এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ছোট গল্প উলোটপূরাণ 

    Mousumi GhoshDas লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ মার্চ ২০২৩ | ৪০৪ বার পঠিত
  • উলোটপূরাণ 
    মৌসুমী ঘোষ দাস 

    ডাইনিংএ পা রেখেই নাকটা কুঁচকে গেল কাকলির! আজও কিছু পুড়ছে রান্নাঘরে! ছুটে গিয়ে গ্যাসটা অফ করে। ততক্ষণে বাটির সব জল শুকিয়ে ডিম দুটোর তলা ধরে গেছে। বহুবার অনন্যাকে বলেছে, ‘আমাকে বলো, আমি না হয় কিছু রেঁধে দেবো’। ওর তর সয় না! নাকি অবজ্ঞা করে - বোঝে না কাকলি। তা নিজেই যখন করবে, তো সেই সময়টুকু নাহয় রান্নাঘরেই থাকো। খাবার গ্যাসে বসিয়ে দোতলায় নিজের ঘরে গিয়ে বসে থাকা - এ আবার কি স্বভাব? খাবার এবং গ্যাস - দুটোই তো নষ্ট হয়! গায়ে লাগে না? সিঁড়ি ভেঙ্গে গেল অনন্যার ঘরে। মগ্ন হয়ে ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে। ফোনে এত আস্তে কথা বলে, যে পাশে গা ঘেঁসে বসেও কিছু শুনতে পাওয়া যায় না! একটু ঝাঁঝিয়েই বলল কাকলি,
    - “তুমি গ্যাসে ডিম বসিয়েছিলে? তা রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথাটা বল্লেই তো আর”, কাকলির কথা শেষ হওয়ার আগেই নির্লিপ্ত অনন্যা রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালো। 
    - “কোথায় যাচ্ছো? তোমার অপেক্ষায় গ্যাস অন করে রেখে এসেছি নাকি? বলি একটা দিনও কি নিরামিষ খেতে নেই? কত যত্ন করে শুক্তো, এঁচোর, মোচা ঘন্ট রেঁধেছি! এসব কি অখাদ্য! তোমাদের বাড়ি এসব কোনোদিন রান্না হয় না?”

    শান্ত গলায় ফোনের অপর প্রান্তের জনকে কি একটা বলে ফোন কেটে দিল অনন্যা। একরাশ বিরক্তি নিয়ে বলল, “আপনি কি কোনোই ম্যানার শেখেন নি? দেখছেন তো কথা বলছি, তার মধ্যেই এমন চেঁচাচ্ছেন যে! গ্যাস যখন অফ করেই এসেছেন, একটু পরেই বলতে পারতেন!”
        
    মাথা ঝাঁঝাঁ করে উঠলো কাকলির, “কি ম্যানার শেখাচ্ছো? খাবার, গ্যাস দুটোই তো নষ্ট হল! সেদিন ভাত বসাতে বলেছিলাম, তুমি হাঁড়িতে জল বসিয়ে সেই যে ফোন নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকলে, হাঁড়ির জল ফুটে অর্ধেক! ম্যাগি বসিয়ে নিজের ঘরে চলে যাও। খাবারগুলো নষ্ট হয়! এদিকে গ্যাসের দাম দিনদিন বাড়ছে সে খেয়াল আছে? একোয়াগার্ড থেকে জল ভরতে ভরতে বোতল বসিয়ে ফোন নিয়ে নিজের ঘরে চলে যাও। বোতল উপচে সমস্ত জলে ডাইনিং ভেসে যায়! কোমর ব্যথা নিয়ে সে জল আমি পরিষ্কার করি! সারাক্ষণ কি এতো কথা থাকে তোমার?”

    - “সে কৈফিয়ত আপনাকে দেবো না। এখন আসুন, আমার কাজ আছে”, বলেই মুখের ওপর দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিল! নিত্যদিন এমন অশ্রদ্ধা করেই চলেছে! কাকলি জানে, আজ অনিকে অতিষ্ঠ করে ছাড়বে। একটু শান্তিতে ঘুমোতে দেয় না ছেলেটাকে। সারারাত ঘরে আলো জ্বেলে ল্যপটপে খুটখাট করে। সামান্য ক’টা টাকার কি নাকি অনলাইন-জব করে। এদিকে অনি মানে অনির্বাণকে সকাল সকাল উঠতে হয়, অফিস যাওয়ার জন্য। রাতে ভালো ঘুম না হলে সারাদিন মেজাজ বিগড়ে থাকে ছেলেটার। তার প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন কাজে। প্রায় দিনই ঝামেলা হয় ওদের,  
    - “এইসব অনলাইন কাজটাজ ছেড়ে দাও অনু। সামান্য ক’টা টাকার জন্য দিনের পর দিন রাত জেগে শরীর নষ্ট করার কোন দরকার নেই”, অনি বলে।
    - “ওই সামান্য ক’টা টাকাও আমার দরকার”, ফুঁসে ওঠে অনন্যা। 
    - “খাওয়া পরার তো অভাব রাখি নি তোমার! যা হাতখরচ লাগে আমি দেবো প্রতিমাসে”
    - “কেন বলো তো? আমার যোগ্যতায়, আমি বাড়ি বসে অনলাইন-জব করি। টাকা পাই। খামখা হাত পেতে তোমার কাছে ভিক্ষে নিতে যাবো কেন?”  
    - “তুমি ইচ্ছে করে এসব অশান্তি শুরু করেছো। এ তোমার লোভ!”
    - “লোভ কার নেই অনি? তোমার নেই? নিজেই তো বলেছো প্রথম প্রায়োরিটি রূপবতী বউ! সেই রূপের লোভেই তো আমার পেছনে ঘুরঘুর করতে দিনের পর দিন!”   
    - “কিসের সঙ্গে কি তুলনা করছো? আসল লোভী তুমি! নইলে কোন আক্কেলে বলো এবাড়ি, বিষয়-আশয় সব তোমার নামে লিখে দিতে? মাত্র আটমাস বিয়ে হয়েছে আমাদের! বাবা-মা জীবিত আছেন। তাদের চলে যাওয়ার পর এই সব তো আমার, মানে আমাদেরই হবে, এই ছোট্ট ব্যাপারটা তোমার মাথায় ঢোকে না? তাছাড়া নিজের ছেলেকে না দিয়ে বউমাকে কেন সব লিখে দিতে যাবেন বাবা! অদ্ভুত আবদার!” 
    - “ছেলেকে লিখে দেবেন মানে ছেলের হবে। বউএর তো হবে না?” 
    - “তোমার কি মাথাটা গেছে? স্বামীর যা, তা কি স্ত্রীর নয়?”  
    - “না, স্বামীর সম্পত্তি সবসময় স্ত্রীর হয় না। তাহলে আমার বাবা মারা যাওয়ার পর বাবার যা কিছু সব মায়েরই হতো। কিন্তু তা হয় নি। হতে দেওয়া হয় নি। বাবার বাড়ি-গাড়ি, বিশাল সম্পত্তি সব কাকার হয়েছে। আমার মা আর আমরা দুই বোন কাকার কাছে আশ্রিত হয়ে অত্যাচারিত জীবন কাটিয়েছি। আমারই বাবার বিষয়-সম্পত্তি, অথচ সে বাড়িতে আমার মা দাসীগিরি করেছেন। সবই তো জানো বিয়ের আগে থেকে”। 
         
    মাঝে মাঝে অনি মা-বাবার ঘরে ঘুমোতে আসে। তবুও শান্তি পায় না। দিনেদিনে কেমন সন্দেহ বাতিক হয়ে যাচ্ছে! মাঝরাত্তিরে বাথরুম যাওয়ার পথে অনন্যার ঘরে আড়ি পাতে। কার সঙ্গে নাকি অনন্যাকে হেসে হেসে কথা বলতে শোনে! লুকিয়ে অনন্যার ফোন ঘাটে। এই নিয়ে বাড়িতে চরম অশান্তি! নিজেই পছন্দ করে পাঁচ বছর মেলামেশার পর অনন্যাকে ঘরে এনেছে। নিজেদের মেয়ের মতো আদরেই রাখতে চেয়েছিলেন অনির মা-বাবা। কাকলি সুগৃহিণী। ঝকঝকে তকতকে সাজানো সংসার। বিশেষ কোনো কাজই করতে দেন না অনন্যাকে। সারারাত জেগে ল্যাপটপে কাজ করে ভোরে ঘুমিয়ে বেলা সাড়ে-বারোটা একটায় ঘুম থেকে ওঠে অনন্যা। তারপরই রান্নাঘরে ঢুকে সব খাবারের ঢাকনা তুলে তুলে দেখে আজ কি কি রান্না হয়েছে। পছন্দ না হলে ডিম সেদ্ধ বা ম্যাগি করে খায়। তাও বেশিরভাগ দিন পুড়িয়ে ফেলে। গজগজ করতে করতে পোড়া বাসন, আগোছালো রান্নাঘর আবার যত্নে সাজায় কাকলি। 
        
    একদিন কর্তা আর অনি বেরিয়ে যেতেই একটা ছোটো কাঠের বাক্স হাতে কাকলি অনন্যার ঘরে গেল। খুব স্নেহমিশ্রিত গলায় বলল, “দেখো অনন্যা, তুমি আর অনি ছাড়া আমাদের আর কে আছে বলো? তোমরা ভালো থাকো, সুখে থাকো, এছাড়া আর কিই বা চাওয়ার আছে? আমাদের বয়স হয়েছে, ক’দিনইবা বাঁচবো! তারপর সব তোমাদেরই দেখেশুনে রাখতে হবে মা! আমার কিছু সোনাদানা আর অনির ছোটোবেলার গয়না আছে এতে। এটা তুমি যত্ন করে রেখো তোমার কাছে। যখন কিছু পরতে ইচ্ছে করবে, তোমার থেকে নাহয় চেয়ে নিয়ে পরবো। এখন এই বাক্স নিয়ে তুমি আমায় ভারমুক্ত করো মা!”। চুপচাপ গয়নার বাক্সটা শাশুড়ির হাত থেকে নিয়ে আলমারিতে তুলে রাখলো অনন্যা। 
    অনি জানতে পেরে ফেটে পড়লো - “তুমি ওকে সব গয়না দিতে গেলে কেন মা? এ গয়না আর তুমি ফেরত পাবে ভেবেছো?”  
    - “ওভাবে কেন বলছিস বাবা। ওর দিক থেকে ভেবে দেখ তো। ছোটোবেলাটা কত কষ্টে কেটেছে! নিজেদেরই বাড়ি-সম্পত্তি, নিজেরাই ভোগ করতে পারেনি। তাই ওর মনের মধ্যে একটা নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে সবসময়। তাছাড়া আমার তিনকাল গিয়েছে। এখন আর ওই গয়না দিয়ে আমি কি করবো? থাক না ওর কাছে। তুই এ নিয়ে আর কিছু বলিস না বাবা!” 

    মাস পাঁচেক পর অনির ধারণাই সত্যি হল। একদিন ‘বিয়েবাড়ি যাবো’ বলে দুটো বড়ো ট্রলি নিয়ে বেরিয়ে আর বাড়ি ফিরলো না। সঙ্গে সেই গয়নার বাক্সও উধাও। দুদিন বাদে ওর মা আর বোন এসে বাকি জিনিস নিয়ে গেল। অনন্যা ডিভোর্স চায়। অনি ভেঙে পড়লো! অফিস যায় না। কথা বলে না। খায় না। সারাদিন মনমরা হয়ে বসে থাকে আর অনন্যার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু অনন্যা ওকে সব কিছু থেকে ব্লক করে রেখেছে। একদিন অনির বাবা এক বন্ধুকে নিয়ে ওই বাড়ি গেল অনন্যাকে ফিরিয়ে আনতে। খুব অপমানিত হয়ে ফিরে এলো। অনন্যার স্পষ্ট কথা, “হয় সমস্ত সম্পত্তি আমার নামে লিখে দিন, নয় ছেলেকে বলুন খোরপোষ বাবদ নগদ পনেরো লাখ টাকা দিয়ে ডিভোর্স দিক। নইলে আপনাদের সবার বিরুদ্ধে ৪৯৮ ধারায় মামলা করবো। আমার উকিল রেডি আছে।”  

    অনির নিরীহ বাবা এই অপমান সহ্য করতে পারলেন না। স্ট্রোক হয়ে বিছানা নিলেন। কাকলি শান্ত হয়ে একদিকে স্বামী আর একদিকে সন্তানকে সামলায়!  প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন - কেউ পাশে নেই! সবাই নুনের ছিঁটে দিতে ব্যস্ত! অনির বন্ধুরা ওকে ফোন করে, মেসেজ করে, প্রমাণসহ ছবি পাঠিয়ে দেখাতে লাগলো অনন্যা কার বাইকে, কার গাড়িতে, এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোন এক ক্রোড়পতি মাড়োয়ারি ছেলের সঙ্গে নাকি সম্পর্ক হয়েছে। বন্ধুরা অনিকে নিয়ে খিল্লি করে, “তুই এই ছয় ফুটিয়া হাট্টাকাট্টা শরীর নিয়েও একটা মেয়েকে সামলাতে পারলি না। জিম-টিম করে কি করলি এতোদিন? ওদিকে পাঁচ ফুটিয়া মাড্ডু চ্যাংড়া কেমন সামলাচ্ছে দেখ! শুনছি ওই ছেলেটা বিয়ে করেই ওদের দুটো সিনেমাহলের একটা অনন্যার নামে লিখে দেবে।” অথবা, “আজ ওরা দুজন দার্জিলিং গেল প্রি-হানিমুন করতে”। অনি আর নিতে পারে না। সারাদিন ফোন সুইচড অফ করে রাখে।

    কাকলি ছেলের মাথায় হাত রাখে। অনি ভেঙে পড়ে, ‘ও কেন এমন করলো মা? আমি যে ওকে ছাড়া কিছুতেই’। খানিক থেমে আবার বলে, ‘জানো মা, অফিসে, পাড়ায়, রাস্তাঘাটে সবার চোখ শুধু আমার দিকে। কেউ কিছু বলে না। শুধু আমাকে দেখে আর নিজেদের মধ্যে কি যেন বলাবলি করে! আমার খুব অস্বস্তি হয়! বাড়ি থেকে আর বেরোতে ইচ্ছে করে না মা!’ 
    - “তা বললে হয় বাবা! মানুষ দুদিন দেখবে, আলোচনা করবে, তারপর আবার অন্য কোনো টপিক নিয়ে মেতে যাবে। এটাই মানুষের ধর্ম অনি। প্রত্যেকেই নিজেদের সমস্যায় জর্জরিত। কদিন আর অন্যকে নিয়ে ভাববে? দুদিন বাদে সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস। তুই আর ওসব নিয়ে কষ্ট পাস না বাবা!”

    অনি তবু মনে মনে কষ্ট পায়। অনুকে ঘিরেই যত স্বপ্ন ছিল! একসাথে দুজনে ভালবাসার পৃথিবী গড়তে চেয়েছিল। অথচ, ভিতটাই মিথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল এতদিন! অনির ভেতরটা কুরে কুরে খায় মা-বাবার জন্য। ওরই জন্য তাঁরা প্রতিনিয়ত আত্মীয়স্বজন-প্রতিবেশিদের দ্বারা বাক্যবাণে জর্জরিত হচ্ছেন! সবাই ছেলের বাড়ির দোষ দেখছে। মেয়ের কোনো দোষই আলোচিত হচ্ছে না! বাবা আজ প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী - সেজন্যও কি অনি দায়ি নয়? আচ্ছা, সমস্ত সম্পত্তি অনন্যার নামে লিখে দিলেও কি অনন্যাকে আগের মতো ভালোবাসতে পারবে অনি? অথবা, দাবি মতো এককালীন পনেরো লাখ টাকা সহ ডিভোর্স! অত টাকাই বা কোথায় পাবে? দুদিন অনেক ভেবেচিন্তে অবশেষে একটা চিরস্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজে পেল অনি।  

    সব সেরে রাতে নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করলো। বাইরে তখন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আলমারি খুলে অনন্যার একটা বহু-ব্যবহৃত চুড়িদারের ওড়না খুঁজে পেল। এটা ব্যবহার করেই আজ সে চিরকালের মতো সমস্যার সমাধান করবে। ফ্যান অফ করে ওড়নাটা নিয়ে নিচে এসে দাঁড়ালো। ড্রেসিংটেবিলের বড়ো আয়নাতে অনির প্রতিবিম্ব। এই কয়মাসে চেহারা খারাপ হয়ে গেছে। অথচ ভিড়ের মধ্যেও চোখে পড়ার মতো চেহারা ছিল অনির। কত মেয়ে যে পাগল ছিল ওর জিম করা ফিগারের জন্য। অথচ সে? ব্যালকনিতে খোলা জানলার পাশেই খাঁচায় পোষা টিয়াটা ঘুমোচ্ছে। ফ্যানের সাথে ওড়নাটা ঝুলিয়ে একটা গিঁট দিল। এবার জানলাটা বন্ধ করতে হবে। হঠাৎ ঘরের দিকে মুখ করে টিয়াটা তারস্বরে চেঁচাতে শুরু করলো। কি মুশকিল! এমন চেঁচালে মা-বাবার ঘুম ভেঙে যাবে যে! ওই ছোট্ট পাখিটা কি বুঝতে পারছে কি ঘটতে চলেছে? নইলে হঠাৎ চেঁচাতে শুরু করলো কেন? পাখিটা অনিকে খুব ভালোবাসে। কতবার খাঁচার দরজা খুলে দিয়েছে। পালায় নি। অনির হাতে, ঘাড়ে, মাথায় এসে নিশ্চিন্তে বসে থেকেছে। শুধু কি পাখিটাই? আর মা-বাবা? তাঁদের তো অনি ছাড়া কেউ নেই! বাবা বিছানায় শয্যাশায়ী। মা একা সব সামলাতে পারবে? বাইরে কোথায় খুব জোড়ে বাজ পড়লো। চমকে উঠলো অনি। কিছুক্ষণ কান-মাথা দুহাতে চেপে বসে থাকলো। সারা শরীরে গলগলে ঘাম। কি মনে হতেই ড্রয়ার থেকে বন্ধ মোবাইলটা বের করে অন করলো। প্রথমেই নিজের ফেসবুক একাউন্টটা ডিলেট করলো। তারপর বন্ধু উপাধিধারীগুলোর নম্বর একে একে ব্লক করলো। বেশ হাল্কা লাগছে এবার! এখন শুধু একটাই কাজ বাকি রইলো। সেটা হলো কাল ব্যাংকে গিয়ে পনেরো লাখ টাকার জন্য লোনের এপ্লাই করতে হবে।

    ------------------------------------------------------- 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন