মনের কথন তার শুনি আমি যত বার
কুল-কিনারা ভেবে নাহি পাই ।
অনৃত বচন কত বলে যায় অবিরত
শরমের লেশটুকু নাই ৷৷
সর্ব বিদ্যায় পারদর্শী মহাজ্ঞানী বহুদর্শী
অসীম জ্ঞানের ভাণ্ডারী ৷
দরিদ্রের ভাগ্য হতে সব দুঃখ মুছে দিতে
একমাত্র তিনিই কাণ্ডারী ৷৷
তিনি নাকি এম.এ. পাশ লোকে করে অবিশ্বাস
নানা জনে নানা কথা কয় ৷
যা খুশী বলুক লোকে বিব্রত করে না তাকে
লোকবাক্যে কিবা আসে যায় ৷৷
বয়স যখন সাত তার ছোট দুটি হাত
বেচতো চা ইস্টিশানে বসে ৷
তথ্য কহিছে আন ছিল না সে ইস্টিশান
ছেলেটার সাত বছর বয়সে ৷৷
বাল্যে বিবাহ করি নববধু পরিহারি
গৃহ ত্যজি বাহিরিল পথে ৷
গৃহ ত্যাগের কালে না জানিয়ে সেই ছেলে
পত্নির গহনা নিল সাথে ৷৷
মাগি ভিখ দ্বারে দ্বারে আপন উদর পুরে
রাত্রি যাপন করে যত্র তত্র।
সুতীব্র বাসনা মনে বসিবারে উচ্চাসনে
ভাবে শুধু কোথা পাই সূত্র ৷৷
পাইয়া সুবর্ণ সুযোগ কুসঙ্ঘে দিল যোগ
হয়ে একনিষ্ঠ অনুচর ৷
ধর্মের ধ্বজা করে দেশময় ঘুরে ঘুরে
সঙ্ঘাদর্শ করিল প্রচার ৷৷
সঙ্ঘে থেকে ক্রমে ক্রমে রাজনীতির মাঠে নেমে
হয়ে গেলো মুখ্যমন্ত্রী ।
তারই শাসনকালে রাজ্য জ্বলে দাঙ্গানলে
লোকে বলে সেই ষড়যন্ত্রী ৷৷
অতিশয় নীচমনা পরধর্মে সদা ঘৃণা
জাতি ধর্মে বিভাজন করে ৷
ভারতবর্ষ জুড়ে অন্ধভক্তের দল গড়ে
তার বাণী প্রচারের তরে ৷৷
দিল্লীর মসনদে তার অভিলাষ বসিবার
মনে মনে নানা ফন্দি আঁটে ৷
লোকসভা নির্বাচনে পটাইয়া জনগণে
সাংসদ হইল জিতে ভোটে ৷৷
প্রধানমন্ত্রী হয়ে সে দিল্লীর তখতে বসে
শুরু করে তুঘলকি আচরণ ৷
জনতা প্রদত্ত করে ভ্রমে দেশ দেশান্তরে
চরম বিলাসে করে জীবন যাপন ৷৷
নিজেকে ফকির বলে জনতারে সদা ছলে
দেশের করেছে সর্বনাশ ৷
তাহার গুণের কীর্তন করে অন্ধ ভক্তগণ
আর আছে যত দলদাস ৷৷
রক্ষিতে ধনীর স্বার্থ আম জনতার অর্থ
নানা ছলে করিছে হরণ ৷
জনতার সামান্য ধন করে সদা লুন্ঠন
তার যত স্তাবকগণ ৷৷
জনতাকে দিয়ে ধোঁকা বহু লক্ষ কোটি টাকা
চুরি করে তার প্রিয়জন ৷
বখরা দিয়ে তার দলে লুঠেরারা পালে পালে
ভিনদেশে করে পলায়ন ৷৷
রাজকোষের অর্থ যত করেছে সে নিঃশেষিত
দেশবাসী ত্রাহি ত্রাহি করে ৷
হেলদোল নেই তার শুধুই ভাষণ সার
দরিদ্র জনতার তরে ৷৷
ওহে দেশবাসী গণ করো এবার জাগরণ
থেকো নাগো আর ঘুমিয়ে ৷
শাসকের আসন থেকে তুঘলক বিনটাকে
ঘাড় ধরে টেনে দাও নামিয়ে ৷৷
********