এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা

    বকলমে
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৬৩৭ বার পঠিত
  •  
    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৫১
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ১ 
       
      ইসরায়েল সমর্থনে লন্ডনে আর ম্যানচেস্টারে দুটি মিছিল করেছে সংঘের লোকজন। বেশ বড়ো বড়ো এইদুটো মিছিলের (দুটোতেই ১০০ ২০০ লোক হয়েছিল) মোটামুটি সব লোকজন ৫০ উর্ধ। ওদের ভীষণ আক্ষেপ যে ওদের ছেলেমেয়েরা সবাই ট্রাফালগার স্কোয়ারে "জিওনবাদ নিপাত যাক, মুক্ত করো গাজা" মিছিলে যোগদান করেছে।


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৫৮
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ২ 
       
      আমরিকী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে কথা বলছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনয়ামিন নিতান্যহুর সঙ্গে। নিতান্যহুর ভয় গাজাতে বোমা ফেলবার সময়ে পাচ্ছে ইরান লেবানন থেকে রকেট আর মিসাইল ছোড়ে। জো বাইডেন অভয় দিয়ে বললেন, "চিন্তা করবেননা, যত পারুন বোমা মারুন আমরা আপনাদের পাশে আছি।" প্রেসিডেন্ট ফোনটা রাখতেই তার কাছে আরেকটি ফোন। এবার ইরাক থেকে। ইরাকের আম্রিকি রাষ্ট্রদূত জানাচ্ছেন, "মিস্টার প্রেসিডেন্ট বড় সমস্যা। ইরানীরা ইস্রায়েল নয় আমাদের ইরাকি ঘাঁটিতে মিসাইল দিয়ে হামলা করছে বারবার।"


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:০২
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৩ 
       
      কয়েকদিন আগে গাজার একটি খ্রীষ্টান হাসপাতাল আর প্রায় ৮০০ বছর পুরোনো একটি চার্চে ইসরায়েলের তরফ থেকে বোমা বর্ষণ করাতে বেশ কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে যে ইসরায়েলের সরকার (এর সঙ্গে আম্রিকার জো বাইডেন, ভারতের জামাই ঋষি সুনক, ফ্রান্সের মাক্রু) ইতিমধ্যেই এর জন্য হামাসকে দায়ী করে ফেলেছেন কিন্তু টুইটারে আমাদের সঙ্ঘের বীরেরা (এর সঙ্গে তাদের জিওনবাদী বন্ধুরা) অলরেডি ইসরায়েলকে এর ক্রেডিট দিয়ে বলছেন, "কি রে গাজার ইঁদুর ছুঁচোরা আর আমাদের জ্বালাতে আসবি? দেখলি তো বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা আর ইস্রায়েল ছুঁলে ৫০০০ ঘা"। তাহলে কে মেরেছে এদের?


    • guru |২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৪৮
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪

      বর্তমান ইসরায়েল প্যালেস্টাইন সংঘর্ষে সবচেয়ে চাপে ​​​​​​​বোধহয় ​​​​​​​আরব ​​​​​​​ও ​​​​​​​মুসলীম ​​​​​​​আমেরিকানরা। এরা 9/11 এর ​​​​​​​ঘরপোড়া ​​​​​​​গোরু, তাই ​​​​​​​বেশ ​​​​​​​ভয়ে ​​​​​​​ভয়েই ​​​​​​​কাটান। গাজার খবর সামনে আসামাত্র একটি ৬ বছরের মুসলিম আমেরিকান শিশুর তার প্রতিবেশী এক শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধের হাতে ছুরিকাঘাতে মৃত্যুর  ঘটনা সামনে আসে। বর্তমান ইসরায়েল প্যালেস্টাইন ​​​​​​​সংঘর্ষের ​​​​​​​সময়ে ​​​​​​​তাই আপাতত ​​​​​​​এরা ​​​​​​​ভীষণভাবে ​​​​​​​নিজেদের ​​​​​​​কোনঠাসা ​​​​​​​ও ​​​​​​​একঘরে ​​​​​​​হিসেবে ​​​​​​​অনুভব ​​​​​​​করছেন। 2020 সালে ​​​​​​​এরা ​​​​​​​সবাই ​​​​​​​মিলে ​​​​​​​বাইডেনকে ​​​​​​​জিতিয়েছেন ​​​​​​​ট্রাম্পের ​​​​​​​বিরুদ্ধে ​​​​​​​অনেক ​​​​​​আশা ​​​​​​​নিয়ে যে 9/11 এর ​​​​​​​পরের ​​​​​​​ইসলামোফোবিয়া ​​​​​​​যা ​​​​​​​কিনা ​​​​​​​ট্রাম্পের ​​​​​​​আমলে ​​​​​​​ভয়াবহ ​​​​​​​রূপ ​​​​​​​ধারণ ​​​​​​​করেছিল ​​​​​​​সেটি ​​​​​​​কিছুটা ​​​​​​​কমবে ​​​​​​​ও ​​​​​​​প্যালেস্টাইন ​​​​​​​সুবিচার ​​​​​​​পাবে ​​​​​​​সে ​​​​​​​সবই ​​​​​​​এখন ​​​​​​​"আশার ​​​​​​​ছলনে ​​​​​​​ভুলি"। এখন কথা ​​​​​​​হলো ​​​​​​​এরা ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দেবেন ​​​​​​​কাকে ?? ট্রাম্প ​​​​​​​বা ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​রিপাবলিকান ​​​​​​​প্রার্থীদের ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দিলে ​​​​​​​কোনোই ​​​​​​​লাভ ​​​​​​​নেই ​​​​​​​যেহেতু ​​​​​​​তাতে ​​​​​​​তাদের ​​​​​​​স্বার্থসিদ্ধি ​​​​​​​হবেনা ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​আবার ​​​​​​​বাইডেনকে ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দিলেও ​​​​​​​আশাভঙ্গ ​​​​​​​হোবে। তাহোলে ​​​​​​​তাদের ​​​​​​​উপায় ​​​​​​​কি ?


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৪৭
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৫ 
       
      মুসলিম আমেরিকানদের ডাইলেমার কথা আগের মিনি কড়চা তে লিখেছি। ঘটনা হচ্ছে আমেরিকাতে যেসব মুসলিম আমেরিকানরা থাকতে আসেন তারা নিজেদের দেশেই যথেষ্ট অত্যাচারিত এবং একপ্রকার বাধ্য হন শরণার্থী হিসেবে আমেরিকাতে আশ্রয় নিতে। প্যালেস্টাইন থেকে আশা এরকমই একটি পরিবারের ৬ বছরের ছেলে ওয়াদিয়া আল-ফাওয়ামে। গত অক্টোবরের প্রথম দিকে এই ইস্রায়েল প্যালেস্টাইন বর্তমান সংঘর্ষ শুরু হবার পরেই ছেলেটি ও তার মাকে বাড়িতে একা পেয়ে তাদের উপরে চড়াও হয় বাড়িওলা ৭১ বছর বয়স্ক জোসেফ জুবা। এই জুবা ভদ্রলোকের মুখে একমাত্র চিৎকার ছিল, "আমার দেশ ছেড়ে চলে যা টেরোরিস্টরা"। প্রায় ২৬ বার ছুরির আঘাতের পরে যখন ছেলেটিকে তার মা (যিনি নিজেও আহত হয়েছিলেন) কোনো রকমে উদ্ধার করেন ছেলেটির মুখে একটাই কথা ছিল, "মা আমার জন্য ভেবোনা আমি ঠিক আছি"। এটাই ছিল ছেলেটির শেষ কথা।
       
      পুলিশ আপাতত ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছে। ছেলেটির মা আপাতত প্রাণহানির আশংকার বাইরে কিন্তু মানসিকভাবে ডিপ্রেশনে।


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ২০:১৯
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৬ 
       
      গাজাতে বর্তমান ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম আমেরিকানদের ভোটের প্রসঙ্গটি আস্তে আস্তে আমেরিকান প্রচারমাধ্যমে সামনে আসছে। দুটি প্রদেশ মিশিগান ও পেনসিলভানিয়াতে গতবার বাইডেন ট্রাম্পকে একচুলের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনা হচ্ছে সমগ্র আমেরিকাতে মুসলিমদের ডেমোগ্রাফিক পার্সেন্টেজ মাত্র ১ পার্সেন্টের মতো কিন্তু এদুটো প্রদেশে সংখ্যাটা কিছু বেশী যেকারণে ২০২৪ এর ভোটে অন্ততঃ এদুটো প্রদেশে বাইডেনকে মুসলিম ভোট পুরোটাই নিজের পক্ষে টানার দরকার। এর কারণ নির্বাচনী পাটিগণিত।
       
      পেনসিলভানিয়ার নির্বাচনে ২০১৬ সালে ট্রাম্প যেতেন ৪১ হাজার ভোটে আর 2020 সালে বাইডেন জেতেন প্রায় ৮১০০০ ভোটে। এই স্টেটটির রেজিস্টার্ড মুসলিম ভোটার এর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ্য ৮০ হাজার অর্থাৎ যে ব্যক্তি এই ভোট বেশি পাবেন তিনি জিতবেন এই সুইং স্টেট। এই সুইং স্টেট অন্তত ২০ টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
       
      একই ভাবে মিশিগানে গতবার বাইডেন ট্রাম্পকে মাত্র দেড়লক্ষের ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। মিশিগানে রেজিস্টার্ড মুসলিম ভোটার এর সংখ্যা প্রায় ২  লক্ষ্য ৪০ হাজার অর্থাৎ এখানেও বাইডেনের ট্রাম্পকে হারাতে প্রায় পুরো মুসলিম ভোট হাতে দরকার। এই সুইং স্টেট অন্তত ১৬ টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
       
      এখন দেখা যাক গাজাতে বর্তমান ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে এবং ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়েরই ইসরায়েলকে অকুন্ঠ সমর্থনের পরে মুসলিম আমেরিকানরা কাকে ভোট দেন !  


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩২
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৭ 
       
      ইউক্রেইন্ ও গাজার যুদ্ধের ব্যাপারে পশ্চিমা শক্তিদের মনোভাবের মধ্যে একটি তুলনা।
       
      পশ্চিমারা রাশিয়ার ইউক্রেইন্ আগ্রাসন  নিয়ে : ইউক্রেইন্ এর ব্যাপারে রাশিয়ানরা আগ্রাসনকারী ওরা ইউক্রেইন্ এর বিদ্যুৎ জ্বল বন্ধ করেছে বুচাতে অসংখ্য নিরপরাধ নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে।
       
      পশ্চিমারা গাজার ইসরায়েলি হামলাতে ব্যাপারে : ইসরায়েল এর অধিকার আছে যা খুশি করবার। প্যালেস্টিনিয়ানরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেনা কেন? আমরা ইসরাইলের পাশে আছি ছিলাম থাকবো।
       
      এখন পশ্চিমা মিডিয়াতে ইসরায়েল নিয়ে বেফাঁস কিছু বললেই চাকরি যাবার সম্ভাবনা !!!


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৫৩
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৮ 
       
      আমি ব্যক্তিগত ভাবে গত প্রায় ২৩ বছর ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছি এই পশ্চিম এশিয়ার সমস্যা নিয়ে পড়াশোনা করার ও পুরো ব্যাপারটি নিয়ে বিস্তারিত জানবার। তবে সত্যি কথা বলতেকি এবারের মতো এতো আলোড়ন এদেশে এই পশ্চিম এশিয়ার সমস্যা নিয়ে আমি আগে দেখিনি কখনোই।টুইটার দেখলে মনে হবে যে এদেশে এখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছে তাকেও ছাড়িয়ে গেছে ইসরায়েল প্যালেস্টাইন সমস্যা। আমার নিজের একজন সহকর্মী আমাকে সেদিন বললেন "কাটার বাচ্চা আর কতদিন থাকবি এদেশে " যখন আমি তাকে বলেছিলাম যে দেখুন ইস্রায়েল আর মোসাদ না থাকলে হামাসের নামই কেউ জানতোনা। হামাসকে মোসাদ সৃষ্টি করেছিল আরাফাতকে সাইজ করতে। এই প্রথম দেখছি এতো সুদূর বিদেশের একটি এতো জটিল বহুমাত্রিক সমস্যা এইভাবে এদেশেও মেরুকরণ তৈরী করছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গঙ্গারাম | 115.187.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৪741102
  • গুরু, আপনার কাছ থেকে একটা জিনিস জানতে চাইছি। বর্তমানে আইসিস এর সাথে সৌদির সম্পর্ক কীরকম? আর আইসিস, আল কায়েদা, বোকো হারাম এইসমস্ত এ প্যান ইসলামিস্ট সংগঠনগুলো আছে, তাঁদের মধ্যেকার অন্ত্রদন্দের কারণ কী জিও পলিটিক্স ঘটিত? নাকি সিয়া সুন্নি কনফ্লিক্ট ঘটিত?
  • গঙ্গারাম | 115.187.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৬741103
  • অন্ত্রদন্দের ---> অন্তরদ্বন্দ্বের
  • r2h | 208.127.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:২৯741104
    • guru  | ২৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:১২
    • @র2h2, প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ১৩ তে অলরেডি  এটা নিয়ে লিখেছি।
     
    ও হ্যাঁ, তাই তো, মিস করেছিলাম।
  • সিরিয়া ও ইরাকেও সৌদি ইরান দুজনেই প্রক্সি ওয়ার লড়ছিলো | 173.49.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ২২:২৬741105
  • সিরিয়াতে তো রাশিয়াও অনেকদিন রয়েছে, ওয়্যাগনারের মাধ্যমে। তারা কোন প্রধান ইসলামিক শক্তিকে সাহায্য করছে কিছু জানা যায়? আপাতদৃষ্টিতে তো মনে হয় সৌদির সমস্যা হলে তাদের সুবিধে, তেলের মার্কেটের কম্পিটিশান। 
     
    "পশ্চিম এশিয়াতে ইরান সৌদি আরবের মধ্যে শান্তি আসলে ও ছায়াযুদ্ধ বন্ধ হলে কার লাভ ? ক্ষতিই বা কার ??"
    -- আমার তো মনে হয় আপনার এই প্রশ্নটার উত্তরের মধ্যে সাম্প্রতিক ঝামেলার আসল কারণ লুকিয়ে আছে যেটা হয়ত রোজকার খবর পড়ে ধরা যাচ্ছে না। লিস্ট বানাতে বসলে লম্বা লেখা হবে, অনেক স্টেকহোল্ডার। 
  • guru | 160.238.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৭741106
  • @সিরিয়া ও ইরাকেও সৌদি ইরান দুজনেই প্রক্সি ওয়ার লড়ছিলো,
    একদমই ঠিক ধরেছেন। আমার মিনি কড়চার মধ্যে দিয়ে চেষ্টা করছি যতটা পারি এই ব্যাপারগুলো গুরুচন্ডালির পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে।

    @গঙ্গারাম,
    অনেক ধন্যবাদ পুরোটা পড়বার জন্য ও আমার বানান সংশোষণ করার জন্য। আপনি একটা ইম্পরট্যান্ট পয়েন্ট তুলে ধরেছেন আমি এর পরের মিনি করচাতে চেষ্টা করছি এই কয়েকটা দিক ধরবার জন্য।
  • guru | 160.238.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪২741107
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ২৩

    ইসরায়েল কড়চা ২ : রাবিন থেকে বেন গাভির : একটি যুগের পরিবর্তন

    আজকের ইসরায়েলকে তার প্যালেস্টাইন যুদ্ধ রাজনীতির লেন্সে দেখে এটা একেবারেই বোঝার উপায় নেই যে আজ থেকে মাত্র তিন দশক আগেও ইসরায়েল আর প্যালেস্টাইনের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি হতে যাচ্ছিলো। সে বড়ো সুখের সময় ছিল বিশ্ব রাজনীতিতে প্রগতিশীলদের জন্য। এর কিছুদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন নেলসন ম্যান্ডেলা। শেষ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার আপারথেড সিস্টেম। সমান নাগরিক অধিকার পেয়েছেন কালো মানুষেরা। উত্তর আয়ারল্যান্ডের সমস্যারও সমাধান সামনে দেখা যাচ্ছে। এমন একটি সময়ে প্যালেস্টাইন ও ইসরায়েলের মধ্যেও শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছিলো। আম্রিকি মধ্যস্তাতে ইসরায়েল আর প্যালেস্টাইনের গেরিলা নেতা আরাফাত তখন বন্দুক ছেড়ে শান্তি চুক্তি করতে চাইছেন। ইসরায়েলের সেই সময়ের নেতা ছিলেন ইৎজাক রাবিন। তার কথা বলার আগে ইসরায়েলের ঘরোয়া রাজনীতিটার কথা একটু বলা যাক।

    সৃষ্টির পর থেকেই ইসরায়েলের মধ্যে শক্তিশালী ছিল লেবার পার্টি। ইউরোপের থেকে আসা askhenazi ইম্মিগ্রান্টদের দিয়ে তৈরী সোশালিজমে বিশ্বাসী এই দলটি মূলতঃ ইসরায়েলের ইতিহাসের প্রথম ৩৫ বছর রাজত্ব করেছিলো। ডেভিড বেন গুরিয়ান, গোল্ডা মেয়ার, শিমন পেরেস, ইহুদ বারাক দের মতো নেতা উপহার দিয়েছে এই দলটি। এইদলেরই শেষ উল্লেখযোগ্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইৎজাক রাবিন। বহুবছর ধরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে কাজ করা এই মানুষটি যুদ্ধ আর রক্তপাতএর ইসরায়েলী নীতি বন্ধ করে নতুন করে শুরু করতে চাইছিলেন। তাই জন্যই গেরিলা নেতা আরাফাতের সঙ্গে বৈঠকে বসে এমন একটি শান্তি চুক্তির খসড়া করেন তিনি যেখানে ইস্রায়েল ও প্যালেস্টাইন পাশাপাশি থেকে দুটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসাবে থাকবে। একেই বলে "two state solution"। রাবিন আর আরাফাতের এই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পরেই দুজনেরই একইসঙ্গে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি।

    কিন্তু যুদ্ধ ও হিংসার পরিমণ্ডলে বড়ো হওয়া ইসরায়েলি রাজনীতিতে ১৯৮০ দশক থেকেই একটি চরম দক্ষিণপন্থী দল লিকুদ পার্টির জন্ম। এই দলটি ঘোরতর ভাবে প্যালেস্টিনিয়ানদের সঙ্গে শান্তিচুক্তির বিরোধী, শান্তি তো দূরে থাক তাদের মানুষ বলে মানতেই চায়না। এই দলটিরই নেতা ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী "বিবি" নেতানিয়াহু। বলাই বাহুল্য লেবার পার্টির রাজনীতির ঘোরতর বিরোধী এই দলটি। তা যেরকম হয়ে থাকে এই দলটি তখন প্রবল ভাবে এই প্যালেস্টাইন এর সঙ্গে শান্তিচুক্তির বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়লো। মাঠে ময়দানে লেবার পার্টি আর প্রধানমন্ত্রী ইৎজাক রাবিনএর মুন্ডপাত করতে লাগলেন লিকুদের দক্ষিণপন্থী নেতারা। রাবিনকে ইহুদী জাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতক বলে প্রচার করতে লাগলেন নেতানিয়াহুর মতো নেতারা। এভাবেই একটি শান্তিচুক্তির পক্ষের মিছিলে ভাষণ শেষ করে বেরোবার সময়ে রাবিনের দিকে উড়ে এলো বুলেট। রক্তে মাখামাখি হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন ৭৩ বছরের রাবিন। তার শেষ প্রাণবায়ুর সঙ্গেই বেরিয়ে গেলো ইসরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে শান্তি চুক্তির শেষ আশা। অবাক বিস্ময়ে পৃথিবী দেখলো রাবিনের হত্যাকারী একজন ....... ইহুদী সন্ত্রাসী ইগাল আমির।

    রাবিনের মৃত্যুর সঙ্গেই বড়ো ধাক্কা খেলো প্যালেস্টাইনের সঙ্গে শান্তির প্রস্তাব আর একইসঙ্গে বিশাল ধাক্কা খেলো শান্তিকামী ইসরায়েলের লেবার পার্টি যারা এর পর থেকে আর কখনোই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। অনেকবার ভাঙতে ভাঙতে এখন এই দলটি যারা একসময়ে দশকের পর দশক দেশ শাসন করেছে তারা ইসরায়েলের নির্বাচনে এখন দুতিনটির বেশি আসন পায়না।

    লেবারের রাজনীতির পতনের সাথে সাথেই উত্থান হলো মুসলিম বিদ্ধেষী আরব বিদ্ধেষী রাজনৈতিক দলগুলোর যারা বেশ কিছু ক্ষেত্রে চরম্পন্থাতে লিকুদকেও ছাড়িয়ে যায়। এরকমই একটা দলের নেতা ও "বিবি" নেতানিয়াহুর কোয়ালিশন পার্টনার এখন ইতামার বেন গাভির। প্রকাশ্যে প্যালেস্টিনিয়ানদের জেনোসাইড করার কথা বারবার বলে এখন তিনি ইসরায়েলের অন্যতম নেতা, স্বয়ং নেতানিয়াহু
    মাঝে মাঝে তার কাছে মধ্যপন্থী মনে হয়। এই বেন গাভির এর দল বেশ কিছুদিন ধরেই ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক আর জেরুসালেমে মুসলিমদের উপরে নানান অত্যাচার করছে এবং অনেকের মতে এটাই বর্তমানের গাজা সংকটের অন্যতম কারণ।
  • খরচা আছে | 2405:8100:8000:5ca1::a2:***:*** | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪৯741108
  • Jemaima Goldsmith on X  | 173.49.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০২৩ ০০:০১741109
  • Can we please not forget that Netanyahu historically supported & empowered Hamas in order to sabotage any possibility of a  two-state solution & peace.

    Netanyahu reportedly said in 2019- “Those who want to thwart the possibility of a Palestinian state should support the strengthening of Hamas and the transfer of money to Hamas.”

    Former Israeli PM Ehud Barak  said in 2019, “Netanyahu’s strategy is to keep Hamas alive and kicking ... even at the price of abandoning the citizens (of the south ) ... because it is easier with Hamas to explain to Israelis that there is no one to sit with and no one to talk to”

    The former head of Shin Bet, Yuval Diskin, said in 2013, “If we look at it over the years, one of the main people contributing to Hamas’s strengthening has been Bibi Netanyahu, since his first term as PM”

    So yes- unequivocally condemn Hamas.

    But condemn Netanyahu as well.

    Neither wants peace.
  • দীমু | 182.69.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০২৩ ০১:২৭741110
  •  
  • ds | 2001:67c:6ec:203:192:42:116:***:*** | ০২ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২৮741111
  • guru | 115.187.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৭741113
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ২৩
     
    এতো রক্ত কেন ????
     
    গাজাতে প্রায় একমাসের এই যুদ্ধ পরিস্থিতির পরে কিছু পরিসংখ্যান।
     
    ১। গত তিন সপ্তাহে গাজাতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৯০০০ মানুষের যার প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু যাদের বয়স কয়েক দিন থেকে ৮-১০ বছর।
     
    ২। গত তিন সপ্তাহে গাজাতে যত শিশুর মৃত্যু হয়েছে,  প্রায় ২০ মাসের যুদ্ধে ইউক্রেইন্কে তত শিশুর লাশ দেখতে হয়নি।
     
    ৩। গাজার বড়ো বড়ো হাসপাতালগুলো এখন তেল ও বিদ্যুতের অভাবে ধুঁকছে। অনেক মা আশংকা করছেন গর্ভপাতের। 
     
    ৪। এতকিছুর পরেও কিন্তু ইসরায়েল বা আম্রিকার জিওনবাদীরা যুদ্ধবিরতিতে রাজী নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন ?? কি এই জিওনবাদ যা এতগুলো নিরীহ নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যুর পরেও বিন্দুমাত্র খুশী নয় ?? কি চায় এই জিওনবাদ ??
     
     
     
  • জিওনবাদ যা চায় না | 2405:8100:8000:5ca1::10c:***:*** | ০২ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৫২741114
  • guru | 115.187.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪৬741118
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ২৪

    ইসরায়েল কড়চা : জিওনবাদ ১

    গোড়ার কথা

    জিওনবাদের সম্পর্কে খুব সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি এই মিনি করচাতে। ১৮৮৫ সালে নাথান বিরনবাউম নামক জনৈক অস্ট্রিয়ান সাংবাদিক এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। এরপরে থিওডোর হার্ল যিনি বর্তমান ইসরায়েলের কন্সেপচুয়াল পিতা নামে খ্যাত তিনি প্যালেস্টাইনে ইউরোপীয় ইহুদীদের নিজস্ব রাষ্ট্রের জন্য তদবির শুরু করেন। এর মৃত্যুর পরে এই কাজটি তুলে নেন চাইম ওয়াইজম্যান। এখন প্রথমের দিকে এই আন্দোলনের মূল বক্তব্য ছিল যে ইহুদীরা পুরোপুরি একটি জাতি কোনো ধর্মবিশেষ নয় কাজেই তাদের নতুন দেশ প্রয়োজন কিন্তু নতুন দেশটি ইউরোপের মাটিতে হবেনা যেহেতু কোনো ইউরোপীয় দেশই নিজেদের জমি ছাড়তে রাজী হবেনা কাজেই প্যালেস্টাইনে যেটি তৎকালীন অটোমান শাসকের অধীন ছিল সেখানেই এই দেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। থিওডোর হার্ল বা চাইম ওয়াইজম্যান মূলতঃ লিবারেল ছিলেন এদের প্যালেস্টাইনের আরবদের নিয়ে ধারণা তৎকালীন ইউরোপীয় কলোনিস্টদের মতোই ছিল। এরা আরবদের মূলতঃ একদল গরিব অশিক্ষিত উট চালক বলে মনে করতেন যারা ইউরোপের ইহুদীদের উন্নততর শাসনের মধ্যে আসলে ভালোই থাকবে।

    প্রসঙ্গতঃ থিওডোর হার্ল তো একটি উপন্যাসই লিখে বসেন "Der Judenstat" (the Jewish state) এনামে যেখানে উনি একটি রশিদ বে নামে আরব চরিত্র সৃষ্টি করেন যে ইহুদীদের কলোনিয়াল শাসনে সুখেই আছে যেহেতু সে স্কুলে জার্মান ও অংক বিজ্ঞান ইংরেজি শিখছে, নিজের জমিতে উট চালানোর বদলে সে এখন ইহুদী কোম্পানিতে ট্রাভেল গাইডের কাজ করে ও অসুখে পড়লে ফোন করলেই তাকে দেখতে ইহুদী ডাক্তারবাবু আসছেন এবং সে ইহুদী মালিকানাধীন ব্যাংকে একাউন্ট খুলে টাকা রাখতেও শিখেছে। হার্লের বক্তব্য জীবনে আর কি দরকার এই অশিক্ষিত বেদুইনদের ??
  • মনমাঝি | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩১741119
  • রিঃ মিনি কড়চা ২৪





    (শুধু "কোড" দেখা গেলে ডিলিট করে দেবেন প্লিজ)
  • তর্ক  | 136.226.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০২741120
  • বাহঃ, এইটাতো বেশ ভাল হচ্ছে। দ্য গ্রেট বুক রবারি দেখা হয় নি এখনও - কিন্তু জায়নিস্টদের 'ল্যান্ড উইদাউট পিপল / পিপল উইদাউট ল্যান্ড' এসব ক্যাচি স্লোগানের সারবত্তা যে বিশেষ নেই - সেইটে কিছুটা ইন্টারভিউ থেকে বোঝাই যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে ​​​​​​​ল্যান্ড ​​​​​​​অফ ​​​​​​​ইস্রায়েলে 1 মিলিয়ান ​​​​​​​+ ​​​​​​​প্যালেস্তানি ​​​​​​​লোকেদের ​​​​​​​সমৃদ্ধ ​​​​​​​সংস্কৃতি ​​​​​​​ছিল।  
     
    একইসঙ্গে এও বলব, এটাও দেখার দরকার আছে এই সংস্কৃতি কিভাবে গজিয়ে উঠল অটোমান তুর্কিদের থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ব্রিটিশদের হাতে আসার পর থেকে। ১৮৮৫ সালে জায়ন শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়, কিন্তু রথচাইল্ডরা ল্যান্ড অফ প্যালেস্তান / ইস্রায়েলে জমি কিন্তে শুরু করেন ১৭৯০ থেকে।  সেটার কোন প্রাভাব কি এর ওপর আছে?  এবং এটাও খেয়ালে থাকুক প্যালেস্তাইনদের সত্যিই নিজেদের কোন জমি কোনকালেই ছিল না, ইহুদিদের মতই।  
  • তর্ক | 136.226.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৬741121
  • আপনারা তো ​​​​​​​দেখছি ​​​​​​​যুদ্ধের ​​​​​​​ভয়াবহতা না ​​​​​​​দেখিয়ে ​​​​​​​ছাড়বেন ​​​​​​​না। ​​​​​​​তবে ​​​​​​​এটাও ​​​​​​​thaakuk.
  • তর্ক  | 136.226.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৭741122
  • এবং এটাও 
  • প্যালেস্তাইনদের নিজেদের  কোন জমি | 136.226.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২২:১৫741123
  • নিজেদের শাসনাধীন জমি, নিজেদের অর্থনীতি ইত্যাদি। 
     
    হয়ত ঐ ল্যান্ডের জনগন - প্যালেস্তাইন ও ইহুদি - পুরোনো আমলে কেউই জমির নিজস্ব অধিকারে ধর্মীয়ভাবে বিশ্বাসী ছিল না। হাজার হোক, প্রত্নতত্ত্বিক, ভাষাতাত্ত্বিক আর জীনগত বিচারে তারা সবাই খুবই কাছাকাছি জাতভাই।  
  • আ খোঁ | 27.58.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৭741124
  • গুরু 
    খুব ভালো লিখছেন। অভিনন্দন। 

    একটু সংযোজন। দেখুন কিরকম কাকতালীয়। ১৯১৭ সালের এই মাসেই প্যালেস্টাইনের মাটিতে একটি জায়োনিস্ট স্টেট-এর দাবিটি সরকারি স্বীকৃতি দেয় কলোনিয়াল ব্রিটিশ সরকার। মূল দায়িত্বে ফরেন সেক্রেটারি আর্থার ব্যালফুর। মজার ব্যাপার,  ব্যালফুর  তখনকার মার্কামারা আন্টি-সেমাইট।  এক ঢিলে দুই পাখি মারে ব্যালফুর। এক সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে কলোনিয়াল নিয়ন্ত্রণ শক্ত করা আর ইউরোপকে ইহুদিশূন্য করা - দুই হল। ১৯০৮ এ ব্যালফুর নিজেই আন্টি-সেমিটিক এলায়েন্স এক্ট ইন্ট্রোডিউস করেছিল ব্রিটেনে ইহুদিদের অভিবাসন আটকাতে। জারিস্ট রাশিয়ার প্রোগ্রমে তখন হাজার হাজার ইহুদি উদবাস্তু। ব্যালফুরের ডিক্লারেশন ইহুদিদের মধ্যেই ডিবেট তৈরী করেছিল। দক্ষিণপন্থী জায়োনিস্টরা পৃথক ইসরায়েলের দাবি তুললেও বাম মনস্ক ইহুদিরা ইউরোপে থেকেই এন্টি সেমিটিসমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলেন। তাঁরা প্যালেস্টাইনে কলোনাইজেশনের তীব্র বিরোধিতা করেন। ১৯৩০ এ এন্টি কলোনিয়াল রিভোল্টে ব্রিটিশ আর্মিতে জায়োনিস্ট হাগানাহ প্যারামিলিটারিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেভাবে তারা এই বিদ্রোহ দমন করেছিল সেই একই পদ্ধতি পরে অনুসৃত হয় নাকবায়। ইসরায়েল একটি আদ্যন্ত আধুনিক কলোনিয়াল প্রোগ্রাম। এব্যাপারটা না বুঝলে এই দ্বন্দ্ব পুরোটা বোঝা হবে না। সেইজন্যই ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন দ্বন্দ্ব আসলে কোনো অর্থেই দ্বন্দ্ব নয়। পুরোটাই আগ্রাসন। 
  • তর্ক | 136.226.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০০:১১741125
  •  দুর্দান্ত। 
    আর, ঐ ১৯৪৮ এর আগে আগেই (বছর্খানেক কি?) বেশ কিছুদিন ধরে আরব - ইস্রায়েল যুদ্ধ হচ্ছিল, খানিকটা ভারতের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম রায়টের মত। ঐটে একটু দেখার আছে। 
  • ইসরায়েল একটি আদ্যন্ত আধুনিক কলোনিয়াল প্রোগ্রাম | 136.226.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০০:১৮741126
  • এইটে কিন্তু মানা একটু শক্ত হচ্ছে। 
    এইটে অনেকটা এইরকম শোনাচ্ছে - ভারতভাগ আদ্যন্ত বৃটিশ ষড়যন্ত্র। কস্মিনকালেও কোন ভারতীয় এরকম চায় নি! 
  • lcm | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৩১741127
  • একজন বিশ্ববরেণ্য ইহুদি লেখকের মন্তব্য - - 
     
    “I am frequently asked if I have visited Israel, whereas yet, it is simply assumed that I have. Well, I don’t travel. I really don’t, and if I did, I probably wouldn’t visit Israel. I remember how it was in 1948 when Israel was being established and all my Jewish friends were ecstatic, I was not. I said: what are we doing? We are establishing ourselves in a ghetto, in a small corner of a vast Muslim sea. The Muslims will never forget nor forgive, and Israel, as long as it exists, will be embattled. I was laughed at, but I was right. I can’t help but feel that the Jews didn’t really have the right to appropriate a territory only because 2000 years ago, people they consider their ancestors, were living there. History moves on and you can’t really turn it back. ”
    ― Isaac Asimov
  • I was laughed at, but I was right. | 136.226.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৩৭741128
  • অ্যাসিমভ, আইনস্টাইন - এইসব তাত্ত্বিক লোকেরাতো বলেই খালাস। একটা কারন, তারা ইতিমধ্যে কলোনিয়ালাইড ও সেখানেই ভাল থাকেন। তাছাড়া তাঁদের পার্থিব বাসনা কম। 
    তাবলে ঐখানে জমি বানাবার গল্প তো আর সেদিন শুরু হয় নি। বৃটিশ খালি ধুনোয় দিয়েছে (আর নিজেদের কলোনিয়াল স্বার্থসিদ্ধিও করেছে)।  
  • lcm | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৪২741129
  •  
    The conflict between Israel and Hamas is fast becoming a world war online.

    Iran, Russia and, to a lesser degree, China have used state media and the world’s major social networking platforms to support Hamas and undercut Israel, while denigrating Israel’s principal ally, the United States.
     
  • lcm | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৪৫741130
  • আমি একবার এক জিউস কোলিগকে জিগ্গেস করেছিলাম যে জিউসরা ওখানেই ল্যান্ড নিতে রাজী হল কেন, অন্য অনেক জায়গা তো ছিল। সে আমাকে বলল - তা ঠিক, কিন্তু অন্য জায়গায় তো জেরুজালেম নেই।
  • Iran, Russia and, China | 136.226.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৫২741131
  • না না, চীন মনে হয় মত পাল্টাচ্ছে (কেন যদিও এখনও জানি না, বুঝছিও না)। আরেকটু ঘেঁটে দেখুন।  
  • অন্য জায়গায় তো জেরুজালেম নেই | 136.226.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৫৫741132
  • সেটাই তো কারণ প্রথম থেকেই ঐ ইহুদিশূণ্য পাড়ায় অষ্টাদশ শতকে জমি কিনতে শুরু করার। 
  • আ খোঁ | 27.58.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৩৪741133
  • এইটে অনেকটা এইরকম শোনাচ্ছে - ভারতভাগ আদ্যন্ত বৃটিশ ষড়যন্ত্র। কস্মিনকালেও কোন ভারতীয় এরকম চায় নি! 

    সে চাইতেই পারে। কিন্তু সেটা ডিসাইডিং ফ্যাক্টর নয়। ক্ষমতা ডিসাইডিং ফ্যাক্টর। আর কলোনিয়াল প্রোগ্রাম তো বটেই। ব্যালফুর ডিক্লারেশন ১৯১৭ সালে। তখনো প্যালেস্টাইন অটোমানদের অধিকারে। আফ্রিকা ভাগের মতো ইউরোপে বসেই লীগ অব নেশন্সে ১৯২২ সালেই ব্রিটিশ এম্পায়ারের হাতে ম্যান্ডেট ফর প্যালেস্টাইনের অধিকার চলে এল। একে কি বলবেন? 

    আর ১৯৪৮? দেখা যাক। ১৯৩৭ এ ব্রিটেন সরকারের পীল কমিশন রিপোর্ট দিলো যে ম্যান্ডেট আর সেরকম কার্যকরী থাকছে না (কারণ ইহুদি ও আরব দুই দিকেই অসন্তোষ বাড়ছিল); তাই পার্টিশন হচ্ছে সমাধান। মানে একটি ইহুদি রাষ্ট্র ও আরেকটি আরব রাষ্ট্র। ইহুদিরা এবং স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটেন একে সমর্থন করল। বিরোধিতা করল আরবরা। 
    ১৯৪৭ এর নভেম্বরেই (কাকতালীয়!!!) ইউনাইটেড নেশন্স রেসল্যুশন ১৯১ তে এই পার্টিসানকে স্বীকৃতি দিয়ে দিল। ১৯৪৮ এর ১৪ই মে ব্রিটেনের ম্যান্ডেট শেষ হল আর একই সঙ্গে ইসরায়েল স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষিত হল। সঙ্গে সঙ্গে একই সঙ্গে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েত ইউনিয়ন। এইবার মিশর জর্ডন সিরিয়া আর লেবাননের বাহিনী নতুন ইসরায়েল রাষ্ট্রকে যে আক্রমণ করেছিল সে তো অবশ্যম্ভাবী ছিল। সেই গৃহ যুদ্ধের বিস্তারে যাচ্ছি না। ক্ষয় ক্ষতির ব্যাপারে তথ্য জুগিয়ে গেছেন ইসরায়েলি ঐতিহাসিক বেনি মরিস। ক্ষতি আরব পক্ষের অনেক বেশি হয়েছিল। সে হিসেব পেয়ে যাবেন। 

    যাইহোক ৪৯-এর যুদ্ধবিরতির সময়েই আপার হ্যান্ড নিয়ে নেয় ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। যুদ্ধবিরতির এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী প্যালেস্টাইনের ৭৮ শতাংশ চলে আসে ইসরায়েলের অধিকারী যা কিনা প্রাথমিক ইউ এন অনুমোদিত পার্টিশনের হিসেবে ২২ শতাংশ বেশি। পুরোটাই হয় পশ্চিমি সাহাজ্যে। এরমধ্যে সাত লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি শত শত বছরের বাসভূমি থেকে উৎখাত হয় বলপ্রয়োগে। এই ঘটনাই তো নাকবা। ব্রুটাল কলোনিয়াল আগ্রাসন ছাড়া আর কি? ব্রিটেনের ন্যক্কারজনক ভূমিকা মূল ষড়যন্ত্রীর সাপেক্ষে লঘু কিছু নয়। এই করে এসেছে এরা। ভারতেও - আফ্রিকাতেও। 
  • ইউনাইটেড নেশন্স রেসল্যুশন ১৮১  | 136.226.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৩:০৬741134
  • একটু ফাঁক একটু জোড়া দেবার চেষ্টা করি?  

    ১৯৩৯ এ ম্যাকডোনাল্ড হোয়াইট পেপারে ​​​​​​​ব্রিটিশরা ​​​​​​​প্যালেস্টাইনকে ইহুদি ​​​​​​​ল্যান্ড ​​​​​​​বানাতে ​​​​​​​বাধা ​​​​​​​দেয়, ​​​​​​​ইহুদি অভিবাসন ও আরব ​​​​​​​জমি ​​​​​​​কেনার ​​​​​​​ওপর ​​​​​​​বাধানিষেধ চাপায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে Truman লাখখানেক হলোকস্ট সারভাইভার ইহুদিকে ঐ ল্যান্ড অফ ইত্যাদিতে পাঠান। বৃটেনের সাথে আমেরিকার ঝামেলাও হয় এ নিয়ে। ব্রিটিশ গভর্মেন্ট ঐ পলিসিতে অটল থাকলেও দুই দেশের যৌথ কমিতির উদ্যোগে ঐ বাস্তুচ্যুত ইহুদিরা মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে হাজির হল। তাতেই আরব দেশরা ভয়ানক খচে যায়, জিহাদের ডাক দ্যায়।

    এরপরে ১৯৪৭ ইউনাইটেড নেশন্স রেসল্যুশন ১৮১ তে (আ খোঁ যা উল্লেখ করেছেন) যখন ৫৬% জমি ইস্রায়েলকে দেওয়া হয় যেখানে আরবরা লোকসংখ্যায় ইহুদিদের ডবল, তখন তো মেনে নেওয়া শক্ত হয়ে গেল আরবদের পক্ষে। তারপর থেকেই আরব-ইস্রায়েল যুদ্ধগুলো চলতে থাকে।  এমন নয় যে আরব দেশ্গুলো বসে ছিল এবং ১৯৪৮ এর ১৪ই মে ইস্রায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার পরের দিনই লড়ায়ে নামাল প্রথমবার। 

    যে জিনিষটা কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না - ফিলিস্তিনিদের নিজেদের দেশ থাকার কোন বাসনা কোনকালে ছিল - এরকম প্রমান। যা পাচ্ছি, তা কেবল ইহুদিরা কোনোদিন জয়গা কেড়ে নেবে - এই ভয়ে গড়ে ওঠা প্রতিবাদি আইডিয়া o সংগঠন। ইহুদিরা উড়ে এসে জুড়ে বসে ফিলিস্তিনোদের জায়গা জমি অধিকার করতে শুরু করল - এ তো প্রাকটিকাল সমস্যা - যেটা ইস্রায়েল না হলে এরকম ন্যাক্কারজনকভাবে হত না। তবে সেখানে ইহুদি জনসং্খ্যা সম্ভবত বাড়তেই থাকত।
    কিন্তু সেক্ষেত্রেও 'প্যালেস্টাইন' দেশ থাকত না - জায়গাটা জর্ডন সিরিয়া লেবানন, হয়তোবা মিশরের দখলে থাকত। 
     
    প্রশ্ন উঠতেই পারে - তাতে কার কি সমস্যা ছিল, যদি ফিলিস্তিনিরা নিজেদের দেশ  না চায়? সে অবশ্য আলাদা গল্প। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন