গুরুচন্ডালির একটি ইউএসপি --খিল্লি করা। তার মানেই লেখককে অপমান করার ইচ্ছে এমন নয়। এখানে বাবা বাছা বা মন রাখা কথাবলার রেয়াজ নেই। আপনারা নতুন বলে রেগে গেছেন। আগে অনেক বেশি খিল্লি হত।
ভিনি ভিডি ভিসি গণেশের নারী নিয়ে গতানুগতিক মিষ্টি মিষ্টি বিশেষণ নিয়ে পালটা উদাহরণ দিয়েছেন । আপনারা রেগে না গিয়ে পালটা দিন। জমে যাবে।
উনি প্রথাগত রোমান্টিক স্তুতির কুয়াশার বিরুদ্ধে বলেছেন।
দেখুন, কবি মণীশ ঘটক প্রয়াত হলে শক্তি চট্টো দেশ পত্রিকায় একটি দীর্ঘ এবং চমৎকার অবিচুয়ারি লিখেছিলেন। ক'টা লাইন স্মৃতি থেকে তুলে দিচ্ছিঃ
দেবী তো নহ, বলত তোমায় কেমনে পূজা করি?
তোমার মুখে দিব্য বিভা বৃথাই খুঁজে মরি।
আছে তোমার ললিত বাহু, নিটোল দুই স্তন্,
তপ্ত তনু ---- পরসন।
শেষ করছেন এই বলে যে নারীর মধ্যে দেবীকে পাইনি বটে, কিন্তু যা পেয়েছি তাই 'নিয়েছি বুকে তুলে'।
কী বলবেন!
২ আর ভাই গণেশ, 'পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা" নারীকে প্রজননের যন্ত্র মনে করে বলা। এবং এর ফলেই কন্যাভ্রূণ হত্যার প্রবণতা হয়। না, বিবর্তনের তত্ত্ব এমন ধারণাকে সমর্থন করে না।
বংশধারা মেয়ের দিক থেকে নয় কেন?
যখন আমরা জানি যে সন্তানের মাতা কে সে ব্যাপারে কোন সংশয় নেই, কিন্তু পিতার ব্যাপারে সবসময় নিঃসংশয় হওয়া যায় না! আর বংশধারা রক্ষার পেছনে থাকে সম্পত্তি রক্ষার এবং প্রকারান্তরে অমর হওয়ার আকাঙ্খা।
কিন্তু আমি চোখ বুঁজলে পৃথিবীর কি এসে যায়!