এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • খুব খারাপ অবস্থা

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | ৪৬৪ বার পঠিত
  • কাল থেকে আর মিডিয়া দেখা যাচ্ছেনা। হোআ খুললেও পরিচিতদের একটাই আর্তনাদ, "খুব খারাপ অবস্থা"। নতুন কিছু নয়। বছর ১১ আগেও শোনা যাচ্ছিল অবস্থা খারাপ, এবং "আচ্ছে দিন" আসবে। এবার সঙ্গে একটা "খুব" যোগ হয়েছে, এবং ভুল করার কোনো কারণ নেই, নিশ্চিতভাবেই এরপর "বহুত আচ্ছে দিন" আনার আহ্বান আসতে চলেছে। এতে আমরা সবাই যথাযথ ভূমিকা পালন করেছি। মিডিয়া নির্লজ্জভাবে মিথ্যে কথা বলেছে, গুজব ছড়িয়েছে, উসকানি দিয়েছে। সরকার দুর্নীতি করেছে, অপকম্মো করেছে, পুরোনো কংগ্রেসি লাইনে দুই ধর্মকেই তোল্লাই দিয়েছে। অপকম্মো বলতে একটাই, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ধৈর্য না দেখালে এতদিন আচ্ছে দিন এসেই যেত। প্রগতিশীলরাও মিডিয়ার সঙ্গে নেচেছেন, বীরদের বিরোধিতাকে চুরি-চামারি-চটিচাটা বলে অভিহিত করেছেন। তেড়ে রামনবমী হয়েছে। বীররা বাধাহীনভাবে খোলা তরোয়াল নিয়ে নেচেছে। শাসক নেতারা যোগ দিয়েছেন। হয় পরের ধাপটা কী হবে ভাবেননি, কিংবা জল মেপেছেন। সংখ্যালঘু নেতারা আন্দোলন করতে গিয়ে এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছেন, যেটা নিজেদেরই পিছনে বাঁশ। উত্তরভারতে এই নিয়ে একটা কথা বলতে গেলে পিটিয়ে সিধে করে দেবে, অতএব পশ্চিমবঙ্গে বাড়াবাড়ি করেছেন। সঙ্গে আছে মিডিয়া। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের চোখ বন্ধ, কোনো ক্ষেত্রে একটা হিংসা হলেই উসকানিতে নেমে পড়বে। আটকানোর কেউ নেই। সরকার চায় কিনা পরের কথা, চাইলেও পারবেনা, বলপ্রয়োগ করলেই মিডিয়ায় আবার ভয়াবহ চিৎকার শুরু হয়ে যাবে। অতএব কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের সাতখুন মাফ। রাষ্ট্রপতি শাসনের জিগির শোনা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এমন একটা বিবৃতি দিয়েছেন, যার কোনো মানে নেই। বামরা একটা বিবৃতি দিতে দুবার এডিট করেছে, নইলে যথেষ্ট সংখ্যাগুরুর পক্ষে যাচ্ছিলনা। সবাই নড়বড় করছে। যদি না ভোটে হয়, তো এইভাবেই "বহুত আচ্ছে দিন" আসবে।
     
    ইংরিজিতে একে বলে শিট শো। এ তো সবে শুরু। আগামী এক বছরে এরকম আরও দেখবেন। ২৪ সালেই বীরবিরোধী জিগির বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২৫ সালে দেখবেন, এমন অবস্থা হবে, মুখ খুলতে লজ্জা করবে। ভয় পাবেন। মিডিয়া, বৌদ্ধিক-সমাজের ঐকমত্য ওই জায়গাতেই পৌঁছে যাবে। ফ্যাসিবাদ বলুন, নিও বলুন, একনায়কতন্ত্র বলুন, এইভাবেই আসে। গায়ের জোর না, জনসমর্থন এবং তার ইলিউশন তৈরি করে। আলোকপ্রাপ্ত লোকজন সেটার বাহক এবং অনেকক্ষেত্রে গর্বিত প্রচারক। মেক্সিকো থেকে নিকারাগুয়া হয়ে ভেনিজুয়েলা থেকে অবধি, নিও লিবারাল জমানায় তাইই হয়েছে। স্থানীয় সরকার বদ, দুর্নীতিগ্রস্ত, অপদার্থ। কথাগুলো মিথ্যে না। কিন্তু বিকল্প হিসেবে যা এসেছে, বা আনতে চাওয়া হয়েছে, তা হল দিনে-ডাকাতি। অবাধ লুঠতরাজের লাইসেন্স। আলোকপ্রাপ্তরা, ধর্মগুরুরা, চকচকে রাজনীতিকরা উদ্যোগ নিয়ে সেসব ছড়িয়েছেন। ভারতেও এই মডেলে হালে দিল্লি বিজয় হয়েছে, ত্রিপুরা-আসাম তো আগেই হয়ে গেছে। বিন্ধ্যপর্বতের উত্তরে আর একটা ভূখণ্ডই বাকি আছে। সেটায় এবার সর্বশক্তি নিয়োজিত।
     
    এবার, এই পুরো খেলায় কে কার হাতে হুঁকো খাচ্ছেন, আমরা জানিনা। কিন্তু আমি কী করব জানি। এই সরকারের দুর্নীতি কি সমর্থন করব? না। দিশাহীনতা কি সমর্থন করব? না। দুই ধর্মকেই নরম করে তোল্লাই দেওয়া কি সমর্থন করব? না। প্রতিটার বিরুদ্ধেই জোরালো জিগির তুলব। কিন্তু সিরাজদৌল্লা বদ বলে কি আর ওয়েস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ডেকে আনব? কদাচ না। দেশভাগের সময় নাজিমুদ্দিন-সোহরাবর্দী বদ বলে বঙ্গীয় ভদ্রলোকেরা যা ডেকে এনেছিলেন, সেটা হল বিপর্যয়, যার দগদগে দাগ এখনও বইছে দুই বাংলা। শরৎ বসু ছাড়া কেউ একটা কথাও বলেননি উল্টোদিকে। এবার সেটা হতে দেওয়া যাবেনা। আমি তো বলবই। ডান-বাম, সিপিএম-নকশাল-কংগ্রেস-তৃণমূল-এসইউসি-অরাজনৈতিক-অদলীয়, হিন্দু-মুসলমান, ঘটি-বাঙাল আরও চাট্টি লোক নিশ্চয়ই সঙ্গে পাব, যাঁরা এখনও ঠিক ঝাঁকের কই নন। ঘোলা জলেও, গালমন্দ খেয়েও, স্পষ্ট কথা বলার স্বচ্ছতা এবং কিছুটা শিরদাঁড়া তাঁদের আছে, এই বিশ্বাস এখনও আছে।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪০542326
  • চীনের পথ হোক আমাদের পথ। উইঘুর দাওয়াই করে এদের ধর্মীয় অনুভূতির সুড়সুড়ি তুলে দিতে না পারলে আরেক ধর্মের চুলকানি বাড়বে। তোয়াজ করে চলছে না। বাম আমলে এই বঙ্গে ভালোই দাঙ্গা হয়েছিল বাবরি মসজিদ ধ্বংস কে কেন্দ্র করে। অথচ বামেরা বাবরি ভাঙার তীব্র বিরোধিতা করেছিল। এখানে মাইক্রোস্কোপ দিয়েও চাড্ডি দেখা যেত না। তবু হিন্দু নিধনে বেরিয়েছিল এরা। তিন দিন রাস্তায় বেরোতে পারিনি।
     
    ওয়াকফ খায় না মাথায় দেয় জানে না। দাঙ্গা করতে বেরিয়ে পড়ল পিসির দুধেল গাইরা। পিসির দলের মুসলিম নেতারা বহু ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখল করেছে। এরা খবর রাখে না।
  • george | 51.159.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪৮542327
  • সব ইস্যুতে প্রতিবাদ করেই বা কি লাভ? প্লাসে মাইনাসে শূন্য ধরে নিয়ে ঘুম দিন কিংবা সাহিত্য লিখুন।
  • Ah | 2409:4060:e8b:3f5a:57b2:9505:3d42:***:*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০৩542328
  • @ সৈকত , ঠিকই লিখেছেন l বাংলাতে সনাতনীরা কোনোদিনই লং টার্ম ভাবেনি l ৪৭ সালেও না , আজকেও নয় l নিচের চাড্ডিদের লেখা পড়লেই দেখা যাচ্ছে l
  • Ah | 2409:4060:e8b:3f5a:57b2:9505:3d42:***:*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:১৩542329
  • চাড্ডিজিৎ যখন গত রবিবার বিহারীরা তলোয়ার নিয়ে কোলকাতায় রামের নামে দাপাচ্ছিলো তখন কি করছিলি রে ?
  • george | 51.159.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:১৮542330
  • এম্পিনিক থেকেই লেখ ভাই দেবাঞ্জন। চাড্ডিজিতের মত একটা নাম থেকেই খিস্তিখাস্তা কর। পরে জঞ্জাল সাফ করতে গুপুর সুবিধে হবে।
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১১542334
  • আমার নামের সঙ্গে যতই চাড্ডি জুড়িস আমি কোন দিন চাড্ডি ছিলাম না এখনও নই। চাড্ডিদের হয়ে সাফাই গাইবার দায় নেই। তোদের মত মোল্লার খাটে ও জন্মাই নি। তাই ওদের প্রতি আলগা পীড়িত ও নেই। ওদের না সামলাতে পারলে এখানে মিলিটারি শাসন আর হিন্দুত্ববাদ দাপাদাপি করবে।
     
  • Ah এর প্রতি | 116.206.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১২542336
  • মুসল্লি বাবাদের ঠাপ খেতে খেতে 'ah ah' শিৎকার করার ফাঁকে শুনে রাখ, বিহারিরা রামের নামে মিছিল করেছে কিন্তু এই মোল্লাদের মতো ভাঙচুর, মানুষ খুন করেনি, দুটোকে এক করে দেওয়াটা আকাট গাম্বাটের কাজ। Radical হিন্দু আর মুসলিমের মধ্যে তফাতটা টিনের তরোয়াল আর মানববোমা, আরডিএক্স কালাশনিকভের। এটুকু বোঝার শক্তি না থাকলে কোন মোল্লা ঘেটোতে গিয়ে ঘুরে আয়, ঢুকলে পরে বেরোতে পারবি না। আর যদি নিজেই কাটুয়া হোস, তবে কান খুলে শুনে রাখ, প্যালেস্টাইন-উইঘুরে তোদের দানের শোধ দেওয়ার পালা চালু হয়েছে- পরের পাশার দান বাংলাদেশে পড়তেই পারে একবার এখানকার ঝুড়ি থেকে সমস্ত পচা ধসা আমগুলোকে তুলে ঐ ভাগাড়ে জড়ো করার অপেক্ষা, তারপর পুরো ভাগাড়টাই incinerator এ পুড়িয়ে দেওয়া হবে বা পুঁতে দেওয়া হবে। ট্রাম্প বলেই দিয়েছে, বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে চায় না আমেরিকা আপাতত। চিনকে খালি ম্যানেজ করার অপেক্ষা, যদিও চিন এখন আমেরিকার সাথেই লড়তে ব্যস্ত। মধ্যপ্রাচ্যের শিয়ারা আরবিরা তোদের সুন্নি ওয়াহাবি ফরাজিদের মুখে মূত্রত্যাগ করতেও আসবে না সাহায্য দূরের কথা।
  • দীপ | 2402:3a80:1989:498c:578:5634:1232:***:*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:২০542342
  • এগুলো নিয়ে আলোচনা করলেই সে হিন্দুত্ববাদী, সাম্প্রদায়িক, বিজেপির লোক! 
     
  • দীপ | 2402:3a80:1989:e3d8:578:5634:1232:***:*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৩৬542346
  •  রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় রিমার্ক করবোনা, তাই কতগুলো ফ্যাক্ট বলে যাই --
     
    ১. চাকরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের মুখ অঙ্কিতা অধিকারী।
     
    ২. দাঙ্গাবিরোধী মিছিলের মুখ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
     
    ৩. মুর্শিদাবাদে বহিরাগত প্রবেশ আটকানোর কর্মসূচীর মুখ ইউসুফ পাঠান।
     
    ৪. ওয়াকফ সম্পত্তি আইন মেনে ব্যবহারের দাবী এবং জবরদখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখ ফিরহাদ হাকিম।
     
    এবং,
     
    ৫. রাজ্যে চাকরি, উন্নতি ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার মুখ মমতা ব্যানার্জী।
     
    মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন 
  • দীপ | 42.***.*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০০:০৩542354
  • পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ হচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা। খুব মজার বিষয় হচ্ছে, দেশভাগের সময় যে যতসামান্য মুসলিম পূর্ব পাকিস্তানের খুলনায় এসেছিল সেটা এই মুর্শিদাবাদ থেকে। তারপরও এখানে এখনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখান থেকে আসা মুসলমানদের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তানভীর মোকাম্মেল তার সীমান্তরেখা ডকুতে। সেখানে এইসব মুসলমানদের মধ্যে এখনো বেঁচে আছেন তারা বলেছিলেন, তারা মুসলমানদের নতুন দেশ পাকিস্তান হবে শুনে চলে এসেছেন। দাঙ্গার কোন ভয়ংকর চেহারা তারা দেখেননি। বিপরীতে খুলনা ছিল হিন্দু জনগোষ্ঠীর এলাকা। খুলনা ভারতের ভাগে যাওয়ার কথা। এখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরও একা খান এ সবুর (একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার) হিন্দুদের তরোয়াল হাতে ধাওয়া করে খুলনাকে পাকিস্তানে রেখে দেয়। এখান থেকে তাড়া,খাওয়া হিন্দু পশ্চিমবঙ্গ আসাম ত্রিপুরা আশ্রয় নেয়। গোপালগঞ্জের ৬০ ভাগ দোকানের মালিক ছিল হিন্দুরা। তবু তারা মাইর খেয়ে পালিয়েছিল। সংখ্যা কোন ফ্যাক্ট না। না হলে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান নদী পার হয়ে মালদার বৈষ্ণবনগরের পারলালপুর হাই স্কুলে আশ্রয় নিতে হয় হিন্দুদের! 
     
    ভারতের বাম, লিবারেল সেক্যুলার পরিচয় দানকারীরা কাঁদছে! ওয়াকফ আইন বাতিল করতে হবে! মুসলমানদের এর মাধ্যমে বঞ্চিত করা হবে। কোথায় পায় এরা এসব? ওয়াকফ মানে হচ্ছে আল্লার নামে সম্পত্তি। এইসব লুটেপুটে খায় মুসলিম ধনিক শ্রেণী। ভারত কোন মুসলিম কান্ট্রি নয়। ভারত সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ। এখানে অভিন্ন দেওয়ানী আইনে চলবে। ইসলামী আইন চাও তো বাংলাদেশে আসো!
     
    ত্রিশূলে কনডম পরানোর সময় যারা কবির পাশে ছিলেন এখন লিল্লাহে তাকবিরের মুখে কনডম পরানোর দাবী কেউ তুলবেন? কবি শ্রীজাত, আমার দেখা বহু উদার লিবারেল মানুষ আপনাদের একচোখা লিবারেলগিরি দেখে হিন্দুত্ববাদের দিকে ঝুঁকেছেন। শ্রীজাত যখন বাংলাদেশে ভারতের পতাকাকে অবমাননা করলো তখন প্রতিবাদ করে দেখতে পেয়েছিলেন কবীর সুমনের দাঁতনখ। কবীর সুমন তো গান বাধবে না আজ। এই যে কোলকাতার বুকে মুসলিম লীগ হুংকার দিচ্ছে, যুদ্ধের ঘোষণা করেছে সিদ্দিকুল্লা, এগুলো ডাইরেক্ট একশান ডে'র সৈনিকরা। তারা অস্ত্র জমা দিয়েছিল ট্রেনিং নয়! মুর্শিদাবাদ হচ্ছে জামাত আর জঙ্গি আস্তানা। এটা বলা যাবে না। জায়নবাদ খারাপ হিন্দুত্ববাদ খারাপ আল্লাহো আকবর ভালো! এই রাজনীতি আর এই শতাব্দীতে চলবে না। 
     
    ©সুষুপ্ত পাঠক
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন