এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গল্প: ফাহিমের চোখ

    asim nondon লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ মে ২০২৫ | ৪১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • [বিশেষ সতর্কবাণী: এই গল্পটি ১টি অবাস্তব মিথ্যা গল্প অবলম্বনে তৈরি। কারো অনুভূতির তোয়াক্কা এই গল্প করে না। নিজ দায়িত্বে পাঠ করুন। কোনো পাঠকের মন খারাপ হলে লেখক ক্ষমাপ্রার্থী। ]
     
    কলিংবেলের শব্দ হচ্ছে। ক্রিংক্রিং ক্রিংক্রিং ক্রিংক্রিং।
    পরপর তিনবার।
    হয়তো অরুণীমা এসে গেছে। যদিও তার ফেরার কথা আরো ঘন্টা খানেক পরে। মেয়ের কোচিং শেষে অরুণীমা মেয়েকে নিয়ে একটু পার্কে ঘুরতে যায়। এটা রুটিন। নীলাকে নিয়ে পার্কে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ ফিরে আসে। সন্ধ্যা হতে এখনও বেশ দেরি। ফাহিম নামাজে বসেছিল। নামাজ শেষে দরজা খুলে দেখলো, মোবারক দাঁড়িয়ে আছে। চোখে চোখ পড়তেই মোবারক একটু হাসার চেষ্টা করলো। সে হাসি এতটাই উৎকট দেখালো যে, ফাহিমের মনে হল কিছু একটা সমস্যা তো নিশ্চয় হয়েছে। মোবারক ফাহিমের বহু পুরানো বন্ধু। ছেলেবেলার বন্ধু। এতিমখানায় তারা এক সাথে বড় হয়েছে। একসময় তারা দুইজন ছিল গোপী-বাঘা'র মতন বন্ধু। ফাহিম মোবারককে নিয়ে বসার ঘরে বসলো। 
     
    সোফায় বসে মোবারক পা নাচাচ্ছে। অসম্ভব মনোযোগের সাথে ড্রয়িংরুমের আসবাব দেখছে আর পান চিবাচ্ছে। যেন এই আসবাব ড্রয়িংরুম সে জীবনে আর কখনো দেখে নাই। যেন সবকিছু পুরো দস্তুর মুখস্ত করছে সে।
     
    ফাহিম বললো, কেমন আছিস, মোবারক? অনেক দিন পর বাসায় এলি। কী খাবি? চা? কফি?
     
    মোবারক বললো, না দোস্ত। কিছু খামু না। একটা ছোট্ট দরকারে আসছি। এখনই দরকার শেষে চইলা যাবো। তবে এক গ্লাস পানি খাওয়াইতে পারো। গলা শুকায় যাইতেছে। এই প্রথম এই-রকম গলা শুকাইতেছে।
     
    ফাহিম ঠান্ডা পানি এনে দিল। মোবারক কুলকুচি করে মুখের পান-সহ পানি খেয়ে নিল।
     
    ফাহিম বললো, কোনো কিছু নিয়ে টেনশনে আছিস? 

    মোবারক বললো, না না। কীসের টেনশন? ভাবী কৈ? দেখতেছি না।

    ফাহিম বললো, নীলাকে নিয়ে বাইরে গিয়েছে। ফেরার সময় হয়ে গেছে। ফিরে আসবে হয়তো আধ ঘন্টায়।
     
    মোবারক যেন এক রকমের অনাস্থা থেকে খুব ক্ষীণ আশার আলো পেলো। বললো, ভাবী না থাকায় ভালো হইছে। দরকারটা ঝুট-ঝামেলা ছাড়া মিটানো যাইবো।

    ফাহিম বললো, ওহ্ হ্যা। তোর দরকারের কথা বল।

    মোবারক বললো, দরকার বলতে দোস্ত তোমারে আজকে মরতে হইবো।

    কথাটা শুনে ফাহিম এমনভাবে হাসলো যেন একটা শিশু খুব মজার কথা বলেছে। যেন শিশুটি ফাহিমের কাছে ললিপপ চেয়েছে। মোবারক পাঞ্জাবীর পকেট থেকে পিস্তল বের করে হাতে নিল। ফাহিম বেশ আগ্রহের সাথে পিস্তলটার দিকে তাকালো।

    ফাহিম বললো, দেখে তো মনে হচ্ছে আসল জিনিস। নতুন কিনেছিস বলে দেখাতে এসেছিস নাকি? লাইসেন্স করা তো? ছেলেবেলায় এরকমই একটা প্লাস্টিকের ছিল আমার, তোর মনে আছে? আমরা দুইজন টিপ প্র্যাকটিস করতাম। কাঁচের বোতলে। একদিন বড় হুজুরের হাতে ধরা পড়লাম। দুজনকে এমন প্যাঁদানী দিয়েছিল...হাহাহা!!
     
    মোবারক বললো, দোস্ত আমি সিরিয়াস। হুজুর বইলা দিছে। তোরে খতম কইরা ফেলতে। খতম কইরা সোজা মসজিদে যাবো। নামাজ পড়বো। হুজুর কইছিল জবাই করতে। কিন্তু জবাই করতে আমার হাত কাঁপবো। তাই মেশিন নিয়া আসছি।

    ফাহিম এবার মোবারকের চোখের দিকে তাকালো। হ্যা, মোবারক সত্যি বলছে। ওর চোখে অস্বস্তি। কোথাও যেন একটু পাপবোধ ঝিলিক দিচ্ছে। অপরাধবোধকে সে একেবারে এড়িয়ে যেতে পারছে না। তার চোখে ভেসে উঠেছে হিংস্রতা এবং ক্ষমা প্রার্থনার একরকমের বেখাপ্পা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ।

    ফাহিম জানতে চাইলো, কেন মোবারক?
     
    মোবারক দায়সারা ভাবে বলে গেল, এতকিছু বলতে পারবো না। বেশি সময়ও নাই। ভাবী আইসা গেলে বিপদ বাড়বো। তুই তো জানোসই ফাহিম। অনেকবার তোরে সাবধান করছিলাম। ইহুদি নাসারাদের দেশে দেশে ঘুইরা বেড়াস। ইসলামের নিন্দা করস। ইসলামের পথে হাঁটস না। ইসলামের লেবাসও ত্যাগ করছস। জেহাদরে ঘেন্না করস। খাঁটি মুসলমান কখনো এরম করে না। এতিমদের ফান্ডের জন্য যে অনুদান সেইসব দেশ থিকা নিয়া আসিস, তার থিকা এক পাইও হুজুররে দেস না। সব খরচ করস এতিম আর পথশিশুগো লাইগা। এমনে কেমনে হয় ফাহিম?
     
    ফাহিম খুব শান্ত গলায় বললো, তোর মনে আছে মোবারক? আমরা যেদিন জীবনে প্রথম বাসে উঠি? টাংগাইল থেকে ময়মনসিংহের কোনো একটা এতিমখানায় আমাদের ট্রান্সফার করা হচ্ছিল। আমরা ৫/৭জন এতিম। সাথে ছিল ছোট হুজুর। তুই আর আমি অবাক চোখে দেখছিলাম, রাস্তার দৃশ্য। কী-রকম সব নতুন নতুন! এতিমখানায় আমাদের প্রাচীর ঘেরা দালানে থাকতে হত। দালানের সামনে ছিল ছোট্ট মাঠ। মাঠ পেরিয়ে প্রাচীর পেরিয়ে বাইরে যাওয়া নিষেধ ছিল। আমরা সেইবারই দেখলাম দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ। দিগন্তে যেন গাছ ছুঁয়েছে আকাশ, আকাশ ছুঁয়েছে মাটি। তাছাড়া কত খাবারের কষ্ট ছিল আমাদের। কাপড়ের কষ্ট ছিল। দান খয়রাত যা আসতো, তার বেশির ভাগ অংশ হুজুররা খেয়ে নিত। তোর সেই মাওলা হুজুরের কথা মনে পড়ে? সে ছিল সবার থেকে আলাদা। কতবার যে এমন হয়েছে, রাতের খাবার শেষ হয়ে গেছে। আর আমি খেতে পারি নাই। তখন মাওলা হুজুর নিজের থালার থেকে আমাকে খাবার দিতো। আর ঐদিনই বাসে বসে আমরা প্রথম দূর থেকে রেললাইন দেখে ছিলাম। ট্রেনও। দেখে তোর সেকি আহ্লাদ! তুই আর আমি বাদে আর সবগুলা এতিম বাস জার্নিতে সিক হয়ে গিয়েছিল। পলিথিন হাতে বমি করতেছিল ওরা। আর আমরা দুইজন চোখ দিয়ে গিলে নিচ্ছিলাম দুনিয়ার নতুনত্ব। পিচঢালা রাস্তা। গমগমা মানুষ। রাস্তার ধারে দিগন্ত-বিস্তৃত সবুজ মাঠ। বাসের জানালা দিয়ে দেখছিলাম সব মানুষ গাছ দোকান পেছনে ছেড়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। অজানায়।
     
    মোবারক গলা খাঁকারি দিয়ে বললো, ঐসব বহুত পুরানা প্যাঁচাল। তুই খুব ভুল কইরা ফেলছিস ফাহিম। হুজুরের সাথে টক্কর নিছিস। হুজুরের ইচ্ছাতেই কিন্তু তুই লন্ডনে পড়তে যাইতে পারছিলি। তুই ছিলি আমাগো মধ্যে সব চাইতে মেধাবী। ফাষ্ট বয়। তোরে লন্ডনে পাঠানো হইছিলো জেহাদের জন্য। আর তুই কিনা এক মালাউন নাস্তিক বিয়া কইরা সব ভুইলা গেলি। হুজুর তাও মাইনা নিতো। কিন্তু তুই ভাবীর স্বভাব বদলানোর চেষ্টা না কইরা নিজে বদলাইয়া গেলি। সাচ্চা মুসলমান এইরকম কখনো করে না, ফাহিম। খালি নামাজ পড়লেই মুসলমান হওয়া যায় না। সবকিছু তুই উলটপালট কইরা ফেলছিস। সেদিন টিভিতে যে এতিম পোলাপানের একটা অনুষ্ঠান হইলো। সেইখানেও তুই জেহাদের বিরুদ্ধে মেলা উল্টাপাল্টা জ্ঞান দিছিস। জেহাদরে তুই ইসলামের সবচেয়ে ভুল ভাবে উপস্থাপিত ১টা রিচুয়াল বলছিস। ইসলাম অবমাননা করছিস। নিজে মসজিদে যাস না। আবার মসজিদরে তুই ধর্মের বিলাসিতা বলছিস সেইদিন। মসজিদ কেমনে বিলাসিতা? মসজিদ-মন্দিররে তুই ধর্ম-ব্যবসা বলছিস। মন্দিররে ব্যবসা বল আর ব্রোথেল বল, আমার তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু মসজিদ? হুজুররে চরম অপমান করছিস তুই। আইচ্ছা, তোর বাচ্চাটা কোন ধর্মমতে চলে, ফাহিম?
     
    ফাহিম বললো, নীলাকে বলা হয়েছে তার যখন বুঝবার বয়স হবে সে নিজেই তার পছন্দের মতে চলতে পারবে। এমন কোনো ধরা বাঁধা ধর্মমত তাকে শেখানো হচ্ছে না। নীলার যখন যেরকম ইচ্ছা সেরকমই সে চলে। কখনো কখনো সে আমার কাছে কোরানের ব্যাখ্যা শেখে, আবার কখনো প্রতিবেশী বন্ধু-বান্ধবের সাথে সরস্বতী-পূজায় অঞ্জলী দিতে যায়। কিন্তু মোবারক, তোরা আমায় ভুল বুঝতেছিস। আমি ইসলামের বিপক্ষে না। প্রত্যেকটা ধর্মেই বিভিন্ন অমানবিক ব্যাপার ঢুকে আছে। সেগুলো মূলত জ্ঞানের অভাবের কারণে, কুসংস্কারে। পুরানো সমাজে হয়তো মানুষ ঐগুলাকে ঠিক মনে করতো। কিন্তু আধুনিক সভ্য সমাজে তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। মানুষ বদলাচ্ছে। যেমন ধর, সতীদাহপ্রথা এক সময় হিন্দুসমাজে সংস্কার ছিল। আজ তা কুসংস্কার। আজ কিন্তু চিন্তাও করা যায় না, স্বামীর মৃত্যুর সাথে সাথে স্ত্রীকেও সহমরণে পাঠানো হবে... 
     
    কিছুক্ষণ যেন চারদিক থমকে গেল। দুই বন্ধু দুইজনের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। মনে হল যেন বহুদিন এভাবেই ঠিক মুখোমুখি বসে আছে তারা। দুইজনের চোখে বহু স্মৃতি দুইজনকে ছাড়িয়ে পিস্তলের মুখে ধাতব চাপা শিহরণ খেলা করতে লাগলো। একসময় দূরের মসজিদ থেকে আযানের ধ্বনি ভেসে এলো।

    মোবারক বলল, ফাহিম, সময় শেষ। ইসলামরে রক্ষার জন্য তোরে শেষ করতেই হইবো। হুজুরের আদেশ। খোদা হাফেজ।
     
    ফাহিম শান্ত চোখে তাকালো মোবারকের চোখে। মোবারক ট্রিগার টেনে গুলি করলো। দূর থেকে আযানের ধ্বনিতে গুলির শব্দ চাপা পড়ে গেল। ফাহিমের কপালের মাঝখানে বুলেট ঢুকে গেছে। কালচে রক্ত ফিনকি দিয়ে উঠলো। মোবারক একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে দেখলো, নীলা হাত নেড়ে নেড়ে গল্প করতে করতে বাসায় ফিরছে। নীলার চুলে দুটো ঝুটি করা। চোখ দুটো যেন একদম ফাহিমের মতো। কী সুন্দর ফুটফুটে শিশু। অরুণীমার হাতে নীলার স্কুল ব্যাগ। মা-মেয়ে দুইজনের মুখই হাসিহাসি। 
     
    মোবারককে দেখে নীলা চিৎকার করে ডেকে বললো, চাচা চলুন বাসায় যাই। আপনার কাছে কতদিন গল্প শুনি না।
     
    মোবারক শুনেও না শোনার ভান করে হনহন করে চলে গেল।
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sangeeta das | ০৪ মে ২০২৫ ২০:২৯731082
  • কুর্ণিশ
  • asim nondon | ০৪ মে ২০২৫ ২১:৩৫731084
  • আন্তরিক ধন্যবাদ। এবং শুভেচ্ছা... ​​​​​
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন