এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • একটা ভুলে যাওয়া গল্প

    Krishnendu Talukdar লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | ৪০০ বার পঠিত
  •           একটা   ভুলে  যাওয়া  গল্প  
      ফজরের আজানে ঘুম ভাঙে মোহনদাসের। ফুল তুলতে যেতে হবে। স্নান সেরে অন্ধকার থাকতেই বের হন বারোমাস। তবে রমজানের সুবিধেটা হল রোজাদারদের জাগিয়ে দেওয়ার মাইকিং আর লাগোয়া বস্তিতে সেহরী তৈরির ব‍্যাস্ত ঠুংঠাং অ‍্যালার্মের কাজ করে। মোহনদাস গোঁসাই রাধামাধবের শেষ সেবাইত। শেষ - কারণ ছেলে মেয়েরা কর্মসূত্রে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। নিত‍্যসেবা করা তাদের দ্বারা হবেনা। সিলিং বহির্ভুত জমি ও মন্দির দেবত্তর ঘোষণা করে জমির মালিকরাও দেশে বিদেশে ছড়িয়ে গেছে। বুড়ো সেবাইত ও মন্দিরের নিত‍্যপূজার খরচা বস্তির ভাড়াটিয়াদের ভাড়ায় চলে। তারা কেউ চটকলে কাজ করে কেউ রাজমিস্ত্রি। ভাড়া বেশি দিতে না পারলেও মন্দির বা সেবাইতের প্রয়োজনে কাজে লাগে। বেশিরভাগ ভাগ ভাড়াটে ধর্মে মুসলিম হলেও রাস বা দোল যাত্রার ভিড় সামলানোর কাজে হোক বা মন্দির সারাইয়ের কাজে – হাত লাগায়। লকডাউনের সময় ঠাকুরের বাসন চুরি করে পালানো চোর কে ধরে মারতে মারতে মোহনদাসের পায়ের কাছে ফেলেছিল। মোহনদাস ধমক লাগান ওদের –
    “ মারিস না। রাধামাধবের মন্দিরে হিংসা চলে না। ওর চেহারাই বলে দিচ্ছে লকডাউনে না খেতে পেয়ে চুরি করেছে। ঠাকুরের প্রসাদ আছে - খাবি?”
     ধরা পড়লে পিঠের পর পেটেও যে কিছু পড়তে পারে তা ভাবেনি ছেলেটা। গোগ্রাসে প্রসাদ শেষ করে ছেলেটা ভয়ে ভয়ে বলে –
    “ আমকে পুলিসে দিন ঠাকুরমশাই। জেলে গেলে তবু কিছু খেতে পাব....” 
      চুরির খবর পেয়ে ছেলে বস্টনে চলে আসার জন‍্য অনেক সাধাসাধি করে ব‍্যর্থ হয়ে শেষে বিনায়ক গুপ্তা বলে একজন প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মন্দিরের জমিতে প্রোমোটিং হলে যদি বাবা নিত‍্যপূজা ছেড়ে ছেলের কাছে এসে থাকে। প্রোমোটার মোহনদাসকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে রাধামাধবের মন্দিরের বদলে রাম, হনুমান, শনি আর লোকনাথবাবার মন্দির হবে রাস্তার ধারে। যে কোন শপিংমলের মতোই রমরমিয়ে চলবে। রাধা মাধবের মন্দির রাখতে হবে, না হলে ডিস্ট্রিক্ট জাজ পারমিসান দেবেন না। তবে সেটা হবে বস্তিতে। এক ঢিলে দুই পাখি মরবে। ভাড়াটে ও উঠবে নতুন ফ্ল‍্যাটও হবে। বিরক্তিকর প্রস্তাবটা পুরোটা শুনে তিনি বলেছিলেন “ আমি রাধামাধবের চরণের দাস। তাঁর সেবাইত – ব‍্যবসায়ী নই। বংশ পরম্পরায় অন্তরের ভক্তি দিয়ে পুজো করেছি আমরা। তাঁকে ডেকেছি  - টাকা পয়সা চাইনি। খারাপ লাগছে আমার ছেলেকে সেটা শেখাতে পারিনি। তবে আমি এই দেবত্তর ট্রাস্টে তাকে না রেখে ঠিকই করেছি। আপনার প্রস্তাব ট্রাস্টিরা মানতে পরবেনা |”
    “ এই মুসলমানদের আপনি কোনদিনও তুলতে পারবেন না। একদিন দেখবেন কাশি মথুরার মত এখানেও মসজিদ হয়ে গেছে...”
    “ রাধামাধবের যা ইচ্ছা তাই হবে। নবাব আমলে তৈরী এই মন্দিরের পাশে এই ভাড়াটেরাও দেড়শো বছরের বেশিদিন আছে। ছেচল্লিশের দাঙ্গার সময় ও এরাই মন্দিরকে ঘিরে রেখেছিল। আমার প্রভু নিজের রক্ষা করতে পারেন। আপনার এত চিন্তা না করলেও চলবে। সন্ধ‍্যা আরতির সময় হয়েছে। আপনি এবার আসুন|” 
     
         বিনায়ক গুপ্তা চলে যায়। কিছুদিন পরে বস্তির সামনে বটগাছের তলায় একটা মেটে সিঁদুর লেপা রাম সীতার মূর্তি পাওয়া যায়। মূর্তির মুখ হাল আমলে সোস‍্যাল মিডিয়ায় ঘোরা রামের মুখের ছাঁদে হলেও রটে যায় এখানে আগে রাম মন্দির ছিল আর এটাই সেই পুরোনো মূর্তি। যুক্তিহীণ ও হাস‍্যকর এই রটনার কারণ ক্রমে বোঝা যায় যখন বাইরের অচেনা লোকজন আসতে থাকে পুজো করতে আর তাদের মধ‍্যে থেকেই কয়েকজন মোহনদাস কে রাধামাধবের মন্দির ছেড়ে চলে যেতে বলে। এই জমির আসল মালিকরা নাকি বিনায়ক গুপ্তার সঙ্গে ডেভেলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট করেছে প্রোমোটিং করার জন‍্য। মোহনদাস ও বস্তির লোকেরা থানা পুলিশ করেন। কিছু লাভ হয় না। কোর্ট কাছারি করতে হবে বুঝে ছেলেকে ফোন করলেও প্রোমোটারের সঙ্গে সমঝোতা করে নেবার পরামর্শই পান। খবর পেয়ে তাঁকে ভরসা দিতে এগিয়ে আসে বস্তির ইমতিয়াজ আলম, ভোলা সেখরা। ভিড় থেকে আওয়াজ ওঠে-
    “ আমরা থাকতে এই মন্দিরে কেউ হাত দিতে পারবে না ঠাকুর মশাই|”
    “কি করতে পারবি তোরা?” 
    “ লাশ ফেলে দেব|” 
    “ তাহলে আমাকে দিয়েই শুরু কর|”
    সবাই চুপ করে যায়। 
    “ তোরা না রোজা আছিস? এসব করলে তোদের রোজা কবুল হবে? রমজান তো সংযমের মাস। শোন- কোনো ভালো কাজ করতে গেলে কাজের পদ্ধতিটাও ভালো হওয়া উচিত। হিংসা যদি অন‍্যায় হয় সেটা তোরা করলেও অন‍্যায় ওরা করলেও অন‍্যায়। রাধামাধবের মন্দিরে হিংসা নিষিদ্ধ। যেই হিংসা ছড়াতে আসবে তাকে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে। ”
    “ তাহলে উপায় কি?” 
    “ উপায় হল সত‍্য কে তুলে ধরা। সৎপথে থেকে নিজের জীবন দিয়ে মানুষ কে বোঝানো। একদিনে হবেনা সেসব। অনেক মূল‍্য দিতে হবে|” 
    “ অত কিছু বুঝি না। আমরা বাঁচব কি করে?”
    “ আমার শেষ সঞ্চয় দিয়ে কোর্ট কেস করবো|” 
    “ আমরা ভরসা করতে পারছি না। দামী উকিল যে দিতে পারবে কোর্টে সেই জিতবে|”
    “ ভগবানে ভরসা রাখ। আল্লাহর উপর ভরসা রাখ। একদিন এর বিচার হবেই|”
    “ ইনশাআল্লাহ “
    ভিড়টা চলে যায়। ফিরে আসে একদিন পরে। আলম বলে 
    “ আমরা ঠিক করেছি যে আমাদের মধ‍্যে যারা রাজমিস্ত্রির কাজ করে তারা মন্দিরটা সারাবে। মন্দিরের বাইরে বসা ভিখারি এতিমদের ও আমরা খাওয়াবো একমাস| আপনি তো বলেছিলেন ভালো কাজ ভালো রাস্তায় করতে----”
    “ খুব ভালো। আমিও ভাবছিলাম এবারের নামগানের আসরে ইফতারের আয়োজন করবো|”
    কথা মত কাজ হতে থাকে। এই কাজগুলো মিডিয়ার চোখে পড়ে। প্রোজেক্টটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে বিনায়ক গুপ্তা দলবল নিয়ে আপত্তি জানাতে আসে।
    “ আপনি মন্দির অপবিত্র করছেন। মুসলমান মিস্ত্রিরা মন্দিরে কাজ করছে। মন্দিরের বাইরে ফুল বিক্রি করছে মুসলমান দোকানিরা|” 
    “ আজ একশ বছর ধরে ঐ দোকানির পরিবার ফুল বিক্রি করছে। এদের সবার হাতের সেবা নেবেন এটাই রাধামাধবের ইচ্ছা। আপনি বাধা দেওয়ার কেউ নন|” 
    “ এই জমির আসল মালিকদের পক্ষ থেকে আমি আপত্তি জানাচ্ছি। কোর্টের অর্ডারে আপনাকে ঘাড় ধরে মন্দির থেকে বের করে দেওয়া হবে|”
    “ জমির মালিক রাধামাধব। আপনার লোভ মন্দিরকে অপবিত্র করছে। বেরিয়ে যান এখান থেকে |”
    “’এ বাড়ি আমার চাই। বটতলায় পড়ে থাকা মূর্তিটা এখানেই বসাব। উসকে বাদ মন্দির ইঁয়াহি বানায়েঙ্গে |”
     গুপ্তা চলে যায়। কিছু দিনের মধ‍্যে এলাকায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে ঘোষণা করা হয় মুসলমানদের দখল মুক্ত করতে আগামী রামনবমীতে রাধামাধব মন্দিরে রাম সীতার মূর্তি বসবে |

           নির্দিষ্ট দিনে মিছিল বের হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের তিন ঘন্টা পরে। বস্তির লোকেরা ও পাল্টা দেওয়ার জন‍্য প্রস্তুত হয়। মোহনদাস ভক্ত সমাগম ও হরিনাম সংকীর্তনের ডাক দিয়েছিলেন ঐ দিন। ক দিন ধরেই বিনায়ক গুপ্তার ডেভেলপমেন্ট এগ্রিমেন্টে মন্দির ভেঙে প্রোমোটিং করার দলিলের কপি ফ্লেক্স আকারে মিছিল আসার পথে ও এলাকায় টাঙিয়ে দিয়ে ছিলেন। ভক্তরা সেই ফ্লেক্সের হিন্দি ইংরাজি অনুবাদ করে গলায় ঝুলিয়ে কীর্তন করতে করতে এলাকায় ঘুরতে থাকে। মিছিল আসার সময় মোহনদাস তাদের নিয়ে বটগাছ তলা থেকে মন্দির পর্যন্ত হরিনাম সংকীর্তন করতে থাকেন। মিছিলের কিছু লোক এলাকায় টাঙানো ফ্লেক্সগুলো পড়ে দ্বিধাগ্রস্হ হয়ে পড়ে বাকিরা ডিজে বক্সে ঊস্কানিমূলক গান বাজাতে বাজাতে যখন বটগাছতলায় পৌঁছায় তখন তখন রোজা খোলার সময় হয়ে গেছে। বস্তির উত্তেজিত মানুষ বাইরে বেরিয়ে দেখে বটগাছ তলায় মোহনদাসের নেতৃত্বে কীর্তনিয়ার দল বস্তিতে ঢোকার রাস্তা আগলে হরিনাম করছে। এক অসম যুদ্ধ চলছে ডিজে আর শ্রীখোল ও করতালের। ডিজের আওয়াজ ভেদ করে তিনটে গুলির শব্দ শোনা যায়। বটতলায় পয়েন্ট ব্ল‍্যাঙ্ক রেন্জ থেকে ছোঁড়া তিনটে গুলি মোহনদাসের শরীর ভেদ করে ভেঙে দেয় সেই রামের মূর্তি। বস্তির লোকেরা আততয়ীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে ছিল|  শোনা যায় বিনায়কের পোষা সেই খুনীর নাম –
    নাথুরাম ---

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন