দীপাঞ্জন এর এনালিসিস তো যুক্তিযুক্ত ও তথ্যপূর্ণ মনে হলো। এর চেয়ে ভদ্রস্থ আলোচনার দরকার পড়লে, ইউ নি র ভিতরে গুজ গুজ চালানো যেতে পারে।
বহু আগেই প্রেডিক্ট করেছিলাম।ইনিয়ে বিনিয়ে প্রবন্ধ লেখা হলেও আলটিমেটলি সেই ইলেকশন ক্যাম্পেইন মোডে সুইচ হয়ে গেছে।
বুঝতে পারলাম না।সরকারী লেভেলে কোন কথা হয়েছে না পার্লামেন্টে বিতর্ক শুরু হয়েছে?
শুরু হলো ভুলভাল যুক্তি।আমেরিকার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলা হলো পেন্টাগন ও জি ও পি কন্ট্রোলড সেনেট।
ইউ কে তে কি চার্চিলের মূর্তি রিমুভ করার জন্য পার্লামেন্টে বিতর্ক গ্রহণ করা হযেছে?পাশ হওয়া তো পরের কথা!এটা তো প্রটেস্টর দের দাবী!
আবার গান্ধীজি কেও টেনে আনা হচ্ছে!বিদেশে থাকা একজন ভারতীয় হয়ে,এর তো প্রতিবাদ করা উচিত। এই যে বারাক ওবামা শপথ নিয়েই গান্ধীজির নাম উল্লেখ করে ওনার আদর্শে চলবো বলেছিল, তা ওবামা কি গণ্ড মূর্খ!
প্ৰটেস্ট তো হতেই পারে।এন্টি প্রটেস্ট এর লোকজন ও ব্রিটেন এ কিছু কম নেই। সরকারী ভাবে কিছু করা হলে জানাবেন। গান্ধীর মূর্তির ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার প্রযোজ্য।
প্রশ্ন ছিল,ওবামা হলো গিয়ে আমেরিকার প্রথম ব্ল্যাক প্রেসিডেন্ট।যিনি তার বক্তৃতায় বলেছেন আমেরিকার একটা লং হিস্ট্রি আছে রেসিজিম নিয়ে।এহেন ওবামা কি জানতেন না, গান্ধীজি রেসিস্ট।তাহলে শপথ নেওয়ার পর বলেন কি করে গান্ধীর আদর্শ মেনে চলবো বা উনি আমাদের ইনস্পিরেশন। --))
আরে কি মুশকিল ওবামা নিজেই বক্তৃতায় বলেছে,গান্ধীজি তার আদর্শ।ইনেকুয়ালিটির বিরুদ্ধে তিন ব্যক্তি দুনিয়া ব্যাপী লড়াই করেছে।গান্ধী,কিং ও ম্যান্ডেলা। ওবামা কি না প্রথম ব্ল্যাক প্রেসিডেন্ট ও নোবেল পাওয়া ব্যক্তিত্ব,তাই তার উদাহরণ টানলাম। এমন নয় গান্ধীজি নিয়ে তিনি একবার কিছু বলেছেন।বার বার বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন এবং নোবেল পুরষ্কার পাবার স্পীচ এও বলেছেন।
দুই,গান্ধীজির যে রেসিস্ট ব্যাপার স্যাপার আছে,সেটা নিশ্চিত করে কে বললো?দুদিন পরে এই ভিউ টাও পাল্টে যেতে পারে। শুধুমধু মূর্তি সরানো বা ভাঙ্গা কেন?
রবীন্দ্রনাথ বিশ্ব কবি।মাঝে প্রচার হলো লালনের খাতা ফেরত দেন নি।লালনের সুর কপি করেছেন।কিছুদিন পর জানা গেলো,লালনের সঙ্গে কবির মোলাকাত ই হয় নি কখনো।
সুতরাং গান্ধীর মূর্তি ভাঙ্গা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।