এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বাংলা সমসাময়িক কবিতার অনুবাদের একটি নব্বই দশকীয় প্রয়াস

    bodhisattvagc dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ জানুয়ারি ২০২২ | ১৪৪০ বার পঠিত
  • মানবেন্দ্র বাবুদের সম্পর্কে একটা অভিযোগ শোনা যায় যে বিদেশি সাহিত্যের অনুবাদে তাঁরা যতটা সচেষ্ট ছিলেন তার কয়েক শতাংশ‌ মনোযোগ ও তাঁরা  যদি বাংলা সমসাময়িক সাহিত্যের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের অনুবাদে র ব্যাপারে দিতেন তাহলে বাংলা ভাষার সাহিত্যিক ও ভাষাকর্মীদের পরিচিতি , সম্মান বাড়তো। আমি তর্কটাকে ঠিক মাষ্টারমশাই দের , বুদ্ধিজীবী দের দায়িত্বজ্ঞান সংক্রান্ত তর্ক হিসেবে দেখিনা। আমার দুটো কথা মনে হয়, তুলনামূলক সাহিত্য তখন বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে তখন তার অভিমুখটা হয়তো মূলতঃ দুটো দিক থেকে নির্ণয় করা হচ্ছে। প্রথম টা হল সদ্য বিতাড়িত সাম্রাজ্যবাদী প্রভুর দেশ ইংল্যান্ডে রচিত ইংরেজি ব্যতীত ভাষার চর্চার একটা বিকল্প ঐতিহ্য গড়ে তোলার জন্য, পরে সেটাই তৃতীয় বিশ্বের সদ্য স্বাধীন দেশ গুলির  জনজাতি দের সাহিত্য চর্চার সঙ্গে , রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা র সঙ্গে একটা সেতুবন্ধন গড়ে তোলার কাজের প্রয়োজনীয় সুত্রপাতের কাজ হয়ে যাচ্ছে। এক ই সঙ্গে না হলেও ৮ এর দশক থেকে আর একটা ঘটনাও ঘটছে, ভারতীয় উচ্চশিক্ষার জগতের অন্তত প্রগতিশীল কেন্দ্র গুলোতে ইংরেজি সাহিত্যের পাঠক্রম ও চর্চার খোলনলচে  বদলে যাচ্ছে। ভারতীয় সাহিত্য, ভারতীয়দের রচিত ইংরেজি ভাষার সাহিত্যকে সামনে রেখে ক্রিটিকাল থিয়োরি পড়া হয়তো শুরু হচ্ছে। বাইরে থেকে এটুকু তো বোঝাই যায়, কলোনী পরবর্তী ভারতীয় রাজনীতির পরিবর্তন গুলিও এভাবেই পাঠে আসছে।  এই গোটা সময়টা জুড়ে ব্যক্তিগতভাবে মানববাবুকে এবং তাঁর সহকর্মী পন্ডিতদের ঘাড়ে এই দোষ চাপানোর কোনো মানে হয় না যে তাঁরা বাংলা সাহিত্যের প্রসারের কাজে মনোনিবেশ করেন নি। ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়, হিন্দী ভাষার আধিপত্যের রাজনীতিকে তাঁরা যথেষ্ট গুরুত্ব দেন নি, বিষয় শুধু এরকম সরলীকৃত না। ভাষার রাজনীতি তে নানা স্তরেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা র , রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার এবং প্রসারের অনেক ধরণে বিষয় থাকে যেটা শুধুমাত্র আকাদেমিক দের পক্ষে সমাধান সম্ভব না। যে বইটির ছবি দিলাম, তাতে অমিয় চক্রবর্তী, প্রেমেন্দ্র মিত্র,  জীবনানন্দ, সঞ্জয় ভট্টাচার্য, বুদ্ধদেব বসু, সমর সেন, অরুণ সরকার  থেকে শক্তি, সুনীল,বিজয়া, রাম বসু, বীরেন্দ্র, উৎপল, রাজলক্ষ্মী, ভাস্কর, নবারুণ, জয়, মল্লিকা, রাহুল পুরকায়স্থ পর্যন্ত একটা প্রায় ষাট বছর জোড়া বাংলা কবিতার যাত্রার নিদর্শন রয়েছে, খানিকটা কালচার ট্যুরের মত করে, প্রতি কবির অন্তত দুটি কবিতার অনুবাদ। অনুবাদ করেছেন মানবেন্দ্র বাবু, সুকান্ত চৌধুরী, সুপ্রিয়া রায়চৌধুরী ,স্বপন বাবু রা। রাখার মত পড়ার মত বই। উদ্যোগটি বহু নিন্দিত সেই সাহিত্য অকাদেমির। ভূমিকায় দেখা হয়েছে বইটি ১৯৯৫ নাগাদ অকাদেমি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের আয়োজিত একটি কর্মশালার ফসল। 
     
    প্রকাশনা সংক্রান্ত তথ্যঃ 
    Voices from Bengal,ISBN-978-260-2518-3
    প্রথম প্রকাশ - ১৯৯৭ প্রচ্ছদ - সুনীল‌ শীল
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ০২ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৩৭502432
  • আমি একজন কবিতা পাঠক হিসেবে এই প্রয়াসকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিতে রাজি নই। প্রথমত শিরোনামের দশকওয়ারি কবি ও কবিতা বিভাজনের ক্ষেত্রে আমার তীব্র আপত্তি ছিল, আছে ও আজীবন থাকবে। দ্বিতীয়ত কেন এই কবিদের এই দুটি করেই কবিতা নির্বাচিত হল, তার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা সম্ভবত অনুবাদক ও পাঠক - কেউই দিতে পারবেন না। তৃতীয়ত, এই যে বাংলা সাহিত্য বিশেষত কবিতাকে ইঞ্জিরির মাধ্যমে হাজির করা - আমি এটারও তীব্র বিরোধী। কারণ কোনও কবিতারই অনুবাদ হয় না বলে আমার নিজের ধারণা। সর্বোপরি এতে করে সামগ্রিকভাবে বাংলা সাহিত্য ও বিশেষ করে বাংলা কবিতার এক ইঞ্চিও আগু-পিছু হবে না, হওয়ার কথাও নয়। এটা একটা পরীক্ষামূলক প্রোজেক্ট ছিল এবং সেটি যে ব্যর্থতম প্রোজেক্ট - সেটা সোচ্চারে না বললেও চলে।
     
    তা ছাড়া সবকিছুকেই ইঞ্জিরিতে প্রকাশ করার ল্যালাপনা আমাদের কবে যাবে? আদৌ যাবে কি?
  • | 2406:7400:63:f353::***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:১৮502433
  • যতক্ষণ কবিতা , সবিতা কিংবা অনিতা কে নিয়ে বাতেল মারছে ততক্ষন আমি লালু নন্দন কে কিছু বলবো না | চালিয়ে যাক |
  • bodhisattvagc dasgupta | ০২ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৩৪502434
  • এলেবেলে র পোস্ট টা খুব ই দুর্বল হয়ে গেল। এই দুর্বলতা রিজনেবলি ভালো তার্কিক হিসেবে ই তাকে দেখতে আমরা অভ্যস্ত বলেই খানিকটা অবাক‌ লাগছে। একে একে বলি। 
    দশক ধরে কবিতা র অনুবাদ হয় কিনা, একটা ভ্যালিড প্রশ্ন অবশ্যই। তবে সাংস্কৃতিক ইতিহাসে দশক ধরে আলোচনা, কবিতায় গদ্যে আলোচনা, নতুন না। শরতকুমার মুখোপাধ্যায় সহ কৃত্তিবাসীদের পঞ্চাশের দশকের কবি নতুন বলা হচ্ছে না। এবং এই ক্রোনোলজিকাল ক্যাটিগোরি টি বাংলায় ছোট পত্রিকা থেকে উল্টো পথে বড় পত্রিকায় গেছে কারণ টাও সহজ। কারণ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী আভাগার্দ আধুনিকতার ইতিহাস এভাবেই লেখা হয়েছে ইউরোপে , আমেরিকায় দশক ধরে। কারণ টাও সহজ। কাফকা এবং দাদাইজম জিনিস গুলির কোনো যুদ্ধপূর্ববর্তী পূর্বসূরি বিশেষ নাই। তাই বলে কি অন্য অনেক কিছুর ই এমনকি এই উল্লেখিত সৃষ্টির তুল্য যেসব কাজ হয়েছে তার অন্তর্বস্তুর কোনো পূর্বাপর চেতনা চিহ্ন নেই ? তাই তো নয়। 
     
    বাঙালি কবি রা , সৃজনশীল লেখক রা অনূদিত হতে চান‌ না এরকম কোনো খবর আছে কি ?
    বিশেষ করে সেই পরিস্থিতিতে যখন ভীষণ ভূমিপুত্র বাদী পাবলিশার রা শিল্পীদের লেখকদের কবিদের খুব সম্মান করে উল্টে দিচ্ছেন এরকম খবর যখন‌নেই। এবং সর্বভারতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাঠক পাবার পরিচিত হবার আগ্রহ নেই বাঙালি লেখক দের এরকম খবর আমার কাছে নেই। আকাঙ্খা র স্তরভেদ থাকতেই পারে। 
     
     
    প্রোজেক্ট ব্যর্থ না সফল সেটা নিদান কে কাকে দেয় ? 
    তর্ক টাকে যদি সঠিক পথে পরিচালিত করতে হয় তাহলে বরঞ্চ প্রশ্ন করা উচিত , আকাদেমি র মুখের দিকে চেয়ে বসে না থেকে বাঙালি পাবলিশার রা অনুবাদে যথেষ্ট এগিয়েছেন‌ কিনা , বাংলাদেশে অনুবাদ তো হয়েছে তার উদ্দেশ্য কি আর তার কোনো ধরণের সাফল্য এসেছে কিনা ।
  • | 2406:7400:63:f353::***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:৩০502440
  • আমিও একটা কবিতা জানি ,
    হলদে সবুজ ওরাং ওটাং 
    ইট পাটকেল চিৎ পটাং | 
     
  • এলেবেলে | ০২ জানুয়ারি ২০২২ ২২:১৫502444
  • এঃ মাইরি খ, আমি মোটেই 'রিজনেবলি ভালো তার্কিক' নই। ইন ফ্যাক্ট তক্কো নয়, আমি পায়ে পা বাঁধিয়ে ঝগড়া করতে ওস্তাদ! 
     
    হ্যাঁ, ইউরোপে থার্টিস-ফর্টিস-ফিফটিস ধরে-টরে একটা সাহিত্য সমালোচনার ধারা শুরু হয় ঠিকই। আমরাও ওভাবেই ডিলান টমাস, জন অসবোর্ন কিংবা টেড হিউজকে পড়তে শিখেছিলাম। কিন্তু ইউরোপে চালু হলেই সেটা সর্বজনমান্য হয় না, তার আখাম্বা নকলনবিশিও করা জায়েজ নয়। এমনকি নকলটাও যে আমরা পুরোদস্তুর করে উঠতে পারিনি, সেটা আপনার শিরোনামের 'নব্বই দশকীয়' শব্দবন্ধে জ্বলজ্বল করছে। 
     
    এখন আমি যদি জীবনানন্দকে তিরিশের কবি বলি কিংবা শঙ্খ ঘোষকে পঞ্চাশের, তার মানেটা ঠিক কী দাঁড়ায়? তাঁরা ওই সময়ে শুরু করেন বলে তাঁদের ওভাবে চিহ্নিত করতে হবে? কেন? তাঁরা পরবর্তীকালে কবিতা লেখা থামিয়ে দিয়েছিলেন? ৪৬-৪৭ কোন সময়ের কবিতা? তাহলে এই পাইকিরি হারে ছাপ্পা মারার প্রবণতা কেন? এই করে বাংলা সাহিত্যে আমরা ইউরোপের নকলে যুগ বিভাজন শুরু করি। সেখানে আদিযুগের এক ও একমাত্র ধারক ও বাহক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকে চর্যাপদ। যেন ধড়ে প্রাণ ফিরে আসে! নাহলে যে মধ্যযুগটা আরম্ভ করা যায় না! তো কোন হিসেবে রামপ্রসাদ মধ্যযুগের কবি আর ঈশ্বর গুপ্ত আধুনিক যুগের? আপনি এই কৃত্রিমতাকে, এই চাপিয়ে দেওয়াকে এন্ডোর্স করছেন মাত্র। 
     
    অনূদিত হতে চাইলেই হওয়া যায় বুঝি? বইয়ের বাজার বলে একটা বস্তু নেই? সেখানে যেটা চলবে সেটা চম্পাকলি, যেটা চলবে না সেটা পেঁয়াজকলি। প্লেন অ্যান্ড সিম্পুল। তাই যদি সত্যি হত, তাহলে 'সাহিত্যপ্রেমী' বাঙালি ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সাহিত্যিকদের সঙ্গে পরিচিত হত। আপনার অভিজ্ঞতা তার পক্ষে কিছু ঠোস সবুত হাজির করতে পারবে কি? 
     
    আন্তর্জাতিক পরিচিতি? ভারতীয় সাহিত্যিক হিসেবে সতীনাথ বা জগদীশ গুপ্তের হয়নি। মুলক রাজ আনন্দ কিংবা অমিতাভ ঘোষের হয়েছে। কেন হয়েছে সেটা আপনি আমার থেকে ঢের ভালো জানেন।
     
    প্রোজেক্টটাকে ব্যর্থতম বলেছি এই কারণে যে ২০২২ সালে বসে আপনি ২৫ বছর আগে প্রকাশিত একটি গ্রন্থ বা পুস্তিকা নিয়ে আলোচনা করছেন। পরবর্তীকালে এই গ্রন্থের কতগুলো সংস্করণ হয়েছে? আজ অবধি তার কতগুলো খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে?
     
    কলকাতায় বাংলা বইয়ের বাজার মানে হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টে, বাঁটুল ও অন্যান্য দাদা, ভূত, থ্রিলার আর পানু। সেখানে অনুবাদ খুব একটা চোখে পড়ে না। বাংলাদেশে কাজটা সিরিয়াসলি হয়, বিশেষত প্রবন্ধ গ্রন্থের অনুবাদ। কলকাতায় সেটা করলেও পাঠক পাওয়া যাবে না। কারণ কলকাতার প্রকাশকরা মাছের আড়তদারদের থেকেও ঘাঘু মাল। তাপসের সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে জেনেছি, সন্দীপন একদা আক্ষেপ করে বলেছিলেন লেটার প্রেসের জমানায় তিনি তবু রয়্যালটি-টয়ালটি বাবদ কিছু পেতেন। কিন্তু অফসেট জমানায় সেসব চিরতরে অফ হয়ে গেছে। সন্দীপনের যদি এই হাল হয়, সেখানে কে হায় হৃদয় খুঁড়ে...।
  • | 2406:7400:63:f353::***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:০২502446
  • আচ্ছা নন্টে ফন্টে নিয়ে কোনো তাত্ত্বিক প্রবন্ধ  যাতে  বামপন্থা, নারীবাদ , সমাজ সচতেনতা এই সব জিনিস একসাথে চটকে কেউ লিখবে না ?? 
    মাসিমা আর ​​​​​​​মেসোমশাই ​​​​​​​রা ​​​​​​​একটু ​​​​​​​হাত ​​​​​​​লাগান ​​​​​​​| 
     
  • | 43.25.***.*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২২ ১০:০৮502463
  • বাংলা কবিতার ইংরিজি অনুবাদ বঙ্গদেশে প্রকাশের মানে নাই। বিদেশে বা নিতান্ত অন্য প্রদেশে রিলিজ করা উচিত। বিক্রিবাটার হিসেব তার ভিত্তিতেই হওয়া উচিত। প্রচার বা এনডোর্রসমেন্টও তাই। যাঁরা অন্য দেশের লেখা বাংলায় অনুবাদ করেছেন, তাতেই মূলত জীবনপাত করবছেন, তাঁরা অন্তত বাঙালীর পড়াশুনোর ক্ষেত্রটা বাড়িয়ে দিয়ে গেছেন। বাঙালীর লেখালেখির মান এ ম্যাচুরিটি ও বিশ্ববীক্ষা, আন্তর্জাতিকতা বা সচেতনতা আনার ব্যবস্থা অন্তত করে দিয়ে গেছেন। 
     
     
    যিনি ভালো করে ঘর ঝাড়পোঁছ করে ধুয়েমুছে তকতকে রাখেন, তিনি কেন যথেষ্ট সবুজ বাঁচাও আন্দোলনে অংশ নেন নি, পাড়ায় পোঁতা গাছের বেড়া মেরামতে অগ্রণী ভূমিকা নেন নি বা কেন যথেষ্ট গাছ পোঁতেননি - এটা কোনও লজিক হল?
  • দুদ্দুর | 2605:6400:30:f30f:6a6a:dfb1:73d8:***:*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২২ ২১:২৩502482
  • বাংলাদেশের বঙ্গানুবাদের মত খাজা প্রোডাক্ট এপারে দুর্লভ। ওখানের বাজার বলতে পাইরেটেড সুনীল সমরেশ এটসেট্রা।
  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২২ ২২:২৬502483
  • হুম। তাই দীপেশ চক্রবর্তী কলকাতাকে পাত্তা না দিয়ে বাংলা বই বাংলাদেশ থেকে প্রকাশ করেছেন। তাই এলিজাবেথ কলস্কির Colonial Justice in British India কিংবা বার্নার্ড কোহন-এর Colonialism and Its Forms of Knowledge অথবা রমেশ দত্ত কিংবা জেমস টেলর হুলিয়ে অনূদিত হচ্ছে ওদেশে। 
  • একক | ০৪ জানুয়ারি ২০২২ ১০:০৯502488
  • বইটা পড়া নেই। পড়ব।  অনুবাদ নিয়ে আগ্রহী বলেই পড়ব। 
     
    দশক ধরে ক্লাসিফাই করা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অর্থহীন। কী আর করা। কবিতার জগতে আর " মুভমেন্ট " নেই ত।  বিশ্বব্যাপী-ই নেই। অতএব ধোপার খাতার মত দশক ধরে চর্চাই শ্রেয়। 
     
    অনুবাদ জিনিসটা আইডিয়াল অর্থে কোন ক্রিয়েটিভ পীসের ই হয়না।  গপ্পের ও নয়। কবিতার ও নয়। গপ্পের অনুবাদ করলে প্লট টুকু পাওয়া যায়। কবিতার অনুবাদ কল্লে একটা কনভারসেশন বা মেসেজ উঠে আসে বড়জোর। 
     
    কিন্তু অনুবাদকে হতচ্ছেদ্দা কল্লেও অনুবাদপ্রয়াস কে খুব গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য অভ্যাস মনে করি। এ এক অসম্ভবের সাধনা যেখানে ভাষাকে কলচরে এবস্ট্রাকট করে অন্য কলচর এর সঙ্গে ম্যাপ করে  আবার তাদের ভাষার মাটিতে ল্যান্ড করতে হয়। বেশিরভাগই ক্রাশ ল্যান্ডিং এবং মুখ থুবড়ে পপাত চ মমার চ। 
     
    কিন্তু অই অপপ্রয়াস। ওইটে চিন্তার মাসল বিল্ডিংয়ের কাজে লাগে। উটিই আসল। ফলাফলস্বরূপ আমি ইঞ্জিরিতে চাট্টি কাওয়াবাতা পড়ে ধন্য হলুম বা কোন সায়েব বাচ্চা জেডি পড়ে প্রচুর হ্যাল খেল, ওসব জাস্ট বাইপ্রোডাক্ট। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন