এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নায়কের উত্থান এবং অপমৃত্যু

    শিমূল সেন লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ অক্টোবর ২০২১ | ৫৫১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • দুটো ঘটনাকে পাশাপাশি রাখব আমরা। গত বছরের কথা। সুশান্ত সিংহ রাজপুত ‘আত্মঘাতী’ হলেন। আমরা যারা সুশান্তের নামটুকুই জানতাম কেবল, এ বার বিস্ময়াবনত হয়ে চেয়ে দেখলাম, পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে গেল সুশান্ত ন্যায়মঞ্চ, সুশান্ত স্মৃতিসংঘ। ‘খুনে'র বিচার চেয়ে পদযাত্রা হল, এমন কী কলকাতারও বেশ কিছু মহল্লায়, পল্লিতে। কালীঘাট মন্দিরে চড়ল পুজো। প্রতি রাতে অর্ণব গোস্বামী তারসপ্তকে চ্যাঁচামেচি করতে থাকলেন, গোটা একটা জাতি দু’-তিন মাস ধরে তারিয়ে তারিয়ে খেল সে সব। খুব কম শব্দ খরচ করলে, স্রেফ অপ্রমাণিত সন্দেহের ভিত্তিতে সুশান্তকে নিয়ে যে অদৃষ্টপূর্ব তোলপাড় উঠেছিল ভারতীয় জনসমাজে, তা যে কোনও মহাতারকার কাছেই ঈর্ষণীয় বেঞ্চমার্ক।
     
    চলে আসি ২০২১-এর সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে। গাঁজা-চালানের গুরুতর অভিযোগে পুলিশের হাতে বমাল ধরা পড়েছেন শাহরুখ খানের ছেলে, আরিয়ান। রাজনৈতিক রং, ফাঁসিয়ে দেওয়ার অনুযোগ যে ইতিউতি শোনা যাচ্ছে না, তা নয়। এনসিপি আর কংগ্রেস: মহারাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে দুই জবরদস্ত বিরোধী দল এই নিয়ে মুখ খুলছে ক্রমাগত। অথচ, শাহরুখের ইমেজ এবং এত কালের কীর্তিভারের নিরিখে, অন্তত সোশ্যাল মিডিয়া যদি কোনও বৈধ মানদণ্ড হয়, পানাপুকুরে ঈষৎ ঢিল পড়ার শব্দও বিশেষ শ্রুতিগোচর হচ্ছে না।
     
    ঠিকই, নেহাতই আবিল গণ-উচ্ছ্বাস থেকে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া জন্ম নেয়, এতটা সরলরৈখিক হয়তো থাকে না পরিস্থিতি, সব সময়। পর্দার আড়ালের সন্ধি, নাটক, ক্ষমতার চোরাগোপ্তা খেলা – সব কিছুই জোরালো ভূমিকা নেয়, এ সমস্ত ঘটনায়। তবু, স্রেফ শাহরুখ বলেই আগ বাড়িয়ে শিশুতোষ প্রশ্নটা রাখছি: এত নীরবতাই বা কেন?
     
    সুশান্তের ঘটনাটি বোধ হয় এ ক্ষেত্রে কিঞ্চিৎ আয়রনিকাল। যাঁরা সে সময় পর্দা চাক্ষুষ করেছিলেন, তাঁদের অনেকেরই মনে থাকবে– বলিউড-সাম্রাজ্যের তামাম অধিকারীদের বিরুদ্ধে একটা জনরোষ সে সময় তৈরি করা হয়েছিল। তার মূল টার্গেট ছিলেন, তিন খান: শাহরুখ, সলমন ও আমির। এই গুরুত্বপূর্ণ পটবদলকে ওই সময় বহু মহাজন নানা ভঙ্গিতে তর্জমা করেছিলেন। কেউ বলেছিলেন, পর্দার আড়ালের ক্ষমতাসাধ্য কূটক্রীড়াই আসলে এ সব প্রচারণাকে উস্কে দিচ্ছে। একটু উদারপন্থী কেউ বলেছিলেন, এবং সঙ্গত ভাবেই: বলিউডের যে আপাত-ধর্মনিরপেক্ষ তথা কসমোপলিটান চরিত্র বজায় রয়েছে বিগত কয়েক দশক ধরে, এই তীব্র অ্যান্টিক্যাম্পেন আসলে সেই লালিত ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই। হতেও পারে। কিন্তু, আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল আর একটা পরত, যা নিয়ে বিশেষ কথা হয় নি সে সময়। 
     
    প্রশ্নটা মোদ্দা। মিডিয়া হাউজ লোক খ্যাপাবে, আর গড্ডলপ্রবাহী জনতা তাতে দিব্য নেচে উঠবেন: এমন খাপে-খাপ ফর্মুলায় আমার কোনও আস্থা নেই। বরং, অনেক জরুরি হল, কী ভাবে পুরোনো সমাজের নকশাগুলো ভেঙে পড়ে, আর তার পুরোনো আইকনের অপমৃত্যু ঘটে নতুন যুগসন্ধিতে– তার একটা ময়নাতদন্ত করা। 
     
    যুক্তিটা সহজ। সুশান্ত, এবং শাহরুখ– দু' দিক থেকেই তাকে পরখ করা যায়। সুশান্তের দিক থেকে ভাবা যাক প্রথমে। সাঁটে লিখলে, তাঁর জীবন-আখ্যান শুরু হয় বিহারের অখ্যাত গ্রাম থেকে– বিস্তর জনপদ উজিয়ে তা সমে এসে পড়ে বাণিজ্যসফল, শ্রেষ্ঠী-সংকলিত, বিনোদন-রাজধানী মুম্বইতে। সুশান্তের এই ব্যক্তিগত জার্নি, এক হিসেবে ভাবলে, উপমহাদেশে তামাম গ্লোবালাইজেশনেরই অভিযাত্রা (দুঃখিত, ‘বিশ্বায়ন’ শব্দটি তেমন পছন্দ করি না)। সুশান্ত যাঁর পোস্টার-বয় হয়ে উঠেছিলেন সিনেমার পর্দায়, তাঁর গল্পটাও ভাবা যাক না। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি জন্মান আধুনিক ভারতের ক্রিকেটবৃত্তের পরিধিরও পরিধিতে– সেখান থেকে, হয়ে ওঠেন একশো কুড়ি কোটির দেশের হৃদয়-অধীশ্বর– সপাটে, ক্ষমতা-নিগড় থেকে চ্যুত করে দেন এত কালের ক্রিকেট-অধিরাজ: বম্বে আর দিল্লির জমানা। সুশান্ত এবং ধোনি– উভয়ের গল্পটাই, মাত্রাগত ভাবে মোটামুটি এক। নব্বইয়ের দশক নিয়ে বহু নস্টালজিয়া চটকানো হয় বটে ইদানীন্তন, কিন্তু শূন্য দশকের ক্যাথারসিসটুকু হজম না করলে, তার অনেক আলোচনাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এ হল সেই পটবদলের সময়, যখন আইডিয়া তার আইপিএল-যোজী বিজ্ঞাপনে সগর্ব ঘোষণা শোনাত: ‘গ্রামগুলো শহর হয়ে যাবে।’ তথাকথিত পরিধিপ্রান্ত থেকে আধুনিক পুঁজি-সঞ্চালনের রথে সওয়ার হয়ে রাজধানীতে উপনীত হওয়ার গল্প, আসলে, ইতিহাসের যে কোনও গ্লোবালাইজেশন-প্রক্রিয়ারই একটি নিহিত সাব-প্লট। সুশান্ত সিংহ রাজপুত, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে, সেই প্রান্তীয় অস্মিতার গুরুত্ববহ প্রতিনিধি। 
     
    এরই বিপ্রতীপে, গল্পটাকে শাহরুখ খানের দৃষ্টিকোণ থেকে মাপা যায় যদি? গ্লোবায়ন-স্পৃষ্ট হয়ে যে প্রজন্ম বেড়ে উঠেছিল উত্তর-নব্বই, এক কথায় বললে, শাহরুখ ছিলেন তাদের অন্যতম মুখ্য অভিভাবক। একটা আস্ত প্রজন্মের প্রজন্মতা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল যে যে দ্যোতনায়– শাহরুখ তার অন্যতম। গ্লোবালাইজেশন সত্যিই প্রান্তিকের ম্লান মূক মুখে ভাষা সরবরাহ করেছিল কি-না, এই নিয়ে বহু বিদ্বজ্জন তর্ক জুড়তে পারেন। জুড়েছেনও। কিন্তু, গ্লোবায়ন যে আখেরে এক বড় সামাজিক পটবদলকে প্রশস্ততর করে তুলেছিল, তা অস্বীকার করা অন্যায়। শাহরুখ খান সেই সময়কে নিশ্চিত পাহারা দিয়েছেন, যখন একটু একটু করে মোবাইল ঢুকছে বাজারে, ইতস্তত গড়ে উঠছে সাইবার-বিপণি, খোলা বাজারকে চুটিয়ে চাখছে দেশ (তার মধ্যে বৈষম্য ছিল দুস্তর, এই কথাটাও লিখে রাখা জরুরি)। গণ-অভিজ্ঞতায়, সম্ভবত, একটা বিরাট বদল ঘটে যাচ্ছিল– অনেকের কাছেই, হয়তো-বা, সে বড় সুখের সময়, আনন্দের সময়ও বটে। এ-পথেই যদি হয় ইতিহাসের ক্রমমুক্তি, সেই প্রকল্পনার কিছু মূর্তি লাগে বই-কী। নব্বই-প্রজন্মের কাছে শাহরুখ, সেই মান্য প্রতিমা, যার আবেদন প্রশ্নাতীত, শিরোধার্য। 
     
    মধ্যরাতের এ-হেন সন্তানেরাও নিশ্চিত বড় হয়েছেন। চেয়ে দেখেছেন, একই সঙ্গে, গ্লোবালাইজেশন-প্রকল্পের যুগপৎ সাফল্য ও ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতাকে নেহাত অর্থনীতির শুকনো পরিসংখ্যানে মাপলে চলে না– তাকে আন্দাজ করতে হবে যৌথ মনস্তত্ত্বের আভাসনে, গণ-প্রতিক্রিয়ায়। এই বিপুল যজ্ঞে যারা টুকরোটাকরা সমিধ হিসেবে ব্যবহৃত হল, দিনের শেষে তারা কি সন্তোষ পেলেন? এই হল মোদ্দা প্রশ্ন, এবং তার উত্তর: না। তার নমুনা আমরা চোখের সামনেই দেখছি হালে।
     
    আমি সাবধানেই হিন্দুত্বকে এই আলোচনার বিষয়পরিধি হিসেবে বাদ রাখতে চেয়েছি। হিন্দুত্বের স্বর আদৌ ভূতপূর্ব প্রান্তিকের প্রতিনিধিত্ব করে কি-না, এই বিষয়ে বহু তাত্ত্বিক তরজা হয়েছে, ওই অনুপুঙ্খে ঢুকতে আমি নারাজ। খুব সাদামাটা ভঙ্গিতে, এটুকু অন্তত বিবেচনা করা যায়– কাঙ্ক্ষিত সুদিনের প্রত্যাশা দেখতে দেখতে নব্বই-প্রসূতরা শাহরুখ খানকে– নিছক ব্যক্তি হিসেবে নয়, বরং, একটা আস্ত প্রজন্মের আলম্ব হিসেবে মেনেছিলেন, কৌতুক-ফেরে তিনি নিজেই আজ বৃদ্ধ ক্ষমতাতন্ত্রে পর্যবসিত। আর, তাঁর মানস-সন্তান যাঁরা সে দিন অচ্ছে দিনের প্রত্যাশায় উড়াল দিয়েছিলেন, তাঁরা অসুখী। এই যুক্তিতেই, সুশান্ত বনাম শাহরুখের বাইনারি ঘনীভূত হয়ে ওঠে– যেখানে প্রথম জন প্রতারিত, দ্বিতীয়টি প্রতারক। এবং, আরও লক্ষণীয় ভাবে, এমবিএ-বিরোধী হিন্দুত্ব-ঘেঁষা জনমত তাকে সহজেই গিলে নিতে পারে। এ ভাবেই, টুকরো টুকরো জনচেতনার নির্মাণ হয় আর অতীতের নায়ক সাব্যস্ত হয় বেহদ্দ শয়তান-মর্মে। সার্বিক অর্থনৈতিক সংকট থেকে পুঞ্জীভূত শ্রেণিক্ষোভের বদলে, জন্ম নেয় মাৎসর্যের আপেক্ষিক রাজনীতি– যে সত্যকে ঠাহরই করতে পারে না প্রচলিত বাম তাত্ত্বিকতা। 
     
    ইন্টারনেটের এঁদো পরিসরে হয়তো হয়তো প্রশ্নটার এটুকু ছালচামড়া পেশ করাই যথেষ্ট। আমি অর্থনীতিবিদ বা সমাজ-মনস্তত্ত্ববিদ কোনওটাই নই– এই লেখা সে ভাবে না-পড়াই ভাল। হয়তো অভিনব কিছুই নয়, নেহাতই সহজবোধ্য এই প্রস্তাবনা। তা হোক। কিয়েকগার্দ তাঁর সিকনেস আনটু ডেথ বইতে না-কি বলেছিলেন: দ্য ইউথ হ্যাজ দ্য ইলিউশন অফ হোপ, অ্যাডাল্ট হ্যাজ দ্য ইলিউশন অফ রিকালেকশন। দুর্বল বাংলায়, ‘যৌবন সুখস্বপ্নের খোয়াব দেখে, আর প্রবীণরা দেখেন রোমন্থনের খোয়াব।’ সময় বড় কালান্তক। অধুনার সময়, বুঝি-বা, আশাভঙ্গের সময়, আর স্বপ্নচ্যুতির-ও। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন