এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • অজয় দাস

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    গান | ২০ আগস্ট ২০১৮ | ৫৮৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ন্যাড়া | ২০ আগস্ট ২০১৮ ১০:৩৪377061
  • সলিল-সুধীন-নচিকেতাদের দাপটে যে কজন বাংলা গানের সুরকার তাঁদের স্বকীয়তা সত্বেও দৈনন্দিন সাঙ্গিতীক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারলেন না, অজয় দাস তাঁদের অন্যতম | অজয় দাস ব্যক্তিগত জীবনে মেনস্ট্রিম বাংলা ছবির তর্কযোগ্যভাবে সফলতম প্রযোজক-পরিচালক-নায়ক সুখেন দাসের দাদা | সুখেন দাসের পরিচালনার অধিকাংশ - হয়তো সবই - ছবির সুরকার ছিলেন অজয় দাস | আর সম্ভবত সেখান থেকেই নাকউঁচু, আঁতেলপনা-দেখানো সংস্কৃতিবান মানুষের কাছে তার গান একধরণের তাচ্ছিল্য পেয়ে এসেছে | তাচ্ছিল্য-বাই-অ্যাসোসিয়েশন | অথ্চ সুখেন দাসের ছবি এখন যেখানে আর কোনধরণের দর্শকেরই মনোরঞ্জন করতে পারবে বলে মনে হয়না, অজয় দাসের অনেক সুর এখনও মনকে উদ্বেল করে তোলে | বহু পরিশীলিত, সঙ্গীতবোদ্ধা শ্রোতারও | আমি ব্যক্তিগতভাবে অজয় দাসের বেশ কিছু গানকে আমোদসৃষ্টির দিক থেকে সলিল-সুধীন-নচিকেতার শ্রেষ্ঠ সুরের সঙ্গে একাসনে বসাতে রাজী আছি।

    কালানুক্রমিকভাবে দেখলে, যে গানে অজয় দাস প্রথম রেডারে ধরা পড়লেন তা বোধহয় 'সাধু-যুধিষ্ঠিরের কড়চা' নামের ছবিতে। ১৯৭১ সালের এ ছবির গানের পরিচিত বেশি নেই হয়ত - কিন্তু ছবিটা নিয়ে দুচার কথা বলে নিই। প্রথমে অভিনেতাদের লিস্টটা দেখে নিন - উৎপল দত্তর সঙ্গে রবি ঘোষ, তার সঙ্গে জয়া ভাদুড়ী। নো-গ্ল্যামার, পিওর অভিনয়ে জয়া ভাদুড়ী। ছিলেন চিন্ময় রায়, শেখর চট্টোপাধ্যায়, রুমা গুহঠাকুরতা। আর সবচেয়ে বড় কথা ছবির পরিচালক ছিলেন রবি ঘোষ আর চিন্ময় রায়। এই ছবির সুরকার ছিলেন অজয় দাস। প্রতিমা বন্দোপাধ্যায়কে দিয়ে গাইয়েছিলেন একটা ব্যালাড - "একদিন সেই রাজপুত্তুর" (<
    )।
    শুনে দেখবেন এ গানের ঘরানা বাংলা গানের ঘরানা। অথচ সুরের দিক থেকে সুরকারের স্বকীয়তা একেবারে রমরম করছে। স্বকীয়তা বলতে এই বোঝাচ্ছি যে তখনকার আর কোন প্রতিষ্ঠিত সুরকার এই সুর করছেন ভাবতে পারছি না। সলিল-সুধীন-নচিকেতা নয়, হেমন্ত-শ্যামল-মানব নয় এমনকি অভিজিত-অনল-প্রবীরও নয়। এই নামগুলো খেয়াল করলেই বুঝবেন বাংলা গানের জমিতে তখন নিজের সুরের ভিটে তোলা সহজ কাজ ছিলনা।

    তখনকার বাংলা গানের ঘরানা বলতে যেটা বলার চেষ্টা করছি যেটা হল মেলোডি-ভিত্তিক, কথা-ভিত্তিক বাংলা গান। তালের কায়দাকানুন থাকলেও, তা প্রচ্ছন্ন। বিশিষ্ট কর্ড প্রগ্রেশন থাকলেও, তা কথা-সুরের আস্তিনের তলায় লুকিয়ে রাখা। গান শেষ হয়ে যাবার পরে সুরের রেশ রেখে যায়। আর সেই সুর গলায় ধরে রাখতে দরকার সুর,তাল, লয়ের ওপর দখলের সঙ্গে গলার মিষ্টত্ব। বাংলা গান কোনদিনই কালোয়াতি প্যাঁচপয়জারের তোয়াক্কা করেনি। তাই মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মতন গাইয়েকেও গলার গিটকিরি দেখাতে বাংলা আধুনিক ছেড়ে আশ্রয় করতে হয় নজরুলের গানকে।

    অজয় দাস ১৯৭৮ সালে সুর করলেন 'চারমূর্তি' ছবিতে। প্রতিটি গানই সুখশ্রাব্য। দুটি গানের কথা বিশেষ করে বলতে চাই - 'খাব তোকে ঘচাং ফুঃ' (<
    )।
    ট্রাইবাল ডান্স ধরণের চিত্রায়নের সঙ্গে পেন্টাটনিক স্কেলের প্রয়োগ গানটাতে কাঙ্খিত আমেজ দিয়েছে। আর অন্য গানটি - "ভারত আমার ভারতবর্ষ" (<
    )
    - তো দেশাত্মবোধক গান হিসেবে আজ প্রায় 'ধনধান্যপুষ্পভরা' গানসম স্ট্যাচার ধারণ করেছে।

    অজয় দাসের সঙ্গীতজীবনের টার্নিং পয়েন্ট সম্ভবতঃ ১৯৮১ সালে। সুখেন দাস ছবি করলেন "প্রতিশোধ"। সে ছবি সুপারহিট। তার থেকেও বেশি সুপারহিট অজয় দাসের সুরে কিশোরকুমারের দুটো গান। এর আগে কিশোর বাংলায় গান গেয়েছেন হয় রাহুলের সুরে আর নয় বড় ব্যানারের ছবিতে - শক্তি সামন্তর 'আনন্দ-আশ্রম', 'অমানুষ', 'অনুসন্ধান'। শক্তি সামন্ত তুলনায় সুখেন দাস বা রাহুল দেব বর্মণ বা শ্যামল মিত্রর তুলনায় সঙ্গীত-পরিচালক হিসেবে অজয় দাসের সেরকম নামডাক ছিলনা। তাই প্রতিশোধের মতন ছবিতে কিশোরকুমারের গান গাওয়াটাই একটা স্কুপ। আর সে গান ও ছবির মারকাটারি হিট হওয়া আরও বড় স্কুপ। এর সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয়ে গেল অজয় দাস-কিশোরকুমারের প্রায় আমরণ একটি জোট।

    এর দুবছর পরে সুখেন দাসেরই 'জীবন-মরণ" ছবিতে কিশোরের গলায় অজয় দাস সৃষ্টি করবেন আরও বড় তিনটি হিট - "এ তো কান্না", "কী উপহার সাজিয়ে দেব" আর "ওপারে থাকবে আমি"। এরপর থেকে এই তিন গানের ম্যাজিক সৃষ্টি না করতে পারলেও কিশোরকুমারের গলায় অজয় দাস একের পর এক ভাল, মেলোডিক গান দিয়ে গেছেন। 'প্রতিশোধ' ছবির সময় থেকে আরেকটা জিনিস খেয়াল করতে পারি। অজয় দাসের অ্যারেঞ্জমেন্টে যন্ত্রের ব্যবহার বদলে যাচ্ছে। 'চারমূর্তি'তে সহকারী সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন ওয়াই এস মুলকি। সেখান থেকে প্রতিশোধ বা জীবন-মরণের গানের অ্যারেঞ্জমেন্টে পিয়ানো, ব্রাস আর স্ট্রিংসের ব্যবহার ইঙ্গিত করে যে প্রযোজক গান প্রযোজনায় অর্থব্যয় করতে কার্পণ্য করছেন না। আর সেটা তখনই হয় যখন প্রযোজক বোঝেন সে গান বাজারে যথেষ্ট বিক্কিরি হয়ে পয়সা ফিরিয়ে দেবে। তার জন্যে কিশোরকুমার তো অবশ্যই তুরুপের তাস, কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে অজয় দাসের ওপর ভরসাও নিশ্চয়ই কাজ করেছিল ভরপুর। এর আগেও অজয় দাসের গানে স্ট্রিংস আর ব্রাস পেয়েছি, কিন্তু এখন যেভাবে পেলাম, বিশেষতঃ ব্রাস, সেটা ছিলনা।

    সুরের এই মিষ্টত্ব অজয় দাস ধরে রাখতে পেরেছিলেন। তিনি শুধু সুরকারই ছিলেন না, গীতিকার হিসেবেও কম্পিটেন্ট গান লিখেছেন। যেমন ধরুন ১৯৭৭ আরতি মুখোপাধ্যায় গাইলেন "আমার ময়ূরপঙ্খী তরী এনেছি এবার কুলায়" (<
    )।
    মেজর স্কেলে বাঁধা এ গান মেলোডিতে যে কোন ডাকসাইটে গানকে মল্লযুদ্ধে ডাকতে পারে। ১৯৭৮ সালের অরুন্ধতী হোমচৌধুরীর গলায় "কেউ জানেনা চাঁদের কণা" (<
    )
    গানেও সেই মেলোডির জোর। অজয় দাস মেলোডি থেকে কখনও সরে যাননি।

    আস্তে আস্তে সুখেন দাস জমি হারাতে লাগলেন। সেই সঙ্গে অজয় দাসও। সুখেন দাসের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনে অন্য প্রযোজক-পরিচালকের ছবিতেও অজয় দাস সেরকম কাজ করেননি। কিশোরকুমার মারা গেলেন ১৯৮৭-তে। এ সব মিলিয়ে অজয় দাসের কেরিয়ার ক্রমশঃ ঢলে পড়তে থাকে। কিছু অবিস্মরণীয় গান দেওয়া সত্বেও এ তো মানতেই হয় যে অজয় দাস ওয়াজ নো নচিকেতা ঘোষ। ওই কোয়ান্টিটিতে কাজ করে ক্রমাগতঃ উচ্চমানের গান দিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ সত্বেও বলব, মাঝ-সত্তর থেকে অল্পাধিক মাঝ-আশির দশ-বারো বছর অজয় দাস খুবই ভাল কিছু গান করে গেছেন, যা আজও মুগ্ধ করে। কিন্তু সুরকারটির নাম বিশেষ কেউ করেন না। ওই যে বললাম না, তাচ্ছিল্য-বাই অ্যাসোসিয়েশন!
  • b | ***:*** | ২০ আগস্ট ২০১৮ ১০:৫১377072
  • ন্যাড়া স্যার অনেকদিন পরে।

    আস্তেগ্যে হোক, বসুন, পা ধোবার জল, শীতলপাটি, হুঁকো, তামাক
  • | ২০ আগস্ট ২০১৮ ১১:৩২377082
  • ওহে কে আছ যোয়ান, হও আগুয়ান, মোড়ের দোকান থেকে মুড়ি বেগুণী আলুচ্চপ নিয়ে এসো দিকি।
  • সৃষ্টি | ***:*** | ২০ আগস্ট ২০১৮ ১১:৫২377083
  • খুব ভালো মানুষকে নিয়ে লেখা । আঁতেল সাম্রাজ্য হয়তো অনেক ব্যঙ্গ বিদ্রুপ হবে। কিন্তু তার অনেক গান এখনো শুনতে ইচ্ছে হয় । আঁতেল সাম্রাজ্য পাত্তা না পাওয়া অনেক মানুষ কে লিখুন ।
  • sm | ***:*** | ২০ আগস্ট ২০১৮ ১২:৫১377084
  • চমৎকার লেখা! খুবই দরকারি।অজয় দাস, আমার ও একজন খুব প্রিয় সঙ্গীত পরিচালক। ওনার সুরে একটা ফ্রেশ নেস আছে। যেটা মন ভালো করে দেয়।
    তবে, ওঁর ব্যাক গ্রাউন্ড নিয়ে আর একটু লিখলে ভালো হতো।
    দুই ভাই(?) ছিল অনাথ আশ্রম পালিত। পয়সা কড়ির বালাই ছিলো না। চেয়ে চিন্তে দিন কাটতো।
    এই পরিবেশ থেকে এরা দুজন এতো দুর উঠলো কি ভাবে?
    অজয় দাস সঙ্গীত শিখলই বা কার কাছে?
    প্রথম দিকে কিশোর কুমারের এপোয়েন্টমেন্ট পাওয়ার জন্য সুখেন দাস কে দিনের পর দিন মুম্বাই এ থাকতে হয়েছে।
    সেই কিশোর কুমারই বলেছে, অজয় দাসের সুরে গান করে আনন্দ পাই।
    কিন্তু ন্যাড়া, এতো টেক স্যাভি লোক;লিংক গুলো তো খোলা যাচ্ছে না।
  • ন্যাড়া | ***:*** | ২০ আগস্ট ২০১৮ ২০:৫০377085
  • আমি গুরুর লিংক এমবেড করার প্রোটোকলটা বার বার ভুলে যাই। প্রথমে একটা স্পেস থাকবে না থাকবেনা।

    কপি-পেস্টের মহান পন্থাটি তো রইলই।
  • Ishan | ***:*** | ২০ আগস্ট ২০১৮ ২১:০৭377086
  • লিং গুলো একটু কষ্ট করে দিলে ভালো হত। এর অর্ধেকই কস্মিনকালেও শুনিনি। শুনব ভাবলাম। কপি পেস্ট করা হেবি চাপ।
  • লিংক গুলি | ***:*** | ২০ আগস্ট ২০১৮ ২১:১৬377087
  • একদিন সেই রাজপুত্তুর


    খাব তোকে ঘচাং ফুঃ


    ভারত আমার ভারতবর্ষ


    আমার ময়ূরপঙ্খী তরী এনেছি এবার কুলায়


    কেউ জানেনা চাঁদের কণা
  • pi | ***:*** | ২০ আগস্ট ২০১৮ ২২:১০377088
  • লেখাটা ভাল লেগেছিল। গানগুলো শুনে বুঝলাম সবই তখন শোনা ছিল এবং ভাল তো লাগেইনি, কিছু কিছু গান খারাপও লেগেছিল। পোষয়নি, আপিল করেনি ইঃ বলাই চলে। এখনো তাই লাগল। সুখেন দাস ইঃ আসোসিয়েশন জানার আগেই। আমার ছোটবেলার শোনাও মূলত রেডিও ক্যাসেটে। তাই ঐ আসোসিয়েশনের চান্স নেই। আজও হয়নি।কারণ লেখাটা পড়েছি গানগুলো শোনার পরে। লেখাট অবশ্য ভাল লেগেছে, প্রতিপাদ্যের সংগে সেভাবে একমত না হয়েও। ন্যাড়াদাকে লিখতে দেখেও ভাল লাগল।
  • I | ***:*** | ২০ আগস্ট ২০১৮ ২২:৩৯377062
  • ন্যাড়াদাকে লিখতে দেখে খুব ভালো লাগলো।ভাটে এলে আরো ভালো লাগবে।ন্যাড়াদা, পামিতাদি,তীর্থংকবি,অক্ষদা,ঝিলপিপি, এইসব ভেটারেন লোকদের খুব মিস করি।অব্শ্য আমিও খুব অনিয়মিত।

    এটুকুই বলবার। আর গান বাজনা নিয়ে আমি জানিই বা কি, যে বলবো!
  • ন্যাড়া | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:২২377063
  • অনেক কিছু বক্তব্য আছে -

    ১। লিংক এমবেড করার কার্যপ্রণালী আরেকবার শেখানো হউক।
    ২। পাইনির গানগুলো কেন ভাল লাগলনা, মানে কোন খামতিতে, সেটা ভেবে বলা যায়?
    ৩। এটা সবথে ইম্পর্ট্যান্ট - ভাটে টাইমিং মেলে না। নইলে চিতায় উঠেও ভাট করব। তবে হনুকে আসতে হবে। আমার শেষকৃত্যে নয়, ভাটে।
  • r2h | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৪০377064
  • আমি তো "বাংলা বা ইংরিজি লিখুন(নিজস্ব সফটওয়্যার)"এর বাক্স দিয়ে পোস্ট করলাম, কোনরকম ব্র্যাকেট দিই নি; এবার গুরুচণ্ডা৯ লেআউটে লিখে দেখি-

    ভারত আমার ভারতবর্ষ
  • r2h | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৪২377065
  • প্রথম বন্ধনী দিইনি, তাতে এসেছে দেখছি। শুধু অ্যাঙ্গুলার ব্র্যাকেটের মধ্যে লিঙ্ক।
  • ন্যাড়া | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৫৪377067
  • ধুস, কোথায় কি? লোক চেনে বোধহয়।
  • ন্যাড়া | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৫৪377066
  • আমিও দেখি -

    <
  • lcm | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৫৫377068
  • অজয় দাস-এর প্রথম জনপ্রিয় সুর

    যেমন শ্রীরাধা কাঁদে
    শ্যামল মিত্র (১৯৬৯)
    ফিল্মঃ পান্না হীরে চুনী


    আর একটি জনপ্রিয় গান -
    দূর আকাশে তোমার সুর
    বনশ্রী সেনগুপ্ত (১৯৭১)
    ফিল্মঃ অর্চনা
  • r2h | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৫৬377069
  • তাই মনে হচ্ছেঃ)

  • ন্যাড়া | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৫৭377070
  • এই লাস চেষ্টা, কোন ব্র্যাকেট-ট্যাকেট নেই।

  • ন্যাড়া | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৫৮377071
  • তব্বে? কী সোজা, কী সোজা!
  • r2h | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৫৯377073
  • "উৎসাহে কিনা হয় কিনা হয় চেষ্টায়? অভ্যাসে চট্‌পট্ হাত পাকে শেষটায়।
    খেটে খুটে জল হল শরীরের রক্ত—. শিখে দেখি বিদ্যেটা নয় কিছু শক্ত"
  • | ২১ আগস্ট ২০১৮ ১০:০০377074
  • ন্যাড়াদা কী দিয়ে লিখছেন? অভ্র দিয়ে? তাহলে ওই বাংলা ইংরিজি নিজস্ব সফটওয়ারের অপশানটা সিলেক্ট করুন তারপর কীবোর্ডের ইংলিশে অ্যাঙ্গুলার ব্র‍্যাকেট ছাড়া পেস্ট করুন।চ

    অ্যাঙ্গুলার ব্র‍্যাকেট শুধু গুরুচন্ডা৯ ফর্ম্যাটে লাগে।
  • | ২১ আগস্ট ২০১৮ ১০:০১377075
  • ওহো! হয়ে গেছে!
    বাধাই হো
  • lcm | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৮ ১০:০৩377076
  • অজয় দাস মারা যাবার পর আনন্দবাজারে দেবজ্যোতি মিশ্র একটা লেখা লিখেছিলেন - -

    "... ... ‘দূর আকাশে তোমার সুর’ এই গানটিকে তো বাংলা ছবির সেরা কুড়িটি গানের তালিকায় রাখা যায় অনায়াসে। ...
    দীর্ঘ তেরো বছর আমি সলিলদার (সলিল চৌধুরী) সহকারী হিসেবে কাজ করেছি। একদিন হেমন্তদার বাড়িতে কথায় কথায় অজয় দাসের প্রসঙ্গ এল। সলিলদাকে হেমন্তদা বলেছিলেন, “অজয় তোমার ঝাঁকের মাছ নয়, আবার সুধীনেরও নয়। আমার কথা ছেড়েই দাও। ও একটা নিজস্ব ঢং তৈরি করেছে। গানগুলো শুনলে বোঝা যায়, ও একেবারে নির্ঘাত অজয়।” সলিলদাও সমর্থন করেছিলেন।... ..."

    http://archives.anandabazar.com/archive/1130525/25music1.html
  • ন্যাড়া | ২১ আগস্ট ২০১৮ ১০:১৩377077
  • শিবাজীর প্রথম গান - অথবা প্রথম যে গানে শিবাজী লাইমলাইটে এলেন, সেটাও বোধহয় অজয় দাসের সুর।

  • lcm | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৮ ১০:২৩377078
  • চেনা গান, এটা শিবাজীর গাওয়া আর অজয় দাস-এর সুর জানতাম না - অবশ্য এ গানটা খুব বেশিবার শুনি নি
  • h | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৮ ১৪:৪১377079
  • ন্যাড়াকে ওয়েলকাম ব্যাক বলছি না, কারণ এটা অন্তত আমার বাবার জমিদারি না ঃ-))) ন্যাড়াকে বা বাংলা আধুনিক গান কোনটাকে আদৌ পসন্দ না করলেও, ন্যাড়ার গান/সুর এইসব নিয়ে লেখাকে খুব ই পছন্দ করি ঃ-)))) খুব ভালো লাগলো লেখাটা। অতি সুন্দর।

    আমি মাইরি সুখেন দাস অজয় দাস পারিবারিক কানেকশন টা জানতাম ই না, আর গান শুনে অবভিয়াস সলিল বাবু র গান থেকে আলাদা করতে পারলেও, বদ্ধ কালা এবং সুর বিষয়ে অশিক্ষিত হবার কারণে আর কোন টেকনিকালিটি দিয়ে আধুনিক গানের সংগীতকার দের সংগীত পরিচালক দের আলাদা করতে পারবো না বলেই মনে হয়।

    তবে যেহেতু মানুষ এই সব গান কে অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন, তাই এর গুরুত্ত্ব আমি দেই না দেই এই জঁর এর গুরুত্ত্ব অনেক অনেক বেশি। এরকম লেখা ভালৈ লাগে, তবে ন্যাড়ার লেখার উপরে টই না সম্ভাব্য পরের বই এর সম্ভাব্য ওলো সই কার বেশি অধিকার এই ক্যাচাল না হয়ে বিষয় নিষ্ঠ আলোচনা র ঐতিহ্য টা ভবিষ্যতে থাগলেই ভালো ঃ-))))
  • pi | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৮ ১৫:০৩377080
  • সময় পেলে লিখব ন্যাড়াদা। তবে খুব গোদা ভাষায়, সুরে আমি গল্প কবিতা খুঁজি, মানে কম্পোজিশন আমার কাছে অম্নি কিছু, নইলে সেতো যেকোন এই স্বর থেকে ঐ স্বরের যেকোন পার্মুটেশন কম্বিনেশন শ্রুতিমধুর হলেই ভাল কম্পোজিশন হয়ে যেত।
    এই গানগুলোয় সেটা মিসিং লাগে, শুনতে বাজে না লাগলেও দাগ কেটে যায়না। যা শুনলে আমি হয়ত বন্ধ করব না, উঠে যাবনা, শুনে খারাপ লাগবে এমনও না কিন্তু আবার পরের বার চালিয়ে শুনতে চাইবনা, যে সুর আমি গুনগুন করবনা, চুইঙ্গ গামের মত চিবোব না, সে আমার কাছে ভাল সুর না আর কি। এছাড়াও মিউজিকাল আরেন্জমেন্ট কোথাও কোথাও 'খেলো' লাগে, ইরেস্পেক্টিভ অব সুখেন দাস। সেটা কেন, সময় দিয়ে লিখতে হবে। আমি কিন্তু পপুপার কি ফিল্মি মিউজিক মানেই নাকউঁচুপনা করি এমন আদউ নয়।

    তবে এটা সাব্জেক্টিভ তি বটেই। আর ভারত আমার ভারতবর্ষ আহামরি না হলেও ভাল লাগে। আর দু'তিনটে না শোনা দেখলাম, মানে চালাইনি, এখানে লিন্কের লিরিক্স দেখে মনে হচ্ছে। শুনে বলব।
  • Ekak | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৮ ১৮:১৪377081
  • ঘানের তো কিচু বুজি না, তোবে এই ঘ্যাচাঙ্গ ফু আমাদের মাতাল দোলের এন্থেম ছিলো একসোমোয়। ভারী জোশিলা গানা। শায়ার বোদোলে ঢোলা পেল্লাই বারমুডা দুলিয়ে নাচতো মোন্জু জে আকুন প্রক্রিতৈ পেয়াদা হৈচে।

    পরোবোর্তিতে মোদের নেশা শুকনোতে গোড়ালো আর এন্থেম বোদলে হোলো আয় রে আয় কাঠ কাটি কাঠ।উও ভী জোশিলা গানা আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন