এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • চিত্র ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | ৬১৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • এটা একটু মন দিয়ে পড়ুন, কারণ, চিত্র ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই বন্যার মতো সংখ্যাগুরুর উপর "অত্যাচার"এর অডিও-ভিশুয়াল পাচ্ছিলেন। শুধু হিংসা না, দলে-দলে সংখ্যাগুরু মুর্শিদাবাদ ছেড়ে পালাচ্ছে। তার সঙ্গে মর্মস্পর্শী চোখে-দেখা বিবরণী। সঙ্গে ছবি, পোস্টার, ভিডিও। মিডিয়া ভেসে যাচ্ছিল, হোয়াটস্যাপ তো বটেই। তা, কাল সুকান্ত মজুমদার এই সিরিজের সর্বশেষ পোস্টারটা ছেড়েছিলেন টুইটারে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যাগুরুদের ভয়াবহ অবস্থার বিবরণ দেওয়া হয়েছে, ছবিতে গল্পের মতো। সেখানে সংখ্যালঘুদের যথারীতি বলা হয়েছে, দুধেল গাই, এবং চারদিকে জ্বলন্ত বাংলার ছবি। পোস্টটা তিনি তুলে নেন, খানিক পরেই, কারণ ঠাণ্ডা মাথায় লোকে সব মিলিয়ে দেখে। দেখা যায়, গণেশ চতুর্থীর ছবিটা আসলে সিএএ আন্দোলনের। সরস্বতী পুজোরটা আসলে লক্ষ্নৌয়ের। জলন্ধরের একটা ছবিকে বলা হয়েছে দোলের। বাকি সবই কোনোটা আসাম, কোনোটা কর্নাটক, কোনোটা উত্তরপ্রদেশ  ইত্যাদি প্রভৃতি। মানে, প্রতিটাই অব্যর্থভাবে ভুয়ো।

    প্রশ্নটা হল, একজন রাজ্যস্তরের নেতা, এই উত্তেজক পরিস্থিতিতে ভুয়ো ছবি ছড়াচ্ছেন কেন? ধরা পড়ার ভয় নেই? সত্যিই নেই, কারণ, লক্ষ্যটা এটাই, যে, ভুয়ো ভিডিও, ছবি, "খবর", বন্যার মতো ছড়িয়ে এমন একটা দিশেহারা অবস্থা তৈরি করা, যে, লোকে আর সত্যি-মিথ্যে বিচার করবেনা। যা দেখবে, তাই বিশ্বাস করবে। আপনিও এমন অনেক ভিডিও, ছবি, ধারাবিবরণী এই দুদিনে দেখেছেন, পড়েছেন, সেগুলোর একটা বড় অংশই নিঃসন্দেহে শুধু ভুয়ো না, রীতিমতো পরিকল্পনামাফিক তৈরি। আরজি করেই বলেছিলাম, ভয়ানক ভুয়ো খবরের ড্রেস রিহার্সাল হয়ে গেল, পরের বার বৃহত্তর সংস্করণ আসছে, এটা হল বৃহত্তর সংস্করণ। 

    কিন্তু স্রেফ টিভি-কাগজ-হোআর উপরে তো হিন্দু বীররা দাঁড়িয়ে নেই। তাতে যে দাঙ্গা লাগবে, তার গ্যারান্টি নেই। অতএব একই সঙ্গে আছে ডায়রেক্ট অ্যাকশন। দুজন হিন্দু-বীর ধরা পড়েছে, পুরো কাণ্ডে, নিশ্চয়ই জানেন। এরা করেটা কী, সে আমাদের জানতে বাকি নেই। এর আগেও দেখেছি, হয় মসজিদের সামনে শুয়োর ফেলে, কিংবা মন্দিরের সামনে কোরান ছেঁড়ে। দুই দিকেই উসকানি দেয়, গোলমালটা শুরু করে, তারপর কেটে পড়ে। মাথামোটারা তারপর যুদ্ধ করে। ফেসবুকেও দেখবেন, প্রচুর "বাংলাদেশী" চালায় আইটি সেল, আবার "সনাতনী" আইডিও চালায়। দাঙ্গার ক্ষেত্রে এটারই জাম্বো সংস্করণ হয়। এবারেরটা অবশ্য শুধু জাম্বো নয়, দৈত্যাকার সংস্করণ।ক্রোনোলজিটা দেখুন। প্রথমে রামনবমী করে সংখ্যাগুরুকে চাঙ্গা করা হল। সংখ্যালঘুকে ওস্কানো তো সর্বভারতীয়, ওয়াকফ বিলটাই তাই। সেটাও ওই একই সময় ফেলা হল। তারপর সংখ্যালঘুর প্রতিবাদ শুরু হলে, সেটা সীমা টপকালো। তাদের মধ্যেও ধর্মান্ধ লোক তো কম নেই, ধর্মে-আঘাত পড়েছে শুনলেই হল। এরপর সেই দিয়ে "হিন্দু"  উসকানো শুরু হল। সংখ্যালঘুদের উপর কিছু আক্রমণ করা হল। কোর্টের আদেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামল। এবং মাস্টারস্ট্রোক হল, এলাকার সাধারণ লোকেরা অভিযোগ করছেন, আগে ওরা হিন্দু-মুসলমান সাজত, এবার বিএসএফও সাজল। স্থানীয় রাজ্য প্রশাসনকে আগেই হাত করা হয়েছিল। ফলে কোত্থাও কিচ্ছু অসুবিধে হয়নি। 

    সংখ্যাগুরুরা এমনিই ফুটছিল। এতে আরও রাগল। সংখ্যাগুরুর মতো কিছু মাথামোটা সংখ্যালঘুরও আছে, যারা চক্রান্তকারী নয়, কিন্তু চেগে গিয়ে হামলাটা করে ফেলে। কিন্তু এবার, কিছু অভিযোগ আসছে, যে, সম্ভাবনার উপরেই ব্যাপারটা ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সংখ্যালঘুদের মধ্যেও গোলমাল পাকানোর লোক ঢোকানো হয়েছিল। টুপি পরা অত লোক কোথা থেকে পাওয়া গেল? সত্যি-মিথ্যে বলা খুব মুশকিল, বাংলাদেশের "বিপ্লবী"দের সঙ্গে এই নিয়ে নাকি একটা ডিল হয়েছে। কদিন বাদে তিস্তা নিয়ে উপদেষ্টা  সায়েব জয় ঘোষণা করবেন, তার বিনিময়ে এইটুকু না হবার কী আছে। দুই দিকেই লাভ। 

    এই যা বললাম, তার মধ্যে কিছুটা চোখে দেখা। যেমন ভুয়ো খবর গুলো। মিডিয়ার নির্লজ্জ উসকানি। কিছু দুয়ে-দুয়ে চার, যেমন, পুলিশের মধ্যে বীরদের ক্রমশ প্রসারলাভ, ওই জেলার পুলিশের মাথারা কোন দিকে, সেই সব। কিছু স্রেফ অভিযোগ, যেমন বাংলাদেশ থেকে সত্যিই লোক এসেছিল কিনা, জানার কোনো উপায় নেই, তিস্তা চুক্তিটা হলে খানিকটা বোঝা যেতে পারে। কিন্তু যেটা একটুও স্পেকুলেশন নয়, যে, শাসক দলের নেতারা রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রামনবমী পালনে যতটা উৎসাহ, তার কণামাত্রও এইসব ঠেকাতে নয়। খুব সম্ভবত দম-বন্ধ হয়ে যাবার মরশুম আবার আসছে বলে, তাঁরা পাঁচিলে বসে কর গুণছেন, কোনদিকে ঝাঁপ মারা যায়। এমনিও গুণের অন্ত নেই, মাথার উপর যেকোনো সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির খাঁড়া নেমে আসতে পারে, আর এখন তো হাওয়া গরম। এঁদের যথাসম্ভব হুড়কো দিতে পারলে ভালো হয়, কিন্তু দেবে কে। 

    পুলিশের মধ্যে যে অংশটা এখনও সেকুলার, তাঁদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সে বেচারাদের শাঁখের করাত। বলপ্রয়োগ করলে চিল-চিৎকার। হিন্দুবীর কারা সবাই জানেন, কোর্ট তাঁদের রক্ষাকবচ দিয়ে রাখবে কোনো যাদুমন্ত্রবলে, কেন দেয় সে বাঘা উকিল আর ঘ্যামা বিচারকরা জানেন, কথায় কথায় নেমে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, ফলে করারও বিশেষ কিছু নেই। হাত-পা-বাঁধা, কিন্তু আবার কিছু না করলেও অপদার্থ শুনতে হবে। "প্রগতিশীল"রাই শোনাবেন। সোশাল মিডিয়া আর মিডিয়ায় গম্ভীর আলোচনার পরিসরটা বীররা এখনও কব্জা করতে পারেননি, আর কোথাও না থাকলেও, ওখানে প্রগতিশীলরাই প্রক্সি দিয়ে দিচ্ছেন। রেটে "সংখ্যাগুরু বিপন্ন" বার্তা ছড়াচ্ছেন, মাঝেমধ্যে  জ্যোতিবাবু আর বুদ্ধবাবু হলে কী করতেন, সেই নিয়ে বাণী দিচ্ছেন। কে বোঝাবে, বাবরি মসজিদের সময় বামফ্রন্ট খুব ভালো কাজ করেছিল, কিন্তু তখন বীররা ছিল একঘরে। এই বীর 2.0 রাজত্বে তাঁরা লড়াইটা ত্রিপুরায় হেরেছেন। বাংলায় তো অতদূর গড়ায়ইনি, আগেই আত্মহত্যা। খেলাটা বদলে গেছে, বিন্ধ্যপর্বতের উত্তরে সর্বত্র গেরুয়া। এই বড় খেলাটা একটু বুঝুন। হতাশ লাগলে চুপ করে থাকুন, অন্তত বীরদের সাহায্য করবেন না।  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফেকুরা | 2401:4900:708a:d0ab:b80c:1f5c:d4c7:***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৪542360
  • চাদ্দিকে ফেক বিলিতি নারীবাদী আর ফেক বিলিতি প্রফরা মুসলমান মেয়েদের জন্য আর গরীব মুসলমান পুরুষদের জন্য খুব কাঁদছে।
  • MP | 2409:4060:e8b:3f5a:9af8:52a:21c1:***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১০:২৭542361
  • ভালো ধরেছেন সৈকতবাবু। চালিয়ে যান।
  • Arup | 2400:c600:3379:c483:6b49:47:105d:***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৫৯542362
  • তারমানে হলো, ঘর পুড়লো হিন্দুর, মার খেল হিন্দু, আর দোষ গেল সেই হিন্দুর উপর !
     
    কয় টাকার বিনিময়ে এসব লিখা লিখতে হলো ?
     
    সুদূর ইতিহাস থেকেই তো একই ট্র্যাণ্ড দেখতে পাচ্ছেন ৷ তবুও আপনাদের বোধোদয় হবে না ?
     
    সোজা কথা, ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ববোধ শিক্ষা দিয়ে অন্য মতবাদকে ধ্বংস করার শিক্ষা যতক্ষন আপনি বন্ধ করতে না পারবেন ততক্ষন পর্যন্ত এসব বন্ধ হবে না ৷ শত শিক্ষিত করলেও না ৷ কারন যে কোনো পরিস্থিতিতে এই মাইন্ডসেট আবার একটিভ হবে ৷ জিন্নাহ, লাদেন এনারা কম শিক্ষিত ছিলেন না ৷
  • দীপ | 2402:3a80:198d:c86f:778:5634:1232:***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৪৯542365
  • "আমরা খুব দুঃখের মধ্যে এসেছি এখানে। আমাদের বাড়ি নেই, ঘর নেই। সংসারের যা জিনিস ছিল সব আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। পেট্রোল লাগিয়ে দিয়েছে। বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। জলের ট্যাঙ্কে বিষ দিয়ে দিয়েছে। আমরা কী খাব?"
     
    ...
     
    "ট্যাঙ্ক ভেঙে দিয়েছে। জলও খেতে দেয় না। চাল পাক মেরে দিয়েছে, মুড়ি পাক মেরে দিয়েছে, মুড়ি-বিস্কুট সব পাক মেরে দিয়েছে। সকাল থেকে তিনটে বাচ্চা না খেয়ে আছে। পরিবারের সবাই আমরা না খেয়ে আছি। এখানে এসে আহার পড়ল। ভয়ে পালিয়ে এসেছি। আমাদের ওখানে যত বাড়ি ছিল সব পুড়িয়ে দিয়েছে।"
     
    -এবিপি আনন্দ, ১৩ই এপ্রিল ২০২৫
  • দীপ | 2401:4900:3a07:8406:5201:7fee:4cd3:***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৪৬542370
  • উস্কানি দিলে, ভুল বোঝালে এক পরিবারের মধ্যে ভাইয়ে ভাইয়ে লাঠালাঠি হয় সেখানে হিন্দু মুসলমান। কই এত যে ঝামেলা হচ্ছে আমার সাথে আমার যে সব মুসলমান বন্ধু আছে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে? আসলে আমাদের বন্ধুত্ব বহুবার বলেছি জাত দেখে না, মানসিকতায়। দুই জনের শিক্ষা সংস্কৃতি প্রায় এক হলে সেখানে জাতের কথা আসেনা। এখন কেউ যদি উস্কানি দেয়, ভুল বোঝায়, শিক্ষা মানুষ কে বিশ্লেষণ করতে শেখায়। কাকে কান নিয়ে গেছে বললেই আমি কাকের পিছনে দৌড়াবো না যুক্তি দিয়ে বিচার না করে। এই শিক্ষা কিন্তু চারটে বই পড়ার শিক্ষা না। যুক্তির শিক্ষা। নইলে প্রচুর প্রচুর অতি শিক্ষিত মানুষ পাবেন যারা ভয়ংকর রকমের সাম্প্রদায়িক। যুক্তি একদিনে 
    মানুষের আসেনা। আপনি শিক্ষা কে ভালো দিকেও চালিত করতে পারেন আবার বাজে দিকেও। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ যুক্তি দিয়ে বুঝতে গেলেও শিক্ষা দরকার। তারপর আপনার হাতে কোনটা করবেন। আচ্ছা আপনি ২০২৫ সালে এসেও যদি হিন্দু মুসলমান কেনো শান্তিতে বাস করতে পারছে না যুক্তি দিয়ে না বুঝতে চান সেটা আপনার দৈন্যতা। গাজা নিয়ে রোজ কিছু মুসলমানের কান্না দেখি, আল্লাহ নাকি বাঁচাবে! বাঁচিয়েছে? না। কাল যেসব হিন্দু প্রাণ ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে মুর্শিদাবাদ থেকে পালিয়েছে রাম কিংবা হনুমান বাঁচিয়েছে? না। ধর্মীয় উস্কানি শিক্ষিতরা অশিক্ষিতদের দিয়েছে।ফলাফল এই। পাশের বাংলাদেশ দেখুন, হিন্দু কাটছে মুসলমান, আওয়ামি লিগের লোকজন মুসলমান হলেও ছাড় পাচ্ছে না। প্রকাশ্য রাস্তায় বেঁধে মারতে মারতে খুন করছে। দিকে দিকে আল্লাহ হু আকবর ধ্বনি উঠছে। এই দেশেও জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় মানুষ মারা হয়েছে। তাকিয়ে দেখুন যারাই এগুলো করছে, আপনি জনতা বললেও এদের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। শিক্ষা নেই, পরিবারে ইনকাম নেই, ছোট থেকেই পরিবারে হিংসা দেখে বড় হয়েছে। এদের বেশিরভাগ দিনে আনে দিনে খায়। এরা যুক্তির ধারে কাছে দিয়েও যায় না। এই সোনার খনি কে কিছু শিক্ষিত, কিছু ধর্মগুরু আর সব রাজনৈতিক দল ব্রেন ওয়াশ করে দিনের পর দিন। তারপর এদের ছেড়ে দেওয়া হয় ধর্মের নামে জিগির দিতে, দাঙ্গা করতে। সবথেকে সফ্ট টার্গেট ১৫ - ১৮ বছরের ছেলে মেয়ে। এই বয়সে ভাঙচুর করবো, অন্য কে পেটাবো এই উত্তেজনার হরমোন এমনিতেই ক্ষরিত হয় বেশি। সেটাকে ভাঙায় ওই সব লোকেরা। ভারতবর্ষের কোন রাজনৈতিক দল নেই যারা হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেনি, কোন ধর্মগুরু বর্তমানে নেই যারা এই বিভেদে উস্কানি দেয়নি। এরা পরিচিত গণশত্রু। কিন্তু সব থেকে ভয়ঙ্কর শিক্ষিত কিছু লোকজন। মনের দিক থেকে ১০০% সাম্প্রদায়িক এরা। কাদের কথা বলছি, আপনার যুক্তি, বোধ থাকলে নিজেরাই বুঝতে পারবেন। এদের মধ্যে মুসলমান আছে, যারা মুসলমানের দোষ দেখতেই পায়না। খুঁজে খুঁজে এমন ভিডিও, লেখা শেয়ার করবে সেটা যতই আজগুবি হোক না তার স্বপক্ষে কুযুক্তি খাড়া করবে। অবিকল এক হিন্দু। বেছে বেছে ঠিক সেগুলো নিয়েই চর্চা করবে যেখানে মুসলমানের মৌলবাদ দগদগে দেখা যাচ্ছে। এর বাইরে পরিচিত কিছু দলদাস আছে। এদের কোন কিছুর মধ্যেই রাখা যায় না। নেতা যা হাগে সকাল সকাল সে সব খেয়ে ময়দানে নেমে পরে। সব শেষে বলবো হিন্দু মৌলবাদ ভয়ংকর হলেও ইসলামিক মৌলবাদ বেশি হিংস্র। আপনি যুক্তি দিয়ে বিচার করুন দুটি ধর্মের উৎপত্তি, ব্যাপ্তি, ইতিহাস, সময়কাল নিজেই বুঝে যাবেন। একজন হিন্দু অনায়াসে বলে, নবদ্বীপের খেয়া ঘাটে চৈতন্য মুরগি কাটে কিংবা মা কালী কে বলে মশা ধরে রক্ত খেতে, বাকিরা বড়জোর হাসে কিন্তু এর জন্য প্রাণ নেবার কথা ভাবে না। কিন্তু নবীর সম্পর্কে বলুন, শিক্ষিত মুসলমানও প্রাণ নেবার জন্য ছুটে আসবে। হাতের সামনে তসলিমা, রুশেদি উদাহরণ। এর জন্যে রকেট সাইন্স বুঝতে হয় না। কিছু করার নেই কারণ দুটো ধর্মের বেসিস ই আলাদা। তাই বলে মুসলমান যে খুব ধর্ম মেনে চলে তা না। হরেক অসামাজিক কাজ যা তাদের ধর্মে গুনাহ দিব্যি চালায়। সামান্য উস্কানি পেলেই ঝাঁপিয়ে পরে। হিন্দু কোন কালেই খুব ধার্মিক না। এরাও যথেষ্ট অপরাধ করে ধর্মের নামে।প্রচুর কুসংস্কার আছে। তবে হিন্দু যেহেতু কখনোই একটা বিশেষ ধর্ম না, হাজার ভেদাভেদ, জাতপাত, শ্রেণীবিভাগ বিভক্ত, সহজে মুসলমানদের মত এককাট্টা হতে পারে না। মুসলমান সমাজেও জাত পাত আছে, ধনীর গরিব শোষণ আছে কিন্তু এক ডাকে সবাই হাজির হয়ে যায়। সেই ডাক আদৌ যুক্তির না কুযুক্তির বিচার করে না। যুক্তি যেখানে চলে না সেখানে রাজনীতির লোকজন, ধর্মগুরুর দল, মতলবী শিক্ষিত কী হিন্দু কী মুসলমান খুবলে খাবেই। এই মারামারি, তারপর শান্তি তারপর আবার মারামারি চলতেই থাকবে। বোঝাবে কে? শিক্ষকেরা। তাই শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। পাঠশালা বন্ধ থাকলে এসব চলবেই অনন্ত কাল ধরে।
    #ভেনোচরিতকতা
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৪542382
  • এই জন্যই এদের ভাম পন্থী বলে। নয়তো বামিসলামিক। সব শুভেন্দু করাচ্চে! 
  • নামে কি আসল তো বদনাম | 103.85.***.*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ২২:১৪542391
  • আপনি কি? গুরু না গরু
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন