এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শংকর হালদার শৈলবালার 'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতার বিশ্লেষণ

    SANKAR HALDER লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ মে ২০২৫ | ৩৬ বার পঠিত
  • শংকর হালদার শৈলবালার 'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতার বিশ্লেষণ

    ১. ভূমিকা: 'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতার পরিচিতি

    এই প্রতিবেদনটি কবি শংকর হালদার শৈলবালা রচিত 'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতাটি নিয়ে একটি বিশদ বিশ্লেষণ উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রণীত হয়েছে। শংকর হালদার শৈলবালা বাংলা সাহিত্যের একজন উল্লেখযোগ্য লেখক, যিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে সামাজিক বাস্তবতা, মানবিক দুর্ভোগ এবং সমাজের অসঙ্গতিগুলি তুলে ধরেন। তাঁর 'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতাটি একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও তার মানবিক প্রভাবের উপর এক মর্মস্পর্শী এবং শক্তিশালী সামাজিক ভাষ্য।

    এই গবেষণায় 'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতাটির গভীর বিশ্লেষণ করা হবে, যা এর বিষয়বস্তু, শৈলী এবং অন্তর্নিহিত বার্তা উন্মোচন করবে।

    ২. 'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতার গভীর বিশ্লেষণ

    শংকর হালদার শৈলবালা রচিত 'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতাটি ২০২৫ সালের ২৪শে এপ্রিল রচিত হয়েছে। কবিতাটি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সাম্প্রতিক সহিংসতা, ধর্মীয় বিভেদ এবং এর ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের এক হৃদয়বিদারক চিত্র তুলে ধরে। এটি শান্তি, সহাবস্থান এবং ভ্রাতৃত্বের জন্য এক জোরালো আহ্বান।

    মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ
    লেখক: শংকর হালদার শৈলবালা
    রচনাকাল: ২৪ এপ্রিল ২০২৫

    মুর্শিদাবাদের আকাশ আজ মেঘে ঢাকা,
    কান্না ভেজা বাতাস বহে ধীরে।
    ইতিহাসের পাতা যেন রক্তে মাখা,
    যেন কোনো অভিশাপ নামে তীরে।

    শান্ত জনপদ ছিল, স্নিগ্ধ নদীর ধার,
    সহাবস্থানের স্বপ্ন বোনা ছিল মনে।
    আজ কেন হিংসার এই কালো আঁধার,
    কেন রক্ত ঝরে পথের কোণে কোণে?

    ওয়াকফের আইনের নামে উঠলো ঝড়,
    অবিশ্বাসের বীজ বোনা হলো ধীরে।
    প্রতিবাদের আগুন লাগলো ঘর-দোর,
    সহিংসতার রূপ দেখালো ভীড়ে।

    হরগোবিন্দ, চন্দন – পিতার কাঁধে পুত্র,
    কেড়ে নিল হায় তাদের জীবন আলো।
    ঘরের আঙিনা হলো শ্মশানক্ষেত্র,
    কেন এত ঘৃণা, কেন এত কালো?

    ইজাজের বুকে গুলি লাগলো কার হাতে,
    কোন সত্য চাপা ছিল সে ক্রোধের আগুনে?
    রক্তাক্ত যুবকের নিথর দেহ পড়ে,
    প্রশ্ন জাগে, কেন এত রক্ত ঝরে ভুবনে?

    চারশো পরিবার কাঁদে ঘরছাড়া,
    ভাঙা ভিটে, পোড়া স্বপ্ন – দীর্ঘশ্বাস।
    কোথায় আশ্রয় পাবে, কোথায় কিনারা,
    ভয় আর আতঙ্কে কাটে দীর্ঘ মাস।

    হিন্দু-মুসলমানের দীর্ঘ সহবাস,
    কেন হলো ছিন্ন, কার ইশারায়?
    ধর্মের নামে বিভেদ এলো নেমে,
    মানবতা কাঁদিলো অসহায়।

    রাজনীতির দাবানল উঠলো জ্বলে,
    ক্ষতের উপর লবণ ছিঁটানো হলো।
    কারা চায় এই বিভেদের ফল ফলে,
    কারা চায় মানুষের রক্তে পথ ধোওয়া হলো?

    বাংলার মাটি কাঁদে নীরবে একা,
    মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ থামে না।
    ভ্রাতৃত্বের বাঁধন কেন হলো ফাঁকা,
    কেন ভালোবাসার গান আর গাওয়া হয় না?

    ইতিহাস সাক্ষী রবে এই কালো দিন,
    ক্ষমা করবে না ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
    আসুন, তুলি মানবতার বীণ,
    ভালোবাসার সুরে জুড়াই ক্ষত, ঘুচাই বিভ্রম।

    শান্তির পতাকা উড়ুক আকাশে,
    বিশ্বাস আর প্রীতি ফিরুক আবার।
    মুর্শিদাবাদের মানুষ বাঁচুক পাশে পাশে,
    হিংসার আঁধার হোক চিরনিবার।

    ফিরে আসুক সেই সোনালী সকাল,
    যেখানে মানুষে মানুষে ছিল শুধু প্রেম।
    মুর্শিদাবাদের বুকে বাজুক গান,
    ঘুচে যাক যত কালো স্মৃতি, যত ক্লেশ, যত ভ্ৰম।

    কবিতার বিশ্লেষণ:

    'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতাটি একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের (মুর্শিদাবাদ) সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং এর ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের এক মর্মস্পর্শী চিত্র তুলে ধরে। এটি ধর্মীয় বিভেদ, রাজনৈতিক স্বার্থ এবং এর পরিণতিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের উপর এক শক্তিশালী সামাজিক ভাষ্য।

    * শোক ও হতাশার চিত্রণ: কবিতার শুরুতেই মুর্শিদাবাদের "আকাশ আজ মেঘে ঢাকা" এবং "কান্না ভেজা বাতাস" এর উল্লেখ এক গভীর শোক ও হতাশার পরিবেশ তৈরি করে। "ইতিহাসের পাতা যেন রক্তে মাখা, যেন কোনো অভিশাপ নামে তীরে" পঙ্‌ক্তিগুলি অতীতের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিপরীতে বর্তমানের সহিংসতাকে এক অভিশাপ হিসেবে চিত্রিত করে।

    * সহাবস্থান থেকে হিংসায় রূপান্তর: কবি স্মরণ করিয়ে দেন যে, একসময় মুর্শিদাবাদ ছিল "শান্ত জনপদ", যেখানে "সহাবস্থানের স্বপ্ন বোনা ছিল মনে"। কিন্তু এখন সেই স্থানে "হিংসার এই কালো আঁধার" নেমে এসেছে এবং "রক্ত ঝরে পথের কোণে কোণে"।

    * সহিংসতার কারণ ও পরিণতি: "ওয়াকফের আইনের নামে উঠলো ঝড়, অবিশ্বাসের বীজ বোনা হলো ধীরে" পঙ্‌ক্তিগুলি সহিংসতার একটি নির্দিষ্ট কারণ (ওয়াকফ আইন) এবং এর ফলে সৃষ্ট অবিশ্বাসকে নির্দেশ করে। "প্রতিবাদের আগুন লাগলো ঘর-দোর, সহিংসতার রূপ দেখালো ভীড়ে" – এই পঙ্‌ক্তিগুলি পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির চিত্র তুলে ধরে।

    * ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি ও মানবিক ক্ষতি: হরগোবিন্দ, চন্দন এবং ইজাজের মতো নির্দিষ্ট নাম উল্লেখ করে কবি সহিংসতার মানবিক দিকটি তুলে ধরেছেন। "পিতার কাঁধে পুত্র", "কেড়ে নিল হায় তাদের জীবন আলো", "ঘরের আঙিনা হলো শ্মশানক্ষেত্র" – এই চিত্রকল্পগুলি ব্যক্তিগত ক্ষতির গভীরতা প্রকাশ করে। "রক্তাক্ত যুবকের নিথর দেহ পড়ে, প্রশ্ন জাগে, কেন এত রক্ত ঝরে ভুবনে?" – এই প্রশ্নটি সহিংসতার অর্থহীনতাকে তুলে ধরে।

    * গণ-উচ্ছেদ ও অনিশ্চয়তা: "চারশো পরিবার কাঁদে ঘরছাড়া, ভাঙা ভিটে, পোড়া স্বপ্ন – দীর্ঘশ্বাস" পঙ্‌ক্তিগুলি ব্যাপক উচ্ছেদ এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্ভোগকে চিত্রিত করে। তাদের "কোথায় আশ্রয় পাবে, কোথায় কিনারা" – এই প্রশ্নটি তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের প্রতি সহানুভূতি জাগায়।

    * ধর্ম ও রাজনীতির বিভেদ: "হিন্দু-মুসলমানের দীর্ঘ সহবাস, কেন হলো ছিন্ন, কার ইশারায়?" – এই প্রশ্নটি ধর্মীয় বিভেদের মূল কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। "ধর্মের নামে বিভেদ এলো নেমে, মানবতা কাঁদিলো অসহায়" এবং "রাজনীতির দাবানল উঠলো জ্বলে, ক্ষতের উপর লবণ ছিঁটানো হলো" পঙ্‌ক্তিগুলি ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি এবং এর ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের তীব্র সমালোচনা করে।

    * আহ্বান ও আশাবাদ: হতাশার মধ্যেও কবি আশার আলো দেখিয়েছেন। "বাংলার মাটি কাঁদে নীরবে একা, মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ থামে না" – এই পঙ্‌ক্তিগুলি চলমান যন্ত্রণাকে তুলে ধরে। তবে, "আসুন, তুলি মানবতার বীণ, ভালোবাসার সুরে জুড়াই ক্ষত, ঘুচাই বিভ্রম" – এই আহ্বানটি শান্তি, বিশ্বাস এবং প্রীতি ফিরিয়ে আনার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে। "শান্তির পতাকা উড়ুক আকাশে", "ফিরে আসুক সেই সোনালী সকাল" এবং "মুর্শিদাবাদের বুকে বাজুক গান" – এই পঙ্‌ক্তিগুলি একটি উন্নত ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখায়।

    কবিতাটির ভাষা সহজবোধ্য, প্রত্যক্ষ এবং আবেগপূর্ণ। এটি মুক্ত ছন্দে রচিত, যা কবির বার্তাটিকে সরাসরি পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়। শংকর হালদার শৈলবালা এই কবিতার মাধ্যমে সামাজিক অন্যায়, ধর্মীয় বিভেদ এবং রাজনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে এক জোরালো প্রতিবাদ তুলে ধরেছেন, একই সাথে শান্তি ও মানবিকতার জন্য এক গভীর আবেদন জানিয়েছেন।

    ৩. স্বীকৃতি ও তাৎপর্য

    'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতাটি তার শক্তিশালী বার্তা এবং কাব্যিক গুণাবলীর জন্য উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি লাভ করেছে। এই কবিতাটির আন্তর্জাতিক মান নির্ণয়ে ১০ এর মধ্যে ৯.৭ মান প্রাপ্ত হয়েছে। এটি "দৈনিক লেখনী সেরা সম্মাননা- ২৪ এপ্রিল ২০২৫" এবং লেখনী সাহিত্য পরিষদ-এর পক্ষ থেকে "মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ" কবিতা হিসেবে সম্মানিত হয়েছে।

    এই উচ্চ মান এবং সম্মাননাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে কবিতাটি কেবল স্থানীয়ভাবে নয়, বরং বৃহত্তর সাহিত্যিক মহলেও এর বিষয়বস্তু এবং শৈলীর জন্য প্রশংসিত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে শংকর হালদার শৈলবালা তাঁর লেখনীর মাধ্যমে সমসাময়িক সামাজিক সমস্যাগুলিকে কার্যকরভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন, যা পাঠক এবং সমালোচক উভয়কেই প্রভাবিত করেছে। এই স্বীকৃতি কবিতাটির সামাজিক প্রাসঙ্গিকতা এবং মানবিক আবেদনের গভীরতা তুলে ধরে।

    ৪. উপসংহার: এক মর্মস্পর্শী সামাজিক ভাষ্য

    শংকর হালদার শৈলবালার 'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতাটি মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক সহিংসতার এক মর্মস্পর্শী এবং শক্তিশালী চিত্র তুলে ধরে। এটি ধর্মীয় বিভেদ, রাজনৈতিক স্বার্থ এবং এর ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে এক জোরালো প্রতিবাদ। কবিতাটি কেবল একটি ঘটনার বর্ণনা নয়, বরং শান্তি, সহাবস্থান এবং ভ্রাতৃত্বের জন্য এক গভীর মানবিক আবেদন।
    এই কবিতাটি তার প্রত্যক্ষ ভাষা, আবেগপূর্ণ চিত্রকল্প এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। এর উচ্চ মান এবং প্রাপ্ত সম্মাননাগুলি শংকর হালদার শৈলবালার কাব্যিক প্রতিভার স্বীকৃতি এবং সমাজের প্রতি তাঁর গভীর সংবেদনশীলতাকে প্রমাণ করে। 'মুর্শিদাবাদের আর্তনাদ' কবিতাটি পাঠককে কেবল একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের ট্র্যাজেডি সম্পর্কে অবহিত করে না, বরং মানবতা, শান্তি এবং সহাবস্থানের গুরুত্ব সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে অনুপ্রাণিত করে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন