এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সেমন্তী আর পিউ-এর গল্প

    Biman C লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ অক্টোবর ২০২১ | ৬৪০ বার পঠিত
  • আজ সেমন্তীর সকাল-সকাল ঘুম ভেঙে গেছে। চোখটা যদিও খুলতে ইচ্ছে করছে না। তোমরা আবার ভেবো না যেন, আমাদের সেমন্তী রোজ তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ে। অন্যদিনতো মা প্রায় জোর করে বিছানা থেকে তুলে, দাঁত মেজে, স্কুলের জামা পরিয়ে, খাইয়ে দেয়। চোখ খুলতে, খুলতে স্কুলের বাসে। তারপর অবশ্য মজাই আলাদা। কতকিছু যে গল্প করার থাকে, সে তোমরা বুঝবে না। কিন্তু আজ তো স্কুল নেই, ছুটি। তাই ঘুমটা তাড়াতাড়ি ভেঙে গেল। আচ্ছা, এবার কি করা যায়! চোখ বুজেই ভাবতে থাকে সেমন্তী। মায়ের চোখের পাতা দুটো একটু টেনে ফাঁক করে ঘুমটা ভাঙিয়ে দেবে? না, না, মা তাহলে ভীষণ রেগে যাবে। ছুটির দিন তারপর আবার দুধ-কর্ণফ্লেক্স দেবে, ফ্রেঞ্চ-টোস্ট না দিয়ে। আর যদি টাইমস টেবল দিয়ে বসিয়ে দেয় তো, সারাদিনটাই মাটি। বরং বাবার পেটের উপর চেপে বসে একটু কাতুকুত দিলে হয়। দারুণ মজা হবে। বাবা এমন বাচ্চাদের মত করে যে হাসতে হাসতে পেটে ব্যথা হয়ে যায়।

    আজকে আবার বাবার সাথে পিউ-এর জন্য একটা নতুন খাঁচা কিনতে যাওয়া আছে। আমাদের সবার নতুন জামা হয়েছে পুজোর। সেমন্তীর তো সাতটা জামা হয়েছে, আর ছোটমামীর গিফটটা এখনও আসেনি। ওরা এখানে থাকে না তো। তাই সেমন্তী এবার ঠিক করেছে, পিউ-এরও নতুন খাঁচা করে দেবে। মা একটু আপত্তি করছিল, কিন্তু বাবা এককথায় রাজী। আজ যাবে খাঁচা কিনতে। পিউ কে জানো তো? ও তোমাদের সাথে তো পিউ-এর আলাপ করিয়ে দেওয়া হয়নি। পিউ হল সেমন্তীর ছোট্ট টিয়া। ভীষণ মিষ্টি। কি সুন্দর সবুজ রঙ, লাল ঠোঁট। দেখলেই তোমার ভালবাসতে ইচ্ছে করবে। সেমন্তীর বন্ধুরা তো যেই দেখে, সেই বলে, “কি কিউট!” সেই মিষ্টি, কিউট পিউ, সেমন্তীর ঘরেই থাকে, কাঁচালঙ্কা আর ছোলা খায়। বাবা নাকি মাঝে মাঝে কিসব পোকা-মাকড়ও খাওয়ায়। কিন্তু সেমন্তী দেখেনি। ও পোকাগুলোকেও খুব ভালবাসে, সেগুলোও বেশ কিউট। মা ও চেঁচামেচি করে বাবার উপর, পোকা খাওয়ালে। আর পিউ দুষ্টুমিও করে। মাঝে মাঝেই ডাকে “বুঁড়ী! বুঁড়ী!” আর কোনো কথা বলে না। বুড়ী কে জানো তো? এ মা, তাও জানো না? আমাদের সেমন্তীকে বাবা আদর করে ডাকে বুড়ী, আর শুনলেই সেমন্তীর রাগ হয়ে যায়। আচ্ছা, সেমন্তী কি বুড়ী? ও এখন বলে ক্লাস ওয়ান-এ পড়ে। যদিও বড় হয়ে গেছে, একা একা খেতেও পারে, একলা ঘুমতেও ভয় পায়না, ওর মা ই এখনও বুড়ী হয়নি, ও কি করে বুড়ী হবে। ঠাম্মী আর দিদুন একটু বুড়ী হয়েছে। কিন্তু ওদের কেউ বুড়ী না বলে, সেমন্তীকে যদি বুড়ী বলে, সেমন্তীর রাগ হবে না, বলো? বাবার উপর অবশ্য রাগ করে থাকাও যায় না, ঠিক হাসিয়ে দেবে। কিন্তু পিউ জানে, সেমন্তী রেগে যায়, ও আরও দুষ্টুমি করে করে বলে, “বুঁড়ী! বুঁড়ী!” মা তো “মিষ্টি” বলে ডাকে, সেটাওতো পিউ বলতে পারতো, কিন্তু না। আর পিউ কিউট বলে সত্যি সত্যি কিন্তু আদর করতে যেও না। অদ্রিজাকে ঠুকরে দিয়েছিল সেদিন, আর অদ্রিজা ভীষণ কেঁদেছিল তারপর। ব্যথা লেগেছিল নিশ্চয়ই।

    তাও সেমন্তী ভীষণ ভালবাসে পিউকে। রোজ স্কুল থেকে ফিরে ওর খাবার জল পাল্টে দেয় আর তখন পিউ কিছু বলে না, শুধু ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে। আর তারপর সারাদিন স্কুলে কি হল, সব গল্পটা করা চাই পিউকে। সেদিন যে সেভেন টাইমস এইট আর সেভেন টাইমস নাইন একটু উল্টোপাল্টা হয়ে গিয়েছিল বলে মৌপিয়া আন্টির কাছে বকুনি খেয়েছে, সেটাতো পিউ ছাড়া আর কেউ জানে না। মাকে বলার সাহসই নেই, এমন চোখ করে তাকাবে, তোমরা সবাই তাতেই কেঁদে ফেলবে। বাবাকে আজ খাঁচা কেনা হলে বলে দেবে ভাবছে। বাবা এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না, বরং একটু আদর করে চকোলেটও কিনে দেয়। কিন্তু তখন আরও কান্না পেতে থাকে, কিছুই বলে না বলে। আচ্ছা, পিউ-এর কি মজা বলো তো, স্কুলে যেতে হয়না, দুধ-কর্ণফ্লেক্স খেতে হয়না, রাইমস মুখস্থ করতে হয়না, স্পেলিং লিখতে হয়না, অঙ্ক করতে হয়না। একেবারে কিছুই করতে হয়না। যদিও সেমন্তী ওকে একটু বকা-ঝকা করে, কিন্তু সেতো মিছিমিছি। আর কেউ পিউকে বকেও না, চোখ কটমট করে তাকায়ও না। কি মজা! সারাদিন চুপচাপ বসে থাকো, গল্প শোনো সবার আর মাঝে মাঝে সেমন্তীর সাথে দুষ্টুমি করো। সেমন্তীর তাই যখন খুব কান্না পায়, পিউ হয়ে যেতে ইচ্ছে করে। মৌপিয়া আন্টিও তাহলে কিছু করতে পারবে না, মাও বকতে পারবে না।

    এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে, সেমন্তী ঠিক করল এবার চোখটা খুলেই ফেলা যাক। চোখ খুলেই, একদম এফ-এম কাকুর মত বলবে, “গুউউড মর্নিং কোওওওলকাতা!” এমা, কথা তো বেরোলো না, কেমন একটা ক্র্যাঁ, ক্র্যাঁ আওয়াজ হল মাত্র। ঠাণ্ডা লেগে গেল নাকি? মা কালকে বলেছিল, অতক্ষণ শাওয়ার চালিয়ে স্নান না করতে। এখন ঠাণ্ডা লাগলে তো পুরো পুজোটাই মাটি। নাক দিয়ে কি জল গড়াচ্ছে? সেমন্তী হাতটা নাকের কাছে এনে দেখতে গেল, কি অবস্থা। আরে, হাতটা কোথায় গেল? কেমন একটা সবুজ রঙের কি যেন মনে হচ্ছে? ডানা? ডানা কোথা থেকে এল? দুটো হাতই কি ডানা হয়ে গেছে? সেমন্তী ভাবল – আমি কি তবে পরী হয়ে গেছি? আমি কি তাহলে মরে গেছি? ঠাম্মী বলেছে, মানুষ মরে গেলে পরী হয়ে যায়। কিন্তু ঘরটা তো দেখা যাচ্ছে, বিছানাটাও। টেডি বিয়ার ভোলুও তাতে পাশে আছে। আস্তে, আস্তে হাতটা, থুড়ি ডানাটা নিয়ে আসে সেমন্তী নাকের কাছে। এ কি? নাক কোথায়? একটা বড় লাল, বাঁকা ঠোঁট। চীৎকার করে কেঁদে ওঠে সেমন্তী। ক্র্যাঁ, ক্র্যাঁ, ক্র্যাঁ ---

    দরজা খুলে মা ঢোকে। “কি রে, সকাল থেকেই চেঁচাচ্ছিস কেন? খিদে পেয়েছে? এই নে”। সামনে এক বাটি ছোলা আর কাঁচালঙ্কা নামিয়ে রাখে। সেমন্তীর দুধ-কর্ণফ্লেক্স কোথায়? মার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সেমন্তী কাঁচালঙ্কা খাবে কি করে? ওর তো ভীষণ ঝাল লাগে। না কি মা বুঝতে পারছে না যে ও সেমন্তী, ও মায়ের মিষ্টি। মা বলতে থাকে – “দ্যাখ, কি মজা বল তো মিষ্টি! আর পড়তে হবে না, দাঁত মাজতে হবে না, দুধ-কর্ণফ্লেক্স খেতে হবে না। সারাদিন শুধু বসে থাকবি, আর ঘুমোবি। আর তোর বাবাকে বলব, আজ তোকে একটা নতুন খাঁচা কিনে দেবে। পুজোয় চাই নতুন খাঁচা”। খাঁচা! ভাল করে তাকিয়ে সেমন্তী দেখে, সে পিউ-এর খাঁচায় বসে আছে, সামনে জল, ছোলা আর কাঁচালঙ্কার বাটি। মা হাসছে। সেমন্তী সত্যি সত্যি টিয়াপাখী হয়ে গেছে। মার উপর ভীষণ রাগ হচ্ছে, কিন্তু কোনো কথা বেরোচ্ছে না। কিছুই বলতে পারছে না। কাঁদতেও পারছে না।

    আজকে দুপুরে অদ্রিজাদের বাড়িতে খেলতে যাবার কথা ছিল। মধুজা আর অরিনও আসবে। অদ্রিজাদের বার্বিদের জন্য একটা নতুন বাড়ি হয়েছে। সেমন্তীর কোনো বার্বি নেই, ওর একটা ঘাড়নাড়া বুড়ো আছে, সেটা নিয়ে যাবে। সবার খুব পছন্দ ওই বুড়োটাকে। ওটাকে রবিঠাকুরও বানানো যায়, ক্রিসমাসের সময় সান্টাক্লসও। প্রয়োজন হলে ওটা দাদু হতেও রাজি। আচ্ছা, অরিন কি করবে? ওর কি ভাল লাগবে বার্বি নিয়ে খেলতে? গোঁফ-দাড়ি এঁকে দেবে না তো? এই অবস্থার মধ্যেও একটু হাসি পেয়ে গেল অরিনের কথা ভেবে। তারপরেই মনে পড়ল, ওর তো আর যাওয়া হবে না, ও তো টিয়াপাখি হয়ে গেছে। আর কোনোদিন অদ্রিজা, মধুজাদের সাথে খেলা হবে না। আচ্ছা ওরাও যদি টিয়া হয়ে যায়। কিন্তু তাহলেও তো ওরা ওদের বাড়িতে খাঁচায় থাকবে, সেমন্তীর সাথে দেখা হবে কি করে? সত্যি, পিউ ও তো ওর কোনো বন্ধুদের সাথে দেখা করতে পারে না। আর কোনোদিন বন্ধুদের সাথে দেখা হবে না? যদি দেখা হয়, ও নিশ্চয়ই এবার মণিদীপাকে ঠুকরে দেবে। বেশ হবে। ও কিছুতেই ওর পাশে বসতে দেয়না। উইনি দ্য পুহ-এর ওই সুন্দর বইটাও ওকে দেখতে দেয় না। কিন্তু স্কুলেই যদি না যেতে পারে, তাহলে কি করে হবে? আর ওর পুজোর জামাগুলো? ওগুলো কি মা কাউকে দিয়ে দিয়েছে? কাকাই-এর দেওয়া হলুদ ফ্রকটাও? ওটা তো একবারও পরা হলনা। এসব ভাবতে ভাবতে কেমন ঢুলুনি এসে যেতে থাকে।

    একটা চোরাহাসি মুখে নিয়ে বাবা এবার ঘরে ঢোকে। খাঁচার কাছে এসে ফিসফিস করে বলে, “কি রে! আজ তো ছুটি, দুটো পোকা খাবি নাকি? তোর জন্য কাল অফিস থেকে ফেরার সময় নিয়ে এসেছি”। বলেই বাবা পকেট থেকে দুটো কাগজে মোড়া কি যেন বার করে সামনের বাটিতে রেখে দিল। দুটো কেঁচো! জ্যান্ত! নড়ছে! ওরে বাবা, এতো কিউট কেঁচো, সেগুলো বাবা খেতে বলছে! বাবারও কি মাথা খারাপ! দুটো চকোলেট দিতে পারত। কিন্তু এখন চকোলেট খেতে একটুও ইচ্ছে করছে না। কিন্তু একটু খিদে খিদেও পাচ্ছে বটে। মা কি দুধ-কর্ণফ্লেক্স দেবে না? ফ্রেঞ্চ টোস্ট দরকার নেই। যাহোক হলেই চলবে। ও – ও – ও – মা! না, শোনা গেল শুধু ক্র্যাঁ, ক্র্যাঁ, ক্র্যাঁ। বাবা বুঝল না, বলল –“বাঃ, খুব খুশী মনে হচ্ছে। এগুলো খেয়ে নে, আজ তোকে একটা নতুন খাঁচা এনে দেবো। আর তোর পুজোর জামাগুলো তাতুনকে দিয়ে এসেছি”। বলে বাবা বেরিয়ে গেল। তাতুনদি বড় পিসির মেয়ে, খুব ভাল, কিন্তু তাই বলে বাবা নতুন জামাগুলো দিয়ে দেবে?

    বড্ড খিদে পাচ্ছে। অবাক কাণ্ড, কেঁচোগুলোকে এখন আর তেমন কিউট মনে হচ্ছে না, কেমন খেতে লোভ হচ্ছে। সেমন্তী শেষ-মেষ কেঁচো খাবে! কিন্তু বড্ড লোভ হচ্ছে যে! মনে হচ্ছে, এর থেকে ভাল খাবার আর কিছু নেই। দেখাই যাক না, কেমন খেতে। এসব ভাবতে ভাবতে, চোখ বুঁজে সেমন্তী বসায় এক কামড় একটা কেঁচোতে। ওমনি এক ধাক্কা, “কি রে, বালিশ কামড়াচ্ছিস কেন? ছুটি বলে কি পড়ে পড়ে বেলা দশটা পর্যন্ত ঘুমোবি? বাবার সাথে না আজ বেরোবি?” চোখ খুলে দেখে মা সামনে দাঁড়িয়ে। খাঁচা, ছোলা, কেঁচো, কিচ্ছু নেই। হাত – না হাত ঠিক আছে। নাক – না নাকও ঠিক আছে। ডানা, ঠোঁট, এসব তাহলে নেই। মা আবার বলে – “কি রে, নাকে-মুখে হাত বুলিয়ে কি দেখছিস আর অমন করে তাকিয়ে আছিস কেন? ভয়ের স্বপ্ন দেখেছিস নাকি?” মা জড়িয়ে ধরে আদর করে সেমন্তীকে। আমরা সবাই যেমন ভয় পেলে মাকে জড়িয়ে ধরি আর কি!

    কিচ্ছুটি বলে না সেমন্তী। লক্ষ্মীমেয়ের মত দাঁত মেজে নেয়, দুধ-কর্ণফ্লেক্সও খেয়ে নেয় সে। তারপর কেউ না বললেও সেভেনের টাইমস টেবলটা আবার মুখস্থ করতে বসে যায়। মনে মনে সেমন্তী ঠিক করে ফেলে মণিদীপার সাথেও আর ঝগড়া করবে না। ওকেও প্যাস্টেল রঙগুলো দেবে। এমন সময় পিউ ডেকে ওঠে – “বুঁড়ী! বুঁড়ী!” কেঁদে ফেলে এবার সেমন্তী। ছুট্টে গিয়ে খুলে দেয় পিউ-এর খাঁচার দরজা। পিউ যেন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর উড়ে গিয়ে বসে জানালায়। আবার ডাকে, “বুঁড়ী!” তারপর উড়ে যায় পুজোর নীল আকাশে। বাবা দরজায় মুচকি হেসে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে একটা চকোলেট নিয়ে।

    #semanti ও বন্ধুরা
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন