এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • maximin | 69.93.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৩:৩৪617059
  • লেখাটা পড়ে ভালো লাগল। বুলবুল ভাজার স্ট্যান্ডার্ড আগে বেশ উন্নত ছিল।

    "We have power of life and death in our hands and we assure you we spare not" । আরো কেউ উল্লসিত ভাবে বলেন "Holmes is hanging them by the score"। নির্বিচারে গুলি করে মারার ঘটনায় আরেক কোম্পানীর কর্তা বলেন "Then our fun commenced" -- এইটার একটু সোর্স দেন।
  • কল্লোল | 125.24.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৫:৩০617060
  • এতো ভায়ানক জ্ঞানগম্যিওয়ালাদের সাথে তক্কো পোষায় না।
    "মুঘল সাম্রাজ্যবাদ" বিজেপির অভিধানে ছাড়া আর কোত্থাও নেই।
    সাম্রাজ্যবাদ এই টার্মটি ব্যবহার হয় সেই ধরনের শক্তির ক্ষেত্রে যারা অন্য দেশের সম্পদ লুটে নিজের দেশকে সমৃদ্ধশালী করে। মোগলদের "নিজের দেশ" তো ভারতই হয়ে গেছে বাবরের সময় থেকে। কিন্তু ভারত কোনদিনই ইংরাজদের নিজের দেশ হয় নি।

    কাজেই সিপাই বিদ্রোহ তার সমস্ত লিমিটেশন সত্ত্বেও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াই। সিপাইরা জয়ী হলে বাংলার কি লাভ হতো? জানি না। তবে বাবুদের গর্দান যেতো হয়তো। তাতে বর্ণপরিচয়, আনন্দমঠ, হুতোমের নক্সা ও বাংলা মহাভারত থেকে রবীন্দ্রনাথ ও মোহনবাগান কোনটাই হতো না হয়তো। এরকম ভাবাই যেতে পারে।
    আবার অন্য ধরনের কোন জাতীয়তাবাদ উঠে আসতে পারতো যা পশ্চিমী "প্যাট্রিওটিজম" থেকে আলাদা। জাপানের মতো কিছু একটা হতে পারতো, যাতে আমরা কালে কালে রেলগাড়ী ও পিলেন বানাতাম, ক্যামেরা ও কম্পূও বানানো যেতো হয়তো। হয়তো ২য় বিশ্বযুদ্ধে ভারত হয়তো অক্ষ শক্তির সাথেই থাকতো। তাতে এটম খেয়ে যাবার চান্সও হয়তো ছিলো।
    এভাবেও ভাবা যেতে পারে।
  • maximin | 69.93.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৫:৫৬617061
  • Frederick Engels, The Revolt in India (New York Tribune 1857)

    The great rebellion, stirred up by the mutiny of the Bengal army, is indeed, it appears, dying out. But this second conquest has not increased England’s hold upon the mind of the Indian people. The cruelty of the retribution dealt out by the British troops, goaded on by exaggerated and false reports of the atrocities attributed to the natives, and the attempt at confiscating the Kingdom of Oude, both wholesale and retail, have not created any particular fondness for the victors. On the contrary, they themselves confess that among 'both Hindoos and Mussulmans', the hereditary hatred against the Christian intruder is more fierce than ever.
  • maximin | 69.93.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৬:০৪617062
  • এংগেলস নাকি একটু বেশী করে গালি দেন। উপরে গালিটা কাকে দিলেন?
  • PM | 131.242.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৬:২৩617063
  • "সাম্রাজ্যবাদ এই টার্মটি ব্যবহার হয় সেই ধরনের শক্তির ক্ষেত্রে যারা অন্য দেশের সম্পদ লুটে নিজের দেশকে সমৃদ্ধশালী করে। " সেতো আজকের সংগায়। সিপাহী বিদ্রোহের সময় মুঘল শাসক্দের "যবন" হিসেবেই দেখা হতো ( হাতের কাছেই বন্কিম, অক্ষয় আছে) । জিজিয়া করের ক্ষত তখোনো টাট্কা। বর্গীর অত্যাচার-ও ( তারা মুসলমান নয়) সেদিনের ঘটনা।সেই তুলনায় বৃটিশ রাজত্ব, আধুনিকতা তো স্বর্গ।
    সেই সময়্টার দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে দেখুন ব্যাপারটা।

    "এতো ভায়ানক জ্ঞানগম্যিওয়ালাদের সাথে তক্কো পোষায় না।"

    কি করবেন বলুন, খোলা পাতা---রামছগলের সাথেও একপাতায় খেতে হবে ঃ)। উপায় নেই ঃ)। আপনারো নেই , আমারো নেই ঃ)
  • maximin | 69.93.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৭:১৪617064
  • পি এম বঙ্কিম বলতে বিশেষ করে আনন্দমঠ বলছেন কি? আনন্দমঠের পটভূমি ছিয়াত্তরের মন্বন্তর। সে সময়ে বাংলায় কারা রাজত্ব করত?
  • কল্লোল | 125.242.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৭:১৬617065
  • "সিপাহী বিদ্রোহের সময় মুঘল শাসক্দের "যবন" হিসেবেই দেখা হতো ( হাতের কাছেই বন্কিম, অক্ষয় আছে) । জিজিয়া করের ক্ষত তখোনো টাট্কা। বর্গীর অত্যাচার-ও ( তারা মুসলমান নয়) সেদিনের ঘটনা।সেই তুলনায় বৃটিশ রাজত্ব, আধুনিকতা তো স্বর্গ।
    সেই সময়্টার দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে দেখুন ব্যাপারটা।"

    কি করে বোঝা গেলো আপামর ভারতবাসী, বাদ্দাও, সুবে বাংলাবাসীও উপরের মতো ভাবতো?? বঙ্কিম কলকাতার ইংরাজি শিক্ষিত বাঙ্গালী বাবুদের প্রতিনিধি, যিনি আবার ইংরাজ সরকারী কর্মচারীও বটেন। তার ভাবনাই ভারত ভাবনা - এমত ব্যাকরণ শিং জাতীয় ফতোয়া কোদ্দিয়ে পাওয়া গেলো?
    এট্টু বইপত্তর বাতান যদি তো পড়ে দেখি।
    সিপাই বিদ্রোহে সম্ভবতঃ প্রথমবার হিন্দু ও মুসলমান সিপাই একসাথে লড়ছে বিদেশী ফিরঙ্গীদের বিরুদ্ধে। তারা বাহাদুর শাহ জাফরকে তাদের/হিন্দুস্তানের বাদশা বলে মান্যতা দেয়। বর্গীরাও (মারাঠারা) তখন বিদ্রোহে সামিল। নানাসাহেব তাদেরই একজন।
    ফিরঙ্গীদের শাসন হিন্দু ও মুসলমানেদের কাছে গ্রহনযোগ্য ছিলো না। যাকে বৃটিশ আধুনিকতা বলে হুহু করা হচ্ছে তাকে ভারতবাসী উৎপাত বলেই ভাবতো। একমাত্র কলকাতার শহুরে বাঙ্গালী যারা কোম্পানীর নানান হৌসে কাজকম্মো কত্তেন, তাদের কাছে ঐ "আধুনিকতা" বড় আদরের করন তা উপরওয়ালা সায়েবের সংষ্কৃতি তো। হুতোমে যার বন্ননা আছে বড় মচৎকার। পড়েছেন বোধ হয়।
    বাঙ্গলার (কলিকাতা বাদ্দিয়ে) মানুষ কেমন ভাবতো ইংরাজের "সুশাসন" ও "আধুনিকতা" নিয়ে? পড়ে দেখবেন, গৌতম ভদ্রের জাল রাজার গল্প, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের A Princely Imposter? The Kumar Of Bhawal And The Secret History Of Indian Nationalism
    এই আর কি।
  • maximin | 69.93.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৭:২৯617066
  • কে যে কী এসটাব্লিশ করতে চাইছে, কিছুই বুঝছি না।
  • Blank | 180.153.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৮:১৮617067
  • ব্যারাকপুর ছারাও বাংলার আরো কিছু জায়গায় সিপাহী বিদ্রোহ হয়। চট্টগ্রাম, জলপাইগুড়িতেও আর্মি ক্যাম্প সিপাহীদের দখলে যায়। জলপাইগুড়ি তে লোকাল লোকজন সিপাহীদের সাথে ব্রিটিশ ঠ্যাঙ্গানোতে অংশ নিয়েছিল।
    কিন্তু হিন্দু বাঙালীদের মনে হয় মিউটিনি নিয়ে চিন্তা ছিল, মুলত শহুরে বাঙালীদের। কোলকাতা, ঢাকা, ময়মনসিং এইসব জায়গায় বাঙালীরা সিপাহীদের ভয় পেতো। এগুলো ছারাও লোকাল রাজারা - যেমন কৃষ্ণনগরের রাজারা বৃটিশদের পক্ষেই ছিল। হিন্দু প্যাট্রিয়টের সম্পাদকের দাবী ছিলো যে বাঙালীরা বৃটিশদের পক্ষেই থাকবে আর সিপাহীরা সাধারন মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবে।
    কিন্তু নীল বিদ্রোহ, ফরাইজি বিদ্রোহ সব কটার টাইমলাইন কিন্তু সিপাহী বিদ্রোহের কাছাকাছি।
  • pi | 118.12.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৮:৩৫617069
  • টই স্টার্টার কোন কারণে এখানে পোস্ট করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন, এখানের সকলেও ফেসবুকের পোস্ট দেখতে পাচ্ছেন না। তাই মূল পোস্টটি পেস্ট করে দিলাম।

    ----------------------------------------------------------
    ডাক হরকরা
    ।।সিপাহি বিদ্রোহ ও বাংলা সংবাদপত্র।।

    একালে অনেক পত্রিকাই সরকারী বিজ্ঞাপনে ধন্য হ’য়ে সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ,অথবা পঞ্চমুখ হবার জন্যে এমন আর্শীবাদ।কিন্তু এসত্য চিরকালীন।গতকাল সিপাই বিদ্রোহ নিয়ে মেয়েকে পড়াবো বলে সকাল থেকে অনেক বই পত্র ঝুল ঝেড়ে বার করে আবার পড়লাম।বেশকিছু ভুলে যাওয়া বা নতুন তথ্য পেলাম।শেয়ার করতে ইচ্ছে হ’ল।আগে পারিনি,কারণ এই বইগুলোর বেশিরভাগ যখন পড়েছি তখন কম্পিউটার কই??
    সিপাহি বিদ্রোহের বিষয় অল্পবিস্তর সবার জানা।আমি চেষ্টা করছি একটু অন্য তথ্য পরিবেশন করতে।১৮৫৭ সালের মে মাসে সকল স্তরের সরকারী কর্মচারীদের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা নিষিদ্ধ ঘোষিত হ’ল।১৮৫৭-র ১লা জুন ‘হিন্দু ইনটেলিজেন্সা’র সম্পাদক কাশীপ্রসাদ ঘোষ লিখলেন ‘ঠে প্রেস্স অন্দ থে উব্লি সের্ভিে’শিরোণামে তীব্র নিন্দা করে লিখলেন-‘।।।উন্নতুরল, উন্রিঘ্তেঔস, উন্রেঅসোনব্লে অন্দ উ্হোলেসোমে’।১২ইজুন কেড়ে নেওয়া হ’ল সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।উত্তরপাড়া পাক্ষিক পত্রিকা লিখল-‘সম্প্রতি শ্রীযুত গবর্ণর জেনেরল বাহাদুর স্বয়ং ভারতবর্ষে ব্যবস্থাপক সমাজে উপস্থিত থাকিয়া স্যার চালর্স মেটকাফ্ কর্ত্তৃক বিধানকৃত ছাপাখানার স্বাধিনতা সংযম করণার্থে এক কঠিন আইন পাস করিয়াছেন।।।।।।৫০০০টাকা দন্ড ও দুই বৎসরের অনধিক কারাবাস করিতে হইবেক।‘ প্রতিবাদ স্বরূপ পত্রিকা বন্ধ করে দিলেন।এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় পূর্ববাংলার প্রথম সংবাদপত্র ‘রঙ্গপুর বার্ত্তাবহ’ বন্ধ করে দিয়ে অন্যান্য সাংবাদিকদের প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে আর কোনো সাড়অ শব্দ পেলেননা।আর তখনকার জনপ্রিয় পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’-এর সম্পাদক কী লিখলেন-‘আমরা কখনোই রাজ্যেশ্বরের বিপক্ষে লেখনী চালনা করি নাই,ইহাতে ছাপাযন্ত্রের স্বাধীনতা থাকা আমাদিগের পক্ষে সমান,তবে কিনা গত বৎসর আমরা অত্যন্ত শঙ্কোচিত হইয়া সম্পাদকীয় কর্ম সম্পন্ন করিতাম ,এক্ষণে সুখের মধ্যে এই যে আর তত ভাবিতে হইবেক না।’সরকারী বিজ্ঞাপনে লালিত সংবাদ প্রভাকরের সম্পাদক এক পা এগিয়ে পাঁচালী রচনা করলেন-
    চিরকাল হয় যেন ব্রিটিশের জয়।
    ব্রিটিশের রাজলক্ষ্মী স্থির যেন রয়।।
    এমন সুখের রাজ্য আর নাহি রয়।
    শাস্ত্রমতে এই রাজ্য রামরাজ্য হয়।।
    ব্রিটিশ বাহিনী দিল্লি উদ্ধার করলে তিনি লিখলেন-
    ভারতের প্রিয় পুত্র হিন্দু সমুদয়।
    মুক্ত মুখে বল সবে ব্রিটিশের জয়।।
    উত্তরপাড়া পাক্ষিক পত্রিকার সম্পাদক জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সিপাহি বিদ্রোহের নায়কদের সম্পর্কে লিখলেন-
    গোঁয়ার শূয়ার সব নাহি কিছু দয়া।
    বিনা দোষে প্রাণ নাশে নাহি হয় মায়া।।
    বিনা দোষে নারী বধে বড়ই অজ্ঞান।
    রোষ বশে মেরে ফেলে দুধের সন্তান্ ।।
    ধর্ম্ম ধর্ম্ম করে মিছে ধর্ম্ম করে নাশ।
    ধর্ম্ম মর্ম্ম না বুঝিতে হ’ল সর্ব্বনাশ।
    ‘অরুণোদয়’-এর সম্পাদক রেভারেন্ড লালবিহারী দে ‘বুদ্ধিহীন পাষন্ড’সিপাহিদের সম্পর্কে লিখলেন(১৫।১০।৫৭)-
    ‘নিরো রোমরাজ,সিরাজদৌল্লা প্রভৃতি যে সকল নিষ্ঠুর রাজা ছিলেন,বোধ করি তাঁহারা এ সময় বর্ত্তমান থাকিলে অত্যাচার বিষয়ে সিপাহিদিগের নিকট পরাজয় স্বীকার করিতেন।’
    সম্বাদ ভাস্কর-সম্পাদক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য লিখলেন-
    “পরমেশ্বর সৃষ্ট রক্ত-মাংসাশী পক্ষীগন কিরূপে জীবনধারণ করিবে?এই কারণ পরমেশ্বর সিপাহীগনকে রাজবিদ্রোহে উঠাইয়া দিয়াছেন।তাহারা মরিবে,পশুপক্ষীরা তাহাদিগের রক্তমাংসে তৃপ্ত হইবে,পশুপক্ষী সকল ব্রিটিশ গবর্ণমেন্টকে আশীর্ব্বাদ করিবে।”
    ১৮৫৭ সনের ২৫শে মে হিন্দু মেট্রোপলিটন স্কুলে রাজা কালিকৃষ্ণ,প্রসন্নকুমার ঠাকুর,প্যারীচাঁদ মিত্র,কিশোরী চাঁদ মিত্র,দিগম্বর মিত্র,রামগোপাল ঘোষের মত কোলকাতার মাতব্বরেরা রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি অকুন্ঠ আনুগত্য প্রদর্শণ করেন।
    কোলকাতার মল্লিক ও শ্রীরামপুরের গোস্বামীরা ঠাকুবাড়িতে বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করেন।
    ভবানীপুরের রায়চোধুরীরা কালীঘাট মন্দিরে মহাপুজার আয়োজন করেন।
    ব্রাহ্মসমাজ ও পিছিয়ে ছিল না।সং বাদ প্রভাকরে বিজ্ঞাপন-
    রাজবিদ্রোহানল শান্তি হইয়া দেশের উৎপাত নিবারণ হইয়াছে।তজ্জন্য জগদীশ্বরের নিকটে কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে আগামী ২৩ শ্রাবণ বৃহস্পতিবার প্রাতঃকালে একঘন্টার সময় ব্রাহ্ম সমাজ হইবেক,ব্রাহ্ম মহাশয়েরা তথায় আগমন করিয়া তৎকালে উপাসনা করিবেন।

    -----------------------------------------------------------
  • maximin | 69.93.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৩ ১৯:৩৪617070
  • বললাম বটে, বুলবুল ভাজার স্ট্যান্ডার্ড আগে বেশ উন্নত ছিল। তার মানে এই নয় যে এখনকার লেখা ভালো লাগে না। বাস্তবিক আগেকার লেখা বলতে কল্লোলের একটা লেখা পড়েছি আর এইটা পড়লাম। ইদানীং কালের লেখা বেশিরভাগই পড়ি, ভালো লাগে।
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ৩১ জুলাই ২০১৩ ০৭:২৬617071
  • পিএম,
    মনে হচ্ছে একটা জিনিস খেয়াল করেন নি,
    সিপাহী বিদ্রোহের সময় দেশে ছিল কোম্পানীর শাসন, এককথায় মাৎসন্যায়।
    সেই সময় প্রতিবছর খাজনার রেট বাড়ানো হত আর নির্দিষ্ট তারিখে সেটা জমা না দিলে সেই জমিদারি/তালুকদারি অন্য কাউকে দেয়া হত। ফলে মধ্যসত্ত্বভোগীদের অত্যাচার চুড়ান্ত পর্য্যায়ে।
    ফল দুর্ভিক্ষ, পলায়ন।
    বঙ্কিমের দেবী চৌধুরাণী ও আনন্দমঠের প্রথম অধ্যায় গুলিতে তার গ্রাফিক বর্ণনা।
    কাজেই সেই সময় কোলকাতা কেন্দ্রিক মুষ্টিমেয় ইংরেজিশিক্ষিত বাঙালীর সিপাহী বিদ্রোহ নিয়ে কম্নেটগুলো আদৌ ইতিহাসের পক্ষে দাঁড়ানো নয়; বরং রাজানুগ্রহ, চাটুকারিতা, ভয়ের উদাহরণ হিসেবে দেখাই সমীচীন হবে।
  • achintyarup | 69.93.***.*** | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০৪:৪৪617072
  • পুব বাংলায় বিদ্রোহী সেপাইদের মামলার কিছু নথিপত্র। এখানে টোকা থাকুক।

    Roll 1/1857
    S. T. No. 1 for December, 1857.
    Emperor Vs. Gafur Khan Sepoy and others.

    একজন সম্বন্ধে ফাঁসির ও অন্যান্য বিবাদীগণের সম্বন্ধে জাবৎ জীবনের হুকুম ইতি ১৯/১০/৫৮

    ... মকদ্দমা ১ নং সেসন বাং মাস দিজাম্বর সন ১৮৫৭ সন ইং সং ১ নং মকদ্দমা বাং মাসে দিজাম্বর সন ঐ জিলা ঢাকার শ্রীযুত মেজেষ্টর সাহেবের প্রেরিত

    হাকিম -- বাদী গফুর খাঁ সিপাই গং প্রতিবাদী আসামী
    ফর্দ
    ইং ১লা ৯ নং
    রোয়েদাদ ও জওয়াব ও
    সাক্ষীর জবাব বন্দী--


    নও (৯) ফর্দ্দ মাত্র।

    পরে ষে নরসিংহ ওলদে সেন নিও সাকীন একবালপুর বএষ আন্দায ২৫ বৎসর পেসা বরকন্দাজী হাজির হইল। ১৮৪০ সনের ৫ আক্ট মতে ধর্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা করিল। শও (শওয়াল) তুমি এই মকদ্দমার কী জান। জং (জবানবন্দি) চলিত অগ্রান মাষের তারিখ শরন (স্মরণ) নাই মঙ্গলবার দিবস টোকচান্দপুরের গুদারাঘাটে দুইজন শীফাই অর্থাৎ হাজিরা গফুর খাঁ ও জীউলাল শীফাই জাইতেছিল। আমি ঐ টোকচান্দপুরে গুদারাঘাটে মোতাইন ছিলাম। আমি শীফাই দুই ব্যক্তিকে দেখিল। তাহাদিগকে গ্রেপ্তার করার নিমিত্তে ... জে উক্ত শীফাইগণ দৌড় দিল। আমিহ তাহারদিগের পীছে ২ দৌড়িয়া জাইয়া এছলামপুর মৌজাতে জমিদারের কাছারির পীচেছ জমিনে জাইল। প্রথম জীউলাল শীফাইকে ধরিয়া জমিদারের গোমস্তার নিকট জিম্মা করিয়া দিল ... তাহার আন্দাজ ৫০ হাত তফাৎ জাইয়া হাজিরা গফুর খাঁ শীফাইকে গ্রেপ্তার করিয়া ঐ দুই শীফাইকে কাপাসীয়ার দারোগার নিকট নিয়া হাজির করিয়া দিলাম। এই আমি এই জানি। ইতি।
    নিসান
    নরসিংহ

    পরে ষে আনু বরকন্দাজ ওলদে মহম্মদ শফী সাকীন এগারসিন্দু বএষ আন্দাজ ৩০ বৎসর পেসা বরকন্দাজী হাজির হইয়া ১৮৪০ সন ৫ আক্ট মতে ধর্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা করিল। শং (শওয়াল) তুমি এই মকদ্দমার কী জান। জং। আমি সদর থানার বরকন্দাজ বটী। এই অগ্রান মাসে তারিখ শরন নাই সোমবার আমাকে টোকচান্দপুরের গুদারাঘাটে মোতাইন করাতে আমি তথায় ছিলাম (।) তাহাতে জে তারিখে ঢাকায় শীফাইগণ সহিত লড়াই হয় তাহার পর মঙ্গলবার দিবশ বেলা ১০/১১ ঘণ্টার সময় হাজির গফুর খাঁ ও জীউলাল আসামি অনেকে জাইতে দেখিল (।) আমি ও নরসিংহ বরকন্দাজ দৌড়িয়া জাইয়া টোকচান্দপুরের বাজারের উপর উক্ত শীফাইগণকে গ্রেপ্তার করিয়া ছিলাম (।) শীফাইগণ আমার দিগকে দেখিয়া দৌড়িয়াছিল (।) পরে উক্ত শীফাইদিগকে কাপাসীয়ার দারোগা জে ঐ বাজারে ছিল তাহার নিকট হাজির করিয়া দিলাম এই জানি (।) শং উক্ত শীফাইগণ একত্র দৌড়াইয়াছিল কী না। জং। তাহারা দুইজন একত্র দৌড়িয়া পলাইতেছিল (।) প্রথমতঃ নরসিংহ বরকন্দাজ জিউলাল অস্ত্রে ধরিলেক (।) পরে আমরা দুইজনে গফুর খাঁকে ধরিয়াছিলাম (।) ইতি (।) আসামিগণ কেহ শওয়াল করিল না। ইতি (।)
    শ্রী আনুবরকন্দাজ

    পরে ষে গুপীনাথ চন্দ ওলদে মদন চন্দ সাকীন ধামরাই বএষ ৩৫ পেষা হালুটী হাজির হইল (।) ১৮৪০ সনের ৫ আক্ট মতে ধর্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা করিলেক (।) শং। জং আমি ধামরাইর বাজারে রাজা খাঁ চৌকীদারেকে পাইয়া তাহার একসঙ্গে ফারিতে জাইয়া পরে থানায় পৌছাইয়া দিলাম (।) আমি এই জানি (।) পরে স্বাক্ষী হাজির হিরামন ও শঙ্কররাম শীফাইকে দেখিয়া কহিল

    জে এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিয়া ছিলাম (।) আমি আন্দাজ ১৪ দিন হইলেক তাহারদিগকে গ্রেপ্তার করিয়াছিলাম (।) ইতি (।)
    নিসান
    শ্রীগুপীনাথ চন্দ

    পরে ষে রাজা খাঁ সাকীন ধামরাই বএষ আন্দাজ ৩০ বৎসর পেসা চৌকিদারী হাজির হইল (।) সন ১৮৪০ ৫ আক্ট মতে ধর্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা করিল (।) শং তুমি এই মকদ্দমার কী জান। জং। তারিখ শরন নাইঅ আন্দাজ ১০/১২ রোজ হইল ধামরাইর বাজারে আমার নিকট গুপীচন্দ দুইজন শীফাইঅ আটকাইয়াছে বলাতে আমি হাকিমের দোহাই দিয়া ঐ শীফাইগণ ও গুপীচন্দকে সমেত থানায় নিয়া হাজির করিয়া দিলাম (।) পরে শাক্ষী হাজির হিরামন ও শঙ্কররাম শীফাইকে দেখাইয়া কহিল যে দুইজনকে গুপীচন্দ আটকাইয়াছিল ইহারদিগকে থানায় হাজির করিয়া দিয়াছিলাম (।) ইতি (।) আসামি আর কোন শওয়াল করিল না (।) ইতি (।)
    নিসান
    শ্রী রাজা খাঁ
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ১১ আগস্ট ২০১৩ ২৩:০৩617073
  • এঃ, বৃটিশ জুরিসপ্রুডেন্সের এক্কেবারে মা-মাসি
    ব্যাটারা নিজের দেশে যদি এইরকম কেস সাজায় তাহলে সব কটা খালাস পাবে।
  • achintyarup | 69.93.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ০৪:০৯617074
  • আরেকটা মামলাঃ

    Roll No 2 of 1857
    S. T. No. 4 for December 1857.
    Emperor Vs. abdul Khan sepoy.

    জাবৎজীবন
    ১৯/১০/৫৮

    ... মকদ্দমা ৪ নং সেসন ... ডিজাম্বর সন ১৮৫৭ ইং সং ২ নং মকদ্দমা ডিজাম্বর সন ঐ জিলা ঢাকা শ্রী যুত মেজেষ্টর সাহেবের প্রেরিত।

    হাকিম-বাদী আবদুল খাঁ সিফাই গং প্রতিবাদী
    ইং ১লা ১৪ নং
    রোয়েদাদ ও জওয়াব ও স্বাক্ষির
    জবানবন্দি নং, ১৪
    ১৪
    ---------------------------------------------
    মং চৌদ্দ ফর্দ মাত্র

    পরে ষে আবু চাপরাসি পিং আনু চাপরাসি সাকীন আকুয়া জিলা নছিরাবাদ বয়েষ আঠাশ ২৮ বৎসর পেসা নছিরাবাদের ফৌজদারী চাপরাসি ... হাজির হইল (।) ১৮৪০ সনের ৫ আক্ট মতে ধর্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা করিলেক (।) সওয়াল মতে কহিল যে গত অগ্রায় মাষে তারিখ আমার শরন নাই আবদুল খাঁ ছিপাই আকুওয়া গ্রামে রাস্তার পর আমার পিসাত ভাই শেখ.. জামালপুর জাওয়ার রাস্তা জিজ্ঞাসা করাতে সে উত্তর দিলে রাস্তা দেখাইয়া দিল (।) আমি তখন ঐ জায়গাতে খাড়া ছিলাম (।) আমরা ২/৩ রসি তফাহুত সিফাই মজকুর গিয়াছিল (।) আমি এই ...এই ছিপাই ...ধরিয়া মেজেষ্টার সাহেবের কুঠীতে নিয়া গেলাম (।) শং (শওয়াল) সেফাই মজকুরের সঙ্গে আর কেহ ছিল কিনা এবং তাহার হাতে কোন হাতিয়ার ছিল কিনা (?) তাহার সঙ্গে কেহ ছিল না (।) এ তাহার ঠাই কোন হাতিয়ার ছিল না (।) ইতি (।)
    আসামী কোনো সওয়াল করিল না (।) ইতি (।)
    শ্রী আবু চাপরাসি (।)

    পরে ষে ইছফ আলী ওলদে কাল্য (কালু) সাকিন হাল সোয়ারী ঘাট বএষ আন্দাজ ৩২ বৎসর পেসা মং নছিরাবাদের মেজেষ্টর সাহেবের আরদালির চাপরাসিগিরি ... হাজির হইল। ১৮৪০ সনের ৫ আক্ট মতে ধর্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা করিল (।) শওয়াল মতে কহিল যে মং আমি মোং নছীরাবাদের মেজেষ্টর সাহেবের আরদালির চাপরাসিগিরি করি। গত অগ্রায় মাসে তারিখ আমার মনে নাই আন্দাজ আট ঘণ্টার সময় নছিরাবাদের রামা মুদীর দোকানে পান ষুপারি আনিতে গিয়াছিলাম তখন দেখিলাম যে হাজির ষুজান সিংহ ও নিরাঞ্জন সিংহ সিফাইগণ ঐ মুদীদোকানে খাড়া আছে আর চিড়াগুড় চাহিতেছে(।) মুদী কহিল যে চিড়া নাহি চাউল ডাইল আছে নিতে পার (।) এহাতে সিফাইগণ কহিল যে আমারদিগের ঠাই পএষা (পয়াসা) নাহি ৩/৪ ...(।) এহাতে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম যে তোমরা জেথা হইতে আসিয়াছ (?) এহাতে এহারা কহিল জে আমরা আড়াড় জিলা হইতে আসিয়াছি (।) এহাতে আমার তাহাদের প্রতি শোভা (সন্দেহ) ...(।) মালিকে থানায় দেখা খবর দিতে পাঠাইলাম হাকির আসামিগণ তথা হইতে জাওয়ায় উদ্যত হওয়াতে আমি হাকিমের দোহাই দিয়া এহারাদিগকে গ্রেপ্তার করিয়াছে (অস্পষ্ট) গণ সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাহার কথা অনুসারে মেজেষ্টার সাহেবের কুঠিতে মুই ছিফাইকে নিয়া গেলাম ও মেজেষ্টার সাহেবের হুকুম মতে এহারদিগকে ফাঠকে পৌছাইয়া দিলাম (।) শং (শওয়াল) আসামীগণের সঙ্গে আর কোন লোক ছিল কী না এবং এহাদের হাতে কোন হাতিয়ার ছিল কী না (?) জং (জবানবন্দি) এহাদের সঙ্গে আর কোন লোক ছিল না ও কোন হাতিয়ার ছিল না (।) ইতি (।)
    আসামী আর কোন সওয়াল করিলেক না (।) ইতি (।)
    লিং লেখক
    (অস্পষ্ট)

    পরে ষে যুবল মালি ওলদে লাল চান্দ মালি সাং পাচদোনা বএষ আন্দাজ ৩০ বৎসর পেষা চাকুরী ... হাজির হইয়া ১৮৪০ সনের ৫ আক্ট মতে ধর্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা করিলেক (।) সওয়াল মতে কহিল যে আমি মং নছিরাবাদ রামা মুদীর দোকানের নিকটে বসিয়া বাসা করিয়া ... ছিলাম (।) গত অগ্রাহায়ণ মাসে তারিখ আমার শরণ নাই এক দিন রাত্রে আন্দাজ ৭/৮ ঘণ্টার সময় হাজিরা নিরঞ্জন সিংহ ও শুজান সিংহ ছিফাইগণ আমার বাসার দরওয়াজায় যাইয়া আমাকে বলিলেক যে আমরা অদ্য ১২ (দিন?) জাবত আহার করিনা (।) আমাদিগের আহারের সামিগ্রি দেও (।) আমি এ দুই জন ছিফাইকে রামা মুদীর দোকানে ইছফ আলী চাপরাসীকে খবর দিয়া ডাকিয়া আনিয়া ঐ দুইজন ছিপাইর নিকট চাপরাসিকে সফিয়া (সঁপিয়া) আমি থানায় খবর দিতে গেলাম (।) দারোগা এই খবর শুনা মাত্র দারোগা বরকদাজ ... আমার সঙ্গে চলিলেক (।) রাস্তায় দেখি যে চাপরাসি ঐ ছিপাইগণকে নিয়া মেজেষ্টর সাহেবের কুঠিতে চলিয়াছে (।) এহাতে আমরাও ঐ চাপরাসির সঙ্গে নিয়া মেজেষ্টর সাহেবের কুঠিতে পৌঁছাইয়া দিয়াছি (।) আসামি ... সঙ্গে আর কোন লোক ছিল না এবং এহাদের সঙ্গে কোন হাতিয়ারহ ছিল না (।) ইতি (।) আসামি কোন সওয়াল করিলেন না (।) ইতি (।)
    যুবল মালি

    পরে ষে মিং রাজ কিসোর দে ওলদে রাধা মাধব দে সাং ... বএষ আন্দাজ ৭০ বৎসর পেশা চাকরী সাক্ষি হাজির হইয়া ১৮৪০ সনের ৫ আক্ট মতে ধর্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা করিলেক (।) শওয়াল মতে কহিল জে আমি কেলেক্টরী ... মধ্যে মহরের গিরিতে আছি (।) জে রবিবার পল্টনে লাড়াই হয় তাহার পূর্বদীন (দিন) শনিবার হাজিরা নিরাঞ্জন সেফাই জে কেলেক্টরীতে ...পহরা দিতে দেখিয়াছি (।) সিফাই গণের বদলীর দস্তুর (দরুণ) এই সমবার দিন বদলি হইয়া আসিয়া আর এক সমবার জাএ (।) শনিবার জে দেখিয়াছি এই মনে আছে (।) এহার পূর্বে ঐ কএদিন দেখিয়াছি কী না মনে হয় না (।) ইতি (।)
    শ্রীরাজ কিসোর দে

    পরে ষে গোবিন্দ চন্দ্র বসাখ পিং গুরু প্রসাদ বসাখ সাকীন ইসলামপুর বএষ আন্দাজ ৩২ বৎসর পেষা কেলেক্টরী মোহরের গিরি ... হাজির হইয়া ১৮৪০ সনের ৫ আক্ট মতে ধর্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা করিলেক (।) সওয়াল মতে কহিল যে আমি হাজিরা নিরঞ্জন সিংহ সেফাইকে চিনি (।) জে রবিবার পল্টনে লাড়াই হয় তাহার পূর্ব সপ্তাহে অন্য ২ সিফাইগণের সঙ্গে হাজিরা নিরাঞ্জন সিংহ সেফাই ...পহরা দিয়াছে দেখিয়াছি (।) সিফাইগণের প্রতি শমবার বদলি হইত (।) ইতি (।)
    শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র বসাখ
  • অঞ্জন ঘোষ(ডাক হরকরা) | 24.96.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ০৭:১১617075
  • [সুকুমার রায়কে নিয়ে নিত্যনতুন কাজ কর যায়।সব কাজেই আনন্দে ভরে ওঠে মন। আবোল-তাবল আমার গীতা।এবার সেই আবোল -তাবলের চরিত্রেরা কে কি খায় বা কার কী খাদ্যাভাস,তাই নিয়ে লিখে ফেললুম একটা ছড়া।আমি আবোল-তাবলের কয়েকটি ছড়া নিয়ে কাজ করেছি।সেগুলো এখানে পোষ্ট করব ।যদি পাঠকদের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাই,তবে আরো পোষ্টিং করব ।]

    সুকুমার-খাবার

    ডাক হরকরা

    কেউ কি জানো সারা বছর করেছি কত খোঁজ
    সুকুমারের চরিত্ররা কে কী খায় রোজ?
    আবোল-তাবোল ভর্ত্তি করা হরেক রকম খাদ্য
    তাদের নিয়ে লিখব ছড়া এমন কি আর সাধ্য!!
    হাঁড়ি নিয়ে দাড়িমুখো সে এক কাঠ বৃদ্ধ
    রোদে বসে খায় সে চেটে ভিজে কাঠ সিদ্ধ।

    দুর্ভাগ্য গঙ্গারামের পায়না খেতে কিছু
    পিলের জ্বর,পান্ডুরোগ ছাড়েনা তার পিছু।
    সেই যে ছিটেল্ ‘কল’-এর জনক চন্ডীদাসের খুড়ো
    মুখের সঙ্গে ছুটছে খাবার নাস্তানাবুদ বুড়ো।
    পাঁচ ঘন্টার রাস্তা যাবে দেড় ঘন্টায় বোলে
    ইচ্ছে মত খাবার ঝোলাও ঘাড়ে আঁটা কলে।।
    ঝোলাতে পারো খাবার-দাবার যার যেরকম রুচি
    মন্ডা মিঠাই চপ্ কাটলেট খাজা কিংবা লুচি।
    খাবার গন্ধে পাগল হয়ে আসবে জিভে জল
    জোয়ান-বুড়ো সবাই বলে ধন্য খুড়োর কল।

    সব খাদ্য সুখাদ্য যে এমন কথা নাই
    কামানের গোলা খেয়ে মল্লো যে জগাই!
    হালকা মেঘের পানসে ছায়া চাটতে লাগে বেশ
    নানা রকম ছায়া খেলেই সকল ব্যমোর শেষ।
    আমড়া গাছের নোংরা ছায়া কামড়ে যদি খায়
    ল্যাংড়া লোকের ঠ্যাং গজাবে সন্দেহ নেই তায়।
    হপ্তা খানেক তেঁতুল তলার তপ্ত ছায়া খেলে
    আষাঢ় মাসের বাদলা দিনে বাঁচবে অবহেলে।

    তিনটি বেলা উপোষ করে কুমড়োপটাশ থাকে
    ছেঁচকি শাকের ঘন্ট বেটে মাথায় মলম মাখে।
    বাড়িতে বসে কুলপি করে কাতুকুতু বুড়ো
    খেলেই পরে পেটের নাড়ী ছিড়তে পারে কারও।
    চালভাজা আর মুড়ির ভক্ত থুরথুরে সেই বুড়ি
    বদ্যি জানে আলু খেলে বুদ্ধি হবেই চুরি।
    আকাশ টোকো থাকে নাকো হলে পরে বৃষ্টি
    তখন যে কেউ চাটতে পারো,এক্কেবারে মিষ্টি

    টিয়ামুখো গিরগিটিটা ভেবেই মরে রোজ
    পোকা ছেড়ে কাঁচা লঙ্কার করতে হবে খোঁজ?
    কিমাকার কিম্ভূতটার একটি ভাবনা আজ
    বাঁচবে কি আর ক্যাঙ্গারুটা খেলে কলাগাছ!
    ভুল করেও ঘুমাও যদি টিফিন হবার আগে
    ভীষণ হারে কমে যাবে তোমার খাবার ভাগে।
    তিনটি গন্ডা লুচি আর খান পাঁচ কাটলেটে
    জিভে গজা মন্ডা-মিঠাই যাবে অন্যের পেটে।
    আর যা থাকবে তোমার পাতে আলু ভাজা ঘুঘনি-
    ঘুমের থেকে দেখবে উঠে পাতখানা শূণ্যি!

    বাবুরাম সাপকে শুধু খাওয়ায় দুধু ভাত
    হুঁকোমুখো কাঁচাকলা খেলেই কুপোকাৎ।
    ঠোঙা ভরা বাদামভাজা খায়না কেন রাজা
    ছবির ফ্রেমে থাকবে কেন আমসত্ত্ব ভাজা!
    কেতাবেতে সব সংবাদ লিখছে ফলাও ক'রে
    চাটনি আর পোলাও সবাই রাঁধে কেমন ক'রে।
    ডানপিটেটা খাবেই দেখ শিলনোড়াটা শেষে
    মোমবাতিা আর দেশলাই সে নিয়ম করে চোষে।
    কপ্ কপিয়ে মাছি ধরে দিচ্ছে মুখে পুরে
    দুধভাত দেখলে ভাগে যোজন খানেক দূরে।
    আহ্লাদীরাও বসে থাকে ডানপিটেটার পাশে

    এসব দেখে সবাই মিলে সোডার মত হাসে।।
    ওইযে আমার হামান ছেঁচা যষ্টি মধুর মিষ্টি
    রান্না হাঁড়ির কান্না হাসির ফোড়নদারের গুষ্টি।
    নন্দ খুড়ো ছাড়ল হুঁকো ,পাত্র নিল নস্যি
    কোটাল এসে নস্যি ঝাড়ে এমনতর দস্যি।
    গালফোলা ঐ নেকীর মুখে মালপোয়াটা ঠাসা
    কাঁদুনে কাঁদে খিদের সময় মায়ের আদর খাসা
    দেওয়াল ঠেসে খাবি খায় ট্যাঁশগরুটা রোজ
    দানা পানি-ঘাস- বিচালির করে না তো খোঁজ।
    খায়না সে যে ছোলা ছাতু ময়দা কিংবা পিঠা
    রুচি নাই আমিষেতে,পায়েসও গেল ছাঁটা
    সাবানের সুপ আর মোমবাতিতে লোভ
    ন্যাকড়া ফালি ফেলল খেয়ে কী জানি কী ক্ষোভ!

    কেউবা আবার নোটে লেখে আরশোলা কী খায়
    ঝোলাগুড় কিসে দেয় ?সাবান না পটকায়?
    জোয়ানের আরক কেন এতটা ভাই ঝাঁঝায়
    তেজপাতায় তেজ কেন?ঝাল কেন লঙ্কায়?
    পালোয়ানের বরাদ্দ রোজ তিনটি ধামা পেস্তা
    চৌদ্দ হাঁড়ি দৈ কি মালাই মুড়কি কয়েক বস্তা।
    দুপুর হ'লে খাবার আসে কাতার দিয়ে ডেচকি
    বরফ দেওয়া উনিশ কুঁজো সরবত থাকে বৈকি!
    বিকেল হলে খায় সে শুধু গন্ডা দশেক মন্ডা
    সন্ধ্যা হ'লে দিস্তা লুচি করতে পারে ঠান্ডা।

    একটা কথা এবার বলি পোলাও কিম্বা কোর্মা
    খাস্তা লুচি বেলতে গিয়ে দেখাও হাজার ফর্মা
    পটলের দোলমাতে দাও না যতই মাছের পুর
    সবাই জেনো শ্রেষ্ট খাবার পাঁউরুটি আর ঝোলা গুড়।।[০৫.০৮.২০১৩]

    copyright @ dak harkara
  • অঞ্জন ঘোষ(ডাক হরকরা) | 24.96.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ০৭:২৯617076
  • [ এটি সুকুমার রায়ের ওপর আমার দ্বিতীয় প্রয়াস।হয়ত অক্ষম প্রচেষ্টা,তবু সুকুমারকে ভালোলাগা থেকে লেখা।]

    সৎপাত্র

    সুকুমার রায়

    শুনতে পেলুম পোস্তা গিয়ে-
    তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে ?
    গঙ্গারামকে পাত্র পেলে ?
    জান্‌‌তে চাও সে কেমন ছেলে ?
    মন্দ নয় সে পাত্র ভাল-
    রঙ যদিও বেজায় কালো ;
    তার উপরে মুখের গঠন
    অনেকটা ঠিক প্যাঁচার মতন ।
    বিদ্যে বুদ্ধি ? বলছি মশাই-
    ধন্যি ছেলের অধ্যবসায় !
    উনিশটি বার ম্যাট্রিকে সে
    ঘায়েল হয়ে থাম্‌ল শেষে ।
    বিষয় আশয় ? গরীব বেজায়-
    কষ্টে-সৃষ্টে দিন চলে যায় ।
    মানুষ ত নয় ভাই গুলো তার-
    একটা পাগল একটা গোঁয়ার ;
    আরেকটি সে তৈরি ছেলে,
    জাল ক'রে নোট্‌ গেছেন জেলে ।
    কনিষ্ঠটি তব্‌লা বাজায়
    যাত্রাদলে পাঁচ টাকা পায় ।
    গঙ্গারাম ত কেবল ভোগে
    পিলের জ্বর আর পাণ্ডু রোগে ।
    কিন্তু তারা উচ্চ ঘর
    কংসরাজের বংশধর !
    শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামের
    কি যেন হয় গঙ্গারামের ।-
    যাহোক্‌, এবার পাত্র পেলে,
    এমন কি আর মন্দ ছেলে ? -
    ******************
    সৎপাত্র

    ডাক -হরকরা

    শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে
    গঙ্গারামের হয়েছে বিয়ে।
    স্ত্রী-পুত্র- বিশাল বাড়ি
    সম্প্রতি সে কিনেছে গাড়ি।
    ছিল ব্যাটা ম্যাট্রিক ফেল
    পান্ডুরোগেই লাইফটা হেল।

    বৌটি ধমক দিল যবে
    কবে তুমি মানুষ হবে?
    টিকতে হলে ধরা ধামে
    যাওনা ভিড়ে ডান বা বামে!
    অযোগ্য যে সকল কাজে
    রাজনীতি তো তারই সাজে।
    যাওনা কেন বনগ্রামে-
    শ্যাম লাহিড়ী অনেক জানে।
    সেই থেকে শ্যাম বনগ্রামের
    বুদ্ধিদাতা গঙ্গারামের।
    শিখিয়ে দিল দেওয়াল লেখা
    নেতা-গজার সঙ্গে থাকা।
    দেয়াল লেখায় জীবন শুরু
    পাকড়ে নিল আসল গুরু ।

    সূচনাতে জমির দালাল
    সংসারেতে ফিরল যে হাল।
    জিতল ভোটে তারই দল
    গঙ্গা কিনল ধানের কল।
    এরপরেতে ইমারতি
    বুঝল এটাই পরম গতি।
    মোটা সুদে দিচ্ছে ধার
    ঝুলছে গলায় সোনার হার।
    সত্যি এখন উচ্চ ঘর
    ধনকুবেরের বংশধর।

    এই ছেলেটাই দেখবে কবে
    ইলেকশনে টিকিট পাবে।
    গঙ্গারামের বুদ্ধি জোরে
    ভাইগুলো সব ব্যবসা করে।
    জীবনটাকে করছে ভোগ
    উধাও পান্ডু-পিলের রোগ।
    এমন ঘরের পাত্র পেলে
    বলবে কি কেউ মন্দ ছেলে?[২১.০৮.১৩]

    copyright@ডাক হরকরা
  • siki | 131.243.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৫৭617077
  • ডাক হরকরা,

    কবিতাগুলো মন্দ হয় নি, কিন্তু এটা তো কবিতা লেখার সুতো নয়। এখানে সিপাহী বিদ্রোহের ওপর কিছু আলোচনা হচ্ছিল। আপনি আপনার বিষয়ের ওপর অন্য একটা টই খুলে নিয়ে তাতে লিখুন প্লিজ।
  • b | 135.2.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ১০:০৫617078
  • সিফাইদের জে জে বাঙ্গালা সিখে নাই তাহারা মাশে মাশে সিখে জাইবে। এই ব্রিদো বএশে যবর্দোস্তি পোশাইবে না।

    পুঃ "ওলদে" কি আউলাদ-এ?
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ১১:৩৪617080
  • b,
    হ্যাঁ, 'অওলাদ' হতে পারে, অথবা 'ব্ল্দ'(wald), মানে son of, এটাও হতে পারে। এখনো হিন্দিবলয়ে সরকারি ডকু এভাবেই লেখা হয়।
    ধরুন,'নবীন চন্দ্র পিতা গণেশ সাহা' হিন্দিতে লেখা হবে 'নবীন চন্দ্র বল্দ গণেশ সাহা'।
  • b | 135.2.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ১১:৪৪617081
  • কিন্তু কথাটি কি "আউলাদ-এ"-র হিন্দিকরন? সেটাই জিজ্ঞাস্য ছিলো।

    (ভাগ্যিস হিন্দি বলয়ে জন্মাইনি। নইলে বাপের বলদ হয়ে দিন কাটাতে হত।)
  • দেব | 111.217.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ১১:৫৫617082
  • কিপলিংএর কবিতাটার নাম What Happened।

    Hurree Chunder Mookerjee, pride of Bow Bazaar,
    Owner of a native press, "Barrishter-at-Lar,"
    Waited on the Government with a claim to wear
    Sabres by the bucketful, rifles by the pair....

    http://www.kipling.org.uk/poems_whathappened.htm
  • dd | 69.92.***.*** | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ১২:০৯617083
  • দেবকে থেংকু। প্রচুর।
    ওঃ এই পদ্যটি পড়ি ও'ডায়ারের অটোবায়োগ্রাফীতে। তারপর অনেক খুঁজেছি,আর পাই নি।

    ভালো কথা ও'ডায়ারের আত্মকথাটাও খুব ইন্টেরেস্টিং। সে সময়ে শিখেরা যে কি পরিমান বৃটীশদের তেলিয়েছিলো ভাবা যায় না। গুলি চালানোর পর অমৃতসরের গুরুদ্বারা থেকে ও'ডায়ারকে শিরোপা টিরোপা দিয়ে অস্থির।গুলি যারা চালিয়েছিলো সেই গুর্খা সেনাদের কোট করা হয়েছে (তখন কিন্তু আবাপ ছিলো না) "ইইস,গুলি ফুরিয়ে গেসিলো, নইলে আরো কতো গুলিকে মেরে ফেলতাম"। নিজের দেশের লোকেরাই যে কি অদ্ভুত পাজী ছিলো,খচ্চর ছিলো চিন্তা করা যায় না।
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০১:০২617084
  • কি যে কন ডিডি! অরা, বৃটিশেরাই তো আমাগো কোট-প্যান্ট-টাই পরা শিখাইলোঃ)))
  • Az | 161.14.***.*** | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০১:১২617085
  • এই ও ডায়ারের তারপরে কী হোলো? সে লোক কি রিটায়ার করে বিলাত চলে গেল? সেখানে সুখেশান্তিতে বাকী জীবন কাটিয়ে দিল? নাকি কোনো যুদ্ধে টুদ্ধে লড়ে মারা গেল? এর কোনো ছেলেপিলে ছিল?
  • aranya | 154.16.***.*** | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০১:৪৩617086
  • মাইকেল ও ডায়ার-কে গুলি করে মারেন বিপ্লবী উধম সিং, লন্ডনে।
  • b | 135.2.***.*** | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৩৮617087
  • মাইকেল ও'ডায়ার পাঞ্জাবের গভর্নর, যেনাকে উধম সিং মারেন।
    রেজিনাল্ড ডায়ার, যিনি ঐ নরহত্যার মূল হোতা, তিনি স্বাচ্ছন্দ্যেই কাটিয়েছিলেন। সুখে কি না জানি না।

    উইকি থেকেঃ

    "On his return to Britain, Brigadier Dyer was presented with a purse of 26,000 pounds sterling, a huge sum in those days, which emerged from a collection on his behalf by the Morning Post, a conservative, pro-Imperialistic newspaper, which later merged with the Daily Telegraph. A Thirteen Women Committee was constituted to present "the Saviour of the Punjab with the sword of honour and a purse." This single incident angered the Nobel Laureate Rabindranath Tagore so much that he renounced his knighthood in protest. The Morning Post had supported Dyer's action on grounds stating that the massacre was necessary to "Protect the honour of European Women."[49] The Morning Post blamed Montagu, Secretary of State (India), and not General Dyer for the massacre and asked for his court trial. Montagu, on the other hand, in a long letter to the Viceroy, passed the blame to Michael O'Dwyer and admitted "I feel that O’Dwyer represents a regime that is doomed."
  • অঞ্জন ঘোষ(ডাক হরকরা) | 24.96.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২০:৫৬617088
  • ।।সিপাহী বিদ্রোহের ডায়েরী।।
    অঞ্জন ঘোষ(ডাক হরকরা)
    (কোম্পানীর সেনাবাহিনীতে অধিকাংশ সিপাই ছিলেন অযোধ্যা ও তার আশেপাশের ব্রাহ্মণ বা উচ্চবংশের হিন্দু ,আর ছিল মুসলিম।বেঙ্গল আর্মির ৬০% ছিল এরাই।ভারতীয় সেনার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা,বেতন,প্রমোশন-সবকিছু নিয়েই ক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরেই।তারই ফলে ১৮২৪ সালে সমুদ্র পেরিয়ে ব্রহ্মদেশ যাওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে ছোটখাটো বিদ্রোহ ঘটে,যা পরবর্তীকালে মঙ্গল পান্ডের প্রতিবাদ ও উত্তর-মধ্য ভারতব্যাপী বিদ্রোহের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল।আর তাকে অবিবার্য করে তোলে ডালহৌসীর স্বত্ববিলোপ নীতির লোভাগ্নিতে আহুতি দেওয়া পাঞ্জাব ও সাতারা(১৮৪৮),নাগপুর(১৮৫৩),ঝাঁসি(১৮৫৪),অযোধ্যা(১৮৫৬)।
    সন:১৮৫৭
    দিন:
    *২২শে জানুয়ারী –দমদম সেনা ছাউনিতে এক নীচু জাতের খালাসি এক ব্রাহ্মণ সিপাইকে জানায়,এন্ডফিল রাইফেলের নতুন কাতুর্জে গরু আর শুয়োরের চর্বি রয়েছে।খবরটির সত্যতা যাচাই-এর সময় না দিয়েই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল।
    *৪ই ফেব্রুয়ারী ব্যারাকপুরের সেকেন্ড নেটিভ ইনফ্যান্ট্রি নতুন ব্যবহার করতে অস্বীকার করল।
    *৭ই ফেব্রুয়ারী লর্ড ক্যানিং লিখছেন এই ক্ষোভের যথেষ্ট ভিত্তি আছে।
    *২৬শে ফেব্রুয়ারী বারাকপুরের নাইনটিন্থ নেটিভ ইনফ্যান্ট্রি নতুন কাতুর্জ ব্যবহার করতে অস্বীকার করল।
    *২৯শে মার্চ ছাব্বিশ বছর বয়স্ক মঙ্গল পান্ডের বিদ্রোহ।
    *৩১শে মার্চ বারাকপুরের পুরো রেজিমেন্ট ভেঙে দেওয়া হ'ল।
    *৮ই এপ্রিল বারাকপুরে ফাঁসি দেওয়া হ'ল মঙ্গল পান্ডে কে।
    *২১শে এপ্রিল ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল জমাদার ঈশ্বরীপান্ডে কে।তিনি মঙ্গল পান্ডেকে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকার করেছিলেন।
    *২৪শে এপ্রিল মীরাটে থার্ড লাইট ক্যভালরি কার্তুজে আপত্তি জানালো।
    *৫ই মে থেকে কোর্ট মাশাল বসল।
    *১০ই মে মিরাটে ভারতীয় সেনারা বন্দী সাথীদের মুক্ত করে অফিসারদের উপর গুলি চালালো।
    *১১ই মে বিদ্রোহী সেনারা দিল্লি পৌঁছালো।দিল্লি সেনাদের বিদ্রোহ।বহু ইংরেজকে গুলি করা হ'ল।
    *১৩ই মে বাহাদুর শা জফরকে নতুন মোগল সম্রাট ঘোষণা করা হ'ল।
    *১৪ই মে ফিরোজপুরে বিদ্রোহ দেখা দিল।
    *২০ শে মে-২৫শে মে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ল উত্তর ভারতের সেনা নিবাসে।আলিগড়,মইনপুর,বুলন্দশহর,এটাওয়া,নওশেরা,নাসিরাবাদ,লখনউ,বেরিলি,শা্জাহানপুর,মোরিদাবাদ,সাহারানপুর,নিমাচ,আজমগড়,সীতাপুর,কানপুর,বেনারস,জৌনপুর,ঝাঁসি,ইলাহাবাদ,জলন্ধর,ফৈজাবাদ,রোটক,ফতেপুর,সিয়ালকোটে বিদ্রোহ।
    *৪ই জুন-৬ইজুন বেনারস ওইলাহাবাদে জেমস নীল বিদ্রোহীদের শাস্তি দেবার নামে ব্যাপক হত্যাকান্ড চালান।
    *৭ই জুন ঝাঁসি দুর্গ দখল, রাণি লক্ষ্মীবাঈ ফের ক্ষমতায়।
    *১২ই জুন নানা সাহেবের ভাই বালা রাওয়ের নির্দেশে পলাতক ইউরোপীয়দের হত্যা করা হ'ল।
    *২৬-২৭শে জুন কানপুর নানা সাহেবের দখলে।
    *২৭শে জুন সতীচৌরা ঘাটের হত্যাকান্ড।
    *১লা জুলাই নানা সাহেবকে পেশোয়া ঘোষণা করা হ'ল।
    *৫ই জুলাই বিরজিস কদর অযোধ্যার নবাব ঘোষিত।
    *১৫ই জুলাই কানপুর বিবিঘর হত্যাকান্ড।
    *২৭শে জুলাই কুমার সিংহের আরা দখল।জুলাই-অগাস্ট জুড়ে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ।
    *১৪ই সেপ্টেম্বর দিল্লি দখলের লড়াই শুরু ব্রিটিশ বাহিনীর।
    *২০শে সেপ্টম্বর অভিযান শেষ।দিল্লি ব্রিটিশদের হাতে।
    *২১শে সেপ্টেম্বর হুমায়ূনের সমাধিতে বাহাদুর শা জফরের আত্মসমর্পণ।
    *২২শে সেপ্টম্বর বাহাদুর শাহের ছেলে ছেলে-নাতিদের প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে উইলিয়ম হাডসন।
    *৬ই ডিসেম্বর তাঁতিয়া তোপীকে হারিয়ে কানপুর দখল করলেন ক্যাম্বেল।
    *১৫ই ডিসেম্বর ইন্দোর দখল করলেন সি এস স্টুয়ার্ট।
    সন:১৮৫৮
    *২৭শে জানুয়ারী বাহাদুর শা জফরের বিচার শুরু।
    *৯ই মার্চ বাহাদুর শা দোষী সব্যস্ত।
    *২১শে মার্চ লখনউ পুর্নদখল করল কোম্পানী।
    *১লা এপ্রিল বেতোয়ার যুদ্ধে হিউরোজের হাতে তাঁতিয়া তোপীর পরাজয়।
    *৩রা এপ্রিল কোম্পানীর ঝাঁসি দখল।লক্ষ্মী বাঈ পলাতক।
    *২৩শে এপ্রিল কুমার সিংহ পরাজিত করল লা গ্রাঁদ কে।
    *২৬শে কুমার সিংহের মৃত্যু।
    *২২শে মে কাল্পির যুদ্ধে হিরোজের হাতে বান্দার নবাব আজিমুল্লা ,নানার ভাইপো রাও সাহেব এবং লক্ষ্মীবাঈের পরাজয়।
    *১৭ই জুন গোয়ালিয়রের ষুদ্ধে লক্ষ্মীবাঈ নিহত।
    *১৯শে এপ্রিল গোয়ালিয়র দখল করল হিউরোজ।
    *২রা অগাস্ট কোম্পানীর হাত থেকে ব্রিটিশ রাজ শুরু ।
    *৭ই অক্টোবর শেয মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর দিল্লি ছেড়ে নির্বাসনের পথে।
    *১৭ই-১৯ই অক্টোবর জগদীশপুর আবরোধ,কুমার সিংহের ভাই অমর সিংহ পরাজিত।
    *১লা নভেম্বর ভিক্টোরিয়া ভারতসম্রাজ্ঞী ঘোষিত।
  • অঞ্জন ঘোষ(ডাক হরকরা) | 24.96.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২১:০১617089
  • ।। সিপাহি বিদ্রোহ : ঝাঁসির রাণীর শেষ দিন ।।)
    অঞ্জন ঘোষ(ডাক হরকরা)

    ১৭ই জুন ,১৮৫৮।স্থান-গোয়ালিয়র।সেদিন অস্বাভাবিক গরম।বেলায় তাপমান উঠবে ১২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট । ১৩ই জুন-১৬ জুন টানা কুচকাওয়াজে রানি লক্ষ্মীবাঈ এবং তাঁর ঘোড়া রাজরত্ন উভয় যৎপরোনাস্তি ক্লান্ত।রাণী একটি তেজী ঘোড়া বেছে নিলেন সিন্ধিয়ার অশ্বশালা থেকে।রানির পরিধানে থাকত নীলবসন।কিন্তু আজ পড়লেন গোয়ালিয়র কন্টিনজেন্টের সৈন্যদের মতো সাদা জামা ও লাল কুর্তা।হাতে নিলেন শামসের,কোমরে পাশখুব,সামরিক উচ্চপদের নির্দেশক পিঞ্চ পেটি।মাথায় বাঁধলেন চান্দেরীর সাদা মুরেঠা,গলায় মুক্তোর হার,পায়ে নাগরাই।অন্ধকার থাকতেই তিনি পুত্র দামোদরের কাছ থেকে বিদায় গ্রহণ করলেন,রামচন্দ্র দেশমুখ,গনপৎরাও মারাঠা,কাশীকুনবীনকে পুনরায় দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিলেন।
    প্রাথমিক সাফল্যের পর ক্যাপ্টেন হিনিজ ,ক্যাপ্টেন পুর আর লেফট্যানান্ট রেইলির নেতৃত্বে 8th Hussar-এর আক্রমণে বিপন্ন বোধ করলেন মাত্র ২৫ জন সৈন্য নিয়ে মূল বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া রানি,মান্দার আর রঘুনাথ সিং।রানি এই অবস্থায় যখন আপ্রাণ সোনেরেখা নালা পেরিয়ে যাবার চেষ্টা করছিলেন,ঠিক তখন মান্দার গুলিবিদ্ধ হলেন। রানি ঘোড়া ঘুরিয়ে এতদিনের পাশ্বর্চর মান্দারের আততায়ীকে হত্যা করলেন।কিন্তু সেই মুর্হুতেই তলোয়ারের আঘাতে তাঁর মাথার ডানদিক থেকে ডান চোখ পর্যন্ত গভীর ভাবে কেটে গেল।যে আঘাত করেছে সে তো জানতনা যে ইনি লক্ষীবাঈ,কারন তিনি ছেলেদের মতো পোষাক পরেছিলেন।আঘাতকারীর ধান্দা ছিল রানির গলার মুক্তো মালাটি হাতানো।যাইহোক,রানি পাগড়ির পাল্লা ছিঁড়ে রক্তস্রাব বন্ধ করতে চেষ্টা করলেন ।তবু ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ছে,আর রানি ঘোড়ার পেটে আঘাত করতে করতে যেই নালা পার হতে যাবেন,অমনি মেজর হ্যামিলটনের গুলি ছুটে এসে রানির বাঁদিকের বুককে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিল।তিনি তৎক্ষণাৎ ঘোড়ার পিঠে উপুড় হয়ে পড়ে গেলেন।
    রানির আনুচরবৃন্দ উদ্গ্রীব হ'য়ে রানিকে খুঁজতে খুজতে দেখতে পেলেন রানির ঘোড়াটি সোনেরেখা নালার অদূরে সমতল একটু জমিতে দাঁড়িয়ে নাক ফুলিয়ে পা ঠুকছে। সম্ভবত তার রক্তের গন্ধে অস্বস্তি হচ্ছে।ঘোড়ার ওপর উপুর হয়ে পড়ে আছেন রানি,রক্তধারা ঘোড়ার পিঠ বেয়ে ঝরে পড়ছে মাটিতে।গুলমহম্মদ ছুটে গিয়ে ঘোড়ার লাগাম ধরে ফেললেন আর কাঁদতে কাঁদতে রানিকে নিয়ে এলেন।গঙ্গাদাস বাওয়ার পরিত্যক্ত ভিটের ঘাসের গঞ্জিতে রানিকে সন্তর্পনে শোয়ানো হ'ল।রামচন্দ্র আর কাশী দামোদরকে সেখানে নিয়ে এলেন।সোনেরেখার কর্দমাক্ত জল রানির চোখে-মুখে সিঞ্চন করা হচ্ছিল।সন্ধ্যা সমাসন্ন,এমন সময় রানির জ্ঞান ফিরল।রানি মৃদু অথচ পরিষ্কার গলায় তাঁর শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করলেন-'আমার প্রতি যে আনুগত্য তোমরা দেখিয়েছ ,অনাথ আনন্দের প্রতি তা অটুট রেখো।আমার যে অলঙ্কার ও অর্থ রইল তার থেকে আমার ফৌজকে টাকা দিও।আমার মৃতদেহ যেন ফিরিঙ্গিদের হাতে না পড়ে ।'এরপরই তিনি অন্তিম নিশ্বাস ত্যাগ করেন।তারপর খুলে নেওয়া হ'ল রানির যুদ্ধের বেশ।সেই ঘাসের গঞ্জিতে চকমকির আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হ'ল রানির দেহ।দাহ সমাপনান্তে মধ্যরাতে পূত অস্থি সংগ্রহ করে রানির পরিত্যক্ত উত্তরীয় প্রান্তে বেঁধে অনুচরবৃন্দ কাঁদতে কাঁদতে দামোদরকে নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র চিরতরে পরিত্যাগ করল।
    যুদ্ধ শেষে রণক্লান্ত হিউরোজ ছুটি কাটাতে গেলেন পুনের পাহাড়ে।সেখানে যুদ্ধের ডায়েরী লিখতে বসে তিনি রানি লক্ষ্মীবাঈ সম্পর্কে মন্তব্য লিখলেন, "Although a lady,she was the bravestest and best military leader of the rebels.A man among the mutineers."
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন