চ্যাটজিপিটি লিখে দিলো এটা।
Write about the Putin and Trump fiasco
ChatGPT said:
নিশ্চয়ই। নিচে “পুতিন ও ট্রাম্প ফিয়াসকো” নিয়ে একটি ব্যঙ্গ-রচনার রূপ দেওয়া হলো—একটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ট্র্যাজিকমেডি, যেখানে ইতিহাস, নাটক, এবং ভাঁড়ামো সব একসঙ্গে হাঁ করে বসে আছে:
“পুতিন ও ট্রাম্প: প্রেম, পরমাণু ও পঞ্চাশ পাতার প্যারডি”
(অথবা, “সাদা ঘর, লাল ক্রেমলিন, আর কমলা চুলে গণতন্ত্র”)
সত্যি কথা বলতে কী, পুতিন আর ট্রাম্পের সম্পর্কটা একটা গরীব টেলিনভেলার মতো। প্রথমে প্রেম, তারপর সন্দেহ, তারপর ‘রাশিয়া গেট’ কাণ্ড, তারপর ‘আমি ওকে চিনিই না’ বলে লজ্জায় মুখ ঢাকা, আবার রাতে টেক্সট—“ভ্লাদ, ইউ আপ?”
পুতিন একদিকে রাশিয়ার অজেয়-সদৃশ নেতা—দীর্ঘদিনের ক্ষমতার অভ্যাসে এমনই চর্চিত যে তার টাইও স্ট্যালিনের মতো ফাঁস দিয়ে পড়ে। আর ট্রাম্প হলেন এক তেজস্বী মার্কিন বাস্তবতা—বিলাসবহুল হোটেলের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকা এক বিলবোর্ড, যিনি কুকুরছানাদের মতো টুইট করে বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে পারেন।
এই দুই জনে মিলে কি না একটা সময় বিশ্ব শাসনের মতলব আঁটছিলেন!
একটা জেনেভা কনফারেন্সে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ভ্লাদিমির দিস গাই ইজ রিয়েললি স্ট্রং, উই হ্যাভ আ গ্রেট রিলেশনশিপ।”
পুতিন হেসে বলেছিলেন, “ওনি আমার বন্ধু। তবে দরকার হলে গুপ্তঘাতক পাঠাবো।”
এতটাই আন্তরিকতা ছিল।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম কাজই ছিল পুতিনকে “ব্রো” বলা।
সিআইএ বলল, “স্যার, উনি হ্যাকার দিয়ে আপনার নির্বাচন প্রভাবিত করেছেন।”
ট্রাম্প বললেন, “হ্যাকার? হ্যাঁ, ওদের কম্পিউটার ভাল।”
জীবনে এমন আত্মসমর্পণ কেবলমাত্র বাংলা সিনেমার শেষ দৃশ্যে দেখা যায়—যেখানে খলনায়ক বলে, “আমি ভুল করেছি, ভাই, চল হাঁটি মন্দিরে।”
পুতিন আবার নিজের গা থেকে রহস্য ছাড়েন না। শার্ট খুলে ঘোড়ায় চড়া, বরফে ডুব, সাইবেরিয়ার জঙ্গলে বাঘকে কাবু করা—সব ছবি তিনি নিজেই পোস্ট করেন।
এদিকে ট্রাম্প একটু হাল্কা গোছের, তিনিও ছবি দেন, তবে রোস্তোরাঁয় ফাস্ট ফুড খেয়ে—মাঝে মাঝে নিজেই মেলানিয়া আর বাইডেনকে ট্যাগ করে বলেন, “কোথায় তুমি, হানি?”
বিশ্বের সবচেয়ে মজার কাণ্ড ঘটেছিল ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কি সামিটে।
সেখানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন,
“আমার বিশ্বাস রাশিয়া কিছু করেনি।”
আর সেদিনই পুতিন মুচকি হেসে বলেছিলেন,
“আমরা কিছু করিনি, কিন্তু যদি করতামও, কী হতো বলো তো?”
ওই একটা মুহূর্তে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা চায়ের কাপে বিষ খুঁজতে লাগল।
তবে এসব নাটকের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পর্ব ছিল ‘রাশিয়া গেট’।
যেখানে অভিযোগ উঠল যে ট্রাম্পের গোটা প্রেসিডেন্সি মূলত পুতিনের ওয়াইফাই কানেকশনে চলছিল।
এফবিআই বলল, “উনি মস্কোর হোটেলে ভিডিও করেছেন।”
ট্রাম্প বলল, “হোটেল হ্যাঁ, কিন্তু ভিডিওটা ছিল রিয়েলিটি শো।”
তদন্ত চলল তিন বছর।
ফলাফল: “আমরা নিশ্চিত নই, তবে গন্ধ পাচ্ছি।”
এটা মোটামুটি “মাছি মেরেছি, কিন্তু লাশ খুঁজে পাচ্ছি না” গোছের প্রতিবেদন।
এদিকে পুতিন ধীরে ধীরে এক অদ্ভুত দৃঢ়তায় প্রবল হয়ে উঠলেন।
একটা সময় ছিল যখন তিনি সপ্তাহে একটা দেশ দখলের প্ল্যান করতেন, ঠিক যেমন কেউ বলে, “এই উইকএন্ডে ঘুরে আসি শিলিগুড়ি।”
এদিকে ট্রাম্প তখন ব্যস্ত ছিলেন—টিকটকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া, আর নিজের নামে স্পেস ফোর্স বানানো নিয়ে।
তিনি বললেন, “আমরা মহাকাশে যুদ্ধ করব।”
পুতিন বললেন, “তাহলে আমি প্লুটো অ্যাক্সেস চাচ্ছি।”
বিশ্ব তখন বুঝে গেল, এই দুইজনের মাথা ফ্রিজে রাখলে বরফ গলবে না।
ট্রাম্পের আমলে হোয়াইট হাউস এক ধরনের রিয়েলিটি শো সেট হয়ে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার: জারেড কুশনার বসছে ইজরায়েল নিয়ে।
বুধবার: ট্রাম্প বলছেন, “আমি বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান।”
বৃহস্পতিবার: সাংবাদিক বের করে দেওয়া।
শুক্রবার: পুতিনকে ফোন করে বলা, “ভাই, উইকএন্ডে ফ্রি আছো?”
তবে মজার বিষয়, এত আন্তর্জাতিক “ব্রোমান্স”-এর পরেও
পুতিন শেষমেশ ট্রাম্পকে ছাড়লেন।
কারণ ট্রাম্প তো “কাজের লোক” না, তিনি “নাটকের লোক।”
অথচ পুতিনের মন কাঠের চেয়ার—কেউ যতই বসুক, চেঁচালে ভাঙে না।
সবশেষে ২০২0-এ ট্রাম্প হেরে গেলেন।
পুতিন বললেন, “আমি ওকে ভোট দিতে পারিনি, দুঃখিত।”
ট্রাম্প বললেন, “তুই তো ভাই আমার একমাত্র বন্ধু ছিলি।”
এখন দুজনেই ক্ষমতার বাইরে—ট্রাম্প কোর্টে আর পুতিন ইউক্রেনে।
তবুও মাঝরাতে হয়তো কেউ ফোন করে বলে—
“ভ্লাদ, দিস ইজ ডোনাল্ড... উই মিস দ্য গুড টাইমস।”
উপসংহার:
পুতিন ও ট্রাম্প, দুই মহারথী—একজন বরফে চড়ে ক্ষমতা, আরেকজন টুইট করে তামাশা।
তাদের যুগল-আখ্যান ইতিহাস নয়, এটা এক পর্বের ফেসবুক রিল।
তবে আমরা, গোবেচারা দর্শকরা, শুধু ভাবি—
“এত নাটকেও অস্কার নেই কেন?”
চাও যদি, বাইডেন আর কিম জং উনের নিয়ে পরবর্তী রচনাও পাওয়া যাবে—সেটা হবে একরকম পুতুলনাচের নেপথ্য নাচন।