বিতার কতাই যদি কন কত্তা, তবে হেইটা শোনেন।
জানুয়ারী মাসে বাংলাজিপিটিরে কইলামঃ
কবি বৈকুন্ঠ মল্লিকের কবিতার কয়েকটি উদাহরণঃ
সমুদ্র সম্পর্কিত - ‘অসীমের ডাক শুনি কল্লোলে মর্মরে/ এক পায়ে খাড়া থাকি একা বালুচরে।’
ভুবনেশ্বরের মন্দির দেখে তাঁর উপলব্ধি - ‘কতশত অজ্ঞাত মাইকেল এঞ্জেলো/ একদা এই ভারতবর্ষে ছেলো---/ নীরবে ঘোষিছে তাহা ভাস্কর্যে ভাস্বর/ ভুবনেশ্বর!’
দার্জিলিং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দেখা নিয়ে - ‘অয়ি কাঞ্চনজঙ্ঘে/ দেখেছি তোমার রূপ উত্তরবঙ্গে/ মুগ্ধ নেত্রে দেখি মোরা তোমারে প্রভাতে/ সাঁঝেতে আরেক রূপ, বুল নেই তাতে/ তুষার ভাস্কর্য তুমি, মোদের গৌরব/ সবে মিলে তোমারেই করি মোরা স্তব।’
কাশ্মীর সম্পর্কে - ‘করি নত শির/ তোমারি প্রণমি কাশ্মীর’
মাদ্রাজ-বিষয়ক কবিতায় - ‘ইডলি আর দোসা খেয়ে তৃপ্তিবে রসনা?/ ওরে বাবা এ শহরে কেউ কভু এসো না।’
এবারে, কবি বৈকুন্ঠ মল্লিকের স্টাইলে একটি মৌলিক কবিতা রচনা করুন।
উনি এইটি দিয়েছিলেন, খুঁজে পেতে পেয়েও গেলুমঃ
অয়ি সুন্দর বঙ্গদেশ,
তোমার বুকে মুগ্ধ হয়ে জাগে আমার অবশেষ।
সোনার ফসলের গন্ধে ভরা তোমার মাঠ,
কৃষকের কণ্ঠে গান, ছন্দে বাঁধা প্রাণের পাঠ।
অয়ি গঙ্গা, তোমার ঢেউয়ের মায়া,
কোথাও নেই এমন স্নিগ্ধ জলধারা।
তোমার কূল ছুঁয়ে বেড়ায় নৌকোর পাল,
তোমারই জলে ভাসে বাংলার কাল।
অয়ি সুন্দরবন, গহন তোমার ছায়া,
রয়েছে বাঘের থাবা, রয়েছে প্রকৃতির কায়া।
মধুরেণ নদী, বয়ে চলে মোহনায়,
মাটির গন্ধে মিশে থাকে চিরকাল বাংলায়।
কত শত কবি, শিল্পী, গায়ক অজানা,
তোমার বুকেই জ্বলে তাদের প্রতিভার দীপশিখা।
বাঁশির সুরে, ঢাকের তালে, জীবনের রঙে,
তোমারি কাব্য লেখা হয় ভোর থেকে সাঁঝবেলায়।
তুমি স্নেহময়ী মা, তুমি রুদ্র রূপ,
তোমার কোলে খুঁজে পাই স্বর্গের অনুভূতি-রূপ।
বাংলার প্রতিটি কোণ ছুঁয়ে দেখি মোরা,
তোমারই আলোতে বেঁচে থাকি যুগযুগান্তর ধরা।