এই ক্ষেত্রে বড়োলোক খুনি (ট্যাংরাকাণ্ড), যে/যারা কিনা পরে দেনার দায়ে বাধ্য হয়েছে ডিপেন্ডেন্টদের খুন করতে, এদের সঙ্গে গরীব খুনি ( হালতুকান্ড) অটোরিকশাচালকের মানসিকতার কোনও তফাৎ পেলাম না। এরা মনে করে বউ আমার, বাচ্চারা আমার। এদের ভালোমন্দের সব দায়িত্ব আমার। আমি বাঁচলে এরা বাঁচবে, আমি মরলে এরা ভেসে যাবে।
ওরা মরলে, দেনা নিয়ে মরলেও, ওরা তখনও পরিবারকে ছাড়তে চায় না। মনে করে মরে গেলে বাচ্চারা কষ্টে থাকবে, বৌকে অন্যলোকে ভোগ করবে। কোনও কিছু ডিসওন করতে জানে না, শেখেও নি। বউ প্রপার্টি। বাচ্চাও প্রপার্টি। দামি ইস্কুলে পড়াবে, দামি গাড়িতে চড়াবে, দামি খাবার, দামি পোশাক, বিলাসবহুল জীবন সবই দেবে, আবার দেউলে হবার টাইমে ওদেরও খুন করে ফেলবে।
গরীবের ক্ষেত্রেও সেইম ন্যারেটিভ। বাচ্চার অসুখ এবং অপারেশনের জন্য ধারদেনা করে টাকার জোগাড় করেছে, কত ভালোবাসে সন্তানকে, বাঁচিয়ে রাখতে চায়, সুস্থ রাখতে চায়। অথচ যেই ধারদেনায় ডুবে গেল, অমনি সেই সন্তানকেই খুন করে ফেলল। যখন মরবে তখন সপরিবারে মরবে। টক্সিক বন্ডিং।
ছোট বাচ্চারা যেমন পুতুল খেলে। এই খুব আদর করছে পুতুলকে, আবার মেজাজ খারাপ থাকলে ছুঁড়ে ফেলছে কি কুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলছে।
এগুলো মানসিকতার সমস্যা এবং মানসিক সমস্যা।
মারধের করা কি মারামারি করা এক জিনিস। আর প্ল্যান করে খুন করা অন্য জিনিস।
না। এর সঙ্গে ঋণের বোঝার কোনও সম্পর্ক নেই।
যে লোক নিজের বৌ বাচ্চাদের নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে না, সে ঋণের বোঝা বহন করতে না পারলে এক্সট্রিম কেসে নিজেকে শেষ করতে পারে, পরিবারকে খুন করতে পারে না।
হ্যাঁ, সমাজ এর জন্য দায়ী। ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য স্বাধীনতা ইন্ডিভিজুয়ালিজম কাকে বলে, ঐ সমাজে সেটা শেখানো হয় না, প্র্যাকটিসও করা হয় না।