এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ফুর্তির প্রাণ গড়ের মাঠ

    Rajat Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • ফুর্তির প্রাণ গড়ের মাঠ। বহুল প্রচলিত একটি বাক্যবন্ধ। ফুর্তির সঙ্গে গড়ের মাঠের কি সম্পর্ক? আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কিনা! থাকলে কবে থেকে সেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বা এখনও তা টিকে আছে কিনা! এসব বিজাতীয় প্রশ্নের ধার কাছ দিয়ে এখন না যাওয়াই শ্রেয়। তবে এটুকু বলতেই পারি ফুর্তিবাজ মানুষদের ফুর্তি করতে গড়ের কেন, কোনো মাঠেরই প্রয়োজন পড়ে না। যেকোনও স্থানে, যেকোনও অবস্থায়, যেকোনও কালে তাঁরা ফুর্তি করতে একটুও কাঁপেন না। বরং তাঁদের ফুর্তির ঠ্যালায় আশপাশের মানুষজন কেঁপে উঠলেও উঠতে পারেন। সে ছাব্বিশে জানুয়ারি কিংবা চোদ্দই ফেব্রুয়ারি হোক, রাস্তার ধারে ঢেয়ো ঢাকনা স্টোভ ইত্যাদির সঙ্গে তারস্বরে দুটো ঢাউস বক্সে ঝাঁপড় ঝ্যাং গান বাজছে। কারণ? কিছু মানুষ ফুর্তি করতে ফিস্টি করছে। বচ্ছরকার একটিমাত্র দিন। যদিও ওইজাতীয় ব্যক্তিদের বছরভর ফিস্টি করার তারিখগুলোর লিস্টি যত্ন সহকারে তোলা থাকে। তাই উদ্দাম সঙ্গীত সহযোগে কিছু মানুষের ক্যাওড়ামি আশপাশের লোকজন মাঝেমধ্যেই সহ্য করতে বাধ্য হন। আগে "পাড়া" বলে একটি নাম ছিল। সেই পাড়ায় বাবা মা ছাড়াও দু একটি গার্জেন স্থানীয় জ্যাঠা কাকাদের অবস্থান ছিল। ফ্ল্যাট আর কমপ্লেক্সের যুগে ওসব দিন কবেই শেষ। তাই চারিদিক এখন শুধুই এক গার্জেনহীনতা। আজকের কংক্রিটের জঙ্গলে আসল বন জঙ্গল আর কোথায়? তাই বনভোজন বা তেনাদের কথায় 'ফিস্টি' সংঘটিত হয় রাস্তার ধার বা ফ্ল্যাট বাড়ির ছাদে। একটা সময়ে বনভোজন মানে ছিল কিছু মানুষের একত্রিত হয়ে শুধুমাত্র খাওয়াদাওয়ার নির্মল উৎসব। দিনকাল আমূল বদলে গেছে। এখন উৎসব পরিণত হয়েছে মচ্ছবে। এখনকার দিনে আঠেরো থেকে আশির শুধুমাত্র "খানা"য় আর মন ভরে না। খানার সঙ্গে তাই অনিবার্য রূপে এসে পড়েছে "পিনা"। অর্থাৎ মদ্যপান। আজকের যুগে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার দৌলতে সুরার কারিকুরির তূরীয় অনুভূতি উপলব্ধি করতে বয়স পনেরো কি ষোলই যথেষ্ট। আঠেরো মানে তো সরকারিভাবেই অ্যাডাল্ট। তার দু একবছর আগে সামান্য মদ্যপানের স্বাদ নেওয়ায় কোন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে! তাই পার্ক স্ট্রীটের আনাচে কানাচে পনেরো ষোল'র মাতালে ছড়াছড়ি। প্রায়শই দেখা যায় অনূর্ধ আঠেরোর কেউ বেসামাল হয়ে বমি করছে। এসব দৃশ্য এখন গা সওয়া। বাবা মাও খাচ্ছে। আড়ালে ছানা পোনাও খাচ্ছে। সবারই জীবনে অফুরান ফুর্তি চাই। স্রেফ ফূর্তি।

    কিছু মানুষের জীবনটাই যেন ফুর্তির পুকুরে সর্বদা সাঁতার কাটছে। ওদের জীবনের মূল মন্ত্রই হল "নো চিন্তা, ডু ফুর্তি"। এই মানসিকতার মানুষ শুধুই ওপরতলায়, অর্থাৎ বিত্তশালীদের মধ্যেই পাওয়া যাবে এমনটা কিন্তু নয়। সামান্য মুটে মজুর রিকশাচালক থেকে কর্পোরেটের বড় সাহেব কিংবা বড়সড় ব্যবসায়ী, সবধরনের মানুষই এই গোত্রে ভুরি ভুরি মিলবে। যে কাল কি খাবে জানে না! সেও যেমন দিনের শেষে ফূর্তির সাগরে ডুব দেয়, আবার তিনবছর বসে খেলেও যার ফুরোবে না... এমন মানুষও নিত্যনৈমিত্তিক নতুন নতুন ফুর্তির চিন্তায় বুঁদ হয়ে থাকে। তাদের জীবনের সুতোটাই ফূর্তিতে বাঁধা। জীবনের বাঁধা গতের ছকে চর্বিত চর্বণ জাবর কাটার ফাঁকে ফুর্তির চ্যবণপ্রাশ থাকলে মন্দ কি! এই পৃথিবীতে মানুষের জীবন ও মন বড়ই বিচিত্র। এই মানুষই মানুষ খুন করে আনন্দ পায়। আবার এই মানুষই জীবনদান করেও আনন্দ খুঁজে পায়। কেউ বাঁচার জন্য যুদ্ধ করে। আবার কেউ যুদ্ধের জন্যই বাঁচে। কেউ দুধ বেচে মদ খায়। আবার কেউ মদ বেচে দুধ খায়।

    এবার আসা যাক ফুর্তি কত প্রকার সেই গুণতিতে। আমার ছোটবেলায় এক বয়স্ক দাদুকে দেখেছি, সারাদিন ছাদে বসে গুলতিতে টিপ করে করে পাখি থেকে কাঠবেড়ালি ইত্যাদি সব নিরীহ প্রাণীদের মেরে ফেলতেন। গুলতি দিয়ে অগুনতি হত্যা করেই তাঁর মনে ফুর্তি আসত। জাত শিকারীদের শেষ সংস্করণ ছিলেন কিনা বলতে পারব না। তখন চারদিক ছিল গাছগাছালিতে ভরা। এক পরিচিত কাকুকে দেখতাম কাজকর্মের ফাঁকফোকর পেলেই কিংবা ছুটির দিনগুলোয় যে কোনো একটা গাছে উঠে বসে থাকতেন। বিবর্তনের ধারাবাহিকতা হয়ত তাঁর কপালে জোটেনি। বাঁদর থেকে উনি সরাসরি এ জন্মে মানুষে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিলেন কিনা... তা আর জানা হয়নি। তাঁর ফুর্তি কিন্তু ওই গাছে ওঠাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। একবার তাল গাছে উঠতে গিয়ে বেচারার কোমর ভেঙ্গে যায়। ছয় মাস শয্যাশায়ী থাকার পর আর কখনও কেউ তাঁকে গাছে উঠতে দেখে নি। কোমর ভেঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে শয্যাশায়ী থাকার ধকলটা বোধহয় সহ্য করতে পারেননি।

    তাবড় তাবড় মেছোদের আমরা সকলেই কমবেশি চিনি। যাঁদের মাছ ধরেই ফুর্তি। সুবৃহৎ ঝিলে কিংবা নেহাত পুকুরেই ছিপটি ফেলে চুপটি করে বসে থাকাতেই তাঁদের পরম তৃপ্তি এবং ফুর্তি। তাঁরা যত্ন করে ফাৎনার দিকে তাকিয়ে মগ্ন থাকতে ভালবাসেন। তাঁদের মধ্যে এমন দু একজনকে জানি, যাঁরা বইয়ের পাতা আর ফাৎনা দুটোতেই সমমাত্রায় একত্রে চোখ রেখে ঘণ্টার পর ঘন্টা কাটাতে পারেন। এদিকে পাতার পর পাতা বই যেমন পড়ে ফেলছেন, তেমনিই ফাৎনার ঘাড় নাড়াও সমান তালে নজরে রেখে চলেছেন। বিরলতম প্রতিভার এক চরমতম নিদর্শন।

    এক ফুর্তিবাজ প্রেমিক প্রেমিকাদের চিনতাম। যাদের কোথাও বেড়ানো মানেই ডিস্কে গিয়ে বেদম নাচানাচি করা। শুনেছিলাম তারা নাকি অন্য কোথাও ঘুরে বেড়িয়ে ঠিক মত মজা পেত না। খান কতকবার চেষ্টাও করেছিল বটে। গঙ্গার পাড়ে বসে বা লং ড্রাইভে গিয়ে। তাতে ওরা নাকি "বোর" হয়ে গিয়েছিল। অথচ সেই যুগল কিন্তু মদ্যপায়ী একেবারেই ছিল না। ভাবুন একবার, একটুও নেশা না করে উদ্দাম নাচানাচি করতে বাণিজ্যিক ফিল্মের নায়ক নায়িকা ছাড়া আর কজন পারে? নায়ক নায়িকাদের তো অমন অবাস্তব নাচানাচির দৃশ্য এক নাগাড়ে শ্যুট করতে হয় না। নাচানাচির কাটপিস জোড়া দৃশ্য দেখেই দর্শকের মনে ফুর্তি হয়। পেটের দায়ে কাউকে না কাউকে মঞ্চে ওইসব গানের দৃশ্যে একনাগাড়ে ওরকম নাচতে হয় বটে। তবে যাঁরা নাচেন তাঁদের মনে তখন ফুর্তি হয় কিনা আমি বলতে অপারগ।

    ফুর্তি বস্তুটি কার যে কিসে আসে এ বোঝা বিষম দায়। সাময়িক ফুর্তি করতে গিয়ে কত প্রাণ অকালে ঝরে যায়, সেসব খবর মাঝেমধ্যেই সকলের দৃষ্টিগোচরে আসে। তেমনই সকলের অগোচরে বহুরকম ফুর্তির চোরাস্রোত নিঃশব্দে বয়ে চলেছে। কত রকম নিষিদ্ধ অপ্রচলিত ফুর্তির কথাও শোনা যায়। তার মধ্যে অনেকরকম ফুর্তির বিবরণ শুনলে গা রি রি করে উঠবেই। সে সব গা রি রি করা ফুর্তির কথা সর্বসমক্ষে বললে ছিঃ ছিঃ রবও উঠতে পারে। কেউ শুধুমাত্রই উদরপূর্তি করে যেমন ফুর্তি করে। তেমনিই কোনো এক শিল্পী হয়ত একটু মাটির ঢেলা বা বালি দিয়ে মূর্তি গড়েও মনে ফুর্তি আনে। কারো মন আবার, ঝমঝমিয়ে বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ফূর্তিতে ডগমগিয়ে ওঠে। কেউ কবিতা লেখে। কেউ সেই কবিতা পড়ে। কেউ গান গায়। কেউ সেই গান শোনে। এমনভাবেই ফুর্তি যেন আদিগন্ত বিস্তৃত এক সমুদ্র। বিশ্বজুড়ে রয়েছে অসংখ্য ফুর্তির হাট। সেখানে দিবানিশি চলছে ফুর্তির বিকিকিনি। কেউ ফুর্তির টানে গাঁটের কড়ি ছড়াচ্ছে। কেউ পেটের টানে ফুর্তি বেচে সেই কড়িই প্রাণপণে কুড়োচ্ছে। শেষমেষ এটা বলতেই হয়, ফুর্তির কি শেষ আছে? ফুর্তির প্রাণ হয়ত তাই গড়ের মাঠ পর্য্যন্ত দৌড়ে বেড়াচ্ছে।

    ____________
    ©রজত দাস
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন