এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জাপান ৮

    Rumjhum Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ মে ২০২২ | ৪৩৮ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • গিয়ন কর্ণার আর ফুশিমি ইনারি ঘুরে এসে  রাতে বিছানায় যেতেই কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি জানতেও পারিনি। পরেরদিন সকাল বেলা যখন ঘুম ভাঙল তখন বেশ খানিকটা বেলা হয়ে গেছে। যদিও আকাশের ভারমুখ দেখে মোটেও বোঝার উপায় নেই বেলা কতটা হয়েছে। দলের বাকিরা সবাই মোটামুটি তৈরি হয়ে গেছে। তারা প্রাত:রাশের জন্য রওনা হল। আমিও স্নান করে প্রাত:রাশের ঘরে পৌঁছে গেলাম। আমরা যেখানে আছি সেটা ঠিক হোটেল নয়, হস্টেল তা আগেই বলেছি। এখানে একটা কিচেন আছে, বাসনপত্র সব আছে। বাইরে থেকে পাউরুটি, দুধ, ডিম এসব কিনে এনে নাম লিখে ফ্রিজে রেখে দেওয়া চলতে পারে। আমাদেরও কিছু খাবার মজুত ছিল। সেগুলো দিয়ে নিজেদের ব্রেক ফাস্ট বানিয়ে নেওয়া গেল। চা, কফির ব্যবস্থা হস্টেল থেকেই করা হয়। ব্যবহার করা বাসন পত্র নিজেদেরকেই ধুয়ে পরিস্কার করে যথাস্থানে রাখতে হয়। জাপানের সর্বত্র 'সেল্ফ সার্ভিস' লাগু আছে। এদেশে শ্রমের মূল্য অপরিসীম। এমন কি শপিং মলে, মুদিখানার দোকানে, জুতো বা কাপড় জামার দোকানে নিজের পছন্দের জিনিস নিজেদেরকেই প্যাকিং করে কোন কোন ক্ষেত্রে নিজেরদেরকেই দাম মিটিয়ে দিতে হয়।হোটেলে বা কাফেতে খাওয়া হলে এঁটো বাসন নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার নিয়ম চালু আছে। সমগ্র জাপান জাতি স্বনির্ভরতার এই মহান ধর্মে দীক্ষিত। ইতিমধ্যে অঝোরে বৃষ্টি নামল কিয়োতো শহরে।কাঁচের জানালার বাইরে বৃষ্টির আলপনা দেখতে দেখতে ভাবছি আমার শহর বলে আসলে কোন ধারণাই স্থিতিশীল নয়। এই মুহুর্তে এটাই আমার শহর। সে শহরে ভরা বসন্তে বর্ষার ধারায় সিক্ত। আজ আমাদের কিয়োতো শহরের কিছু ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘুরে দেখে  ওসাকায় পৌঁছে সেখানে রাত কাটানোর কথা। দু রাত ওসাকায় কাটিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে কিয়োতো পৌঁছে সেখান থেকে হিকারি ট্রেনে টোকিও ফেরা হবে।প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য আমাদের ভ্রমণ সূচীতে কিছুটা পরিবর্তন করা হল।ঠিক হল এখনই ওসাকা চলে যাওয়া হবে। যা দেখা বাকি রয়ে গেল ফেরার দিন সকালবেলা কিয়োতোয় ফিরে সে সব দেখে সন্ধ্যার ট্রেন ধরে ফিরে যাওয়া হবে টোকিও।অতএব হস্টেলের দেনা পাওনা মিটিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম ওসাকার উদ্দেশ্যে।  কিয়োতো থেকে ট্রেনে উমেদাস্টেশনে পৌঁছলাম ৪৫ মিনিটে। এই দেশে প্রায় সব স্টেশনে মালপত্র জমা রাখার লকার ভাড়া পাওয়া যায়। স্টেশনে মালপত্র রেখে আমরা মিদোসুজি লাইনের মেট্রো ধরে পরের স্টেশন হোমামাচি পৌঁছলাম।সেখান থেকে চুয়ো লাইন ধরে ওসাকাকো স্টেশন। আমাদের এখনকার গন্তব্য ওসাকা অ্যাকুয়ারিয়াম। এত কান্ড করে আসা দুটো ইয়েন বাঁচানোর জন্য। বাচ্চা পার্টি আনন্দে ডগমগ। তাই এই আনন্দকে কাজে লাগিয়ে ওসাকাকো থেকে পায়ে হেঁটে পাড়ি দেওয়া গেল ১ কিলোমিটারের পথ।পৌঁছে গেলাম অ্যাকুয়ারিয়ামের সামনে। জায়গার নাম কায়ুকান। সামনে দেখা গেল বিরাট আটতলা বিল্ডিং। ওসাকা শহরের পশ্চিম দিকে এসে পড়েছি আমরা। টিকিট কাউন্টারে পৌঁছে আমাদের অবাক হওয়ার পালা। সেখানে অ্যাকু্যারিয়াম সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্যসমৃদ্ধ সুবেনিয়া্র পর্যটকদের বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছিল। দেখি জাপানী ভাষার সঙ্গে ইংরাজি তো আছেই এমন কি হিন্দি ও তামিল সুবেনিয়ারও উপলব্ধ আছে। মনটা খুশিতে ভরে গেল।

    কায়ুকান অ্যাকুয়ারিয়াম গড়ে তোলার মূলে দুটো প্রধান বিষয় ভাবনা কাজ করছে-- রিং অফ ফায়ার আর রিং অফ লাইফ।আসলে কায়ুকানের এই জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রদর্শনীর মূল ভিত্তি হল সত্তর দশকের বিজ্ঞানী জেমস লিভলকের ‘গাইয়া’ তত্ত্ব।এই তত্ত্ব অনুযায়ী পৃথিবীর সমস্ত জীবন্ত প্রাণ তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সংগতিপূর্ণ ও স্বয়ংক্রিয় জটি্ল একক ব্যবস্থার সাহায্যে পৃথিবীতে প্রাণের ধারা বজায় রেখে চলে। প্রশান্ত মহাসাগরকে বেড় দিয়ে ঘিরে আছে যে আগ্নেয়গিরি অঞ্চল তাই হল রিং অফ ফায়ার। রিং অফ ফায়ারের সংলগ্ন অঞ্চল  জুড়ে গড়ে উঠেছে বিরাট প্রাণীবৈচিত্র্য। তাই হলো রিং অফ লাইফ। কায়ুকানে গাইয়া তত্ত্বকে সম্মান জানিয়ে দুই বৃত্তের যথার্থ প্রতিরূপ গড়ে তোলার সৎ ও সাহসিক প্রচেষ্টাকে কুর্ণিশ না জানিয়ে কোন পর্যটকই বোধহয় ফিরতে পারবেন না জাপান থেকে। যত দেখি তত বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয়। কি নেই সেখানে। প্রশান্ত মহাসাগরের অতলের খবরও যে এভাবে জানা যাবে তা আমাদের কল্পনারও অতীত ছিল। ঢোকার মুখে কাঁচের অ্যাকুয়া গেট এমন ভাবে বানানোযেন মনে হয় সমুদ্রের তলা দিয়ে হেঁটে চলেছি। কত সামুদ্রিক জীব ঘুরে বেড়াচ্ছেনাগালের মধ্যে। কাঁচের দেওয়ালের ওপারে ওরা আর এপারেবিপুল সংখ্যক উৎসাহী জনতা। তারপর যে জায়গাটাপৌঁছলাম সেটা জাপানের জঙ্গলের আদলে তৈরি। সেখানেসালামান্ডার, অটার
    ইত্যাদি কিছু জীব জন্তু আছে। আমরা লিফটে চড়ে পৌঁছে গেলাম একদম ওপরের তলায়। উদ্দেশ্য এক একটা তলা দেখতে দেখতে নীচে নেমে আসা।বিভিন্ন অঞ্চলের জীবজন্তু রাখা আছে বিরাট বিরট এনক্লোজার জুড়ে। বাচ্ছারা তো বটেই আমরা যারা বড়ো আছি তাদেরও শুধু বিস্মিত হওয়ার পালা।পানামা গালফ, অ্যালুসিয়ান দ্বীপ, দক্ষিণ আমেরিকার রেন ফরেস্ট, দক্ষিণ মেরু, তাসমান সমুদ্র, প্রশান্ত মহাসাগর, এইসব দেখতে দেখতে নীচের দিকে নামতে থাকা। হাঁ করে সব দেখতে দেখতে সূদূর জাপানে থেকে কেমন করে জানি না নিজের মধ্যে গ্রামবাংলার অপুকে খুঁজে পেলাম।সেই রেল দেখতে যাওয়া, সেই মনের মধ্যে অসংখ্য প্রশ্নের ঢেউ আছড়ে পড়া, সেই অজানার প্রতি অমোঘ আকর্ষণ।
    গ্রামের ছেলে অপুর প্রথম রেল লাইন দেখতে যাওয়ার সেই আনন্দ আমার মনকেও গ্রাস করল। এক একটা ট্যাঙ্কের কাছে ভিড় উপচে পড়ছে। ব্যাপারখানা কি দেখতে গিয়ে বুঝলাম নির্দিষ্ট সময়ে এক একটা এনক্লোজারের সামনে ওই প্রাণীর খাওয়ানোর দৃশ্য দেখার জন্য এত ভিড়। সেই সঙ্গে জাপানের ভাষায় ওই প্রাণীর খাদ্যাভাস সম্বন্ধে আলোচনা করা হচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরের আদলে তৈরি করা হয়েছে বিরাট একটা এনক্লোজার। কি নেই সেখানে? সমস্ত রকম জলজ প্রাণী 
    আর উদ্ভিদ দিয়ে সাজানো এই এনক্লোজারে হাঙর দেখে তো আমাদের ছোটগুলো রীতিমতো উত্তেজিত। অবাক হয়ে দেখছি আমরা বড়রাও।রঙ বেরঙের ছোট ছোট মাছের ঝাঁক, ঘুরে বেড়াচ্ছে। জিজ্ঞাসা আর জিগীষা মানুষকে অন্যান্য প্রানীর থেকে আলাদা করেছে।প্রকৃতির অনুকরণে তৈরি বিরাট এই জলাধারের শোভা সর্বোপরি তাতে ঘুরে বেড়ানো মৎসকুলের বৈচিত্র্য দেখে উপলব্ধি করলাম আমার কাছে এই পৃথিবীর সিংহভাগ অংশ এতকাল অদেখাই রয়ে গেছে। অতল জলের বাসিন্দাদের দেখে মন যারপরনাই আনন্দে ভরে উঠল। হোমো স্যাপিয়েন্সের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল সে কল্পনা করতে পারে। তার কল্পনা আর অনুমান শক্তি তাকে সেই সূদূর আফ্রিকার বনপথ থেকে একবিংশের বৈজ্ঞানিক করে তুলেছে। বিস্ময় আর একরাশ আনন্দ নিয়ে ফিরছি আমরা। অ্যাকুয়ারিয়ামের সামনে একটা বড় ফেরিস হুইল আছে। বাচ্চারা সেটায় চড়ে বেজায় খুশি। এইভাবে ভীষণ সুন্দর একটা দিন কাটিয়ে স্টেশনের লকার থেকে মালপত্র নিয়ে আমরা ওসাকায় যে থাকার হষ্টেল ঠিক করা হয়েছে সেখানে গিয়ে পৌঁছলাম। সেদিনের মতো বিশ্রাম। তার পরের দিন আমাদের ওসাকা নারা আর কোবে ঘুরে দেখার কথা। কাজেই অনেক সকাল সকাল বেরিয়ে পড়তে হবে।এই হস্টেলের ডরমেটারিটা আমার খুব পছন্দ হল। মোট আটটা শয্যা আছে। বাঁশ আর বেত দিয়ে তৈরি শয্যাগুলো ওপরনীচ করে দু ধাপে বানানো। ছোট্ট ছোট্ট বাঁশের মই তৈরি করা হয়েছে ওঠানামা করার জন্য। সমস্ত ঘরখানার এই প্রাকৃতিক সাজসজ্জা মন ছুঁয়ে গেল। আমাদের রুম দোতলায় আর একতলায় আছে রান্না ঘর, বসে খাওয়াদাওয়া করার একটা বিরাট হল ঘর সেখানে টেবিল চেয়ার পাতা আর আর একদিকে একটা স্পেস যেখানে সনাতন জাপানের খাওয়ার ঘরের মতো ছোটো ছোটো নিচু টেবিল পাতা, সেখানে বসে আছেন অনেক বিদেশি এবং জাপানের মানুষ। তারা খেতে খেতে কেউ নিজেদের মধ্যে গল্প করছেন আবার কেউ বই পড়ছেন বা ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন। আমরা যথারীতি গোবিন্দভোগ চালের ভাত ফুটিয়ে ঘি দিয়ে খেয়ে নৈশ ভোজের পাঠ চুকিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। 
     

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন