নির্বাচনের প্রোপাগান্ডার রেকর্ড
উস্কানি তত্ত্ব আমার নয়, তাই আমার ক্লিয়ার করারও প্রয়োজন নেই।
জনগণ কিছু সমর্থন করছে মানেই সেসব নিয়ে প্রশ্ন করা যাবেনা, এরকম আমি মনে করিনা। আমি যে দেশে এখন থাকি সেখানে ৪০০ বছর ধরে এক বিশেষ গায়ের রঙের লোকেদের স্লেভ করে রেখেছিলো আরেকদল লোকেরা, জনগণের সমর্থনেই। তারপরেও প্রায় দেড়শো বছর হয়ে গেছে, তাদেরকে বিভিন্ন অধিকার থেকে বন্চিত করে রাখা হচ্ছে এখনও। কিছু কিছু রাজ্যে তাতে প্রবল জনসমর্থন আছে। মহিলারা ভোট দিতে পারতেন না ১০১-১০২ বছর আগেও, তাতেও জনগণের সমর্থন ছিলো। আবার একসময় এক দেশে ইহুদীদের খুন করা হত, জণগণের সমর্থনেই। আমাদের দেশে যারা বাবরি মসজিদ ভেঙেছিলো, তারা ক্ষমতায়, দেশের জনগণের সমর্থনেই।
তাই (মেজরিটি) জনগণের সমর্থন আছে, অতএব সবই ঠিক আছে। সেটা আমি অন্তত মনে করি না।
সেটা কেউই মনে করেন না। কিন্তু নির্বাচনে জনগণের রায় শেষ পর্যন্ত মাথা পেতে নিতে হয়। মানে যারা ওটাতে অংশগ্রহণ করেন। মানে রাজনৈতিক দলগুলোকে।
উস্কানি তত্ব সিপিএমের তাবড় তাবড় নেতাদের। সেটার খুলে আম নিন্দাটা অন্তত করুন।
যে কেউই উস্কানি তত্ত্ব দিয়েছেন, তার তো নিন্দে করেছি। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে দিদির উস্কানিরও সমালোচনা করছি। সেটাও আপনারা করুন।
আর জনগণের রায় হিসাবে সবকিছু মাথা পেতে নিতে পারছিনা দাদা। অনেক তো দেখলাম। এই মেজরিটেরিয়ানিজমের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একটা নৌকাতে করে চারজন সমুদ্র পার করছিলো। নৌকা প্রায় ডুবে যায় যায়, একজনকে না ফেললে কেউ বাঁচবে না। তখন বাকি তিনজন মিলে ভোটাভুটি করে মোটা লোকটিকে ছুঁড়ে ফেলে দিলো। এখানেও কি গণতন্ত্রের দোহাই দেওয়া হবে নাকি।
আমি এই সংসদীয় গণতন্ত্র নামক প্রহসনটিতেই আটকে আছি। সেটা কী জিনিস, খায় না মাথায় মাখে সেটা বুঝতে চাইলে 'রাষ্ট্র ও বিপ্লব' ফের পড়ুন।
সংসদীয় গণতন্ত্র আর মেজরিটেরিয়ানিজমের মধ্যে পার্থক্য আছে। আর তার উপরে রয়েছে পাবলিক সেন্টিমেন্ট ম্যানিপুলেট করার উপায়। সেটা কখনও এই ইরাক আমাদের হামলা করলো, এই মুসলমানদের জন্য আমাদের আজ এত বাজে অবস্থা, এই ইমিগ্রান্টরা আমাদের সব কাজ নিয়ে নিলো, বা এই বামেরা সব জমি কেড়ে নিলো - এইসব ভয় দেখিয়েও তো ভোট পাওয়া যায়। যে কারণে মুনমুন সেন ভোটে জিতে যান।
পাবলিক সেন্টিমেন্টকে ম্যানিপুলেট করার জন্য সংসদীয় গণতন্ত্র লেজিটিমেসি দেয়। তাই কৃষ্ণনগরের সত্যব্রত মুখার্জিকে হারাতে আগের রাতে সংখ্যালঘু এলাকাগুলোতে গোধরার ভিডিও চলে। এগুলোকে বলে গেমপ্ল্যান। আর মেজরিটি ভোট পেয়ে বিজেপি দেশে রাজ করছে না। পেয়েছে সাকুল্যে ৩১%। কিন্তু ওটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের যাদু বা বশীকরণ কবচ। সিপিএম সেই কবচ অনেক আগেই অঙ্গে ধারণ করেছে এবং কোনও ক্ষেত্রেই তারা বাকিদের তুলনায় কচি খোকাটি নয়।
আচ্ছা আজকে এইটুকু থাক। বাকিটা কালকে হবে।
আমিও তাই বলতে যাচ্ছিলাম। ওকে, আপনার কথাই থাকল।
কালকে এইটা দেখলাম। এটি সিনেমা স্টার না জে-এন-ইউ ক্যাটেগরিতে পড়বে, ভাবছি। এবং কেন।
https://www.facebook.com/100049457754200/posts/296831818642074/
প্রশ্নঃ আচ্ছা সবাই বহুজাতিক কোম্পানির ঠান্ডা ঘরে বসেই কেন কাজ করে? ছোটবেলার থেকে এটা পড়ে আসছি। আমি তো কখনো কোন ঠান্ডা ঘরে বসে কাজ করিনি।
S ঠিকই বলেছেন।
মেজরিটি বলেছেন বলেই সেটা সঠিক, তাই নির্বিচারে মেনে নিতে হবে এমন নয়। কিন্ত যতক্ষণ মেজরিটি আমার বক্তব্য আমার ব্যাখ্যা স্বীকার না করছে ততক্ষণ পুরনোটাই প্রয়োগ করা হবে এবং সিস্টেমের পার্ট হিসেবে সেটা ,উইথ প্রটেস্ট, আমাকে মেনে চলতে হবে।
ঠিক যে কারণে আমাকে মিথ্যে চার্জে বন্দী করে রাখলে এবং জামিন না দিলে অবশ্যই হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট যাব, কিন্ত ততদিন হাজতে থাকতে বাধ্য ।
তাই লড়াইটা এত কঠিন।
বাস আর দেবো না। এতগুলো সুন্দর পোস্টার হয়েছিল এক সিরিজের একটা দিলেও অনেক হয়ে গেল
এলেবেলের কথা মানলে তো সিঙ্গুর নান্দিগ্রামের আন্দোলন হবার ই কথা নয় ।এটা একটা সরকার যা কিনা রাজ্যে শিল্প করার জন্য বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো তার বিরুদ্ধে সিঙ্গুর আন্দোলন হবার ই কথা নয় !!!
মোদী/যোগী বাবুর সব ট্যানট্রাম ও হাসিমুখে মানা উচিত পরবর্ত্তী ভোট পর্য্যন্ত ।অদ্ভুত যুক্তি
আমি এই সংসদীয় গণতন্ত্র নামক প্রহসনটিতেই আটকে আছি। সেটা কী জিনিস, খায় না মাথায় মাখে সেটা বুঝতে চাইলে 'রাষ্ট্র ও বিপ্লব' ফের পড়ুন--- এতো কিছু পড়ে দিদি কেই প্রলেতারিয়েতের মাসিহাহ মনে হচ্ছে তো ?:) :)
এস এর নৌকার গল্প পড়ে বিদ্যে বোঝাই বাবু মশায় এর কথা মনে পড়ে গেলো :):)
এস এম বাবু কোথায় ?আসেন না অনেককাল . এলেবেলে আর এসএম কি এক ই জন ? খুব ই মিল দুজনে
উফ ।..,,ভুল টই তে পোস্ট ।মার্জনা
ভাটএর পোস্ট