না, মা দুগগার পূজো বা শ্রীরামচন্দ্র নিয়ে এ লেখা নয়। "অকালবোধন" একটি বই, যার লেখিকা, শ্রীমতী সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় ( সো ব)। বইটা এই বছর কলকাতা বই মেলায়, সৃষ্টিসুখ থেকে বেরিয়েছে। সেই স্টলে, ভদ্রমহিলা (সো ব) এসেছিলেন, তার বই এবং আরোও বই দেখতে। আমার কোন বই সৃষ্টিসুখ থেকে আর না বেরলেও, প্রতি বছর, আমার তুচ্ছ লেখক(?) জন্মের আঁতুড় ঘরে, একবার ... ...
আজকে সরস্বতী পূজো। বসন্তের পঞ্চমী তিথি। মাঘি শুক্লা। ছোটবেলায়, দুর্গাপূজার পরে, যে দেবীর পূজো মনের একেবারে গভীরে জায়গা পেয়েছিল, তা এই পূজা। বাড়িতে মা ফ্রেমে বাঁধানো ফটো নামিয়ে, আসনে বসিয়ে, নানা উপাচারে, নিজেই পূজো করতেন। মা'য়েরা ছিলেন চক্রবর্তী ব্রাক্ষ্মণ। সেদিক থেকে হয়ত তার বিবাহ পশ্চাতেও পূজো আচ্চা (আচরণের ছোট রূপ) করাটা তেমন অধর্মের কিছু ছিল না। আর আজকের যুগে তো নয়ই। এখন তো যে কোন জাতের লোক মন্দির বা পূজার সংকল্প করতে পারেন। আমি অবশ্য এসব মানি না, তবে সনাতন প্রথা অনুসারে কারটা সিদ্ধ হিসেবে পরিগণিত হবে, তা কে বলতে পারে? সনাতনের মানে খোঁজার চেষ্টায় আছি - কিছু কিছু জ্ঞান ... ...
টুংকুলুং আর গোয়েন্দা একেন্দ্র সেন সুজন দাশগুপ্তের সৃষ্ট গোয়েন্দা, কলকাতার একেনের চরিত্র,আমেরিকাতে(?) বসে সৃষ্ট কি? সঠিক তথ্য আমার কাছে নেই, যেহেতু উনি আমেরিকার বাসিন্দা, তাই মনে হল। আমেরিকায় বা ভারতে, যেখানে বসেই উনি গল্পগুলি লিখে থাকেন না কেন, তা অনবদ্য, বলতে দ্বিধা নেই। নিয়তির ডাকে, তাকে নিজের শহরেই, এক সন্ধিগ্ধ কন্ডিশনে, একা, নিজের বাড়িতেই, মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়। তার মৃত্যুর পরে, জয়দীপ মুখার্জী বাংলা সিনেমার ... ...
অনেকদিন অপেক্ষা করার পরেও কোন উচ্চবাচ্য, এ্যাডমিনের তরফ থেকে না পেয়ে, স্থির করলাম, এই পোর্টালে আর লিখব না। এখানে বেশির ভাগই সবজান্তা ব্যক্তি বর্গ, যাদের ধারে কাছে আমি যেতে পারবো না, চাইও না। বেশির ভাগই অত্মম্ভরি। মানুষকে সম্মান দেওয়া দূরে থাকুক, তারা ভাল ভাবে বাংলা কথাও ... ...
আমি জানি না, এই গ্রুপের পরিচালক গণ যাদের অন্য নাম অ্যাডমিন, তারা পাঠকের মন্তব্যের ভাষা প্রয়োগ নিয়ে, মাথা ঘামান কি'না। যদি না ঘামান, তাহলে গুরুচন্ডালীতে আর লিখব না। আর যদি ঘামান, তাহলে তা করে দেখান। ... ...
মধ্যবিত্ত বাঙালি, যারা কোন উপলক্ষ্য ছাড়াই ঘুরতে বেরোয়, একা, দোকা বা দল বেঁধে, তখন তাদের গন্তব্য দি-পু-দা, এর মধ্যেই সীমিত থাকে, প্রায় নব্বই শতাংশ।আমরা অবশ্য দুটো উপলক্ষ্য পালন করতে দিঘা যাবার প্ল্যান করি। আমাদের মেয়ে, অনেক দিন পরে তার কর্মস্থল ফিজি থেকে, ছুটি নিয়ে, জামাই সহ উপস্থিত হয়েছে। দশই আগস্ট। আমরা বেরিয়ে পড়েছি ১২-ই আগস্ট। বেচারারা বাড়ি এসে, জেট ল্যাগিং কাটানোরও পুরো সময়টা পায় নি। আসলে আমাদের তো অঢেল সময়, কিন্তু ওদের সময় ... ...
নামটা খুবই আনকমন। যদি মধ্যিখান থেকে লাইটেড ব্যানার বক্সে লাগানো, পুরো নামটা থেকে "দা" অক্ষরটা ঝরে যায়, তাহলে আরোও আজগুবি হয়ে পড়বে নামটা। অটোতে করে সন্ধ্যাবেলায়, সিঁথি, মণ্ডলপাড়ায় ভাইয়ের বাড়ি যেতে যেতে এই দোকানের নামটি চোখে পড়ার পর থেকে, এর বুতপত্তি নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করতে থাকি। আসলে আমি যে কত উঁচু দরের অকেজো মানুষ, এটি তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে, অবশ্যই গণ্য করতে পারেন।আসলে বরাহনগর বাজার যাবার পথে, কমলা মেডিকেল ... ...
ভূমিকা:ক্যালকাটা ফায়ার ব্রিগেড, যা এখন কলকাতা ফায়ার ব্রিগেড নামে পরিচিত, একটি খ্যাতিমান এবং ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান যেটি প্রায় দুশো বছরের সুদীর্ঘ সময় ধরে, অবিচল সাহস এবং নির্ভরতার সাথে কলকাতা শহরের সেবা করে চলেছে।১৮৬৫-সালে প্রতিষ্ঠিত,এটি ভারতের প্রাচীনতম ফায়ার ডিপার্টমেন্টগুলির মধ্যে একটি হওয়ার গৌরব লাভ করেছে। আজকে,অগ্নি নির্বাপক কলকাতার সব অফিসগুলির মূখ্য কার্য্যালয় হল পার্ক স্ট্রীটে।তার দীর্ঘ এবং ঘটনাবহুল সময়ের যাত্রা জুড়ে, ব্রিগেডটি বীরত্ব, স্থিতিস্থাপকতা ... ...
বর্ষার খিচুড়ি জুলাই মাসটা যদিও আমার জন্য খুব লাকি, যে দুটো কারণের জন্য লাকি, জানি না, তারা ততটা লাকি ভাবে কি'না! কিন্তু জুলাইএর মাঝামাঝি থেকে পূজো পর্যন্ত, আমার শরীরটা ঠিক জুতের থাকে না। বর্ষাকালের জুতোর মত নানা ছুটকো ময়লার মত অসুখ বিসুখে জর্জরিত হয়ে পড়ে। মানে জ্বর জ্বর না হলেও, অসুখ দিয়ে জারিতই থাকে। এই বছরে, সব কিছু ছাপিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, ফ্রোজেন সোলডার। ডাক্তারি পরীক্ষায় সি২+সি৩, সি৪+সি৫ এবং সি৫+ সি৬, এগুলি মার্জিনাল অস্টিওফাইটস অবস্থানে রয়েছে। ইমপ্রেশান হল সার্ভিকাল স্পন্ডিলসিস। আমার ও.এ ডান সোলডারে বদলে গেছে, যদিও হাড্ডি কা ডেন সিটি ঠিকঠাক আছে - কিন্তু শরীর বা আমার লেখার আঙুল এইসব ... ...
যারা পাঁচ বা ছয় বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, ঠিক ভাবে, সমস্ত অবসরকালীন প্রাপ্যের সাথে- আর সেই অর্থ, কোথাও না কোথাও বিনিয়োগ করে রেখেছেন, মাসিক উপার্জনের খাতিরে ( স্যালারির মত অতটা না হলেও), তারা কি কখনও খেয়াল করেছেন, সেদিনের তুলনায় আজকে মূল্যের সূচক কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? যারা চাকরিরত অবস্থায়, আলাদা করে, রেগুলার জমিয়ে গেছেন, তাদের আমি আমার দলে পাচ্ছি না। আসলে, আমার মত বাউণ্ডুলে আর পরিকল্পনাহীন মানব সন্তান একুশের শতাব্দীতে কয়েক জনই পাবেন। ঈশ্বরের খুব বড় করুণা আর আমার পিতা মাতার আশীর্বাদ, সাথে আমার গৃহিনীর অসাধারণ ব্যবস্থাপনার জোরে, চাকরি থাকা কালীন থোড়াই কেয়ারের জীবন কাটিয়েছি। ONGC-তে চাকরি করতাম। তাই সাধারণ ... ...