সৈকতবাবুর টই থেকে কয়েকটা লাইন টুকলামঃ
"সব মিলিয়ে এই গোটা সিরিজ থেকে তৈরি হয়েছিল একটা ন্যারেটিভ। যেখানে, গণপিটুনির ধাঁচে খুন করা হয়, যা একার পক্ষে অসম্ভব। সেটাকে ঢাকতে খারাপ ময়নাতদন্ত। বাজে ভিডিওগ্রাফি। এবং সবশেষে প্রমাণ লোপাট। "
"চার্জশিটেই লেখা আছে, এইমস কল্যাণীর এফমটি প্রধান একটি বিশেষজ্ঞ বোর্ড তৈরি করেছিলেন, যারা সুরতহাল এবং ময়নাতদন্তের সময়ের ভিডিওগ্রাফি পরীক্ষা করে দেখবেন এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ভিডিওগ্রাফির সঙ্গে মিলছে কিনা এই নিয়ে মতামত দেবেন। তাঁরা মতামত দিয়েছেন, এবং তাঁদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, "দেখা গেছে, উল্লিখিত সুরতহাল প্রক্রিয়া এবং ময়নাতন্তের সময়ের ভিডিওগ্রাফি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে সুসমঞ্জস" । "
"এইমসের ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ আদর্শ কুমার এর চেয়ারম্যান। তাঁরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট পেশ করেন। সেই রিপোর্টে অনেকগুলি পয়েন্টের মধ্যে একটি হল, "সুরতহাল ময়নাতদন্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।" "
"অর্থাৎ ময়নাতদন্ত দুবার এবং ফরেনসিক তিনবার ক্রসচেক করা হয়েছে। তারপরেও হয়তো এগুলো সবই ভুল হতেই পারে। ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের সমস্ত বিশেষজ্ঞদের এই চক্রান্তে যুক্ত থাকতে হবে। আছেন কিনা সেটা আমরা জানিনা, মনে হয় সম্ভাবনা খুবই কম। হয়তো শুভাশিস ঘটক বলতে পারবেন। কিন্তু আমরা যেটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, যে, সিবিআই সূত্র অমুক বলেছে বলে তিনি যেগুলো লিখেছেন, সেগুলো মিথ্যা। সিবিআই ওরকম কিছু বলেনি, ঠিক উল্টো কথা বলেছে, সে তো চার্জশিটেই দেখা যাচ্ছে"
মুশকিল হলো, দীপচাড্ডি আর আরও অনেক চাড্ডি আশা করেছিল যে গুজব ছড়িয়ে রেজিম চেঞ্জের দিকে এগনো যাবে, যেমন আরেসেস আগেও অনেকবার অন্যান্য রাজ্যে করেছে। কিন্তু সিবিআই চাড্ডিদের সাথে কোঅপারেট করছে না। প্রধানসেবক বা স্যারকে বলেও বোধায় লাভ হচ্ছে না, সিবিআই কোনভাবেই ধর্ষন-খুন কান্ডে একাধিক ব্যাক্তির তত্ত্ব দাঁড় করাতে পারছেনা।