এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দি-পু-দা র দি

    Himadrisekhar Datta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ আগস্ট ২০২৩ | ৬৯৩ বার পঠিত
  • মধ্যবিত্ত বাঙালি, যারা কোন উপলক্ষ্য ছাড়াই ঘুরতে বেরোয়, একা, দোকা বা দল বেঁধে, তখন তাদের গন্তব্য দি-পু-দা, এর মধ্যেই সীমিত থাকে, প্রায় নব্বই শতাংশ।

    আমরা অবশ্য দুটো উপলক্ষ্য পালন করতে দিঘা যাবার প্ল্যান করি। আমাদের মেয়ে, অনেক দিন পরে তার কর্মস্থল ফিজি থেকে, ছুটি নিয়ে, জামাই সহ উপস্থিত হয়েছে। দশই আগস্ট। আমরা বেরিয়ে পড়েছি ১২-ই আগস্ট। বেচারারা বাড়ি এসে, জেট ল্যাগিং কাটানোরও পুরো সময়টা পায় নি। আসলে আমাদের তো অঢেল সময়, কিন্তু ওদের সময় সবটাই খুবই হিসেবের। তাই,"ওঠ ছুড়ি তোর বিয়া"-র মতই আমাদের প্রোগ্রাম শিডিউল।

    অবশ্য দিঘার এই ভ্রমণের সারা ব্যবস্থা, আমার গিন্নী মানে মেয়ের মা'ই করেছে। গাড়ি আর ড্রাইভার আমাদের। হোটেল বুকও তিনিই করেছেন। সবচেয়ে বড় উপলক্ষ্য সকলের জন্য ছিল, আমাদের পোষ্যটির জন্মদিন পালন - যা সে সি-বিচে, এই প্রথম করবে। ইন ফ্যাক্ট মেয়েও এসেছে সেই পোষ্যের খাতিরেই। প্রতি বছরের জন্মদিনে, তার এমনই ভ্রমণ যাত্রা উপহার হিসেবে থাকে। পোষ্যের মা হল আমার মেয়ে, আর আমার উনি হলেন তার ঠাকুমা, ন্যানি ইংরাজী কায়দায়।

    এরই মধ্যে একদিন, মেয়ে জামাই আসার পূর্বে,  শ্যালিকার বাড়ি, টালিগঞ্জ যাওয়া হয়েছিল। সেখানে জাস্ট কথায় কথায়, আমরা বন্ডের(পোষ্য) জন্মদিন পালন উপলক্ষে দিঘা যাচ্ছি শুনে, শ্যালিকাও যাবার জন্য লাফিয়ে ওঠে। যাব কি যাবনা এই ভাবনার অবসান দু-একটি মিনিটে পজিটিভ চার্জড হয়ে গেল। আমরা চার+এক থেকে মুহুর্তের মধ্যে ছয়+এক হয়ে গেলাম।দুটো গাড়ি দু জায়গা থেকে যাত্রা শুরু করে। আর রাস্তায় বন্ডের দরকারি জিনিসপত্র নিয়ে,বারোই আগস্ট,সক্কাল সক্কাল আমরাও বেরিয়ে পড়ি নিজেদের অল্টো-২০১২মডেলের গাড়ি নিয়েবরানগর থেকে। তখন সকাল সাড়ে সাতটা মত হবে। বণ্ডের জন্য তো বটেই, আমাদের জন্যও এই ট্রিপটার খুব দরকার ছিল। ঘড়ি ধরা নিয়মে, ঘুম-খাওয়া আর যার যার মোবাইল বা ল্যাপটপ জীবনে, একটু বাতাসের দরকার ছিল। দিঘার আহবান আর সমুদ্রের বাতাস, সেই একঘেঁয়েমি অনেকটা দূর করবে, এই ছিল অভীপ্সা।

    দুটো গাড়ি - একটি বরানগর থেকে নিউ দিঘা, আরেকটি কুঁদঘাট, পূর্ব পুটিয়ারি থেকে নিউ দিঘা। মোটামুটি একই সময়ে যাত্রা করে, আমাদের কোলাঘাটে একত্র হবার কথা, ড্রাইভাররা ফোনে ফোনে ঠিক করে নেয়। প্রথমে সাঁতরাগাছি, তারপর ধূলাগড় এগুলোও ছিল কনসিডারেশনের লিস্টে। কিন্তু সুবিধামত খাবার জায়গা না পাওয়ায়, আমাদের যাত্রাপথে এগিয়েই যেতে হচ্ছিল প্রতিবার। কারণ প্ল্যানে, মেনু হিসেবে,কচুরি রাখা ছিল। কচুরির সন্ধানে আমরা শেষ বাজি রাখি, কোলাঘাটে। যারা ভূগোল নিয়ে গুলিয়ে থাকেন, ছোটবেলা থেকে, তাদের জন্য জানাই, এই সব জায়গাগুলি, ইনক্লুডিং দিঘা, সবটাই পশ্চিম বাংলার পূব পাড় ঘেঁষে। তার মধ্যে কলকাতা ছাড়া, হাওড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর আমাদের রাস্তায় আসবে। কোলাঘাট পূর্ব মেদিনীপুরে। কোলাঘাটের নাম শোনেনি, এমন বঙ্গ সন্তান দুর্লভ। সত্তরের দশকে, স্ব: জ্যোতি বাবুর সময় লোডশেডিং খ্যাত বাঙলার দুটি তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের মাঝে মাঝেই 'সাট ডাউন' হত - ব্যান্ডেল আর কোলাঘাট। দ্বিতীয় কারণ রূপনারায়ন নদের ওপরে ব্রিজটি। খুব সুন্দর। আর তৃতীয় কারণ হল জিভে জল আনা, ইলিশ মাছ। কোলাঘাটে ইলিশের সময়, গ্রাহক আর মাছের পাইকিরি ব্যবসায়ীদের খুব ভিড় থাকে। আমরা যে সময়ে কোলাঘাট পার হব,তখন দেড় সকাল। তবে কোলাঘাট বাজারে ঢুঁ মারলে কি দু-দশ পিস চোখে পড়তো না? কিন্তু উপায় কি?  কলকাতা থেকে কোলাঘাট, বাগনান হয়ে, রাস্তা মোটামুটি দক্ষিণ-পূর্ব। কোলাঘাট আমরা সাড়ে ন'টার কিছুটা পরেই, দশটা ছুঁই ছুঁই, তখন ঢুকি। রূপনারায়ন ব্রিজ পার হয়ে আমরা, মেইন রোড (যেটা ন্যাশনাল হাইওয়ে ১৬) ছেড়ে, সার্ভিস রোডে গাড়ি ঢোকাই। আমাদের গন্তব্য আনন্দ রেস্টোরেন্ট।

    গাড়ি পার্কিং করিয়ে, কাঁচের দরজা ঠেলে, ভিতরে গিয়ে চক্ষু দুটি কপালে উঠে যাবার জোগাড়। অবশ্য, বাইরে গাড়ির জমজমাট দেখে আন্দাজ হচ্ছিল, যে ভিড় হবে। কিন্তু গাড়ি রাখার জায়গার অনুপাতে, রেস্টোরেন্টের খাবার জায়গার রেশিয়ো কম। তাই প্রায় প্রত্যেকটি চেয়ারের পিছনে হাত লাগিয়ে লাইনে অপেক্ষমান বুভুক্ষু ট্যুরিস্টের দল। আসলে ১২-তারিখ শণিবার( সেকেন্ড স্যাটারডে), মাঝে সোমবার একটা  ক্যাজুয়াল খরচ করলে, চারদিনের লম্বা ছুটি। তাই কলকাতা চলেছে সমুদ্র দর্শনে। আমাদের হোটেল বুক করা আছে, তাই চিন্তা নেই মাথা গোঁজার। কিন্তু এরই ভিতরে, এমন অনেক যাত্রী আছেন, যারা সেদিনই সকালে,বসকে রাজী করিয়ে, ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে - কিছু তো ম্যানেজ হয়েই যাবে এই রকম মনোভাব নিয়ে। আনন্দ রেস্টোরেন্টের সামনে অনেক বাইকার দেখলাম, সব রকম বডি সেফটি অ্যাপেন্ডেজের সাথে। তাতে মেয়েরাও আছেন। বিবাহিত বা কুমারী - পোষাক আর বাইকের ড্রেস পড়া অবস্থায়,চেনা মুস্কিল বঙ্গ ললনা হিসেবে। এদের বর্তমান রূপ দেখতে পেলে, কবি জীবনানন্দ লিখতেন না,"চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবন্তীর কারুকার্য; অতি দূর ..." অথবা কবিগুরু তার দুই বিঘা জমির কবিতার সেই লাইনই হয়ত বদলে দিতেন, "বুক-ভরা-মধু, বঙ্গের বধু জল লয়ে যায় ঘরে... মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে"।

    যাই হোক, অনেকক্ষণ পারমুটেশান, কম্বিনেশান করেও, আমাদের টেবিল পেতে, চেয়ারে বসতে ঘন্টা খানেক তো লাগবেই দেখে, আমরা আনন্দ রেস্টোরেন্ট দেখে নিরানন্দ হয়ে, নতুন আশায় বুক বেঁধে (যার ভিতরে তখন বঙ্গের মধুর চেয়ে,ক্ষুধার ধার বেশি ছিল), গাড়িগুলিকে পার্কিং লট থেকে বের করে, আবার জাতীয় সড়কে এনে ফেলা হল। সকলের চোখ রাস্তার দুপাশে স্ক্যানিং করতে থাকে- যদি একটা খাবার জায়গা চোখে পড়ে, এই দুরাশায়। বেশ কয়েক কিলোমিটার ধরে, স্ক্যানারে কিছু ধরা পড়লো না, তারপরে হঠাৎ করেই, হোটেল লাবণ্য এবং রেস্টোরেন্ট স্বয়ম্ভু মহাদেবের মত রাস্তার বাঁ- দিকে, আমাদের সামনে জেগে উঠলো। সামনে একটা দুটো গাড়ি। বেশ ছিমছাম সুন্দর রেস্টোরেন্ট। কচুরির খোঁজ করতে, জানা গেল কচুরি হবে না, তবে গরম গরম লুচি আর আলুর তরকারি হবে। আর চা-তো অবশ্যই হবে। কচুরি থেকে লুচিতে মনটাকে সরাতে, একটু দ্বিধা ছিল - কিন্তু উপায় কি?  নিউ দিঘায় আমাদের চেক ইন টাইম এগারোটায়। সেটা তো ফেইল করেছি, কিন্তু আরো বেশি দেরী করা সম্ভব এবং উচিত, কোনটাই নয়। অগত্যা সকলের জন্য ঢালাও লুচির অর্ডার দেওয়া হল।

    আমরা যারা ঘোর ঈশ্বর বিশ্বাসী, আর যারা বক ধার্মিক, তারা সকলেই একটা কথা মানে, ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। এক্ষেত্রেও, তার অনুপম উদাহরণ, আমরা চাক্ষুষ অর্জন করলাম। বললে পেত্যয় যাবেন না,অমন বড় আকারের, স্বাদু,  তৈল বা ডালডা বিহীন, লুচি এ বঙ্গে ইহার পূর্বে ভক্ষণ করি নাই। তরকারিও তদ্রুপ স্বাদু। একটি প্লেটে চারখানা অমন বোমা বোমা লুচি, নিমেষে উদরস্থ হল। সকলেরই। চা খেয়ে বেশ তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে, বিল মিটিয়ে,আমরা যখন রেস্টোরেন্টের বাইরে এলাম, তখন এক ঘন্টা প্রায় হয়ে এসেছে। আমার পোষ্যের সাথে শ্যালিকার পোষ্যটিও এই ভ্রমণের সঙ্গী। তাদের সতকার আর জলপান করানো হল, বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া বয়েলড চিকেন দিয়ে।

    স্বল্পাহার পশ্চাত, নিজ নিজ হাওয়া গাড়িতে অধিষ্ঠিত হয়ে, আমাদের যাত্রা আবার শুরু হল। কোলাঘাট থেকে দিঘার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার।আমরাএ পর্যন্ত কেবল ষাট কিলোমিটারই যাত্রা সম্পন্ন করেছি, যা সমগ্র যাত্রাপথের মাত্র এক তৃতীয়াংশ। আসলে পেট উতলা হলে, মন উতলা আর হাত-পা ততটাই বেতালা হয়ে পড়ে। ভরপেট খেয়ে, এবার আমাদের দৌড় শুরু হল সময়ের বিপক্ষে। লাবণ্য যেখানে ছিল, সে জায়গাটির নাম হোগলবেড়িয়া, পোস্টাপিস: রামতারাখাট, পূর্ব মেদিনীপুর। যদি কেউ এ লেখা পড়ে, দিঘা যাবার প্ল্যান করেন, কলকাতা থেকে গাড়িতে, তারা এখানে ব্রেকফাস্ট করে দেখতে পারেন। ঠকবেন না। আর সবচেয়ে বড় কথা, শরীর খারাপ হবে না রাস্তায়, অম্বল নামক বস্তুটির সাথে।

    হলদিয়ার মোড়, কাঁথির মোড় দব পেরিয়ে, আমাদের রাস্তা ধীরে ধীরে নর্থ-সাউথ হয়ে যাচ্ছিল, যতই দিঘার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কাঁথি পেরোনর পরে, মাটির চেহারা আর গাছপালাও একটু করে বদলে যেতে থাকে। পূর্ব মেদিনীপুর খুবই সবুজ আর শান্ত আমার গ্রামখানি টাইপের। তবে এই রাস্তাতেই বিখ্যাত সিঙ্গুর।

    পশ্চিম বাংলার ভারি শিল্প বনাম রাজনীতির মাইলেজ নেবার কুরুক্ষেত্র। বাংলাকে ভালোবেসে,পারসী দাদা এসেছিল তাঁর সবটুকু সদিচ্ছা আর অর্থ নিয়ে। স্থানীয় রাজনীতির পারস্পরিক লড়াইয়ে, এত বড় করে, বাঙালিরা রাজা প্রজা সকলে মিলে, নিজেদেরই বিরুদ্ধে, নিজেরাই বড় বাঁশ দেবে- পারসী বাবা এমনটা ভাবেন নি। কারখানা বসিয়েও, সব ফেলে রেখে গুজরাট চলে গেলেন। আমরা নিজ নিজ দল আর দলদাসেরা নিজ নিজ পিঠ চাপড়াইলাম। আর যারা কারখানার জন্য জমি দিয়েছিল, চাকরি স্বরূপ সংস্থানের আশ্বাস পেয়েছিল, তারা সব হারিয়ে কপাল চাপড়াইলো। এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ - তবু রঙ্গে ভরা।

    নিউ দীঘা টাচ করতে আমাদের দুপুর একটা বেজে গেল। ডালটিন হোটেলের সামনে, পার্কিং-এ গাড়ি রেখে যখন পোষ্য নিয়ে নামলাম তখন দিঘার সমুদ্রে ভাঁটা খেলছে। নিউ দিঘাতে, যে ক'টি পেট ফ্রেন্ডলি হোটেল আছে, ডালটিন তাদের মধ্যে বিশেষ একটি। হোটেলের কর্মীরা, রিসেপশন ডেস্কের লোকেরা, লিফট বয়, মায় দারোয়ান পর্যন্ত সকলেই হাসি মুখ, সফট স্পোকেন। হোটেলের এ্যামবিয়েন্স ভাল লাগবে। পজিটিভ ভাইব আছে নি:সন্দেহে।  কাপল ওয়াইজ আমাদের রুম ডিস্ট্রিবিউট করা হল - ৪০৫,৪০৬,৪০৭। ড্রাইভারদের জন্যও এসি রুম। আমরা ছিলাম ৪০৬ নম্বরে।

    এই ভ্রমণ কাহিনীর একদম শেষ পর্বে, আমি যাবতীয় খরচের একটা হিসেব সকলের জন্য দিয়ে দেব।

    আপাতত: আমরা চললাম ফ্রেশ হয়ে, লাঞ্চে যাবার জন্য। তারপরে এক ঘন্টা রেস্ট নিয়ে, দিঘা ভ্রমণ শুরু হবে ওল্ড দিঘার বিচ আর সমুদ্র দিয়ে।

    (চলবে)...









    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৃষ্টিছাড়া | 2401:4900:120c:4952:d5d7:8e23:cc88:***:*** | ১৬ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫৪522542
  • *আজকাল কিছু লিখতে ইচ্ছা করেনা। মানুষের অধঃপতন এর শব্দে মনোসংযোগে ব্যাঘ্যাত ঘটায়।*
    *যারা ঈশ্বর বিশ্বাসের নামে ধ্যাস্টামো করে তারা তাদের অধঃপতন এর কারণে  কবেই তাদের আরাধ্য কে কলুষিত করেছে, কবেই তাদের ঈশ্বর তাদের নীরবে,ত্যাগ করেছে !*
    ভালো বিদ্যালয় , ভালো মানুষ নয়, অমানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়, স্বার্থপর কীট তৈরী করে, যারা কেবল দংশন করে, মৌচাক তৈরী করে, মধু, মোম কিছুই আহরণ করতে পারেনা, পরের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে না শিখে, হিংসা, দ্বেষ,জিঘাংসা, শিক্ষা পেয়ে, পাথরের মূর্তি
    কে উৎকোচ দিয়ে সমাজ, সভ্যতা, আধ্যাত্মিক মর্যাদা আর বিশ্বাসকে কলুষিত করে।
    *অথচ এদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার, শিক্ষা পদ্ধতি তাদের শরীরে মস্তক , আর হৃদপিন্ড থেকে সন্তর্পণে বিবেক চেতনা আর অন্তর অপহরণ করে ক্লীবে বা পশুতে পরিণত করে।*
    বৈভবের এক শেষ
  • মন্দার বোস | 117.194.***.*** | ১৬ আগস্ট ২০২৩ ২১:৩৫522544
  • "পূর্ব মেদিনীপুর খুবই সবুজ আর শান্ত আমার গ্রামখানি টাইপের। তবে এই রাস্তাতেই বিখ্যাত সিঙ্গুর।"
     
    বলেন কি মশায় ! 
  • Himadrisekhar Datta | ১৭ আগস্ট ২০২৩ ০৫:১৫522548
  • Don't get shocked Mr.Mandar Bose Sir. The paragraph is misplaced. It is actually after Dankuni. Sorry for inconvenience.  
    Author 
  • Amit Sengupta | 61.246.***.*** | ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৩৬522570
  • "পোষ্যের মা হল আমার মেয়ে, আর আমার উনি হলেন তার ঠাকুমা, ন্যানি ইংরাজী কায়দায়।" 
    মায়ের মা তো দিদিমা হয় জানি। ঠাকুমা হল ​​​​​​​বাবার ​​​​​​​মা। 
    Nanny? Nanny is a woman whose job is to look after a family’s children and who usually lives in the family home. I am sure you wanted to mean Granny, means Grandmother. 
  • kk | 2607:fb91:149f:50ef:af0c:2ba0:b4c7:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২৩ ০২:৪৮522578
  • দাদী-নানী-ন্যানি একটু গুলিয়ে গেছে মনে হয়।
  • a | 110.175.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২৩ ০৩:০৯522579
  • ইতালিয়ানদের ন্যানা হয় শুনেছি, ঐ নানীর মতই। 
  • kk | 2607:fb91:149f:50ef:4281:8a36:d268:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২৩ ০৪:১৯522580
  • ইতালিয়ানে ঠাকুমা আর দিদিমা দুইই হলেন নন্না, দাদু (ঠাকুরদাদা, দাদামশাইই দুজনেই) হলেন নন্নো।
  • Kuntala | ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৫৭522600
  • নাহ, ভূগোলের ছাত্র নয়
  • Himadrisekhar Datta | ১৯ আগস্ট ২০২৩ ১২:০৪522613
  • সকলকে পড়ে দেখার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই লেখার আগেও অনেক গুলি আর্টিকেল লিখেছি। পাঠক বর্জিত সেগুলি। 
    হঠাত করে এই লেখাটায়, এমন ক্রিটিকালি পড়ে দেখার, আর গোটা লেখার মধ্যে, নানা,ন্যানী গ্র‍্যানী, দিদিমা না ঠাকুমা এই খুঁদ কুড়ো নিয়ে, বেশ রসাত্মক আলোচনা দেখলাম। আপনারা সকলেই গুলিয়ে গেছে না'কি ভুগোলের ছাত্র কি'না এ ব্যাপারে বিশেষ উৎসুক হয়েছেন, কিন্তু একটি শব্দও, পুরো ভ্রমণ বৃত্তান্তের ওপরে খরচা করেন নি। 
  • কারণ | 2405:8100:8000:5ca1::e2:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২৩ ১২:৪৮522615
  • ভ্রমণ বৃত্তান্তটা নিতান্তই ট্র‍্যাশ। কষ্ট করে পুরোটা পড়ে ফেললে এমন বিরক্তি হয় যে আবার ঠিকঠাক ভ্রমণ বৃত্তান্ত খুঁজে পড়ে বিরক্তি কাটাতে হয়।
     
    এইসব আপাততুচ্ছ ভুল আসলে ডিটেলের খামতি দেখায়। একে তো দীঘায় যাবার হাজারো লাখো বর্ণনা নেটে পাওয়া যায়।  লেখার ধরণে কিছু বৈশিষ্ট্য না থাকলে খামোখা পড়বেই বা কেন মানুষ। তা সেদিকেও লেখকের ভাঁড়ে মা ভবানী। তারপরে ডিটেলে এত খামতি।
  • Himadrisekhar Datta | ১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৫:২২522622
  • কারণকে অজস্র ধন্যবাদ - লেখা সম্বন্ধে কিছু বলার জন্য। পাঠকই মূল বিচারক। তবে ভদ্রতা টুকু বজায় রাখা উচিত বলে মনে করি। আমি এখন ৬৭।  তাই এটা একান্ত ভাবে আমার মত। বাকি সকলের ইচ্ছে। 
  • :-)) | 2405:8100:8000:5ca1::29a:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৫১522624
  • লেখার মান নিয়ে মন্তব্য করলে অভদ্রতা হয় বুঝি?
    প্রশংসা শোনার জন্য মন্তব্য চাইলে  ঘনিষ্ট বৃত্তে পড়ানোই ভাল।  তাও আজকাল ফ্রিতেই এত ভাল লেখা পড়া যায় যে কজন এরম ট্র‍্যাশের প্রশংসা করতে পারবে বলা মুস্কিল। বয়সের দোহাই দিয়ে প্রশংসা চাঅয়া হাস্যকর।
  • Himadrisekhar Datta | ১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৩২522625
  • আমি দোহাই দিই না। আমি আমার মত প্রকাশ করেছি। ব্যাস। আর কিছু নয়। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন