এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  •  বেরসিকের বাচালতা 

    SAUMITRA BAISHYA লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ মার্চ ২০২৫ | ১৫১ বার পঠিত
  • একটি স্বপ্নাদ্য মাতালনামা
            প্রতি বছরই 31 ডিসেম্বরের রাত যতোই ঘনীভূত হতে থাকে, আমার ততোই মনে পড়তে থাকে, সেইসব জাঁহাবাজ মাতালদের কথা, যাদের কথা ছাপার অক্ষরে এবং মুখে মুখে ঘুরত এককালে। মাতালদের প্রতি সমাজ বরাবরই সহানুভূতিশীল। যারা খুবই নিষ্ঠাবান মাতাল এবং বিয়েও করেনি, তাদের সম্পর্কে একটা গল্প রটে যায়, যে তারা প্রণয়ঘটিত কারণে, তীব্রতম আঘাত পেয়েছিল। যেন ব্যর্থ প্রেমিক হলেই , তাকে  নিষ্ঠাবেন মাতাল হতে হবে। এরকমই এক নিষ্ঠাবান মাতাল আমাকে বলেছিলেন, – আরে ধুর মশাই, বিয়ে করলে শান্তিতে মদ্যপান করা যায় না। এটা আমার বংশগত অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি। আমাদের বিশাল যৌথ পরিবারে, রাত হলেই তুমুল হল্লা শুরু হতো। একদিকে পিতামহ এবং তাঁর চার ভাই, অন্যদিকে আমার জন্মদাতা পিতা এবং তাঁর খুড়োতুতো ভাইয়েরা মিলে সাত ভাই মিলে, কুরু পান্ডবের লঙ্কাকান্ড বেঁধে যেতো। আর, তাঁদের উপর সপ্তমে গলা চড়াতেন বাড়ির মহিলারা। তাই, আমি আর বিয়ে করিনি। এই যেমন এখন, আমার ভাইয়েরা এবং তাদের পুত্ররা ঘরে ঢোকার পর, লঙ্কাকান্ড শুরু হয়ে যায়। কিন্তু, আমাকে কোনো ঝুট ঝামেলায় পড়তে হয় না। শরৎ বাবু দেবদাস না লিখলে, আমাদের কপালে এই বদনাম লাগত না। 
                     এটা কিন্তু ভাবার মত কথা। এক হতভাগ্য মাতালকে নিয়ে রচিত উপন্যাস এমনই জনপ্রিয় হলো, যে উপন্যাসের কাহিনী  নিয়ে যতো সিনেমা বানানো হয়েছিল, সেগুলোও সুপার হিট। এতেই বোঝা যায়, নিষ্ঠাবান মাতালদের প্রতি, সমাজ কতটা সহানুভূতিশীল। উচ্চবর্ণের মাতালরা ক্ষুদ্র স্বার্থবুদ্ধিরহিত, দিলদরিয়া  প্রকৃতির মানুষ হন। তাই, যারা জাতে মাতাল, তালে ঠিক,-- সমাজ তাদের খাটো চোখে দেখে। এই যেমন আমার এক বন্ধু,--যে এখন তার একমাত্র পুত্রের সাথে কানাডা নিবাসী,-- প্রায় চল্লিশ বছর আগে, এক রাতে আমাকে পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সঙ্গীত শোনাবে বলে নেমন্তন্ন করেছিল। মনে আছে, সেই রাতে, দুরদর্শনে গভীর   রাতের প্রাপ্ত বয়স্ক সিনেমার স্লটে চেতনা দেখাচ্ছিল। বন্ধুটি ঈষৎ পান করার অভিলাষে একটি সুদৃশ্য বোতল ও প্রচুর ক্যাসেট নিয়ে বসল। সে একটা সিম্ফোনি চালিয়ে ও থামিয়ে এবং হালকা চুমুক দিতে দিতে, আমাকে পশ্চিমের মার্গ সঙ্গীতের মার্গ দর্শন করাচ্ছিল। একসময়, তার বোতলের তরল ফুরিয়ে গেল। এবার, সে আমাকে কাতর কণ্ঠে অনুরোধ করল, কাছের একটা দিশি মদের দোকান থেকে একটা বোতল এনে দিতে , যাতে সুর সাধনা সুরাহীন না হয়। গন্তব্যে পৌঁছে দেখি দোকানের ঝাপ বন্ধ।  এমন সময় একটি লোক এলো সেই দোকানের সামনে। সে দোকানের দরজায় ধাক্কা দিল। ভিতর থেকে আওয়াজ এল,- কৌন ? জবাব গেল,- কারিগর। দরজার তলা দিয়ে একটা হাত বেরিয়ে এল। লোকটি একটা দশ টাকার নোট সেই হাতে গুঁজে দিল। আর সঙ্গে সঙ্গে একটা বোতল বেরিয়ে এল । আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। ভিতর থেকে হিন্দী সিনেমার সংলাপ ভেসে আসছে। এবার আমিও দরজায় ধাক্কা দিলাম। ভিতর থেকে আওয়াজ এল,- কৌন ? আমি বলে দিলাম,-  কারিগর। এরপর আমাকে অবাক করে দিয়ে, দরজার তলা দিয়ে একটা হাত বেরিয়ে এল। আমিও একটা দশ টাকার নোট সেই হাতে গুঁজে দিলাম। আর সঙ্গে সঙ্গে একটা বোতল বেরিয়ে এল । বোতল হাতে নিয়ে বন্ধু বলল, দিশি মদের সাথে অন্য কিছু শোনা যাক। কীর্তন শুনবি ? কমলা ঝড়িয়ার কীর্তন শোন। ক্যাসেটে কীর্তন বাজছে। বন্ধু পুরো বোতল মেরে দিয়েছে। আর কিছুক্ষণ পরেই সে বমি করে পুরো মেঝে ভাসিয়ে দিয়ে চেতনা লুপ্ত হলো। ঘর থেকে বেরোতে হলে বমি মাড়িয়ে যেতে হবে। নতুবা, বমি সাফ করে পথ সুগম করতে হবে। নানা রকম কসরৎ করে, স্বচ্ছতা অভিযান সুসম্পন্ন করার পর, বন্ধুর চেতনা ফিরিয়ে আনলাম, যাতে সে দরজায় খিল দিতে পারে। বেরোবার সময় একটা বই তুলে নিলাম। এরপর বেশ কয়েক মাস পর বন্ধুর সাথে দেখা হতেই, সে আমায় মনে করিয়ে দিল, মিলান কুন্দেরার Immortality উপন্যাসটি ওকে ফেরৎ দেইনি। একেই বলে, জাতে মাতাল , তালে ঠিক। 
                      জাঁহাবাজ মাতালদের কথা উঠলেই, সেই ছেলেটির  কথা সর্বাগ্রে মনে পড়ে যায়, যে মাঝ রাতে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তার বাবার নাম ধরে ডেকে বলত, - হরেন বাবু দরজা খুলুন। রেগে গিয়ে বাবা একদিন বলেই ফেললেন, মদ খেলে কি বাপ কে নাম ধরে ডাকতে হয়? ছেলে সেদিন বলেছিল, এত রাতে , জড়ানো গলায়, বাবা দরজা খোলো, বললে কি তোমার সম্মান থাকবে ? সেই ছেলেটি এখন বাবা হয়ে গেছে। তার ছেলে যখন মাঝরাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাকে বলে, হারান বাবু দরজা খুলুন, তখন হরেন বাবু বিছানায় শুয়ে মুচকি হাসেন। আমার অনুমান, হরেন বাবুও তাঁর বাবাকে এভাবে নাম ধরে ডাকতেন। অযোধ্যা সিং- এর পরিবার আজও সুবিচার পায়নি। কারণ, সে যে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে   রাম খেয়ে মারা মারা গিয়েছিল, সেটা তার পরিবার বিশ্বাস করেনি। পুলিশ এই বলে তদন্ত শেষ করে দিয়েছিল, যে সেই অযোধ্যাও নেই, সেই রামও নেই। কারণ, মৃত্যুর পর অযোধ্যার বন্ধুরা চিতায় শূন্য বোতল গুলো ফেলে দেয়। শুধু তাই নয়, পুরো এক বোতল রাম অযোধ্যা সিং-এর চিতায় ঢেলে দেয়। পত্রিকায় পড়েছিলাম, অযোধ্যা সিং-এর বংশধররা নাকি এবার আদালতে যাবে। পুলিশের ‘ সেই অযোধ্যাও নেই, সেই রামও নেই’,-- বলাটা ভুল। এটা তাদের ধৰ্মীয় আবেগে আঘাতস্বরূপ। 
             আমার সেই বন্ধুটি, যে এখন কানাডা নিবাসী, একদিন বলেছিল,- সুর আর সুরা, দুটোই সাধনার বিষয়। সুরা না সুর মনে সুর লাগে না। আবার সুর না বাজলে সুরার মৌতাত জমে না। মির্জা গালিব এর উৎকৃষ্ট উদহরণ। সুরার বন্দনা করে  গজল রচনা করেছিলেন বলেই তো তিনি আজও প্রাতঃস্মরণীয়। মুজতবা আলী সুরা রসিক ছিলেন। কিন্তু প্রমথনাথ বিশীকে সুরা থেকে দূরে থাকতে বলেছিলেন। সাধক গান লিখেছেন, মন মাতালে মাতাল করে, মদ মাতালে মাতাল বলে। তবে, গানের আরেকটি অংশ গাইতে আমার আরেক বন্ধু। সে গ্লাসটি দুই আঙুলে ধরে বলত,- ‘সুরা পান করিনে আমি, সুধা খাই জয় কালী বলে। মা, মা, তারা ব্রহ্মময়ী মাআআআ গো’, বলেই সবটুকু তরল একবারে গলায় ঢেলে থম মেরে বসে থাকত। একবার এক নবীন মাতাল, তার এই থম মেরে বসে থাকা দেখে কেঁদে তার পায়ে লুটিয়ে পড়ল। ঘটনাচক্রে বন্ধুটি পৈতেধারী বামুন। সে তৎক্ষণাৎ দুই আঙ্গুলে শার্টের তলা থেকে পৈতো বের করে, নবীন মাতালের মাথায় ছুঁইয়ে দিয়ে বলেছিল, - কল্যাণমস্তু । সেই থেকে নবীন মাতালটি  বন্ধুর চ্যালা হয়ে যায়।  সুরা নিয়ে আমাদের সমাজে প্রাচীন কালে কোনো ছুতমার্গ ছিল না। এর প্রমাণ আছে। ‘যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি বাড়ী যায়, তথাপি তার নাম নিত্যানন্দ রায়’,-- এই অতিখ্যাত বচনটি পেশ করা যেতে পারে। আমার এক অধ্যাপক বন্ধুর সুরাপ্রীতি সর্বজনে সুবিদিত ছিল। সেও কিন্তু এই বচনটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বলত,- গুরু মদ খেলেও , গুরু গুরুই থাকে। সুরাসক্ত মধুসূদন যেই কেরেস্তান হয়ে গেলেন, অমনি বাপ মায়েরা ছেলের ধর্মত্যাগ রুখতে মদ্যপদের অসামাজিক বলে ছিছিক্কার দিতে লাগলেন। মাতাল মানেই খারাপ মানুষ, এমন একটা ধারণা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হল। অথচ মুনি ঋষিরা দিব্যি সোমরস নাম দিয়ে মদ্যপান করতে পারতেন। তবে, অবস্থা এখন পাল্টেছে। মহিলারাও এখন পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে মদ্য পান করতে পারেন। একদিন এক বিয়ের পার্টিতে এক ভদ্রমহিলা সামান্য পানের পর, তাঁর স্বামীকে বলতে শুনলাম , - এই, তুমি আর খেয়ো না গো। কেমন যেন কুয়াশার মত হয়ে যাচ্ছ। 
                      মদ খেলেই যে কেউ চরিত্রহীন হয়ে যাবে, এমনটা এখন আর কেউ ভাবে না। অনেক বাধা বিপত্তি পার হয়ে, অনেক সংগ্রামের পর, মদ্যপান এখন সামাজিক অধিকারের স্বীকৃতি পেয়েছে। মদ্য প্রস্তুতকারোকরাও রসিক বটে। বোতলের নাম টিচার, এইট পিএম। আর, ব্লেন্ডার্স প্রাইড নাম রেখে, কেমন একটা গর্বের অনুভূতি এনে দিয়েছে মাতালকুলের মধ্যে। এটা অনেকটা ভারতের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার মত ব্যাপার। সেদিন রাতে বাড়ী ফেরার সময়, ভবেশ বাবুর সাথে দেখা হল পথে। শীতের রাতে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগে। ভবেশ বাবুও হেঁটেই ফিরছিলেন। তাঁর পদক্ষেপ সামান্য টালমাটাল হলেও, পদস্খলন হচ্ছিল না কিছুতেই। শিব্রামের ভাষায় বলা যায়, স্বপদেই ছিলেন তিনি, পদযুগলে ভর করেই হাঁটছিলেন। শ্বাপদের মত বুকে ভর করতে হয়নি তাঁকে। ভবেশ বাবুর সাথে কথা বলতে ভালোই লাগে। বেশ বইটই পড়েন এখনোও। তা, ভবেশ বাবু বেশ রাগত সুরেই বললেন,- তারাপদ রায়ের ব্যাপারটা কী বলুন তো? তাঁর প্রশ্নে আমি একটু থমকে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম,- কে তারাপদ রায় ? উনি বললেন,- আরে, সেই যে তারাপদ রায়, যে মাতালদের নিয়ে রসিকতা করতেন। বই মেলায় গিয়ে দেখলাম , ‘মাতাল সমগ্র’ নামে একখানা বই আছে তাঁর। আমি আর সেই দোকানে আর দাঁড়াইনি। দুনিয়ার মাতালদের মলাটবন্দী করে এমন মস্করা করা উচিৎ হয়নি তাঁর। বেঁচে থাকলে ভাবানুভূতিতে আঘাত করার মামলা ঠুকে দিতাম তাঁর নামে। আরে মশাই, মাতালের কী কান্ডজ্ঞান থাকতে নেই ? ‘মাতালের কান্ডজ্ঞান’ লিখে তো যেন ঠাট্টা করছেন। রসের কথা লিখতে সবাই মাতাল ছাড়া বিষয় খুঁজে পায় না। শিবরাম চক্রবর্তীও রসের কথা লিখতেন। কিন্তু তিনি একটা গল্প ছাড়া আর কোথাও মাতালদের নিয়ে টানাটানি করেননি। ওই যে চাকরটা সাহেবকে মদ ঢেলে দিত। একদিন সে সাহেবের ঘড়ি চুরি করে। পুলিশের জেরায় সে বলেছিল, সে শুধু ঢালাঢালি করত, ঢলাঢলি যা করার, সাহেবই করতেন। আর তার নাম বলেছিল, নরম চাঁদ নিয়োগী। মনে পড়ছে আপনার ? আমি সম্মতিসূচক মাথা নাড়লাম। 
                    কিমাশ্চর্যম ! সেই রাতেই তারাপদ রায় আমাকে স্বপ্নে দেখা দিলেন। বললেন, মাতালদের নিয়ে কেউ আর কিছু লেখে না। তুমি তো কী একটা মনে মনে ভাবছ। লিখে ফেল। আমি বললাম, সেসব তো আপনারই গল্পের সিজন টু। আমাকে উৎসাহ দিয়ে বললেন, জানি তো। লিখে ফেল। কপিরাইট নেই এই সব গল্পের। তাছাড়া, মাতাল নিয়ে যখন লিখছ, নতুন বোতলে পুরোনো মদের প্রচলন তো সমাজ স্বীকৃত। এই বলেই তিনি চলে গেলেন।  আমার মাথায় এলো, আমার পাড়ার সেই ছেলেটির কথা, যে আমাকে দিনে কাকু, রাতে দাদা ডাকে। ভাবলাম তাকে দিয়েই শুরু করব লেখাটা। কারণ, সে-ই আমায় বলেছিল, মেড়াও নেই, মেরীও নেই। আছে শুধু মেড়া ( মানে,- ভেড়া)। তারপর সে মেড়ামেরীর উৎপত্তিসূচক একটি কাহিনী বলেছিল। মেড়া নামের একটি ছেলের সাথে মেরী নামের একটি মেয়ের বিয়োগান্তক করুণ কাহিনী। সেটা বারান্তরে বলা যাবে। 

    সৌমিত্র বৈশ্য ১০ । ০৩ । ২০২৫ 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন