত হয়ে বসবে। এই যে এখনও প্রায় পনেরো দিন দেরী কিন্তু রাস্তার দুপাশে বাঁশের লাইন টানা হয়ে গেছে এমনকি বাসস্টপগুলোর সমনেও টানা বাঁশের ব্র্যাকেট। এর মানে হল বাসের ড্রাইভার আপনাকে যেখানে খুশি নামিয়ে দিতে পারে, আপনি ফুটপাথে উঠতে পারবেন না, পাশ দিয়ে গুঁতো মেরে চলে যাবে অটো কিম্বা বাইক। কারণ রাস্তা কারুর রেকার নয়। হাতে ভারী ব্যাগ পায়ে ... ...
দূর্গাপুজোকে যদি একটা ভারী শিল্প বলে ভাবা যায় তো তার অনুসারী শিল্প অগুন্তি। কারণ দুর্গাপুজো তো শুধু পুজো নয়, আমাদের এই বাঙালীজনমের মাঝখানটিতে বসে শত শত সামাজিক ওঠা-পড়া যে নিয়ন্ত্রণ করছে এই পুজো । এইসব অনুসারীদের অনুসরণ করে কিছু পথ চললে চোখে পড়ে পুজোর প্রকৃত চালচিত্র। সেই বিষয়ে প্রকৃতই ‘দু-কথা’। লেখাটা কয়েকদিন আগে একটা আন্তর্জাল পাতার শারদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে; এখানেও থাকল।
দর্জীপুরাণ
পুজোয় আপনার স্টাইল স্টেটমেন্ট যাই হোক না কেন গ্ল্যামারে আপনি কিছুতেই ছাড়িয়ে যেতে পারবেন ... ...