এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিশ্বমানবতার পথপ্রদর্শক শ্রীশ্রীঠাকুর

    PJ Roy Jit লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৩১৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PJ Roy Jit | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:৫৩369719
  • বিশ্বমানবতার পথপ্রদর্শক শ্রীশ্রীঠাকুর
    কেবল একজন দ্রষ্টা, যার রয়েছে আমাদের অস্তিত্বের পরিপূরনী জ্ঞান; যার মধ্যে আমরা অনুভব করি জীবনের পূর্ণতা, যার স্পর্শ, সাহচর্য্যে আমরা আমাদের আত্মিক জীবনকে উপলব্দি করি এবং স্বাধীনতা উপভোগ করি দেহের গন্ডি পেরিয়ে; যার মধ্যে আমরা আবিষ্কার করি নব শক্তি, নব আশা, নব উৎসাহ ও নব ভালবাসার উৎস; এবং যিনি আমাদের অন্ধকার, অজ্ঞতা ও ভয় থেকে রক্ষা করেন, তিনিই হয়ে উঠেন বিশ্বের পথ প্রদর্শক। যিনি আমাদের মধ্যে এইধরনের অস্তিত্বমূখী জ্ঞানকে সঞ্চারণ ও চিরস্থায়ী করেন, তিনিই আমাদের বিশ্বগুরু।

    বর্তমান সময়ে রোগ, শোক, দূর্যোগ এবং অশান্তিতে জর্জরিত আমাদের এ শ্যামল ধরিত্রী। পুরো বিশ্ব আজ হিংসাত্মক যুদ্ধের ভয়াবহতায় শংকিত। রূগ্ন আত্মা ও যন্ত্রনাগ্রস্থ মন নিয়ে আমরা ক্লান্ত। পারমানবিক শক্তির আবিষ্কারের পর থেকেই পৃথিবীর অস্তিত্ব হুমকি নিয়ে আমরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছি। একটি সুইচ টিপেই নিমিষেই বিশ্বেই দুই-তৃতীয়াংশ ধ্বংস করে দেওয়া যাবে। আজ মানব জাতি ভাগ্যের চ্যালেঞ্জের সম্মূখীন। বিজ্ঞানের এত উৎকর্ষতার পরেও আমরা এসব যুগান্তকারী অর্জনগুলোর মধ্যে শান্তি খুজে পাচ্ছি না। বরংচ, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিভিন্নমূখী চাপ আমাদের অধিকতর অবিশ্বাস ও দ্বন্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে মানবতার মুক্তির আলো ম্রিয়মান। দিন দিন এ সমস্যাগুলো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। পশুর মত আমরা নিজেরা নিজেদের সাথেই যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছি। বিশ্বের রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞানীরা মানবজাতিকে এ দানবরূপী যুদ্ধ থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এবং মনোজাগতিক সুখ ও শান্তি আনয়নে তাদের চরম ব্যর্থতা আজ অজানা কোন বিষয় নয়। কোন রংস বা মতবাদই যে খারাপকে ভালতে রূপান্তর করতে পারে না, এ কথাটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আমরা দেখছি। তাই আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারি রাজনৈতিক তত্ত্ব এবং বিজ্ঞানের অর্জনগুলোই এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য যথেষ্ট নয়।
    ড. দু নাউ বলেন, “Today when humanity is threatened with complete destruction by the liberation of atomic forces, people begin to realize that the only effective protection lies in a greater and higher moral development (আজ যখন আনবিক শক্তির উত্তান পরো মানব জাতির অস্তিত্বকে পুরোপুরি ধ্বংসের হুমকি হিসেবে দাড়িয়েছে , তখন আমরা উপলব্দি করছি কার্যকরী প্রতিরক্ষা নিহিত আছে আরোতর ও উচ্চতর নৈতিক উন্নতিতে )”। নৈতিকভাবে উন্নত হওয়ার জন্য আমাদের নিজেদের চরিত্রকে সুগঠিত করতে হবে। মৌলিক অর্থে এটিই আমাদের সকল সমস্যার সমাধানের পথে যাওয়ার পথ। শুধুমাত্র নৈতিক ও আধ্যাত্মিক চেতনার বিকাশের মাধ্যমে আমরা আমাদের হৃদয়ের যন্ত্রনা ও মনের অসন্তুষ্টি অতিক্রম করতে পারব। শুধু নিজের নয়, অন্যের জন্য আমাদের কি করণীয় তার উপলব্দিও আসে। এভাবেই হতাশার অশেষ বৃত্ত থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারব। আমাদের তথাকথিত নেতারা তাদের অহং সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতেই ব্যস্ত। কোথায় সে অনন্য নেতা, অনুধাবনকারী ব্যক্তিত্ব, যিনি সামর্থবান আমাদের এ অবস্থা থেকে বের করে নিয়ে আসতে?
    আমি বিশ্বাস করি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্র ছিলেন তেমনি অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। ১২৯৫ সনে ৩০ ভাদ্র তালনবমী তিথিতে তাঁর জন্ম। তিনি শুধু বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা , বিহার, আসামের জন্য নয়, এমনকি বাংলা, ভারত কিংবা আমেরিকার জন্য নয়। তিনিতো ছিলেন এ ধরিত্রীর সকলের জন্য, অনাগত সময়ের জন্য। তাঁরই প্রবর্তিত প্রতিষ্টান ‘সৎসঙ্গ’, যা মানুষে মানুষে মহামিলনের তীর্থ স্থান। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিষ্টান, জৈন, শিখ, পারসী, প্রাচ্য, পাশ্চাত্য, বাঙ্গালী, বিহারি, মনিপুরী, দক্ষিন ভারতীয়, গুজরাটি, মহারাষ্ট্রীয়, উড়িয়া,অসমীয়া, কমিউনিস্ট, কংগ্রেসম্যান, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সৈনিক, জ্ঞানী-মূর্খ , ধনী-গরীব, পুজিপতি-শ্রমিক, পুরুষ-নারী, সৎ-অসৎ, ভাল-মন্দ প্রতি প্রত্যেকেই স্থান পেয়েছে। এককথায় বলতে গেলে, পথিবীর সকল শ্রেণীর মানুষ একত্রিত হয়েছিল এই মহাপ্রেমিককে কেন্দ্রায়িত করে। এ স্থান পরিনত হয়েছিল সকল সত্ত্বার এক স্বগীয় মিলনের ভিত্তিভূমিতে। শ্রীশ্রীঠাকুর এ জগতের মানব জাতির সকল সমস্যার যুক্তিসম্মত সমাধান দিয়েছেন। এমনকি তিনি অভিষ্যতের অনেক সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন এবং তার সমাধান দিয়েছেন। তিনি এসব সমস্যার সমাধান দিয়েছেন, যখন তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে কথোপকথন করেছেন। মাঝে মধ্যে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে মৌলিক এবং জীবনীয় তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন সাধারন আলোচনার ভঙ্গিতে। যেমন: শিক্ষা, রাজনীতি, শিল্প, বিবাহ, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, সাহিত্য, অর্থনীতি এবং আইন। এগুলো ইতিমধ্যে প্রকাশিতও হয়েছে। এই সাহিত্যগুলো ধারাবাহিক ও বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে বৈশ্বিক।
    তিনি পূর্বতন সকলকে পরিপূর্ণ করেছেন, তাদেরকে বর্তমান সমাজে নবরুপে আবিষ্কার ও অর্থপূর্ণ করার মধ্য দিয়ে। তাদের উপযোগীতা বর্তমান একবিংশ শতাব্দিতে অনুভব করানোর মধ্য দিয়েই কাজটি আরোতর সহজবোধ্য হয়েছে। আমাদের ধর্মগ্রন্থগুলোর অনেক জটিলতা ও পারষ্পরিক দ্বন্ধ অবসান করেছেন প্রাঞ্জল ব্যাখ্যায়। তিনি প্রকাশ করেছেন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, যা পুরানোকেও আমাদের জীবনে করেছে অর্থপূর্ণ। তিনি কৃষি, শিল্প, বানিজ্য, এবং আরো অনেক বিষয়ে নতুন ধারনা ও কর্মপদ্ধতি দিয়েছেন যা মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবচেয়ে মনোমুগ্নকর ও অতীব প্রয়োজনীয় যে বিষয়ে তিনি অজস্র উপদেশ দিয়েছেন তা হলো কিভাবে আরো উন্নত ও কর্মদক্ষ মানুষের আগমন ঘটানো যায়। তিনি বলেছেন, উন্নত মানুষ কেবলমাত্র বিবাহ সংস্কারের মধ্য দিয়েই সম্ভব। যা প্রজনন বিজ্ঞানসম্মত। তিনি বলেছেন, A man is born, not made । ভাল বা মন্দের দিকে মানুষের যে সহজাত প্রবৃত্তি তা শিক্ষা বা নিয়মনীতির মধ্য দিয়ে প্রদান করা সম্ভব নয়। এটা জন্মের মধ্য দিয়েই মানুষ লাভ করে। আমরা এখানে পলিশিং করতে পারি মাত্র। সুসন্তান কেবল সুপ্রজনন হতেই আসতে পারে, আর এ সুপ্রজনন নির্ভর করে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য ।
    শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র cashless (দ্বন্ধহীন) সমাজে বিশ্বাস করতেন, classless (শ্রেনীহীন) সমাজে নয়। মানব প্রকৃতির ভিন্নতাকে অস্বীকার করা যায় না। ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই বিশ্ব সাম্য প্রতিষ্টিত। মানুষের মধ্যে এই ভিন্নতা সহজাত বৈশিষ্ট্য। শ্রীশ্রীঠাকুর যার যার বৈশিষ্ট্যনুপাতিক কাজের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এত লজ্জা বা নিন্দার বিষয়টিই অবান্তর। সমাজে প্রতেকে এক অপরের পরিপূরক। মহাত্মা গান্ধীও বর্ণাশ্রমের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “It is inherent in human nature, and Hinduism has reduced it to a science. It does attach by birth. A man cannot change his varna by choice. Varna is not a man-made law to be imposed or relaxed at will.” (প্রকাশিত হয়েছে ইন্ডিয়া টুডে, ১লা অক্টোবর, ১৯৭৮)। প্রখ্যাত দার্শনিক ও মহান ব্যক্তিত্ব যেমন; ড. আলেক্সিস ক্যারেল (চিকিৎসা বিদ্যায় নোবেল প্রাপ্ত, যার বিখ্যাত গ্রন্থ Man, The Unknown) , সক্রেটিস, প্রফেসর কনক্লাইন, বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ফ্লেবিন বাউয়ার এবং হ্যাভলক এলিস এ বিষয়ে ঐক্যমত প্রদর্শন করেছেন।
    আমরা এমন একটা সময় অতিক্রম করছি যেখানে মানুষের জীবন অনেকটা কৃত্রিম হয়ে পড়েছে। এখানে সর্বত্রই শারিরীক, মানসিক ও নৈতিক অধ:পতন ঘটেছে। বুদ্ধিমান লোকেরা অসৎ উপায়ে সম্পদ আহরণের প্রতিযোগীতায় নেমেছে। তারা সত্য জেনেও তার বিকৃতি ঘটাচ্ছে আত্ম-স্বার্থে অন্ধ হয়ে। তারা বুঝতে পারছেনা বা ভাবছেনা অনাগত ভবিষ্যতের কথা এমনকি তার আপন সন্তানদেরও কথা। কারণ এ নীতি নৈতিকতাহীন বিশ্বে কেউই নিরাপদ নয়। তার দায় খানিকটা হলেও আমরা প্রতি-প্রত্যেকের। আমরা সভ্যতার কথা বলি, কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষই জানেন কিভাবে সভ্য হতে হয়। জকমকি পোষাক-পরিচ্ছদই কি সভ্যতা? প্রতিটি কাজে সততা, ভদ্রতা ও সেবামূখর কার্যকর অংশগ্রহনই সত্যিকারের সভ্যতা। কর্মদক্ষ ও সমব্যাথি হওয়ার জন্য ভক্তি ও প্রাজ্ঞ্যতার প্রতি আনুগত্যই হল সভ্যতা। আমাদের সামনে দুটি পথই খোলা আছে । একটি জীবনের পখ, অন্যটি মরনের। বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের।
  • T | 165.69.***.*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:৫৮369724
  • অ্যাঁ! cashless সমাজ। তখন থেকেই! হে পিকক।
  • সিকি | 158.168.***.*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৯:৪৩369725
  • ইটি কি পাইয়ের আমদানি?
  • PJ Roy Jit | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১০:০০369726
  • না বাঁচা বাড়ার আমদানি
  • PJ Roy Jit | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৯:৩৬369727
  • আমরা জানি ও বুঝি, মানুষ একা বাঁচতে পারে না। তাই নিজে বাঁচতে হলে অন্যকেও বাঁচাতে হবে, এই সূত্র ভুলে গেলে চলবে না। জীবনের সূত্র বিজ্ঞানের সূত্রের চাইতে কোন অংশে খাট বা লঘু নয়। রসায়নের সূত্র না জেনে এসিড নিয়ে খেলা খেললে যেমন বিপদ অবশ্যম্ভাবী, তেমনি জীবন সূত্রও জানতে হয়, মানতে হয়, অন্যথায় মহাবিপদ।
    জীবন বিজ্ঞানী শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সবচাইতে বেশী বলেছেন জীবনের কথা। কারণ জীবনকে সবাই ভালোবাসে। তাই জীবন ও জীবনের স্বাভাবিক পরিণতিকে নিয়েই তাঁর দৰ্শনের ভিত্তি রচিত। যুগের দাবীও তাই।
  • সিকি | 158.168.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:৩৫369728
  • জীবন বিজ্ঞানী? উনিই কি সালোকসংশ্লেষ আবিষ্কার করেন?
  • শঙ্খ | 113.242.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২৩:৩৫369729
  • আর কে না জানে?

    জীবন মানে জী বাংলা!
  • Du | 182.58.***.*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:১৪369730
  • পি জে রয় জিত অনুগ্রহ করে একটাতেই লিখুন না ওনার বিষয়ে। তাতে আগ্রহীরাও পড়বে আর অনাগ্রহীরাও পাশ কাটানোর জায়গা পাবে।
  • PJ Roy Jit | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৪:০৬369731
  • শুধু একটা বিষয় তো ণয় তাই আলাদা করে লিখছি
  • সিকি | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৪:৩৭369720
  • সে কী! আমার তো একই বিষয় মণে হচ্ছে।
  • হ্যাঁ | 172.254.***.*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৪:৪৯369721
  • এই লিঙ্কটা একজায়গায় দিয়ে দিলে ল্যাঠা চোকে, সব জায়গায় আলেদা করে লেকার দরকার নেই।

    https://plus.google.com/collection/MW4SnB
  • সিকি | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২২:৩০369722
  • জিও বস। আদ্যন্ত নির্মল আনন্দের খনি।
  • Sourav | 52.***.*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২৩:২০369723
  • PJ Roy Jit কে একটা প্রশ্ন -- অনুকূল ঠাকুর কি কোথাও কোনোদিন বলেননি যে ধর্ম ঢাক পিটিয়ে প্রচারের বিষয় নয়, ব্যক্তিগত উপলব্ধির বিষয়?
  • ফেসবুক থেকে | 49.206.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২১ ১৩:৩৪733792
  • ফেসবুক থেকে | 49.206.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২১ ১৩:৩৬733794
  • আপনারা হয় তো অনেকেই এনাকে চিনতে পারবেন.. ইনি হলেন 'মনু' (নাম টি পূজনীয় বাবাই দাদা দেয়া) ফুরকাটিং সৎসঙ্গ বিহার মন্দিরের গত 13 বছর ধরে নিবাসী..ঠাকুরের আশীর্বাদে আমি যদি সেই মন্দির এ না যেতাম আমার হয় তো এরকম একজন মহান পশুর সাথে দেখা হতো না... পশু বললে ভুল হবে ঠাকুরের প্রতি এনার অটুট ভক্তি বোধয় মানুষের মধ্যে ও দেখা যাই না...প্রভু ভক্তি কি ভাবে করতে হয় আমি অনেকটাই এনার থেকে শিখলাম.. ইনি প্রত্যেক দিন ভোর বেলা ও সন্ধে বেলা প্রার্থনা সময় ইনি ঠিক মন্দিরের সামনে বসে প্রার্থনা করতে বসেন..আর প্রার্থনার পর..এক এক করে..ঠাকুর, বড়মা, বড়দা আর দাদা সবাইকে গিয়ে প্রণাম করে আস্ত..আর একটা কথা শুনলে অবাক হবেন ইনি মন্দিরের প্রসাদ ছাড়া কিছু গ্রহণ করতো না.. একটা অনুভব বলতে চাই..2019 এ যখন পূজনীয় সিপাই দাদা ফুরকাটিং মন্দির এর উদ্ঘাটন এর জন্য এসেছিলেন... মন্দির এ আসার আগে সেখানে আশা গুরুভাই/গুরুভইন রা পূজনীয় সিপাই দাদা মন্দিরে সময় মতো না আসতে পারায়ে অস্থির হয় উঠলেন.. তখন ইনি (মনু) এক জায়গা থেকে আর এক জায়গা হেটে হেটে অস্থির হয় পড়লেন..তারপর যখন দাদা আসলেন..দাদা আসার থেকে মন্দির এ প্রণাম করে জায়গা তে বসার অব্দি ইনি দাদার চরণ ছাড়েন নি...এনাকে দেখে মনেহচ্ছিলো ইনি যেন পূজনীয় সিপাই দাদার বডিগার্ড..তারপর ঠিক সিপাই দাদা র পায়ের সামনে ইনি বসে পড়লেন..র সাথে সাথে পূজনীয় সিপাই দাদা হটাৎ করে মনুর গায়ে হাত দিয়ে বললেন 'কেমন আছিস মনু?'..ইনি তখন নিজের মাথা তা দাদার পায়ে রেখে দিলেন..মনে হলো মনু যেন দাদা কে বললেন 'ভালো আছি দাদা'..দৃশ্য তা খুবেই অপূর্ব ছিল.. উৎসব এর 2দিন পর আমি সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসি..মনু মানুষ দেড় সামনে খুব কম আস্ত..কিন্তু যখন আমি প্রথমবার যাই তখন সে হটাৎ করে আমার সামনে এসে বসলো..আর আস্তে করে নিজের মাথা তা আমার ব্যাগ এর ওপর রেখে দিলো..অনেক সময় পর আমি বুজতে পারলাম যে আমার ব্যাগ এ রাখা বিসকুট খাবার জন্য সে আমার দিগে তাকিয়ে আছে..তখন আমি সে বিসকুট ওকে খেতে দিলাম...সেইখানকার পূজারী এসে আমাকে বললেন..'মনু তো কারোর হাতে কিছু খাই না..কিন্তু তোমার হাতে কি করে খেলো ?'..আমি বাড়ির ফেরার সময় মন্দির এ প্রণাম করে এসে দেখি মনু মনদিরের বারান্দায় বসে আছে..তখন আমি তাকে বললাম যে 'আমি আসি মনু তুই ভালো করে থাকিস' এই কথা শুনে সে অনেক্ষন আমার দিগে তাকিয়ে রইলো...মনেহলো কিছু বলতে চাইছে..তারপর আমি মনদিরের গেট এর বাইরে বেয়ে হওয়া অব্দি সে আমার দিগে তাকিয়ে রইলো..মনু কে দেখে আমার চোখে জল এসে পড়লো..সে 2দিন এর মধ্যে মনুর সাথে একটা অটুট সম্পর্ক হয় উঠলো যেন ও আমার অনেক দিনের চেনা..আসা করে ছিলাম আবার ওর সাথে দেখা হবে.. কিন্তু সে দিন আর আসলো না... গত 2দিন আগে মনু এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলো কয়েকদিন ধরে খুব অসুস্থ ছিল... কথা তা শুনে মনে হলো যেন নিজেরেই একজন মারা গেছে... যেতে যেতে ও আমাকে মানুষত্তো আর ঠাকুর ভক্তি শিখিয়ে দিয়ে গেলো.. মনুর মতন ঠাকুর ভক্তি হয় তো আমার নেই... সে সবসমই আমার হৃদয়ে থাকবে.. ঠাকুরের শ্রী চরণে ওর আত্মার শান্তি কামনা করি..ও যেন শ্রী শ্রী ঠাকুরের শ্রীচরণে ঠাঁই পাক... জয় গুরু
  • Abhyu | 198.137.***.*** | ২৮ মার্চ ২০২১ ০৬:১২733796
  • বাহ ছাগলটি এবং এরকম মহান পশুরা সবাই শ্রীশ্রীঠাকুরের শ্রীচরণে ঠাঁই পাক|

  • dc | 2402:e280:2002:7c2c:1108:ba2a:e715:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২১ ০৭:৪৬733799
  • কি সুন্দর নধর ছাগোল! ওর সাথে দেখা হলে আদর করে ঘরে নিয়ে আসতাম। 

  • Somnath Roy | ২৮ মার্চ ২০২১ ০৯:৩০733800
  • হিন্দু-মুসলিম সৌভ্রাতৃত্বের এক পথকৃৎ ছিলেন ঠাকুন অনুকূলচন্দ্র। তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতিকে শুধুমাত্র সামাজিকতার কৃত্রিম অভ্যাসে সীমাবদ্ধ রাখেন নি। শিবদয়াল সিং থেকে হুজুর মহারাজ, অসাম্প্রদায়িক উপাসনার যে ধারা এদেশে নির্মিত হয়েছিল, তারই টর্চবেয়ারার ছিলেন অনুকূল চন্দ্র। ইসলামি উপাসনাকে হিন্দু আচারের অঙ্গ করে তুলতে পেরেছিলেন তিনি। ভারতের মূল সম্প্রীতির সুরটা সেইটেই। লোকধর্মে ইসলাম আর হিন্দুয়ানির বহুসংশ্লেষ হয়েছে, তাকে কোডিফাই করার চেষ্টা খুব কম হয়েছে। অনুকূল চন্দ্রের নির্দেশনায় লেখা রসুল গীতা সেই দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন