এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • যেমন কাটছে দিন 

    SAUMITRA BAISHYA লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫৮ বার পঠিত
  • একটি কাল্পনিক কাহিনী
    সৌমিত্র বৈশ্য 

    ধরা যাক, সত্যজিৎ রায় জীবিত আছেন। হ্যাঁ, বাইপাস সার্জারী হয়েছিল। তবে, সেটা রোবোটিক্স সার্জারী। ডাক্তার শেঠীর নেতৃত্বে হয়েছে। তিনি এবার একটা হালকা মেজাজের ছবি করতে চান। এক রোববারে রবি ঘোষ এলেন, লেফ্রয় রোডের বাড়িতে। তিনি তখন সন্দেশ-এর প্রছদ আঁকছেন। রবি ঘোষকে দেখে, তাঁর চোখ সহসা ঝিলিক দিয়ে উঠল। এই সন্দেশের জন্যই একটা গল্প লিখেছেন। এক অত্যাচারী রাজার গল্প। তাতে গুপী বাঘাও আছে। বিজয়া রায়ের বানানো মিষ্টি আর চা খেয়ে রবি ঘোষ বিদায় নিলেন একসময়। 

    এই ঘটনার দু'দিন পর অনুপ ঘোষালের মোবাইল বেজে উঠল। মোবাইলের পর্দায়, Manikda নামটা দেখেই, বুকটা ধক করে উঠল। ও প্রান্ত থেকে, একটা ভারী গলা ভেসে এলো - আজ সকাল এগারোটা নাগাদ আসতে পারবে? এতদিনের অভিজ্ঞতায় অনুপ জানেন, মানিকদার এগারো মানে এগারোই। চট জলদি তৈরী হয়ে নিলেন। 

    গানগুলো পিয়ানো বাজিয়ে গেয়ে শোনালেন। অনুপ একেক সময় ভাবেন, মানিকদা নিজের ছবিতে নিজে কেন প্ল্যাব্যাক করেন না। আজকাল তো অমিতাভ বচ্চনকে দিয়েও লোকে গান গাওয়ায়। অনুপকে নিয়ে এক প্রস্থ মহড়া সেরে নিলেন। এবার মানিকদা আবারো কিছু অদল বদল করবেন, অনুপ এটা জানেন। একদিন লেগেছে, স্কেচ সহ স্ক্রিপ্ট লিখতে। 

    তাঁর সাথে যারা কাজ করেন, সকলেই জানেন, স্ক্রিপ্ট, মিউজিক, কষ্টিউম পরিকল্পনা -- সবই তিনি নিজেই করেন। দিন পনেরোর মধ্যে সব কাজ সারা হয়ে গেল। খবরটা বাজারে চাউর হয়ে গেছে। এখন তো মিডিয়া খুব প্রবল। এখন তো অনেক ও টি টি চ্যানেল আছে। তাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে গেল। 

    এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। এখন আর পুজোর পর সিনেমা রিলিজ করতে হয় না। ঘর্ঘর করে ফ্যান চলে না হলে; ফলে, শব্দ প্রক্ষেপণে সমস্যা নেই। গেরোটা লাগল, এইবার। এটা দু হাজার সাতাশ সাল। নতুন ব্রডকাস্টিং আইনে, সত্যজিৎ রায়কে কনটেন্ট ক্রিয়েটারের তকমা দেওয়া হল। এ নিয়ে কিছুটা বাওয়াল হল বাংলায়। তবে জাতীয় মিডিয়া বলুন বা কলকাতার কাগজ বলুন, কেউ কিছু লেখেনি।  বাংলায় এমনিতেই এখন স্বামী বিবেকানন্দকেও বামপন্থী বাইপ্রোডাক্ট বলা হয়। তিনি যে গীতা না পড়ে, ফুটবল খেলতে বলেছিলেন, সেটা অনেকেই এখন মানতে পারে না। একজন সন্ন্যাসী হয়ে, এরকম বলাটা অশোভন। আর, তাঁর ভাই তো ছিলেন কমিউনিস্ট। এক সনাতন সন্ন্যাসীর ভাই কমিউনিস্ট -- এটা খুবই বেদনার। লজ্জার। পরিতাপের। নেতাজীকে নিয়ে একসময় খুব উন্মাদনা ছিল। পরে, নানা গবেষণায় দেখা গেছে, নেতাজীর কিছু চিন্তা ভাবনা মোটেই সনাতনী তো নয়ই, বরং সনাতন আদৰ্শ বিরোধী। তাঁর আজাদ হিন্দ বাহিনীতে জাতপাতের কোনো বালাই ছিল না। বিবেকানন্দ, নেতাজিকেই এখন সনাতন হিন্দু বাঙালি আগের মত গুরুত্ব দেয় না। বেশীর ভাগ বাঙালি এখন শুদ্ধ সনাতন পন্থা মেনে চলে। ‘মোছলিখোর বাঙালি’ বদনাম এখন ঘুচে গেছে। নিরামিষ খায়, ব্রত, উপবাস, ভজন-কীর্তন করে। তাই, সত্যজিতের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তকমা জোটায়, বাংলা নীরব ছিল। এক অর্থনীতিবিদ ভদ্রলোককে তো শান্তিনিকেতন থেকেই তাড়ানো গেছে।

    গবেষণায় দেখা গেছে, সত্যজিৎ রায় এককালে সরকারী টাকায় সরকারী দূরদর্শনের জন্য একটা সিনেমা বানিয়েছিলেন। তাতে এক ব্রাহ্মণের বাড়িতে এক দলিতের অমানবিক মৃত্যু দৃশ্য ছিল। সিনেমাটা এখন ইউটিউবও তুলে নিয়েছে। কাপুরুষ মহাপুরুষ, পরশ পাথর সতরঞ্জ কি খিলাড়ি -- এরকম অনেক ছবিই এখন ইউটিউবে খুঁজে পায় না কেউ। নিষিদ্ধ হয় নি। কারণ, ইউ এস এ- তে রয়ের একটা গুণমুগ্ধ দল আছে। আর ইউ এস, ফ্রান্স দেশের মুখ্য স্ট্রাটেজিক পার্টনার। ফলে, পথের পাঁচালি নিয়ে একটা শোরগোল উঠেছিল বটে, যে ছবিটা বিকশিত ভারতের মহিমাকে ক্ষুণ্ন করছে; তাই, এখন ছবির শুরুতে একটা স্পষ্টিকরণ জুড়ে দেওয়া হয়েছে, “এই ছবিটির সাথে বর্তমান ভারতের কোনো প্রকার সম্পর্ক নাই”। তাঁর সিনেমা গুলোকে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট অবশ্য যত্ন করে, সংরক্ষণ করে আর্কাইভে রেখেছে। 

    তো, স্ক্রিপ্ট দিল্লি যাবার পর আট নয় মাস কেটে গেল। ব্রডকাস্টিং বিভাগের বাঘা বাঘা অফিসাররা স্ক্রিপ্ট পড়ে, বিস্মিত হয়ে গেছেন। স্ক্রিপ্টে একটা কৃষক আছে। কৃষক আন্দোলনের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা নয় তো? খনি মজুর আছে। আর আছে এক মাস্টার। সে তো আর্বান নকশাল মার্কা চরিত্র। তার সব কাজকে এখনকার দেশ বিরোধী কার্যকলাপের দায়ে অভিযুক্ত করা যায়। এতসব বিপজ্জনক বিষয় নিয়ে সিনেমা বানানোর অনুমতি দেওয়া যায় কি না, সেটাই ছিল অফিসারদের আলোচ্য বিষয়। কিন্তু শুদ্ধ শাকাহারী অফিসারদের সবচেয়ে বেশী দুশ্চিন্তা ছিল নিজের চাকরী নিয়ে। অবশেষে, বিশপ লেফ্রয় রোডের ঠিকানায় একটা চিঠি এল, ... ‘ ইট ইজ রিগ্রেটেড টু ইনফর্ম… আপনার চিত্রনাট্যের বিষয় এবং প্রকাশভঙ্গী, সিনেমার মত এক শক্তিশালী মাধ্যমের ক্ষেত্রে, ভুখন্ডের আইন, সম্প্রীতি, আস্থা, শৃঙ্খলা রক্ষার সাপেক্ষে সামঞ্জস্যপূর্ণ নহে…’।

    বিমূঢ় সত্যজিৎ স্থির করলেন, তিনি আর সিনেমা বানাবেন না। শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে যেন খবরটি জেনে যান। বিকেলে তিনি এলেন সত্যজিতের বাড়িতে। তখন বাদল বসুও ছিলেন। তিনি এসেছেন, নতুন বই ‘দ্বাদশ শঙ্কু’-র প্রুফ নিয়ে। একমাত্র সত্যজিতের বইয়ের ক্ষেত্রেই তিনি  নিজে যান। একসময় যেমন প্রুফ নিয়ে যেতেন। এখন তিনি প্রকাশক। তবু সত্যজিৎ রায়ের বইয়ের কাজটা তিনি নিজেই করেন এখনো।  বাদল বাবু প্রেস কনফারেন্স করার কথা বলেছিলেন। শমীক বাবু তাতে ঘোর আপত্তি করলেন। এতে সত্যজিৎ আরো মুস্কিলে পড়ে যাবেন। কাকতালীয় ভাবে, তখনই ল্যান্ড ফোনটি বেজে উঠল। ফোন তো তিনি নিজেই ধরেন বরাবর। হ্যালো বলতেই, অপ্রান্ত থেকে ভেসে এল এক সাহেবের গলা। ‘আমি স্টিভেন বলছি, স্টিভেন স্পিলবার্গ। শুনলাম, আপনি একটি চিত্রনাট্য লিখেছেন। যদি আপত্তি না থাকে, তবে ওটা আমি প্রয়োজনা করতে চাই। তবে, ছবিটা হবে এনিমেশনে।’
    সত্যজিৎ বললেন, আমার পক্ষে তো আমেরিকা যাওয়া এখন সম্ভব নয়।
    স্টিভেনও হলছাড়ার পাত্র নন। বললেন, আপনাকে আসতে হবে না। আপনার একটা ব্র্ডব্যান্ড কানেকশন থাকলেই হবে। আপনি কম্পুউটারে ঘরে বসেই সব দেখতে পারবেন। আমার একটা দুর্দান্ত ভিএফএক্স টিম আছে। ওরা ভিডিও কনফারেন্সে, ভারতীয় সময়েই কথা বলবে আপনার সাথে। মিউজিক আপনি করে দেবেন। এডিটিং আপনার বাড়িতেই হবে।’
    সবটা শুনে সত্যজিৎ বললেন, এ তো এলাহি খরচের ব্যাপার।
    অপ্রান্তে স্টিভেন হেসে বললেন - ‘ধরে নিন এটা আপনার অস্কার প্রাপ্তিতে হলিউডের সেলিব্রেশন।’
    সত্যজিৎ বললেন - ‘আমি আগামীকাল আপনাকে জানাব’। কারণ, তিনি তো বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনেতা নির্বাচনও করে ফেলেছিলেন। এখন এঁদের ফেলে, এনিমেশন ছবি করালে, ব্যাপারটা অনৈতিক হয়ে যাবে।
    স্টিভেন কি মনের কথা বুঝতে পারেন ? সত্যজিতের উত্তর শুনে, সাথে সাথে বললেন - ‘আরেকটা কথা মিস্টার রে, আপনার যে কাস্টিং আছে, তাঁদেরই এনিমেশন হবে। সেজন্য আমার এনিমেশন টিম কলকাতা যাবে। সেখানে ওঁদের নানা ভঙ্গীর মুভমেন্ট রেকর্ড করে আনবে। সেজন্য স্টুডিও ভাড়া আমরাই করব’।
    ফোন রেখে, সত্যজিৎ সামনে বসা বাদল, পুত্র বাবু, শমীক আর বিজয়াকে স্টিভেন স্পিলবার্গের প্রস্তাবটির কথা জানালেন। শুনে তো সবাই উচ্ছাসে প্রায় নেচে ওঠেন আর কি ! সবাই এক মত - এমন সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। অগত্যা, সত্যজিৎ রাজী হলেন। তবে, একটাই দুঃখ রয়ে গেল তাঁর। ছবিটা এদেশে কেউ দেখতে পাবে না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন