SAUMITRA BAISHYA কী? আমরা যখন ছোট ছিলাম (রীতিমতই ছোট ছিলাম; বলা যায় যে রীতি মেনেই ছোট ছিলাম; মনুষ্য শাবকরা একটা পর্যায়ে ছোটই থাকে, তারপর বেড়ে উঠে বড়ো হয়ে যায় এবং অনেকে বেড়ে হয়, যাকে বলে খাসা হয় আরকি! চতুষ্পদ থেকে দ্বিপদ হয়ে গেছি, লিকলিকে গলার উপর গজানো মুন্ডুর ভিতরে, ডর-ভয়, আদর-আহ্লাদ বোঝার, মানুষের চেহারা মনে রাখার ক্ষমতা গজিয়ে গেছে), তখন দেখতাম সেই সব মহামানবদের। ধুতি-পাঞ্জাবী পরিহিত, শীত-গ্রীষ্ম নির্বিশেষে হাতে লম্বা কালো ছাতা, রাতে এক হাতে টর্চ, গম্ভীর মুখে ছাত্রের বাড়ি গিয়ে ঢুকছেন। কেউ আবার শীতের রাতেও হাতে ছাতা ... ...
একটি স্বপ্নাদ্য মাতালনামা প্রতি বছরই ৩১ ডিসেম্বরের রাত যতোই ঘনীভূত হতে থাকে, আমার ততোই মনে পড়তে থাকে, সেইসব জাঁহাবাজ মাতালদের কথা, যাদের কথা ছাপার অক্ষরে এবং মুখে মুখে ঘুরত এককালে। মাতালদের প্রতি সমাজ বরাবরই সহানুভূতিশীল। যারা খুবই নিষ্ঠাবান মাতাল এবং বিয়েও করেনি, তাদের সম্পর্কে একটা গল্প রটে যায়, যে তারা প্রণয়ঘটিত কারণে, তীব্রতম আঘাত পেয়েছিল। যেন ব্যর্থ প্রেমিক হলেই, তাকে নিষ্ঠাবেন মাতাল হতে হবে। এরকমই এক নিষ্ঠাবান মাতাল আমাকে বলেছিলেন – আরে ধুর মশাই, বিয়ে করলে শান্তিতে মদ্যপান করা যায় না। এটা আমার বংশগত অভিজ্ঞতা থেকে ... ...
SAUMITRA BAISHYA আপনি দেশপ্রমী না লিটল ম্যাগাজিন করেন? ... ...
লালমোহনবাবুর একেবারে সম্প্রতিক খবর যারা জানেন না, তাঁদের জানিয়ে রাখি, লালমোহনবাবু তাঁর সাধের এম্বেসেডার গাড়িটি প্রাণে ধরে বিক্রি করতে পারেননি বটে, তবে একটা হন্ডা সিটি আর একটা এসইউভি গাড়ি কিনেছেন। হন্ডা সিটি গাড়িটাই সবসময় চড়েন। এসইউভি গাড়ি সম্পর্কে তাঁর অভিমত হল, ওটা চড়লে বয়সটা কমে গেছে বলে মনে হয়। তখন তিনি চক্রাবক্রা শার্ট আর প্যান্ট ... ...
রাজনীতির মিউটেশন সম্প্রতি চাকুরী হইতে সেবা নিবৃত্ত হইয়াছি। বৃদ্ধ বলদের স্কন্ধ হইতে সরকার গুরু দায়িত্বের জোয়াল তুলিয়া লইয়াছে। প্রাতঃকাল হইতে উর্ধশ্বাসে দফতরে ছুটিবার তাগাদা নাই। চা-বিস্কুট সহযোগে ‘বার্তালিপি’ পত্রিকাখানা আদ্যোপান্ত পাঠ করিয়া, বাজারের থলি হস্তে, হেলিয়া দুলিয়া বাজারে গিয়া নয়ন ভরিয়া নতুন আলু, লঙ্গাই বেগুন, ফুলকপি, সীম ইত্যাকার শব্জি দেখিয়া পুলকিত হই। মাছ বাজারে গিয়া জলের সোনালী ... ...
একটি কাল্পনিক কাহিনী সৌমিত্র বৈশ্য ধরা যাক, সত্যজিৎ রায় জীবিত আছেন। হ্যাঁ, বাইপাস সার্জারী হয়েছিল। তবে, সেটা রোবোটিক্স সার্জারী। ডাক্তার শেঠীর নেতৃত্বে হয়েছে। তিনি এবার একটা হালকা মেজাজের ছবি করতে চান। এক রোববারে রবি ঘোষ এলেন, লেফ্রয় রোডের বাড়িতে। তিনি তখন সন্দেশ-এর প্রছদ আঁকছেন। রবি ঘোষকে দেখে, তাঁর ... ...
গান্ধীজী সবে তাঁর সান্ধ্য ভজন সেরে, আশ্রমের বারান্দায় বসে চরকা চালাচ্ছেন। বারান্দায় একটা সুদৃশ্য সেজ বাতি ঝুলছে। এটি এনে দিয়েছেন ঘনশ্যাম দাস। এটা তাঁর ডাক নাম। দেশের বড় শিল্পপতি। বিড়লা সাম্রাজ্য তাঁরই উদ্যোগে আজ দেশে প্রভুত বিস্তার লাভ করেছে। তবে, তাঁর ঘনিষ্ট মহলে তিনি সংক্ষেপে জি.ডি. বিড়লা নামেই অধিক পরিচিত। মূলত, মাড়োয়ারী সম্প্রদায়ের হলেও, তাঁর তুখোড় ... ...