এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ঢাকাঢুকি আড্ডা

    Abhyu
    অন্যান্য | ১৬ এপ্রিল ২০১৩ | ১৪০৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তোমার নিকটে | ***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩২601555
  • পথের একটি দিকে খয়েরী হলুদ মাঠ অন্যদিকে আকাশের কানা তোলা ইঁটের দেওয়াল
    ধুলোয় একটি ফোঁটা ভুলো জলে খুলে দেয় পাতাদের শ্বাসরন্ধ্র যথা
    হিজিবিজি সুঘ্রাণ যেমন মেশে কর্কশ দৃশ্যের খোপে
    ঝোঁপ বুঝে কেপমার বাসের পাদানী ধরে কফি খায় বেহায়া বিরহী গায়
    পুরাতন গান যত ছাতাপড়া ভুলে যাওয়া জালিয়াত তবুও হৃদয় উজাড় করে
    সিঁড়িগুলি ধরে রাখে স্মৃতি এই
    তোমার স্বরের ন্যায় সিঁড়িগুলি
    শীঘ্র বিপথে যাবে শীঘ্র বিফলে যাবে তবু
    নিরাপদে থাকে তারা শীতের নরম বা তীব্র অনুভূতি, সকল ঋতুতে

    এইসব বর্ণনা করি এইসব বর্ণমালা শিখে
    এইসব ঘিরে থাকে তোমার নিকটে গেলে যেরকম অপয়া এ কাতর বিষাদ থাকে
    প্রতি যাওয়া আসা ঘিরে, এইটুকু পথে, একদিকে ধূসর খয়েরী মাঠ ছুঁয়ে।
  • রিভু | ***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:০৫601556
  • সিকি আর বি এর লেখা ভাল্লাগ্লো ।
  • সনাতন | ***:*** | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ২৩:২৬601557
  • জ্যোৎস্নায় ঘুমন্ত খরগোশের মত কাঁপে মৃদু
    পৃথিবীর পিপাসা ক্ষুধা বিষাদ বিরাগ
    উড়ে যায় নরম খয়েরী মৃদু রোম
    বুদ্ধিহীন কীট কাছে আসে
    চোরকাঁটা, রাত প্রজাপতি, টি টি করে ডাকা পাখি, শঙ্খূড় সাপ,
    বাস্তু থেকে চ্যূত হওয়া মানুষের আত্মাগুলি
    উচ্ছিষ্ট হয়ে যাওয়া ভিক্ষার অন্নগুলি
    ঘিরে রাখে তাকে। নীরব দীঘির জল ছিঁড়ে গেলে
    এমন ছবিতে দাগ ধরে, তাই যাবতীয় বিরাগ বিষাদ নিয়ে
    দমবন্ধ কাচকলে বরাতী বাক্সে যেন
    প্রকৃতির খেলা, দূর থেকে
    নরম খয়েরি রোম ফিরফিরে হাওয়া দিলে হিলিবিলি
    কাঁপে, উড়ে যায় দূরে,
    ঘুমন্ত মেঠো খরগোশটুকু, কতটা নিবিড়-

    দূর থেকে কে দেখে সেসব
    স্থির, স্তব্ধ অমায়িক।
  • সনাতন | ***:*** | ২১ মে ২০১৯ ১৭:৩৯601558
  • কে বলেছে তাকে এই গোলাপী বেগুনী ফুল ঝরে যাবে
    খর রোদ, মেঘ হবে পূর্ণিমা দ্বাদশীর চাঁদ
    হবে সব ঘুরে ঘুরে যাবে চাকা ফিরে
    আসবে কি আসবে না শব্দেরা এক
    সাথে কে তাকে বলেছে

    কে তাকে বলেছে ধরো
    ধারালো চাঁদের ফালি এই
    যুগে নিত্য সাফ ত্যানা দিয়ে মাজা
    কে তাকে বলেছে যদি দুর্যোগ আসে তবে
    দর্পে তাকিও রুখে যেদিকে অন্ধকার ধেয়ে আসে

    বলেছে কে তাকে এই কাঁধে কাঁধ হাতে হাত জুড়ে
    বেঁধে দিতে পারে তারা ভয়ানক প্রলয়ের বান
    বালির বাঁধেও রোখে স্প্লিন্টার ছিটে ইস্পাত
    শষ্য স্বপ্ন দেখে বিস্মৃত পদচিহ্ন গ্রাম
    গান ভাবে চোখ বাঁধা বন্দী ক্কচিৎ

    বলেছে কে শুশুকের মত
    তার নৃত্যপর গমনাগমনে মেঘ
    জমে ধ্রুপদী অচেনা সঙ্গীতের মত
    দোলাচল শুরু হয় ঘর ছেড়ে চলে যায়
    আর পথবাসী গৃহহারা বিষম দুর্যোগ ঠেলে

    ফিরে আসে সন্ধ্যের মুখে, নিয়ে সুখবর নিশান
    খাদ্য পানীয়, হইহই করে ওঠে গেঁয়ো
    লোক রুখে ওঠে ব্যারিকেড করে-
    কেউ তাকে বলেনি এসব তবু
    তাকে দেখে ফুটে ওঠে গোলাপী বেগুনী বুনো ফুল।
  • সনাতন | ***:*** | ৩০ মে ২০১৯ ১৫:১০601559
  • বাক্স রেখেছি খুলে আর ভাবি ছেড়ে দেবো এইবার সব
    ভ্যানতাড়া কে বাঁচে কে মরে যায় তাই নিয়ে
    হাউমাউ তার চেয়ে আঁটিশুঁটি বসে থাকা ভালো।
    ফুসফুসে ছ্যাঁদা হলে কী হবে তা ভেবে ভেবে
    র‌্যাঁদা ঘষে তুলে দিই ঘোলাটে চোখের আর
    শালিখেরা ডেকে যায় ভারিক্কি পায়রাগুলি ব্যালকনি থেকে
    দেখে ঐ দেখো মনুষ্য বসেছে তার প্লাস্টিক অযথা সমরে।
    এইবার ছেড়ে দেবো যতসব কব্জির ব্যথা বুকে চাপ
    অনিদ্রারোগী যেন ড্যাবা চোখে সিলভার কার্প
    ভেটকিয়ে পড়ে থাকে ত্রিপালের আঁশটে জলায়।
    এইসব ভাবি আর মনে হয় এন্টার চেপে দিলে বেঁচে যায়
    কাগজের ধ্রুপদী ছ্যাৎলা পড়া ঝুড়ি।
    রোদ টোদ, উমড় ঘুমড় ঘনঘটা,
    কিচিমিচি বেকার পাখিরা, ভোটাভুটি, উড়ুক্কু চিল
    এইবার ছেড়ে দিয়ে হাসিমুখে, অনেক তো হলো।
  • সনাতন | ***:*** | ২৬ আগস্ট ২০১৯ ১০:০৮601560
  • রোদ, হালকা গুমোট গরম হাওয়া, লাশ গ্রীন সবুজ তিরতিরে কাঁপা বাঘা বাঘা মশার কলোনী, টিটিটিটি সারাদিন কী পাখি যে ডাকে, রেডিওতে কিরকম গান শোনে, সকালে বাজার হাট, ছাপোষা মানুষজন কাছাকাছি থাকে তারা একে ও অপর অভিযোগে অভাবে ও দুর্ভিক্ষে রাষ্ট্রবিপ্লবে। সকালে রিক্সা পাওয়া ভার, শরতে ঝ্ঞ ঝঞ ধুনুরীরা এমত আওয়াজ করে ফেরে গলি গলি, পেয়ালা পিরিচ ঠুনঠুন শোনা যায় গলির লাগোয়া ঘর থেকে। ব্যালকনি থেকে নীচে ট্র্যাকপ্যান্ট পরনে জগার দেখি না তাই মনে পড়ে কেমন করুণ যেন বিলাসী এসব, উড়ান ছিন্ন করে আমাদের কলিজা হৃদয়। মেঘের ছায়াটি ঢাকে সবুজ সবুজ, যেখানে আছিল ঘর বাড়ি।

    ~~~

    মেশে নাই সকালে তখনো বাতাসে কলুষ
    কাগজের হরকরা লোকেদের মেজাজ শরীফ
    খ্যাখ্যা করে দাঁত মাজে বসতির মেয়েরা কলে জল
    কুদৃশ্য তবে এ নরম রোদে মেজাজ শরীফ
    মাথায় তখনো তত ঢোকেনি কলুষ তবে
    ভোরের উড়ান তাই কেমন বিষাদ যেন
    কেবল এ ওড়াউড়ি ফঙ্গবেনে ফড়িঙের মত
    পাল্টে পাল্টে যাওয়া এই জল আদিগন্ত
    এই তো সবুজ আর মেটে রং ছাড়িয়ে
    নিরাবলম্ব তবে সকালে নরম রোদে
    যেহেতু কলুষ নাই, ব্যক্তি নাই, বোধ নাই
    ছুটে চলে ট্যাক্সি, তার পেছনে ধেয়ে আসে চড়া বেলা, ভীড় হইচই।

    ~~~

    আসলে যেহেতু শূণ্য তাই মাথা চুলকায়
    লিখে ফেলা যা আসলে যদি থাকে কাগজের ঝুড়ি
    পেপার শ্রেডার, তবে এ বৈদ্যুতিন দেয়
    যা আসলে নকল অমৃত।
    মৃত্যুঘটনা শুনে মনে মনে যে বিষাদ জাগে
    যে শিশু একাকী থাকে যে বড় মানুষ দেখে
    কী দেখে তা জানে কিনা কেউ
    সুপারীর ক্কাথ খাওয়া অনুভূতি চেপে রেখে
    আসলে শূণ্য তাই পংক্তিকে ভেঙে ভেঙে
    আশনাই, বিষাদ জাহির।
  • সনাতন | ***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৩১601561
  • সবই কি লিখেছি আমি?
    ঝোপালো হলুদ বাড়ি আইভি লতার ঝাড়
    ঢিপির ওপারে দেওয়াল, তারপর ধূধূ আবছা হাইওয়ে
    নীল পাহাড়ের সারি, চিলেদের ওড়াউড়ি
    নষ্ট নদীর কলকল, কালো জল, শিকড় বাকড়
    কুটোকাটা, জুম আউট করে করে
    কতবড়, দেওয়াল, ফটক, লোহালক্কড়, মানুষের খাঁচা।

    সবই কি লিখেছি আমি?

    না শোনা ধীরের লয়, ধুলোপায়ে ধুলোপায়ে
    ছাত থেকে গাছেদের মাথা আর খোপ খোপ,
    নীল পাহাড়ের সারি, চিলেদের ওড়াউড়ি
    নষ্ট নদীর কলকল, কালো জল, শিকড় বাকড়
    কুটোকাটা, জুম আউট করে করে
    জলপাই গাড়ি ঘোড়া শুনশান পথে,
    হেমন্তে ঝরা পাতা, কত লোক খামোখা বেঘোরে।

    সবই কি হয়েছে লেখা? আসলে সকল কিছু বাকি,
    নীল পাহাড়ের সারি পার হয়ে যতদূর হাত যায় ততখানি বাকি।
  • সনাতন | ***:*** | ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ২০:৪০601562
  • হেমন্তে সাপের চলার মত পাখা চলে, আবছা বিষাদের মত শীত ছুঁয়ে থাকে কেবল গোড়ালি
    আর ওপরে ওঠে না সে, এখনো হয়নি সময় তার
    ভটভটি সাইকেল টোটো থেকে ছায়াছবি গান
    দুপুরের বিরক্ত অভিমানী ঘুঘুপাখি বিবাগী হয়েছে
    তার নীড় আর প্রয়োজন নেই তাই পড়ে আছে কুটো
    টেলিফোনে কারা যেন হিন্দিতে কথা বলে
    কলহ টলহ পরিতাপ
    শ্যাওলা দেওয়ালে হুলো পায়চারি করে।

    স্টেশনে হইচই কমে গেছে হয়তো যাদবপুর
    ঢাকুরিয়া ক্যানিং সুভাষগ্রাম শাসনের পথে
    বেজার নিত্যযাত্রী দিনগতে নেমেছে রোলের দোকান ঘেঁষে
    চা ওলার ছেলেটি গুটিয়ে পুঁথি দপ্তর ঘুমিয়েই কাদা।

    তোষক বালিশে খসখস, যেন কত যুগ পার হয়ে
    হ্রেষারব তোলে রোগা পরিত্যক্ত বেতো ঘোড়া
    পোলাপান টিভি নেড়েচেড়ে ক্রমেই এগোতে থাকে
    যেদিকে পিছিয়ে গেলে হতো।

    চুপ করে থাকে সমবেত, কথা বলে ওঠে সমস্বরে
    কি জানি কি লোকেদের একাকীতে এতই অনীহা
    অন্য শহরে লোক আরেকটু ওপরচালাক যেন

    ঝিলের কিনারে জমে পাতা টাতা অগোছালো
    সন্ধ্যে হতে না হতে জমে ওঠে মেলাঙ্কলিয়া যেন
    শীতের কুয়াশা জমে হাঁটু ছোঁয়া মেঘ আর
    শিকড় চারিয়ে ঠিক অশ্বত্থের আগ্রাসী হাতযশ

    এসব শব্দ টব্দ খালি চারিদিকে, খুটখাট, অথবা বাসনের ঠুং
    বেজী ও ভামের দল, কুটুরে প্যাঁচা ও রাতপাখি
    হেমন্তে বিষাদ চষে, চারফসলের বুঝি বছর বছর অনাদি বাংলা এই দেশ।
  • a | ***:*** | ২০ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:৩৮601563
  • এই সনাতন কি ওপাড়ার?
  • সনাতন | ***:*** | ২০ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৩৩601565
  • কোন পাড়া? আমি তো গুরুতেই আসি বরাবর। হরেদরে হয়তো মাসে নিদেন পক্ষে পঁচিশবার।

    (কমেন্ট পড়েছে দেখে তড়িঘড়ি দৌড়ে এলাম, অবশেষে কারো মন/ হৃদয় ছুঁয়ে গেল ভেবে, উল্টে দেখি আমার সেই চিরকালীন পরিচয়সঙ্কট।)
  • | ***:*** | ২০ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৫৩601566
  • :-)))
    এতগুলো নামে লেখোই বা কেন?

    কবিতা তো অতি উত্তম।
  • মৌলিকতা | ***:*** | ২১ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০৪601567
  • হ্যাঁ, তারপর লোকে বলুক আরকি, কোথাও কোন নতুনত্ব নেই।
  • aranya | ***:*** | ২১ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৫৮601568
  • সনাতনের পদ্যের তো আমি খুবই ভক্ত, প্রায়ই মন ছুঁয়ে যায়
  • আত্মঘোষ | 162.158.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০১:৩২730759
  • সাধাসাধি না করেও কী করে যে আসে
    হঠাৎ একেকদিন স্থির হয়ে গেলে
    এঁদো ডোবা, যদিও আজকাল আর কই
    সেরকম শব্দের খেলা, ডিকশনারী উপচে পড়া ছোঁয়াছুঁয়ি
    শহরে, থরহরিকম্প যেমন শুধু
    বসিয়ে দেওয়া কথার পিঠে কথা
    শব্দের পাশে শব্দ, অক্ষরের গায়ে অক্ষর
    এরকমই হতো আগে, তারপর হাঁপিয়ে কি গিল্ট।

    শহরের মধ্যিখানে গহ্বরটা ভালোই কৃষ্ণ হয়েছে দেখা গেল
    চুপচাপ গলাধঃকরণ করে ছোটখাটো পাখি
    গন্ধভাদালি পাতা, বেড়ালের ছানা
    ঐপার থেকে একা ছাদে সিগারেট
    অথবা,
    রাতপোশাক।

    ঝোল লাগা শালপাতা চাউমিন ইঁদুরের সুড়ঙ্গ
    তার নীচে মাটিদের স্তর তার নীচে আরো কতকিছু তবে
    সেসবে আর কিইবা নীলিমা।

    খোঁড়া ঘোড়া ঝিমোয় অন্ধকারে,
    ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা, সাধাসাধি না করেও কী করে যে আসে
    আর কী করে যে জেগে ওঠে যতসব জড়বস্তুগুলি।
  • আত্মঘোষ | 162.158.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪৩730774
  • এমন সময় ঠান্ডা জোলো হাওয়া
    হঠাৎ চেপে ট্রাফিক বাতির গান
    ফাঁকায় ফাঁকায় আপিস পাড়া দিয়ে
    বইতো বেবাক ছিলই মনে সব।

    যে শান্তিময় সেই যে শান্তিদেব
    আবছালা গায় রবীন ঠাকুর বেশ
    গুড়গুড়গুড় বাগিয়ে হামা মেঘ
    আসতে দেখে বাংলা ক্যালেন্ডারে।

    হিজল গাছে ঝগড়ারত ফিঙে
    দৃশ্য যেন দূরপাল্লার ট্রেন
    অলীক যেন অনেক দূরের স্মৃতি
    মিথ্যে যেমন সন্ধ্যেবেলার ডাক।

    গঞ্জে গাঁয়ে যখন তখন আলো
    যাচ্ছে আবার জ্বলছে কোন ক্রমে
    টুকরো রঙীন কাচের মধ্যে ঘেরা
    ভ্রমের মত ছায়াচ্ছ্ন্ন দরি।

    অর্থ কী তার, কেমন কাতর তারা
    অন্ধ আতুর বটের সামিয়ানায়
    হিজল গাছের থাকার কথা ছিল
    করুণ কোন পোকো উপন্যাসে।

    কোমর ভাঙা বাস্তু সাপের মত
    দূর থেকে সব তোমার নিকট আসে
    গঞ্জ থেকে বিদ্যেধরী বেয়ে
    পাতালমুখী অলীক হিজল গাছে।
  • | ২৪ এপ্রিল ২০২০ ২২:৫৩730776
  • বাহ বাহ। বেশ অনেকদিন বাদে।

  • de | 162.158.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২০ ০১:০৭730779
  • খুব ভালো, অনেকদিন পর পড়লাম তোমার কবিতা, রাধিকা সিরিজটা কোথায় আছে? খুঁজে পেলাম না!
  • সনাতন | 172.68.***.*** | ০২ মে ২০২০ ২৩:১৮731031
  • সবাই লিখছে ঢপ করছে পপিচু হচ্ছে বাইগট
    আমার অভয়ারণ্য ঘিরে দৌড়ে আসছে সাতখানা কড়া কড়া পাপ
    লোকজন হুটহাট মধ্যবিত্ত বলে গাল দিয়ে দিচ্ছে
    খোঁটা দিচ্ছে বুদ্ধিশুদ্ধি নিয়ে, এ কী রে ভাই,
    খালি যাচ্ছি গতকাল আর দুর্বল দুর্দিন বলে ফিরে আসছি পর্শুদিন
    মনে পড়ছে আলমারিতে আছে তিনটে হাফ ফুল হুইস্কির বোতল
    বাথরুমের খোপে আছে খারাপ কোয়ালিটির পুরিয়া, ধানেশ্রী
    মনে পড়ে তবে জানি না ব্যাকরণ
    চার্দিকে সব পেখম আঁটা ভাঁড় ছুটে আসছে আলপিন নিয়ে
    দুধের ক্যান থেকে বেরিয়ে আসছে লোক সিমেন্টের যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসছে লোক পিচের রাস্তা থেকে চেঁছে তুলছে লোক শালের জঙ্গল থেকে মর্চে ধরা পুরনো সাইকেল, রেশন দোকানে, হাসপাতালে, থানায় নহবৎখানায়, দেওয়ান-ই খাসে, গর্ভগৃহে ঢুকে পড়ছে পঙ্গপালের মত লোক, আর আমার অভয়ারণ্য ঘিরে দৌড়ে আসছে ছয়খানা কড়া পালোয়ান, এইসব নাকি দেহতত্ত্বের ব্যাপার, তা ধরুন ইঙ্গিতটা সবাই বুঝে ফেলবে তার থেকে বলে দেওয়াই ভালো।
    কারন দেহটা না থাকলে আর এত ফুক্কুড়ি করে লাভটাই বা কী।

    চঞ্চলতা সে বড় বড় লোকেদের কম তাই
    মানুষের বদমাইশি দেখেও তাঁরা ক্ষমাসুন্দর
    তাঁদের পায়ের ছাপ পড়ে নিখুঁত
    আর মুছে যায় যথাযথ।

    চমৎকার যাদের শব্দ বাছাই
    দেখে আমি ঈর্ষায় সবুজ হয়ে যাই
    যারা সুর লাগিয়ে দিতে পারে খাপে খাপ
    তাদের দেখে হিংসে করি, মনে হয় মাথা খুলে
    ছেড়ে দি কিলবিলে কেউটে সাপ, কারন তা মেলে ভালো
    যে তোমাকে অযথাই দেখতে পেল রাত পোশাকে
    আজও তার চোখ গেলে দিতে হাত নিশপিশ করে।

    এইসব ব্যক্তি সমষ্টি দেহ মন সমাজ আন্ডাগ্রাউন্ড মিলে
    বিরক্ত করে দেয়, মনে হয় এই যদি পিছলে যায় পা।

    এইসব হুড়যুদ্ধ থিতিয়ে পড়লে পলি, কাদা ঘেঁটে
    মনে হয় উচ্ছন্নে যাক সব, তোমার নিকটে যাই
    তারপর উন্নাসিক ফিরে আসি, অন্ধকার জারুল হেতাল হিজল
    এইসব অবাস্ত্বব কাব্যিক গাছেদের নীচে।
  • আত্মঘোষ | 162.158.***.*** | ০২ মে ২০২০ ২৩:৩১731032
  • ওহো দে'দিকে উত্তর দেওয়া হয়নি সরি, হ্যাঁ, সার্চটা আজকাল একটু খটমট হয়েছে, নানান প্যারামিটার হিসেব করে না দিলে রেজাল্ট পেতে অসুবিধে হয়।
  • আত্মঘোষ | 49.37.***.*** | ০৯ জুন ২০২০ ১৯:০০731949
  • প্রেমের পদ্য কি আমরা লিখবো না? লিখবো না আমরা কি পদ্য?
    এমনিতে বসে ভাবলে মনে হয় না লেখাই ভালো
    জানলায় বসে নিতান্ত কাল্পনিক বা অন্যের বা গল্পশোনা
    বা প্রাচীন বা হাফসোল
    দয়িতার প্রতি আঁকুপাঁকু সুললিত
    নিতান্ত বেহায়াপনা অন্তত এ বাজারে
    যখন চতুর্দিকে দুঃসময়, কড়া টড়া নাড়েনা বরং
    বিনা নোটিশেই ঝাঁপ দিয়ে টুঁটি ধরে ঝাড়া দেয়
    মহামারী, মৃত লোক, খুনোখুনি, গাড়ল, রক্তচোষা,
    চাড্ডী ও ধড়িবাজ।
    এসময় জানলায় বসে বসে প্রেমের পদ্য লেখা
    চাপকে পিঠের চাম তুলে দিলে হয়, এমন নিজেকে বলি।

    যদিও গল্প শুনেছি, এরকম পড়েছি বইতে কিংবা সিনেমাতে দেখি
    পাথরের কূপে বন্দী মুমূর্ষু ছেঁড়াখোঁড়া বেয়নেট খাওয়া বিপ্লবী
    রক্তে ডুবে যেতে যেতে নিরীহ প্রেমিকের কথা মনে পড়ে তার
    ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড়ানো লোক শেষ চুমু ভেবে নেয় শেষবার ঠোঙা পরা মাথায় মাথায়
    রেললাইনের লোক, স্টেশনের লোক, রেলগাড়ি ঠাসা লোক, রোদে পোড়া ঝড়ে ভাসা
    তারাও কখনো ভাবেনা কি? যদিও চিনিনা আমি কাউকে তেমন।
    নিরাপদ জানলায় এইসব মনে হয় আর
    দ্বিধা হয়,
    প্রেমের পদ্য কি আমরা লিখবো না? নাকি আমরা লিখে যাবো ব্যক্তিগত মধুর দুঃখগাথা?
    দুঃসময়ের চোখে দাঁড়িয়ে এসব দ্বিধা।
  • আত্মঘোষ | 2405:201:8805:37c0:d931:8af0:1186:***:*** | ১১ জুন ২০২০ ০১:৩০732048
  • ছুঁচ্ছে না মন কিংবা হৃদয়, নিদেন পক্ষে
    হাতটা ধরে, পদ্যগুলি। সেসব যাগ্গে,
    কোনটা লিখবো, জানার পরেও
    মাত্রা বাছতে ঘন্টা খানেক,
    হে মর্মপীড়, এমন দিনও দেখতে হলো।

    এমনি কী হয়, সম্বচ্ছর, ফুর্তি চাপতে ছাই প্রয়োজন
    এদিক ওদিক চাইলে মেলে, দেরাজ খুললে
    তাও সমাধান, কিন্তু ঐটা উইকডেতে, বোঝেন তো সব।
    এখন কোনটা ফূর্তি কোনটা ভস্ম সেসব
    গুলিয়ে যাচ্ছে। যদিও তাতে দুঃসময়ের
    দায় কিছু নেই, এই যে ছোঁয়া যাচ্ছে না আর
    হৃদয় কিংবা হস্তপদ, এই যাতনা,
    হে মর্মপীড়।

    নীল দুরকম, কিংবা পঁচিশ, আশে পাশে চাইলে দেখবে
    একটা লোগো একটা বাটন, একটা রিবন, একটা ব্যানার
    এই সকলি মিথ্যা প্যাচাল, এরণ্ডদ্রুম, নিসর্গনীল, নীল নীলিমা
    আকাশ কিন্তু খ্যাসটা ধূসর, নেড়ির ডাকে ধ্যান ভেঙে যায়
    মাত্রা খুঁজতে ফের হাহুতাশ।

    এইরকমই, যদিও ভাববে রাস্তাভ্রষ্ট, আসলে কিন্তু এটাই লিখি,
    ঐ জন্যেই না চুপকথা, না মনছোঁয়া, কিংবা হাতটা ভার্চুয়ালি
    কে আর পড়বে এসব ব্যানাল।

    হে মর্মপীড়, এমন দিনও দেখতে হলো।

    খ্যাষ্টা আকাশ, বাইরে নেড়ি, ভস্ম দিনের
    পাথর গল্প, পাহাড় গল্প, ফূর্তি চেপে
    খারাপ দিনের খারাপ গল্প।
    মাত্রা খুঁজতে ঘন্টা খানেক,
    আর যদ্দূর দেখতে পাওয়া, সব নীলিমা, দমচাপা দিন।

    যদিও আগে ফূর্তি চাপতে ভস্ম খুঁজে
    বেহেড সবাই, সেসব পদ্য ব্যাংবিহীনই,
    মিনমিনিয়ে ফুটে গেছে, যেমন অনেক স্বপ্ন টপ্ন, কামারাদারি, বিশ্বমানব, ভুবনগেঁয়ো,
    হে মর্মপীড় ভস্ম দিও দুইটি ছিলিম
    আর বাসনা মুলতুবি থাক, এই তো অনেক।
  • বিপ্লব রহমান | ১১ জুন ২০২০ ০৬:০৪732052
  • নোখের ভিতর নষ্ট ময়লা,
    চোখের ভিতর প্রেম,
    চুলের কাছে ফেরার বাতাস
    দেখেই শুধালেম,

    এখন তুমি কোথায় যাবে?
    কোন আঘাটার জল ঘোলাবে?
    কোন আগুনের স্পর্শ নেবে
    রক্তে কি প্রব্লেম?

    হঠাৎ তাহার ছায়ায় আমি যেদিকে তাকালেম
    তাহার শরীর মড়িয়ে দিয়ে
    দিগন্তে দুই চক্ষু নিয়ে
    আমার দিকে তাকিয়ে আমি আমাকে শুধালেম

    এখন তুমি কোথায় যাবে?
    কোন আঘাটার জল ঘোলাবে?
    কোন আগুনের স্পর্শ নেবে
    রক্তে কি প্রব্লেম?

    (একলা বাতাস, আবুল হাসান)

  • বিপ্লব রহমান | ১১ জুন ২০২০ ০৭:৩৩732053
  • "

    অবশেষে জেনেছি মানুষ একা!

    জেনেছি মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা!
    দৃশ্যের বিপরীত সে পারে না একাত্ম হতে এই পৃথিবীর সাথে কোনোদিন।

    ফাতিমা ফুফুর প্রভাতকালীন কোরানের
    মর্মায়িত গানের স্মরণে তাই কেন যেন আমি

    চলে যাই আজও সেই বর্নির বাওড়ের বৈকালিক ভ্রমণের পথে,
    যেখানে নদীর ভরা কান্না শোনা যেত মাঝে মাঝে
    জনপদবালাদের স্ফুরিত সিনানের অন্তর্লীন শব্দে মেদুর!

    মনে পড়ে সরজু দিদির কপালের লক্ষ্মী চাঁদ তারা
    নরম যুঁইয়ের গন্ধ মেলার মতো চোখের মাথুর ভাষা আর
    হরিকীর্তনের নদীভূত বোল!
    বড় ভাই আসতেন মাঝরাতে মহকুমা শহরের যাত্রাগান শুনে,
    সাইকেল বেজে উঠত ফেলে আসা শব্দে যখন,
    নিদ্রার নেশায় উবু হয়ে শুনতাম, যেন শব্দে কান পেতে রেখে :
    কেউ বলে যাচ্ছে যেন,
    বাবলু তোমার নীল চোখের ভিতর এক সামুদ্রিক ঝড় কেন?
    পিঠে অই সারসের মতো কী বেঁধে রেখেছ?

    আসতেন পাখি শিকারের সূক্ষ্ম চোখ নিয়ে দুলাভাই!
    ছোটবোন ঘরে বসে কেন যেন তখন কেমন
    পানের পাতার মতো নমনীয় হতো ক্রমে ক্রমে!

    আর অন্ধ লোকটাও সন্ধ্যায়, পাখিহীন দৃশ্য চোখে ভরে!
    দিঘিতে ভাসত ঘনমেঘ, জল নিতে এসে
    মেঘ হয়ে যেত লীলা বৌদি সেই গোধূলিবেলায়,
    পাতা ঝরবার মতো শব্দ হতো জলে, ভাবতুম
    এমন দিনে কি ওরে বলা যায়—?

    স্মরণপ্রদেশ থেকে এক একটি নিবাস উঠে গেছে
    সরজু দিদিরা ঐ বাংলায়, বড়ভাই নিরুদ্দিষ্ট,
    সাইকেলের ঘণ্টাধ্বনি সাথে করে নিয়ে গেছে গাঁয়ের হালট!

    একে একে নদীর ধারার মতো তারা বহুদূরে গত!
    বদলপ্রয়াসী এই জীবনের জোয়ারে কেবল অন্তঃশীল একটি দ্বীপের মতো

    সবার গোচরহীন আছি আজও সুদূরসন্ধানী!

    দূরে বসে প্রবাহের অন্তর্গত আমি, তাই নিজেরই অচেনা নিজে
    কেবল দিব্যতাদুষ্ট শোনিতের ভারা ভারা স্বপ্ন বোঝাই মাঠে দেখি,
    সেখানেও বসে আছে বৃক্ষের মতন একা একজন লোক,
    যাকে ঘিরে বিশজন দেবদূত গাইছে কেবলি
    শতজীবনের শত কুহেলি ও কুয়াশার গান!

    পাখি হয়ে যায় এ প্রাণ ঐ কুহেলি মাঠের প্রান্তরে হে দেবদূত!"

    (পাখি হয়ে যায় প্রাণ, আবুল হাসান)  

  • r2h | 49.37.***.*** | ১১ জুন ২০২০ ০৯:৪০732056
  • বিপ্লবদা, কবিতাগুলি এখানে থাকলে ভালো, ফিরে ফিরে পড়া যায়, হারিয়ে যায় না -https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=10544
  • বিপ্লব রহমান | ১২ জুন ২০২০ ০৬:৩৭732074
  • r2h,

    আচ্ছা, সময় করে ওই খোপেও কিছু গুঁজে দেব।

        

    প্রসংগত, আবুল হাসান সাতের দশকের এপারের তুমুল কবি, ক্যানসারে তরুণ বয়সে মারা যান। অল্পই লিখতে পেরেছিলেন। তবে এখনো তার লেখা বেশ জনপ্রিয়। 

    বাংলাদেশে এতশত কবি এলো গেল এতোদিনে, তবু আবুল হাসান ঘুরেফিরে আসেন, এ-ও এক বিস্ময়।...        

  • বিপ্লব রহমান | ১২ জুন ২০২০ ০৬:৪৪732075
  • মৌসুমী ভৌমিক ও আনুশেহর দ্বৈত কণ্ঠে "গাছ"। 

    গাছ, আমি তোমার কাছে নতজানু হই 

    গাছ, আমি তোমার পায়ে মাথা কুটে মরি...

            

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:857f:7fcd:98ac:***:*** | ১২ জুন ২০২০ ০৮:৫১732078
  • বিপ্লবদা, আমি ঠিক ঐ খোপে কিছু গুঁজতে অনুরোধ করছি না।
    আমি বলছিলাম এই খোপটাকে কপি পেস্ট থেকে নিস্তার দিতে। তাই বিকল্প হিসেবে ঐ টইটার কথা বললাম। ওরকম আরো বেশ কিছু টই আছে যেখানে ভালো লাগার বা গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়া কন্টেন্ট জমা করে রাখা যায়।
    এমজালই বলুন বা এইটা, এইগুলো তো ঠিক অন্য কন্টেন্ট জমা করার টই না।
  • আত্মঘোষ | 2405:201:8805:37c0:c06b:6b41:e8d1:***:*** | ১৩ জুন ২০২০ ২০:২৫732132
  • ভোর কি গোলাপী?
    নাকি কমলা গেরুয়া, একেক ছবিতে তারা একেকরকম, আমি দেখিনি কখনো।
    কি রকম হয় ফাটা গোড়ালির খাদ
    করমচা ফল, হেন্তালের যষ্টি, ক্লোজাপে কাকের চক্ষু।

    কেমন আছো ভাইসব, কী খবর এদিকে ওদিকে
    হঠাৎ রাত্রে কেন ডেকে ওঠে
    ঐপারে, মাঠের ওপারে শৃগাল
    শেষ তারা ডুবে যায়, দেখার সুযোগ ছিল,
    দেখিনি যদিও।

    অথবা হিমসাগর, আমের পেটিকা থেকে চোঁচ,
    একফোঁটা রক্তে পড়ে রোদ ঝলকানো
    হিলিবিলি হাওয়া, ঘোলাটে আলোর জল
    এসব দেখিনি আমি, রাতের কেমন রং
    ভোরের কেমন রং, কী খবর ভাইসব
    এসব জালিকা, আর শীতল পাথর।
  • আত্মঘোষ | 2405:201:8805:37c0:d1ba:78c0:c795:***:*** | ১৫ জুন ২০২০ ১৪:২৪732164
  • ভিক্ষান্ন খেতে খেতে গলা ভেঙে যায়
    ছোট ছোট গরাসে সাজিয়ে এই পদ
    করপুটে উলের গোলা দেখেও দেখেনা
    নীরবে উপেক্ষা করে সর্বগ্রাসী ধূসর বিড়াল।

    বিড়াল আমাকে দেখো আমি তো যত্ন করে
    রেখেছি উচ্ছিষ্ট, ভিক্ষা করে আনা তরিবত
    বিড়াল আদর নাও, কাছে এসো চুলকে দিই কান,
    কথা বলি বোধগম্য বিড়াল ভাষায়।

    ইঁদুর শিকার করে মেরে আনি,
    নরম পাখির ছানা, ঘাড় মটকে
    নৈবেদ্য প্রদান করি দুরুদুরু ভয়ে
    এইসব কুকাজ করি, উন্নাসিক পাঁচিলে বিড়াল।

    বিড়াল আমাকে দেখো, পাঁচিল রেখেছি কত ভয়
    দিয়ে থুয়ে ভিক্ষান্ন খেতে খেতে গলা ধরে যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন