এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:৩৭538961
    • &/ | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:২৯
    • ...ও`ই ভদ্রলোক বলছেন -মানুষকে কোমল আলোর গ্রহ থেকে এই কটকটে রোদের গ্রহে এনে ....
     
    হুঁ, এবার পৃথিবীরই নানান প্রান্তে নানান রকম তাপমাত্রা, মানুষের নানান রকম সহনশীলতা - সেসব বিবেচনা না করে যতসব কুতর্ক আরকি।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:৩৬538960
  • আগের প্রশ্ন রমিতকে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:৩৬538959
  • দৌহিত্র বলতে চাইলেন কি?
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:৩৪538958
  • হারারি সায়েব আবার বলছেন, আগে মানুষের নাকি তেমন রোগজ্বালা ছিলই না। প্রাগঐতিহাসিক যুগে পশুপালন যেই না শুরু করল, ব্যস, আর যায় কোথা, যত রোগ জীবাণু জ্বরজ্বালা আধিব্যধি শুরু হল।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:৩০538957
  • এলিস সিলভার আর নতুন কি বললেন, এই তত্ত্ব তো প্রখ্যাত ভিনগ্রহীবিদ এরিক ফন দানিকেন কবেই বলে গেছেন। দ্বিপদ এলিয়েন যে আছে সে তো আগের দিন একটা ডকুমেন্টারিতেই তার প্রমাণ দেখলুম। ডক্টর রিক স্যাঞ্চেজ নানা জায়গা ঘুরে এর একাধিক প্রমাণ দিয়েছেন। এমনকি তিনি প্যারালাল ডাইমেনশন এর কথাও বলেছেন। তাঁর পৌত্র মর্টি স্মিথও মাতামহের এই গবেষণার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। অনেক পর্বের ডকুমেন্টারি। আরও যা যা জানতে পারব একে একে জানাবো আপনাদের।
  • পাপাঙ্গুল | 103.24.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:৩০538956
  • হ্যাঁ ডডনং হওয়া যেকোনো দিন নিঃসন্দেহে অগ্রাধিকার পাবে 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:২৯538955
  • মেরুভল্লুককে দুপুরবেলা সাহারা মরুভূমিতে ---সেইটাই মনে হয়ে ও`ই ভদ্রলোক বলছেন -মানুষকে কোমল আলোর গ্রহ থেকে এই কটকটে রোদের গ্রহে এনে ....
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:০৮538954
  • ঠিক তাই, ফসল জিনিসটা ঠিক ন্যাচারাল নয়, একইরকম ভাবে মানুষও ঠিক ন্যাচারাল নয় এমন বলা যেতে পারে - কারন প্রকৃতির ওপর কারিকুরি মানুষ করছে বহুকাল ধরে। কিন্তু তার জন্যই দুইপক্ষই অন্য গ্রহ থেকে এসেছে তা বলা যায় না।

    আবার সানস্ট্রোক ইত্যাদি - একটা মেরুভল্লুককে এনে দুপুরবেলা সাহারা মরুভূমিতে ছেড়ে দিলে সানস্ট্রোকের ঠাকুর্দা হয়ে যাবে।

    পাপাঙ্গুলঃ)
    জজ ম্যাজিস্টার হওয়া কলোনিয়াল বাঙালীর মোক্ষ, তবে আমি বলি কি, ডডনং হওয়াও তেমন মন্দ নাঃ)
  • পাপাঙ্গুল | 103.24.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:০৩538953
  • "এবার ওপাড়ার হারু পড়াশুনো করে ম্যাজিস্টার হল" - ম্যাজিস্টার কি জিনিস জানিনা কিন্তু শুনেই হতে ইচ্ছে করছে laugh 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২৩:০০538952
  • ফসল জিনিসটা অবশ্য ন্যাচেরাল নয়, ধান গম ভুট্টা ইত্যাদি তো মানুষে পোষ মানিয়ে জমিকে জমি ওগুলো চাষ করে ফলায়। বন্য অবস্থায় ওরকম ফলে না।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:৫৮538951
  • হয়, হয় অনেক রোগ হয় পশুপাখিদের, গাছেরও। অভয়ারণ্যে গন্ডারের মহামারি হলে কীভাবে ওষুধ দেওয়া হবে, সেই নিয়ে একজন প্রশ্ন করেছিল।( ওদের ইঞ্জেক্শন দেওয়া খুব কঠিন, বর্মের মত চামড়া। ) কিন্তু প্রশ্ন শুনে লোকে হেসে গড়াগড়ি।
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:৫১538950
  • রোগ টোগ, এসবও আজাইরা যুক্তি। নানান রোগের আক্রমনে ফসল মরে যায়।
    হায়নাদের মধ্যে প্রসূতিমৃত্যু কমন।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:৪৬538949
  • আরশোলাও আরশোলাও। কোটি কোটি বছর
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:৪১538948
  • আজকাল একটা রচনা ঘুরছে, বেড়াল শ্রেণীর প্রাণীর নাকি এমন নিখুঁত ডিজাইন যে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তাদের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি।
    তো, ওরা যেমন আছে সুখে আছে, লম্বা গলা, হজমের সময়, বুদ্ধি বাড়ানো, পপিচু বা পিএনপিসি - কোন কিছু নিয়ে মাথাও ঘামায়নি, খেয়ে ঘুমিয়ে সুখে আছে।
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:৩৫538947
  • এবার ওপাড়ার হারু পড়াশুনো করে ম্যাজিস্টার হল, আর আমি দুপুরবেলা ঘুড়ি উড়িয়ে ডডনং হয়ে রইলাম, ও তো হয়েই থাকে।
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:৩৪538946
  • সেটারও তো ব্যাখ্যা আছে, কেন মানুষেরই ঘটলো, কী কী ফ্যাকটর কাজ করলো।

    যেমন ডলফিন জলে চলে গেল বলে আগুন জ্বালাতে শিখলো না বা চাকা আবিষ্কার করলো না -ইত্যাদি।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:৩২538945
  • দুনিয়ার কোটি কোটি জীবের মধ্যে অন্য কোনো জীবেরও তাহলে ওরকম আলাদা হয়ে পড়া ঘটত তো! শুধু জৈব বিবর্তনই এর নেপথ্যে থাকলে।
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:২৭538944
  • আলাদা হয়ে পড়াটা আশ্চর্য বটে কিন্তু ব্যাখ্যা তো বিবর্তনবাদে আছে। ডাইভার্জেন্ট আর কগনিটিভ দুয়েরই।
    বিবর্তনবাদ মানলে যুক্তিগ্রাহ্যও বটে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:১৮538943
  • আচ্ছা ওই চৈনিক মিসাইলম্যান কি সত্যি? উনি আমেরিকায় মিসাইল বানাচ্ছিলেন? গুপ্তচর সন্দেহে অন্তরীণ থেকে বিনিময় হয়ে চীনে ফিরে যান? ওখানে মিসাইল বানান? (এঁর নাম এর আগে তো শোনা যায় নি? অবশ্য ভীষণ ঢাকাচাপা দিত ওরা। )
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:১৮538942
  • এটা অবশ্যই ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন ,তবে কিছুটা ব্যাখা আধুনিক বিজ্ঞান দিতে পারে। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:১৪538941
  • মানুষকে ভিনগ্রহী বলে দেওয়া ভীষণ গুলগাপ্পা তো বটেই, কারণ তাহলে সেই গ্রহটা কোথায়? সেই গ্রহেই বা কোথা থেকে কীভাবে 'মানুষ' (বা ওরকম জীব) এল?
    কিন্তু 'মানুষ' এর এই ঝনাৎ করে দুনিয়ার সর্বজীব থেকে এত আলাদা হয়ে পড়া ---এই প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে।
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:১২538940
    • কৌতূহলী | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:০৫
    • '' পৃথিবীর প্রথম বাবা কে সেটা জানা যায়নি , অতএব আমি আপনার থেকে লাখটাকা পাই'' 
     
    laugh laugh laugh
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:০৫538939
  • মানুষের আলাদা হওয়ার কিছু ব্যাখা বিবর্তনতত্ত্ব , নৃতত্ত্ব বা শারীরবিদ্যা থেকে পাওয়া যাবে ,কিছু ব্যাখা হয়তো এখনও অজানা।কিন্তু অজানা বলেই মানুষ ভিনগ্রহীদের ছেড়ে যাওয়া প্রানী ,  যেমনটা এলিস সিলভার করেছেন  এ তো হাস্যকর দাবি। সেটা যদি হয়ও , তাহলেও সেটা আলাদা করে দাবিদারকেই প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু '' মানুষ আলাদারকম তাই সে ভিনগ্রহের'' এটা অনেকটা '' পৃথিবীর প্রথম বাবা কে সেটা জানা যায়নি , অতএব আমি আপনার থেকে লাখটাকা পাই'' টাইপের হয়ে গেল। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২২:০০538938
  • মানুষের এই এত আলাদা হয়ে যাওয়া জিনিসটা মস্তিষ্কের বিবর্তন দিয়েও খটকা থেকে যায়। হাতি, ডলফিন ইত্যাদি কিছু কিছু প্রাণীর মস্তিষ্ক বেশ বড় ও জটিল ( কেউ কেউ অক্টোপাসের কথাও বলেন), কিন্তু এইসব প্রাণীরা বাড়িগাড়িশাড়িমহাকাশযানের সভ্যতা টভ্যতা গড়ে একাকার করে ফেলেনি।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২১:৪৯538937
  • কিন্তু 'মানুষ' সত্যিই অনেক আলাদা। পৃথিবীর কোটি কোটি অন্য প্রজাতির থেকে অনেক আলাদা। মানুষ কাপড় বানায়, ঘর বানায়, আগুন জ্বালিয়ে রান্না করে, গাড়ি বানায়, চালায় চড়ে, রকেট বানায়, মহাকাশে যায়, চাঁদের উপরে গিয়ে দাঁড়ায়, হাঁটে, মঙ্গলে যান পাঠায়, অণুবীক্ষণ দূরবীক্ষণ কমপিউটার সিমুলেটর ইত্যাদি যন্ত্র দিয়ে দুনিয়ার কত কত অজানা জানতে চেষ্টা করেই চলেছে।
    এই ব্যাপার একেবারেই আলাদা, জেনেটিকভাবে কতই মিল অন্য প্রজাতির সঙ্গে মানুষের, অথচ মানুষ এইরকম সব জিনিস করে যা অন্য প্রজাতির কাছে সম্পূর্ণ একটা বিজাতীয় ব্যাপার, মানে একেবারে অকল্পনীয়।
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ২১:১১538936
  • এইটা নিয়ে কেউ একবার একটা টই খুলেছিলেন, ভাটে সামান্য আলোচনা হয়েছিল। কৌতূহলী যেমন বললেন, বিবর্তন তত্ত্বের একেবারে প্রাথমিক জিনিসপত্র দিয়েই এসবের উত্তর মেলে, এই নিয়ে চাঞ্চল্য কেন হলো সেটাই আশ্চর্যের।
  • PRABIRJIT SARKAR | ০৬ জুন ২০২৫ ১৯:০৭538935
  • যারা এখন মানুষ বলে পরিচিত তাদের কথা ই বলছে মনে হয়।তার মানে হোমো সাপিয়েন হয়তো। সুমেরীয়দের ট্যাবলেটে আছে অন্য গ্রহ থেকে সোনার খোঁজে এসেছে 'মানুষ'। ওদের অনেক মানুষ দরকার ছিল বলে ওরা স্থানীয় কিছু প্রাণীকে 'মানুষ' বানিয়েছিল। কিছু ট্যাবলেটে মহাকাশচারীদের মত কিছু আঁকা আছে। বিবর্তনবাদে একটা মিসিং লিঙ্ক আছে শুনতাম। এই সব গুল গল্প কনজেকচারে হয়তো কিছু সত্যি আছে।
  • কৌতুহলি২ | 122.187.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ১৮:৩৬538934
  • কোন মানুষ অন্য গ্রহ থেকে এসেছিলো ? হোমো সাপিয়েন্স , নিয়ানডার্থাল , ক্রো   ম্যাগনান ইত্যাদি সবাই কি এক গ্রহ থেকে এসেছিলো  না আলাদা গ্রহ থেকে ?  
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ০৬ জুন ২০২৫ ১৫:০২538933
  • এলিস সিলভারের প্রশ্নগুলোর উত্তর ব্যাখা তো অনেকটাই আধুনিক বিবর্তনতত্ত্ব আর জিনতত্ত্ব করতে পারে। আর মানুষ কেন , প্রতিটা প্রজাতিই তো একে অন্যের থেকে আলাদা
  • PRABIRJIT SARKAR | ০৬ জুন ২০২৫ ১৪:৪৮538932
  • ফেসবুকে মাঝে মাঝেই এই তত্ব প্রকাশ পায়। লোমহর্ষক!

    "বিজ্ঞানী এলিস সিলভারের চাঞ্চল্যকর দাবি: মানুষ পৃথিবীর জীব নয়

    তাঁর 'হিউম্যান আর নট ফ্রম আর্থ: এ সায়েন্টিফিক ইভ্যালুয়েশন অফ দ্য এভিডেন্স' বইটিতে রীতিমতো যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, 'মানুষ পৃথিবীর জীব নয়'।

    বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং অনেক আগেই বলেছিলেন, “এলিয়েন আছে, অবশ্যই আছে।” নাসার গবেষকেরা কেপলার টেলিস্কোপের সাহায্যে এমন ২০টি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যাদের মধ্যে সম্ভবত প্রাণ আছে। নাসার প্রথম সারির বিজ্ঞানী অ্যালেন স্টেফান, বিজ্ঞানী সিলভানো পি কলম্বানো, বিজ্ঞানী থমাস জুরবিউকেন বিভিন্ন সময় বলেছেন এলিয়েনদের থেকে নাসা আর বেশি দূরে নেই। কয়েক বছরের মধ্যেই নাসা এলিয়েনদের কাছে পৌঁছে যাবে।

    কিন্তু সম্প্রতি নাসার এই বক্তব্যে জল ঢেলে দিয়েছেন এক বিজ্ঞানী। তাঁর চাঞ্চল্যকর মতবাদ নিয়ে ঝড় উঠেছে বিজ্ঞানপ্রেমীদের মধ্যে। তিনি দাবী করেছেন মানুষই এলিয়েন বা ভিনগ্রহের জীব। অথচ বিজ্ঞান বলেছিল, প্রায় ১৮ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকায় সৃষ্টি হয়েছিল প্রথম মানব প্রজাতি হোমো ইরেকটাস।

    এলিয়েনরা কি আদৌ এরকম দেখতে?
    ডঃ এলিস সিলভার বললেন, মানুষই ভিনগ্রহের জীব
    আমেরিকার প্রখ্যাত ইকোলজিস্ট ডঃ এলিস সিলভার। তিনি তাঁর ‘হিউম্যান আর নট ফ্রম আর্থ: এ সায়েন্টিফিক ইভ্যালুয়েশন অফ দ্য এভিডেন্স’ বইটিতে রীতিমতো যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, ‘মানুষ পৃথিবীর জীব নয়’। বহুদিন ধরে গবেষণা করার পর তাঁর সিদ্ধান্ত, অন্য জীবদের মতো মানুষের সৃষ্টি পৃথিবীতে হয়নি।

    কয়েক লক্ষ বছর আগে অন্য গ্রহ থেকে মানুষকে পৃথিবীতে ছেড়ে যাওয়া হয়েছিল। ডঃ সিলভার বলেছেন, মানুষের শরীরে থাকা অনেক ত্রুটি বুঝিয়ে দেয়, পৃথিবী আমাদের নিজের গ্রহ নয়। পৃথিবীর অনান্য উন্নত প্রাণীর সঙ্গে মানুষের শরীরের এত পার্থক্য কেন! এই প্রশ্নটির ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে ডঃ এলিস সিলভারের মতবাদটি।

    ডঃ এলিস সিলভারের সেই চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী বই।
    ডঃ সিলভারের সেই চাঞ্চল্যকর থিয়োরির কিছু ঝলক
    ● ডঃ সিলিভারের মতে, পৃথিবীতে মানুষ ছাড়া থাকা সব প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী পরিবেশ থেকেই সরাসরি তাদের প্রয়োজন মিটিয়ে নেয়। উদ্ভিদ তার গায়ে এসে পড়া সূর্যালোক, বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইড আর মাটি থেকে জল নিয়ে নিজের খাবার তৈরি করে নেয়। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা সরাসরি উদ্ভিদকে খেয়ে, বা অনান্য প্রাণীকে খেয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। কিন্তু মানুষ প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া বা গজিয়ে ওঠা খাবার সরাসরি খেতে অপছন্দ করে কেন!

    ডঃ সিলিভারের মতে, সরাসরি পরিবেশ থেকে নেওয়া খাবার হজম করতে পারে না একমাত্র মানুষই। তাই সে অন্যভাবে তার খাদ্যের প্রয়োজন মেটায়। মানুষ যদি পৃথিবীরই জীব হতো, তাহলে সে বাকি প্রাণীদের মতোই পরিবেশ থেকে পাওয়া খাবার সরাসরি খেয়ে হজম করতে পারত।

    ● মানুষকে এই গ্রহের সবচেয়ে উন্নত প্রাণী বলে মনে করা হয়। কিন্তু ডঃ সিলভারের মতে মানুষই হল  পৃথিবীর সবচেয়ে খাপছাড়া জীব। মানুষই  হল পৃথিবীর জলবায়ুতে টিকে থাকার পক্ষে সবচেয়ে অনুপযুক্ত জীব। কারণ, পৃথিবীর বাকি সব জীব সারাজীবন খোলা আকাশের নীচে, প্রখর রৌদ্র, তুমুল ঝড় বৃষ্টি সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে। মানুষ কেন পৃথিবীর বাকি সব প্রাণীর মতো বৃষ্টিতে ঘন্টার পর ঘন্টা ভিজতে পারে না! কয়েকঘন্টার বেশি সূর্য্যের প্রখর রৌদ্রে থাকলে একমাত্র মানুষেরই কেন ‘সান স্ট্রোক’ হয়! সূর্য্যের আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে আমাদের ত্বকের চামড়া কালো হয়ে যায় কেন! ! কেন সূর্যের আলোয় মানুষেরই চোখ ধাঁধিয়ে যায়! অন্য প্রাণীদের তো তা হয় না। এগুলি কি প্রমাণ করেনা সূর্য রশ্মি মানুষের পক্ষে উপযুক্ত নয় এবং মানুষ থাকত কোনও নরম আলোয় ভরা গ্রহতে।
    ● মানুষের মধ্যেই প্রচুর দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা ক্রনিক ডিজিজ দেখা দেয় কেন! ডঃ সিলভারের মতে ব্যাক পেন (back ache) হল মানুষের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী রোগ। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ এই রোগে ভোগেন। কারণ মানুষ পৃথিবীর অনান্য প্রাণীর মতো চারপায়ে হাঁটে না। ফলে হাঁটা চলা ও বিভিন্ন কাজে মাধ্যাকর্ষণের সাহায্য পায় না। পৃথিবীর বাকি প্রাণীদের কি ঘাড়ে, পিঠে, কোমরে ব্যাথা হয়! মানুষের এই ‘ব্যাক পেন’ রোগটিই প্রমাণ করে, মানুষের দেহ অন্য কোনও গ্রহে বসবাসের উপযুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছিল। যে গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ ছিল পৃথিবীর তুলনায় অনেক কমজোরি।

    ● পৃথিবীতে থাকা কিছু দীর্ঘজীবী প্রাণী, যেমন আফ্রিকার হাতি, অ্যালডাবরা ও গ্যালাপাগোস কচ্ছপ, বো-হেড তিমি, গ্রেটার ফ্লেমিঙ্গো, গ্রিন-উইং ম্যাকাওদের চোখেও কি চল্লিশের পর চালসে (হাইপার মেট্রোপিয়া) পড়ে! বয়েসের সঙ্গে সঙ্গে তাদের শ্রবণক্ষমতা কমে যায়!

    ● পৃথিবীর কোনও মানুষই ১০০% সুস্থ নয় কেন! প্রত্যেকেই এক বা একাধিক রোগে ভোগেন কেন!
    ● মানব শিশুর মাথা বড় হওয়ার জন্য নারীদের স্বাভাবিক উপায়ে প্রসব করতে প্রবল যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। প্রসব করতে গিয়ে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মানুষ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনও প্রজাতির লক্ষ লক্ষ স্ত্রী প্রাণী ও শাবক প্রসবকালে মারা গিয়েছে কি? মানব শিশু জন্মের পরেই পৃথিবীর উন্নত প্রাণীগুলির শাবকদের মতো হাঁটতে শেখে না কেন?

    ● মানুষের দেহে কেন ২২৩টি অতিরিক্ত জিন আছে! পৃথিবীর অনান্য প্রাণীদের দেহে অতিরিক্ত জিন নেই কেন!

    ● মানুষের ঘুম নিয়ে গবেষণা করে গবেষকরা বলছেন পৃথিবীতে দিন ২৪ ঘন্টার, কিন্তু আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি (body clock) বলছে, আমাদের দিন হওয়া উচিত ছিল ২৫ ঘন্টার। মানবজাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকেই দেহঘড়িতে একটি দিনের জন্য কেন ২৫ ঘন্টা বরাদ্দ করা হয়েছিল!
     
    বিভিন্ন বিজ্ঞানী ডঃ সিলভারের থিওরিটির বিস্তর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু অনেকে আবার তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা বলেছেন ডঃ সিলভার যে যুক্তিগুলি হাজির করেছেন, সেগুলি কিন্তু একেবারেই ফেলে দেওয়ার মতো নয়। সত্যিই তো পৃথিবীর অনান্য প্রজাতির জীবের চেয়ে আমরাই কেন আলাদা হলাম। সত্যিই কি আমরা পৃথিবীর প্রাণী! নাকি আমরা ভিনগ্রহের প্রাণী হয়ে পৃথিবীকে শাসন করছি!  রহস্যটির উত্তর লুকিয়ে আছে কালের গর্ভে। একটা প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই গেল,মানুষের সৃষ্টি যদি পৃথিবীতে না হয়ে থাকে বা আমরাই যদি ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসে থাকি, তাহলে কাদের খুঁজতে নাসা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচা করছে।
     
    ভাট এর বৈজ্ঞানিকদের কী মত?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত