এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • আর জি কর থেকে রাত দখলের পালা - নতুন অধ্যায়ের সুচনা?

    Rouhin Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৫ আগস্ট ২০২৪ | ৯০৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, শুরুতে তার একটা ছোট বিশেষত্ব ছিল। বহুদিন পর বাংলার বুকে কোনো জমায়েত বা প্রতিবাদে শিশিরবাবুর চোট্টা পোলার গুয়ের মত থোবড়াটা ফুটেজ খাবার জন্য অনুপস্থিত ছিল। তার কারণ, বিজেপি শুরুতে এটাকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলে ভাবেনি। এমনিতেই ধর্ষণ বিজেপির সংস্কৃতির অংশ, তার প্রতিবাদেও কোনো সিরিয়াস রাজনৈতিক আন্দোলন হতে পারে এটা তারা শুরুতে ভেবে উঠতে পারেনি। যদিও ঘোলা জলে মাছ ধরার সুযোগ হলে, অর্থাৎ আন্দোলন আরেকটু পেকে উঠলে চোট্টা পোলা এসে সামনে বসবে, হুঙ্কার দেবে, এসব হয়তো প্ল্যানেই ছিল।

    একইভাবে সরকারও শুরুতে এর গুরুত্ব ঠিকমত বুঝে উঠতে পারেনি। ভেবেছিল তাদের ক্যাডারবাহিনী ধমক ধামক দিয়ে আর কিছু লোকদেখানো তদন্ত করে, একজন স্কেপগোটকে দাঁড় করিয়ে ফাঁসি টাসি বলে, এনকাউন্টার বলে ক্রেডিট নিয়ে বেরিয়ে যাবে, যেমন সর্বত্র সব ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। দিন দশেকের মধ্যে জনগণ এই ইস্যু ভুলে আবার অন্য কিছু নিয়ে পড়বে। নিজেরা না পড়লে ইস্যু জোগান দেওয়া হবে, সমস্যা নেই। অস্বীকার করে লাভ নেই, আমি নিজেও সেরকমই ভেবেছিলাম। সে কথা লিখেওছি। আমি একা নই, আমার মত অনেকেই, বিশেষ করে যারা আমার মত বয়স্কদের দলে, আমরা এরকমই ভেবেছিলাম। কারণ আমাদের আছে অভিজ্ঞতা নামক এক ব্যাগেজ। সে আমাদের ঠিক ওই শাসক দলের মত করেই ভাবতে শিখিয়েছে।

    প্রথম বেসুর বাজল, যখন তিনদিন পরেও আর জি করের অধ্যক্ষ মশাইএর কথা তো কেউ শুনলোই না, উলটে তাকে অপরাধের ভাগীদার, এমন কি অংশীদারও ভাবা হতে লাগল, এবং সেটাও তার দলীয় পরিচয়কে সামনে রেখেই। যদিও তখনও শাসক এবং আমরা অভিজ্ঞরা এটাকে লঘুচালেই দেখে গেছি। অধ্যক্ষ সমাজমাধ্যমের বিষোদ্গারে বিরক্ত হয়ে পদত্যাগ করেছে। লক্ষ্য করবেন, “বিরক্ত হয়ে” – ঘটনার দায়ভার মাথায় নিয়ে নয়, অনুতপ্ত হয়েও নয়। এবং তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি, ক্লোজ করা হয়নি – সে পদত্যাগ “করেছে”। এবং তারপরে সেদিনই, একদিনও সময় নষ্ট না করে সেদিন বিকালেই তাকে অন্য একটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষপদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। অর্থাৎ শাসকের পক্ষে স্পষ্ট বার্তা, সমাজমাধ্যম যা-ই “ট্রোল” করুক, স্বাস্থ্য দফতর মনে করে অধ্যক্ষ তিরস্কার বা শাস্তি নয়, পরস্কারের যোগ্য।

    আগুনে প্রথম ঘি টা পড়ল এখানেই। মানুষের মনোভাবকে এই চুড়ান্ত অবজ্ঞা বর্তমান কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার বারবারই করে থাকে, কিন্তু সেটা এরকম রীতিমত স্টেটমেন্ট দিয়ে করার ফলে সেটা অনেকেরই বেশ গায়ে লাগল। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগালেন, নবনিযুক্ত অধ্যক্ষের ছবিতে চড়ল জুতোর মালা। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের জেরে অধ্যক্ষভাই “ছুটি”তে গেল। তবে লম্বা কিছু না – পনেরো দিনের ছুটি। সরকার তখনও ভাবছে, পনেরোদিন যথেষ্ট। আমরা অভিজ্ঞরাও তাইই ভাবছি তখনও। সঙ্ঘী বিজ্ঞরাও তখনো জল মাপা শুরু করেনি সেভাবে। খুচরোখাচরা প্রতিবাদ – হাফ হার্টেড। কারণ মূল ইস্যু ধর্ষণ – এই ইস্যুতে সঙ্ঘ এবং ভক্তকুল প্রতিবাদের জন্য যথেষ্ট উৎসাহ পায় না, যেটুকু করে, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে। মনে মনে ভাবে, ঠিকই তো হয়েছে, যা হয়েছে।

    ইতিমধ্যে কেউ কেউ অন্যরকম ভাবছিলেন। সমাজমাধ্যমে জনগণ নিজেদের মত করে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন। তাতে সব রাজনৈতিক দলের ভোটারেরাই ছিলেন তো বটেই, কিছু কিছু কর্মীও ছিলেন। কারণ সকলেই অত্যন্ত সঙ্গত কারণেই মনে করেন, এ রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, পথ নিরাপত্তা অবশ্যই কম্প্রোমাইজড। এসবের মধ্যেই জনৈকা রিমঝিম মিত্র (আশা করি সঠিক নাম লিখলাম) একটি আহ্বান রাখলেন সমাজমাধ্যমে – মেয়েদের রাতের রাস্তা পুনর্দখল করার ডাক – রিক্লেইম দা নাইট ফর দা উওমেন। জানিনা তিনি নিজে কতটা আশা করেছিলেন, কিন্তু এই আহ্বান শুরু থেকেই অভূতপূর্ব সাড়া পেল। বহু মানুষ শেয়ার করলেন, আলোচনা করলেন। আহ্বান দ্রুত কর্মসূচিতে পরিণত হল। সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসুচি জনতার স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন পেল। সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরেও এই কর্মসূচির খবর ছড়িয়ে যেতে শুরু করল।

    সরকার এটাকে সুযোগ হিসাবে দেখল। মানুষের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভকে একটা এক্সহস্ট সিস্টেম দেবার দরকার ছিল, ভেন্ট আউট করার জন্য। সরকারকে কিছু ডিজাইন করতে হল না, জনতার মধ্যে থেকেই এসে পড়ল এরকম একটা প্রস্তাব। সরকারের কাছে এটা ছিল উইন উইন সিচুয়েশন। ঘোষণা করে দেওয়া হল সেদিন রাতে মেট্রো চলবে, বাস চলবে, বাসে ভাড়া নেওয়া হবে না। বিভিন্ন সংস্থা ঘোষণা করল, গান-বাজনার ব্যবস্থা থাকবে। দালাল বুদ্ধিজীবীরা লেজ নাড়তে নাড়তে চলে এল নেতৃত্ব দেবে বলে। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা যাতে একটা কার্নিভাল হয়ে দাঁড়ায়, সেরকম সব ব্যবস্থাই নেওয়া হল। সারারাত সংস্কৃতি টংস্কৃতি করে একটা “প্রবল প্রতিবাদ” – যাকে বাংলায় বলে “কড়ি নিন্দা” সেসব করে জনতা ১৫ই আগস্ট সকালে ঘুমাতে যাবে। ১৬ই আগস্ট থেকে আর জি কর নিয়ে আর কারুর না ভাবলেও চলবে, এরকম সম্ভাবনা তৈরী হল। শাসকদল আশায় রইলেন, অভিজ্ঞরা আশঙ্কায়, কিন্তু ভাবনাটা একই ছিল, উভয় পক্ষেরই।

    ১৩ই আগস্ট বিকাল থেকে গন্ধটা একটু অন্যরকম মনে হতে লাগল সবারই। রাত দখলের ডাক প্রায় আরব বসন্তের ডাকের মত সর্বগ্রাসী হয়ে সমাজ মাধ্যমে ছেয়ে গেল। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চল তো বটেই, অন্য রাজ্য, এমন কি অন্য দেশ থেকেও সলিডারিটি এবং কর্মসুচির খবর আসতে লাগল। শাসক সতর্ক হল। বুদ্ধিজীবীরা বলল, “আন্দোলন অরাজনৈতিক রাখতে হবে”। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করা যাবে না। এসব না হলে নাকি “তাদের মত লোকেরা” এই আন্দোলনে থাকতে পারবে না। এবং জনতা মোটামুটি তাদের মুখে ঝামা ঘষে বুঝিয়ে দিলেন যে তারা না থাকলেই আন্দোলনের পক্ষে ভালো, কারণ তারা স্যাবোটাজ এজেন্ট। এইবারে অনেকেরই টনক নড়ল। এটা বোঝাই যাচ্ছিল যে এই কর্মসুচী সরকারের সব সতর্কতা সত্ত্বেও ভীষণভাবেই রাজনৈতিক হতে যাচ্ছে। এবং সেখানে বুদ্ধিজীবী দালালেরা কোনো ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

    এই সময়ে সঙ্ঘ এবং বিজেপিরও টনক নড়ল, যে এটা যেটা হতে যাচ্ছে, সেটা সাধারণ কিছু সেকু-মাকুদের জমায়েত নয়, তার থেকে অনেক বড় কিছু। এবং এতে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা থাকতে পারে। অতএব তাদের তরফে শুরু হল আন্দোলন হাইজ্যাক করার চেষ্টা – যেমন প্রতিবারে হয়। গুভেন্দু কোথাও মুখ দেখানোর সুযোগ না পেলেও, কিছু বিজেপি ক্যাডার দাবী করল, এটা তাদের আন্দোলন। হলে তাদের চেয়েও বেশী খুশী হত শাসক দল – কারণ তাহলে আবার সেই বাইনারির চেনা ছকে খেলাটা ফিরে আসত – মেরুকরণের তাস বেরোতো, “বিজেপি এসে যাবে” উপন্যাসটি আবার খুলে বসা যেত। কিন্তু সেরকমটা হচ্ছিল না। সম্ভবতঃ কোনো সঙ্ঘী ভক্তই প্রথম প্রস্তাব করেছিল, রাত বারোটায় শাঁখ বাজানো হোক। তড়িঘড়ি সে প্রস্তাব গৃহিতও হয়ে গেল। কিন্তু তারপরেও সরকার এবং সঙ্ঘ এবং অভিজ্ঞেরা অবাক হয়ে দেখল যে হিসাব মিলল না। এমনকি মুসলমান সমাজের একটা বড় অংশও শাঁখ বাজানোর প্রস্তাবে সায় দিয়ে ফেলল। সাম্প্রদায়িক জলঘোলা হল না সেভাবে। আসল সময়ে দেখা গেল শাঁখ বাজলোও না বেশী তেমনভাবে। জনতার ফোকাস নড়ল না।

    এসবের মধ্যেই কর্মসুচি এসে পড়ল। ১৪ই আগস্ট রাত সাড়ে নটা দশটা থেকেই শহরগুলির বিভিন্ন মোড়ে জমায়েত হওয়া শুরু। একটু মফস্বল বা গ্রাম অঞ্চলে রাত আটটা থেকেও কর্মসুচি নিয়েছেন অনেকে – বাস্তব কারণেই, কিন্তু অংশগ্রহণ যেন হয়, সেটা নিশ্চিত হয়েছে। জনবিস্ফোরণের সম্ভাবনা প্রবলভাবেই দেখা যাচ্ছে তখন। কিন্তু এবারে প্রথমবারের জন্য সরকার এবং সঙ্ঘ কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছিল, কিছুটা হলেও প্রস্তুত ছিল। তার প্রতিফলন দেখা গেল, কার্যক্ষেত্রে বিভিন্ন জমায়েতে সম্ভবতঃ মেয়েদের থেকেও পুরুষের সংখ্যা বেশী ছিল, এবং তারা অনেকেই মুখে উই ওয়ান্ট জাস্টিস” বললেও, অন্য উদ্দেশেই গেছিল। কনুই মারা চলছিল, মেয়েদের ওপর খবরদারির চেষ্টা চলছিল, তাদের কথা যাতে শোনা না যায় সেজন্য ডিজে এবং পালটা স্লোগানবাজীও চলছিল। বিজেপির ক্যাডারেরা ছিল প্রচুর পরিমাণে। আর ছিল সারমেয় ডায়ালিসিস নেতার প্রায় দশ হাজার ক্যাডার।
    আর জি করে ট্রাকে করে গিয়ে হামলা করে প্রায় দু হাজার ক্যাডার। তাদের সরাসরি লক্ষ্য ছিল দুটি – প্রথমে অবস্থানকারী ছাত্ররা, তারপর হাসপাতালের একটি বিশেষ ঘর। অসমর্থিত খবর, খুনের জায়গার প্রমাণ লোপাটের পরেও খুনের কারণের প্রমাণ লোপাটের জন্য এই অভিযান জরুরী ছিল। এবং এই সময়টাই ছিল উপযুক্ত, কারণ তাহলে গন্ডগোলের দায় আন্দোলনকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সহজ উপায় খুলে যায়। শুধু আর জি করে নয়, অন্য বিভিন্ন জায়গায় এই আন্দোলনকে বিপথগামী করার জন্য চলেছে দাদাগিরি থেকে উস্কানি, সবকিছুই। যত রাত বেড়েছে, বেড়েছে পুরুষের সংখ্যা, মেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। অরাজনৈতিকের বাহানায় অন্য সব পতাকা চললেও লাল পতাকাকে আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। সব জায়গায় সম্ভব হয়নি, কিন্তু অনেক জায়গা থেকেই প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং ভুক্তভুগীরা এই কথাগুলি বলেছেন।

    কিন্তু এতসব করেও আন্দোলনের মূল স্পিরিটকে দমিয়ে রাখা যায়নি। বিভিন্ন গন্ডগোল, অস্বস্তিদায়ক পরিস্থিতির দায় সরাসরি আন্দোলনকারীদের ওপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা হলেও প্রায় কেউই তা বিশ্বাস করেনি – এমনকি অনেক তৃণমূল সমর্থকও করেননি। এবং এই আন্দোলনে মেরুকরণ এখনো হয়নি। বিজেপির শত চেষ্টা সত্ত্বেও এই আন্দোলনে তাদের কেউ এখনো বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করেনি। তাদের মুখপাত্র হয়ে ডাক দিচ্ছে রাজ্যপাল নামক বোঝাটি – যে নিজেই নাকি মলেস্টেশনের অভিযোগে অভিযুক্ত, মহিলা কর্মীরা রাজভবনে কাজ করতে নিরাপদ বোধ করেন না যার উপস্থিতির কারণে। জনতা এই অপ্রয়োজনীয় চিৎকারকে অগ্রাহ্য করেছে এবারেও। ফলে সরকারপক্ষের শঙ্কা এবং অভিজ্ঞদের বিস্ময়ের জায়গা তৈরী হয়েছে। শাসকদল নাকি আগামীকাল থেকে সুবিচারের জন্য পথে নামছে। আমার এক রসিক বন্ধু লিখেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবীতে পথে নামছেন কাল থেকে। বঙ্গদেশের রঙ্গলীলা যেমন হয় আর কি।

    আমরা অভিজ্ঞরা পদে পদে ভুল প্রমাণিত হয়েছি এখন পর্যন্ত। ভবিষ্যতেও ভুল প্রমাণিত হতে চাই আরও বেশী করে। নতুন প্রজন্ম অন্যভাবে ভাবুক, অন্যভাবে এগোক। ভালো হবে না মন্দ হবে কে জানে, কিন্তু কিছু তো একটা হোক। গ্রেটার এভিলও এভিল, লেসার এভিলও তাই। লেসার কখন গ্রেটার হয়ে যায়, অনেক সময়েই টের পাওয়া যায় না। তাই এভিলকে এভিল হিসাবে ট্রিট করাটা জরুরী। আমরা পারিনি। দেখা যাক, সামনে কী আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kishore Ghosal | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ১২:৩৮743569
  • দুর্দান্ত- দুর্ধর্ষ অ্যানালিসিস আপনার - সম্পূর্ণ একমত একশ ভাগ। সত্যি বলতে আমিও আপনার মতোই এমন একটি প্রতিবেদন লিখতে চাইছিলাম - পারিনি - মনের মধ্যে অশ্রাব্য গালিগালাজ গর্জে উঠছিল - মনে হচ্ছিল - কামদুনির সেই অভাগী মেয়েটি এবং তার সংগ্রামী দিদিদের আন্দোলনের মতো মহান নেত্রী হজম করে নেবে সব কিছু। আপনার বন্ধুটি যেমন বলেছেন -  "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবীতে পথে নামছেন কাল থেকে"।
     
    এই লেখাটি ছড়িয়ে পড়ুক - শুধু বাংলায় নয় - ইংরিজিতেও - সারা বিশ্বে - আর মন্ত্র হোক একটাই - Now or Never. 
  • . | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ১৩:৩০743570
  • ভালো লেখা
  • aranya | 2601:84:4600:5410:e4c2:b23b:a585:***:*** | ১৭ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৪১743575
  • ভাল লাগল। একমত 
  • কেউ | 2405:8100:8000:5ca1::263:***:*** | ১৭ আগস্ট ২০২৪ ১০:৫১743577
  • নাউ অর নেভার শুনে মনে পড়ল - অনেকদিন আগে কেউ একবার বলেছিল এবার নয় নেভার, আর তার উত্তরে বলা হয়েছিল এবার তো নয়ই, সুতরাং নেভার।

    তা যা হোক, বেশ কিছু লোক আশা করে আছে যে এই তালেগোলে ভোন্দুকে যদি মুখ্যমন্ত্রী করা যায়, ভোটে তো হল না। তা সে মোলাসেসে দশমণ স্যাণ্ড হতে চলেছে, দেখে নিয়েন।
  • Tirtho Dasgupta | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০২:২৯743585
  • "লেসার কখন গ্রেটার হয়ে যায়, অনেক সময়েই টের পাওয়া যায়না " - এইটাই হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে । পার্টি আর বুদ্ধিজীবিরা বুঝতে পারেনি কিন্তু রাস্তার পাবলিক ঠিক বুঝে গেছে  তাই তারা পথে নেমেছে কারোর সাহায্য না নিয়েই । এখন এত ভয় পেয়েছে যে ডার্বি বাতিল করতে হচ্ছে । 
  • ভয় পেয়েছে | 2405:8100:8000:5ca1::11e:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৪:৪১743586
  • হ্যাঁ খুল্লামখুল্লা নেড়ে পেটাতে তো আর বলা যায় না, দাঙ্গাবাজদের একটু, সামান্য একটু, ইভিল তো বলতেই হয়। বামপন্থী আন্দোলনের কোনো ভূমিকা নেই, মমতাকে সরাতে পারলেই আর যা যা দরকার টুপ করে আকাশ থেকে খসে পড়বে। যে আসে আসুক ইত্যাদি
  • . | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৬:১৪743587
  • কয়েক জায়গায় আজ ইস্কুলের মেয়েরা মিছিল করে বলেছে, কন্যাশ্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না, সুরক্ষা চাই।
  • r2h | 208.127.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৭:৫৫743588
  • ইভিলের তর-তম অবশ্যই হয়। রাজনীতিতে তো ভীষন ভাবে হয়। একেকটা গোষ্ঠী একেক রকম ভাবে ভোট দেয়। ত্রিপুরাতে দেখেছি ব্যবসায়ী, কন্ট্রাকটাররা সিপিএমকে লেসার ইভিল জ্ঞান করে ভোট দিত। একটা সময় খেলা পাল্টে গেছে।

    তৃণমূলের সর্বাত্মক বিরোধীতা করা উচিত বলে মনে করি, কিন্তু তার সঙ্গে বিজেপি গ্রেটেস্ট ইভিল - সেটা এক মুহূর্তের জন্যও ভোলা উচিত না বলেও বিশ্বাস করি।
    প্রশ্নাতীতভাবে বিজেপি বিরোধীতার একটা হার্ডল আছে - কারন বিজেপির থেকে স্বচ্ছল ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনতার সেরকম কোন প্রত্যক্ষ বিপদ নেই। সেটাই বিজেপিকে গ্রেটেস্ট ইভিল হিসেবে স্বীকার করার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয় কিনা জানি না।

    যতক্ষন তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে বিজেপির নামই মনে পড়বে, ততক্ষণ মানুষ উনুনের আগুন থেকে বাঁচার জন্য তপ্ত চাটু বেছে নেবে।
    অন্য দলগুলি নিজেদের জনসমর্থ্ন ও বিশ্বাসযোগ্যতা কীভাবে বাড়াবে সেটা তাদের নেতৃত্ব ও সক্রিয় কর্মীদের ভাবতে হবে।

    তৃণমূলের অবশ্যই ক্ষমতা থেকে যাওয়া দরকার।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:41bf:1f10:fde3:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৩৩743589
  • আমরা যারা চাই বিজেপি না আসুক তাদের সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন বাম দলের (বামফ্রন্ট ও তার বাইরে) এবং সম্ভবতঃ কংগ্রেসের জোটকে বিকল্প হিসেবে প্রোমোট করা উচিত। এভাবে চললে কোন একটা সময়ে মানুষ যে আসে আসুক, তৃণমূল যাক বলে হয়তো বিজেপিকে বেছে নেবে।
     
    এর মধ্যেই দেখছি এমনকি এই সাইটেও লোকে বলছে বিজেপির জুজু দেখিয়ে আর কতদিন এরা এই সব চালিয়ে গিয়েও ক্ষমতায় থাকবে। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে তাদের দোষও দিতে পারছি না।
     
    তাই বামেদের প্রোমোট করা এই মুহূর্তে শুধু বাম কর্মীদের কাজ নয়, সমস্ত গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের কাজ। আর একটি কাজ হল বা দিক ঘেঁষা বিকল্প তৈরী করা। যাতে কেউই এই ধরনের অপকর্ম তো দূরের কথা, সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখে।
  • r2h | 165.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১০:০৬743590
  • প্রোমোট করা উচিত... জানি না, হয়তো সত্যিই উচিত। তবে বাম দল যতদূর দেখেছি ঠিক ক্যাজুয়াল ভলান্টিয়ারের ভরসায় কিছু করে না, পোক্ত গনসংগঠন লাগেই।
    সংগঠন সব দলেরই দরকার হয়, কিন্তু কং ইত্যাদি আঞ্চলিক ধনাঢ্য পৃষ্ঠপোষক বা ক্ষমতাশালী ধরনের লোকদের জোরেও এদিক ওদিক চলে, বাম সংগঠনের ক্ষেত্রে একটা ওয়েল অয়েলড মেশিনারী আবশ্যক।

    খুচরো ও অত্যুৎসাহী ভলান্টিয়ার, এমনকি কমিটির সদস্যদেরও নানান কার্যকলাপে বরং অনেক ক্ষতি হলো বলেই মনে হয়, গত বছর দশেকে।
    জানি না, সংগঠন যাঁরা করেন সক্রিয়ভাবে তাঁরা জানবেন।

    আবার আমার মত নিশ্চয় এমন লোকজনও আছে যারা কার বিরুদ্ধে আছি - সেটা জানান দেওয়া বেশি দরকারি মনে করে।
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৯:১৩743592
  • ঘুরপথে যদি সরকার গড়া হয় ,তাহলে আলাদা কথা।কিন্তু ভোটে একটা বড় নির্ণায়ক গ্রামীন অর্থনীতি। গ্রামীন কৃষক বা কৃষি অর্থনীতির সাথে যুক্ত মানুষদের মধ্যে বামেদের প্রাসঙ্গিক করে তুলতে হবে। নাহলে বামেদের আসা মুশকিল আছে। শহরের সিভিল সোশাইটির ফ্লোটিং ভোটারদের ভরসায় সরকার পালটায় না। 
    আর নো ভোট টু বিজেপি বা ফ্যাসিস্ট আর এস এস এঁর বিরুদ্ধে বাংলা , ভগত সিং ব্রিগেড , এই মঞ্চগুলো '' নো ভোট টু বিজেপি '' স্ট্যান্ড পাল্টে ভোট ফর লেফট করলে ইতিবাচক প্রভাব তৈরী হতে পারে।
    নাহলে এই হাওয়া বিজেপি এনক্যাশ করবে।
  • Rouhin Banerjee | ১৯ আগস্ট ২০২৪ ০১:০৮743593
  • "নো ভোট টু বিজেপি" যতবার বলা হয়, ততবার বিজেপি-তৃণমূল বাইনারিটিকে জল-হাওয়া দিয়ে বাড়িয়ে তোলা হয়। এবং বিজেপি, তৃণমূল, উভয়েই এই স্লোগান থেকে ফায়দা তোলে।
  • r2h | 208.127.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪৮743594
  • নো ভোট টু বিজেপি - গোটা ভারতেরই এই স্লোগান দেওয়া উচিত।
    তৃণমূল তো শুধু পবতে। যে রাজ্যে যে দল বেশি শক্তিশালী সেই দল সেই রাজ্যে সুবিধা পাবে। জনসমর্থন, গণভিত্তি কী ভাবে বাড়ানো যাবে সেসব অন্য দলগুলির কর্মসূচী, নীতি, অবস্থান - সেইসবের ওপর নির্ভর করে, সেটা দলগুলির নিজেদের, তাদের দর্শন ও নীতির দায়।

    নো ভোট টু বিজেপি স্লোগানের আশ্রয়ে পবতে তৃণমূল এজেন্ডা, টাকার খেলা - অনেক কিছুই চলেছে, সেসব কানাঘুষো শুনেছি, বিশ্বাসও করি। কিন্তু এই স্লোগানে ঐকমত্য জানাতে তবুও দ্বিধা করবো না। আমি সাধারন লোক, কোন দলীয় নৈকট্য অ্যাফিলিয়েশন কিছুই নেই, নো ভোট টু বলে কে টাকা পেয়েছে তা দেখবো না, আমার কাছে প্রায়রিটি হলো বিজেপি যেন ক্ষমতায় না আসে - আরও একটা রাজ্যে।
    আমি যদি শুধু নিজের দিকে দেখি - পবর সঙ্গে আমার জতটা যোগ, ত্রিপুরা বা কর্ণাটকের সঙ্গেও প্রায় ততটাই উনিশ বিশ - যেকোন জায়গাতেই নো ভোট টু বিজেপি স্লোগান উঠলে আমি সলিডারিটি জানাবো।
    ঐ যে বললাম, এই কথাটা প্রশ্নাতীতভাবে বলা মুশকিল কারন বিজেপি থেকে সংখ্যাগুরু প্রিভিলেজড শ্রেণীর প্রত্যক্ষ বিপদ তেমন নেই।

    এর বাইরে এজেন্ডা, ফুটেজের আকচাআকচি কোথায় নেই? রিক্লেম দ্য নাইট নিয়েও ক্লেম রিক্লেমের বিবাদ শুরু হয়ে গেছে দেখছি।
    আশার কথা, যে-ই এর ডাক দিয়ে থাকুন, মনে হচ্ছে একটা মুভমেন্ট তৈরি হয়েই গেছে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিবাদে এর গতিরোধ হবে না।
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২৪ ১৭:২২743598
  • আমি তো এঁর জন্যই লিখলাম , মিশ্র রাজনৈতিক ফ্যাসিবিরোধী মঞ্চগুলো নো ভোট টু বিজেপি না শ্লোগান রেখে ভোট ফর লেফট শ্লোগান দিক। এতে রাজনৈতিক স্ট্যান্ডও স্পষ্ট হবে ,তাদেরও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে আর এটা এখন সময়ের দাবি
  • Ranjan Roy | ২৫ আগস্ট ২০২৪ ০১:০৩743600
  • তার আগে দরকার বামেদের থেকে একটা কাউন্টার ন্যারেটিভ।
      দেখুন, পঞ্চাশের দশকে কংগ্রেসের ন্যারেটিভ ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের ঐতিহ্য এবং দেশকে গড়ে তোলা।
     ষাটের দশকে বামেদের প্রভাব শহরে প্রকট, কিন্তু গ্রামের ভোটে কংগ্রেস ক্ষমতায়।
     ৬৬ সালের খাদ্য আন্দোলন থেকে গ্রামে বামেদের ভিত মজবুত হল। 
    আর এমার্জেন্সি গোটা দেশে কংগ্রেসের বিকল্প খোঁজার হাওয়া দিল।
     
    কিন্তু অটোমেশন এবং শিল্প নিয়ে ছুঁতমার্গ, ট্রেড ইউনিয়ন বলতে শুধু সংগঠিত সেক্টরের ইউনিয়ন ও আন্দোলন। বামেরা গুরুত্ব দিলেননা যে দেশের শ্রমশক্তির বেশিরভাগ ইনফর্ম্যাল সেক্টরে নিয়োজিত। তাদের নিয়ে কোন স্পষ্ট দৃষ্টিকোণ এবং কর্মসূচী চোখে পড়েনি।
      কম্পিউটার এবং নিও লিবারেলিজম দেশে পরিষেবা সেক্টরে পরিবর্তন আনলো, এক নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণী গজিয়ে উঠল। গুরুচণ্ডালির সবাই তাই, --কেউ কেউ উচ্চ মধ্যবিত্তও বটেন।
     নতুন টেকনোলজি এবং নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সঙ্গে বামেরা কোন আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন নি।
    এটা বঙ্গের বাইরে আরও প্রকট।
     যেকোন বাম সম্মেলনে গেলে দেখা যাবে পাকাচুলের আধিক্য। 
     
     
    আন্না হাজারের আন্দোলনের পর মোদী এলেন করাপশন বিরোধী এবং দেশে আচ্ছে দিনের ন্যারেটিভ নিয়ে। তার সঙ্গে জুড়ল হিন্দু অস্মিতার মশলা এবং মুসলিম-ঘৃণা।  
    অনেকটা ১৯২৬এর জার্মানির ছবি।
     
    এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে চিরাচরিত সাম্প্রদায়িকতা আর একচেটিয়া পুঁজি নিয়ে ন্যারেটিভে চিঁড়ে ভিজবে না। চাই নতুন ন্যারেটিভ।
     খেয়াল করছি, রাহুল গান্ধী নতুন ন্যারেটিভ তৈরির চেষ্টা করছেন। 
    এক, ইডিওলজিক্যাল  লেভেলে সোজাসুজি আর এস এসকে চ্যালেঞ্জ করছেন। মহারাষ্ট্রের বুকে দাঁড়িয়ে সাভারকরকে সমালোচনা করছেন।
     আবার আর্থিক বিকাশ এবং ক্ষমতায়নের প্রশ্নে কৃষকের এম এস পিকে  লীগ্যাল করা , ইউনিভারসাল বেসিক ইনকাম নিয়ে চিন্তাভাবনা নতুন পথ দেখাচ্ছে। 
      বামদলের এ'জাতীয় কংক্রিট ভাবনা দরকার। বিকল্প বয়ান দরকার।
    আর বিজেপির যেকোন নীতি  গোটা দেশকে প্রভাবিত করে। টিমসির শুধু বাংলাকে। 
    কাজেই হুতোর সঙ্গে একমত--বিজেপি অনেক বড় বিপদ, সেই আলেকজেন্ডার আর ডাকাতের গল্প!
    অবশ্যই বামেরা আসলে বেশি খুশি হব।
     
     
     
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন