এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:e4e7:e976:763a:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:০২529863
  • অত বড় কৃষক আন্দোলন হয়ে পাঞ্জাবে আপ ক্ষমতায় এল। হ্যাঁ, পরিস্থিতি নিশ্চয় আলাদা, কং সেখানে নিজেরাই নিজেদের কাটছিল, ভাজপা ছিল কিন্তু অত বড় ছিল না আবার আপ - ও অত বড় ছিল না। কিন্তু মোটামুটি কং - ভাজপা কাউকে চাই না, এই বলে জনগণ তৃতীয় পক্ষের দিকে গেল।

    পঃবঃ তে, টিএমসি - ভাজপা কাউকে চাই না বলে (এই আন্দোলনের যা ইঙ্গিত) জনগণের কাছে তৃতীয় পক্ষের অপশন আছে? বামেরা বলবে, হ্যাঁ, আমরাই তো তারা, আবার নিয়ে এস আমাদের, কিন্তু সত্যই কি সেটা? জনগণ অতএব কোনদিকে যাবে?
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১529862
  • একক
    সরি, আমার মাথায় নেতাজি বললে খালি শ্যামবাজার মোড় ছবি আসে। 
     
    সিএস,
     সঠিক। 
    দুঃখের কথা, কিন্তু সঠিক।
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:e4e7:e976:763a:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪০529861
  • ২০২৬ র আগে তো কিছু পুরসভার ভোট হওয়ার কথা ছিল, সেসব কবে ? সেসব থেকেও বোঝা যাবে লোকে কী চাইছে বা দলগুলোও কী বলতে বা করতে চাইছে।
  • একক | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২৮529860
  • বাগুইয়াটির নেতাজির ঘোড়া নাই। নিজের পায়ে খাড়া।
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:e4e7:e976:763a:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২৭529859
  • এত বড় গণ আন্দোলন হতে থাকলে, লোকের ক্ষোভ বেরিয়ে আসতে থাকলে সাধারণত তার সুবিধে প্রধাণ বিরোধী দলেরই পাওয়ার কথা, ভাজপার যখন টাকা ইত্যাদি আছে। হ্যাঁ, সেরকম প্রমাণ এখনো নেই যে সেটা ঘটবে। বাঙালির সেই চর্যাপদের সময় থেকে বামপন্থীধাত বলে, ভোটের রাজনীতিতে এখন, ম্যাজিক করে বেরিয়ে যাবে, এটায় অনেকটা স্বপ্নের ঘি লাগবে। অনলাইনে চাট্টি পাঁচমিশেলি অ্যানালিসিস আর রেগে গেলে গালি দেওয়া, এই আপাতত সিপিএমের অবদান। আর মেয়েদের ভোটটা ফ্যাক্টর বলে মীণাক্ষীকে নেত্রী করে তোলা, এটার চেষ্টা কিছুটা, সর্বত্রই তিনি, আর কাউকে বিশেষ দেখা যায় না, জানি না এর পেছনে দলের ভেতরের খেলা আছে কিনা।

    আগেও লিখেছিলাম, নিরঙ্কুশ সিপিএম থেকে নিরঙ্কুশ টিএমসি হয়ে নিরঙ্কুশ ভাজপা নাও হতে পারে। মাঝামাঝি কিছু, ধরুন, টিএমসির সাথে সিপিএমের জোট (তাদের অল্প কিছু সীট) সেরকম হতে পারে কিনা। জনমতের প্রতিফলন ভোটবাক্সে হল, কিন্তু fractured হল, সে বস্তু সম্ভব কিনা। কোরাপশন কেস নিয়ে সিবিআই এখন রগড়াবে, কিছু নেতা - এমএলএ কে টাইট দেওয়ার চেষ্টা হবে, জহর সরকারের মত আর কেউ পদত্যাগ করে কিনা, টিএমসি দুর্বল হয়ে যায় কিনা, ফলে ভোটে fracture হয় কিনা, এ সব ঘটতে পারে।
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২৩529858
  • একক,
     
    "গরগোয়েল দেকি ''নেতাজী মুত্তির নুনকুর ডগায়' দাঁড়িয়ে চেল্লাচ্চে : বাংলায় বাঙালী আইপিএস থাকবে! "
    --সামান্য সংশোধন। 
    ওটা ঘোড়্রার মুত্তির নুনকুর ডগা হবে। উনি তো ঘোড়ার উপর চেপে বসেছেন।
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৪529857

  • বামের ভোট তাহলে গেল কোথায়? ৪০% থেকে ৬%! তিনো-বিজু সেটিং করুক গে, মরুক গে! ওদের সেটিং কি বামের ভোট ছিনিয়ে নিতে পারে?

    বিজেপি দলটা বাংলা সমেত সারা দেশে একটা ইলেকশন শেষ হতেই পরের কথা ভেবে ওদের পচুন্দের ইস্যু তোলে; পাঁচ বছর ধরে হল্লা বোল করে। 
      বামেদের গণ আন্দোলন কোথায়? কোভিডে রেড ক্যান্টিন করা ভাল কাজ। কিন্তু তাতে ভোট না পাওয়ায় এমন মিইয়ে গেল ক্যান? ইস্যু কি কম পড়িয়াছে? শাহীনবাগ আন্দোলনের সময় দূরে সরে রইল, জাতি গণনা প্রশ্নে নির্বিকার আর মেয়েদের বিভিন্ন শ্রী প্রগ্রামকে 'ভিক্ষে' বলে অপমান! কোলকাতার দার্শনিক প্রভা খৈতান চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন কোনটা ভিক্ষে আর কোনটা নানাভাবে এমপাওয়ারমেন্টকে হেল্প করে।
    * এনিয়ে গুরুচণ্ডালি স্বাতী ভট্টাচার্যের বই বের করেছে। 
        
    তিন,
    চাট্টে শ্রমবিরোধী আইন পাশ হল; শ্রমিক কৃষকের দল কোথায়? সংসদে মেয়েদের ১/৩ সীট নিয়ে প্রস্তাব কয়েক দশক ধরে লটকে রইল, বাজার অগ্নিমূল্য -- খাদ্য আন্দোলন  কোথায়?
    মব-লিঞ্চিং এর ঘটনা বাড়ছে, আদানীরা বেঙ্গলে হাত বাড়াচ্ছে --বামেদের আন্দোলন কোথায়?
    বঙ্গে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা পরিষেবা বেহাল। আন্দোলন কোথায়? 
    আম আদমি পার্টি সরকারি স্কুল এবং হাসপাতালের উন্নত পরিষেবা, গরীবের জন্য বিদ্যুৎ  জল সরবরাহের গ্যারান্টি দিয়ে মোদীজির উজ্জ্বল ভাবমূর্তির দিনেও সুইপ করল। বামেদের নতুন চিন্তা কোথায়? 
       
    চার,
    বঙ্গে বাম দলের দ্রাবিড় দলের মত মনুবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচার-প্রয়াস কোথায়?
    ভুলে যাবেন নয়া যে বাম জমানাতেও স্কুলে মিড্ ডে মিলের শূদ্রর হাতের রান্না বয়কট করার অনেক ঘটনা ঘটেছে। আজ এনিয়ে ক্যাম্পেন কোথায়?  
    এটা বামেদের একটা প্রচার-আন্দোলনের সম্ভাব্য জায়গা। 
     
    পাঁচ,
    পাঁচ বছর চ্যানেলে  এবং কিছু বিবৃতি ছাড়া দেখা নেই। ইলেকশনের আগে জেগে উঠলে হবা? খর্চা আছে। 
    বাম দলের নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক-নারীর রিপ্রেজেন্টেশন কোথায়? কারাত-ইয়েচুরি-বিমান-সেলিম-শতরূপ  এবং আরেকজন প্রাক্তন সাংসদ (যাঁর নাকি লেনিনের জন্মদিনে---) --সবাই তো ছাত্রফ্রন্ট থেকে। এমনকি মহিলা নেত্রী বৃন্দা কারাতও  ছাত্র আন্দোলন থেকেই। 
     
    আর ফুরুফুরা শরীফের ধর্মগুরু যদি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট
    বাম নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক-নারীর রিপ্রেজেন্টেশন কোথায়? কৃষকদের সার-বীজ-সেচ-বিক্রয় মূল্য নিয়ে আন্দোলন কোথায়? কৃষক সমিতির সদস্য কত? 
    ব্রিগ্রেডে মুখ দেখিয়ে সিঙ্ঘাসন দখল?
     
    ছয়, 
    আর ফুরফুরা শরীফের  জনৈক পীরজাদা হলেন -- ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট? ঘুড়ায় হাসবো।
  • একক | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৯529856
  • এরকম চললে ছাব্বিশে তিনোদের ভোট আরও বাড়বে। 
     
    ফাঁসির আইন একটা জনমোহিনী ব্যাপার, তার প্রভাব পড়বে। তারপর কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের কাজের চাপ কমিয়ে দিলে, রাতের শিফট বন্ধ করে দিলে প্রচুর মহিলা ভোট বাড়বে। 
     
    আর,  খুবই চেষ্টা হচ্চে স্টালিনের উপদেষ্টা কমিটির কিছু নামীদামি মুখ তুলে এনে, তার সঙ্গে কিছু তিনো জুড়ে, সুরক্ষা উপদেষ্টা কমিটি জাতীয় কিচু খাড়া করার, যারা আন্দোলনের সেফটি ভালভ হিসেবে কাজ করবে। এরা যদি সাক্সেস্ফুল হয় তো শহুরে এলিট মহিলা ভোট ও তিনোতেই যাবে ছাব্বিশে। 
     
    এছাড়া বিজেপি যা লোকদেখানো নাচানাচি করচে তার প্রভাবে ভীতিজনিত মুস্লিম ভোট ত আচেই। 
     
    আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকেই একটা ভয়ংকর অসম লড়াইতে নেবেচেন যেখানে খুব ভালোভাবেই জানা, সর্বভারতীয় জোটের স্বার্থে, ন্যাশনাল পার্টি হোক বা ন্যাশনাল মিডিয়া কেও পাশে দাঁড়াবে না। এরা ততটুকুই আহা উহু করবে, যতটুকুতে জোট না দূর্বল হয়। 
     
    এর মধ্যে কোথায় সিপুএম?  উহাদের কেও খেলায় নেয় না। ইদিকে ইলেক্টোরালের পয়সাও নাই যে ট্যাহা ছড়িয়ে নজর কাড়বে। একমাত্র রাস্তা গণ আন্দোলনের ঘাড়ে চড়ে বসা। তা,  তারা পারেনি। 
  • Guru | 2409:4060:2e1a:933f:b549:a6ab:aefc:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫২529855
  • @সৈকত বাবু ,                                                       অনেক অনেক ধন্যবাদ l খুব ডিটেইলস দিয়ে বুঝিয়েছেন l 
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০২529854
  • পবতে মোটের উপর তিন-চারটে পোলারাইজেশন আছে। 
    ১। ধর্মীয়। ২। ভদ্রলোক-ছোটোলোক ( নানারকম ভাতা-টাতা ধরে) । ৩। বাঙালি জাতীয়তা (বাংলা নিজের মেয়েকে চায়, স্লোগানটা মনে রাখুন)। ৪। নারী-পুরুষ ( এটা ঠিক পোলারাইজেশন না, কিন্তু নারীদের আলাদা করে একটা আইডেন্টিটি তৈরি হয়েছে)। ৫। দুর্নীতি-তোলাবাজি (এতে করে সরকার-বিরোধী একট মেরুকরণ তৈরি হয়) 
     
    এর মধ্যে # ২ টায় বামপন্থীরা যৎসামান্য আছেন। ভদ্রলোকের একাংশের ভোট পান। বাকি কোনোকিছুই করে উঠতে পারেননি। গরীব-বড়লোকও না। বাকিটা বিজেপি-তৃণমূল ভাগ করে নেয়। #৩ টা ভীষণ আছে, গর্গ চমৎকার ভাবে সেটাকে বাড়াচ্ছে, বড় হলে ভদ্রলোক-ছোটোলোকটা উবে যেতে পারে। মমতা এটাকে কৌশলে ব্যবহার করে ধামাচাপা দিয়ে দেন। কিন্তু বাড়লে তিনিও আর পারবেননা।
     
    এই আন্দোলনটায় বামপন্থীরা ভয়ানক ইলুশনে আছেন। ভাবছেন, তাঁরা বড় শক্তি হয়ে উঠবেন। মজা হল তৃণমূলও ওই ইলুশনেই আছে, যে বামদের ভোট বাড়বে, এবং বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হবে। দুই দলেরই লোকজনের সঙ্গে অফ-দা-রেকর্ড কথাবার্তা হয় বলে জানি। মমতা বা সেলিমের সঙ্গে হয়না। আমার ধারণা, তাঁদের এই ইলুশন নেই। এই ভোটে মমতা হারুন বা জিতুন, পাবলিক তো গাম্বাট না, তারাও এই ভাগাভাগির ব্যাপারটা জানে। কেউ ভোট নষ্ট করবেননা। ফলে বামদের ভোট যা বাকি আছে, তার অর্ধেক রামে যাবে। বাম ভোট কমবেই। এইটুকুতেই অবশ্য মমতা হারবেননা। যদি হারেন, তাহলে ৪ নং টার জন্য হারবেন। অর্থাৎ মহিলা-ভোট  শিফট হয়ে গেলে হারবেন। নিশ্চিত ভাবেই। এবং সেটা বিজেপির কাছে। শিফট না হলে হারবেননা। 
     
    বামরা এই গপ্পে দাঁত ফোটাতে গেলে কোনো একটা মেরুকরণে তাদের ঢুকতে হবে। বা, নতুন মেরুকরণ তৈরি করতে হবে। কোনোটাই গত পনেরো বছরে করে উঠতে পারেননি। ইচ্ছে আছে বলেও মনে হয়না।     
  • &/ | 107.77.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৫529853
  • চতুর্মাত্রিক , বারিদবরনের  গল্প  বহু বছর আগে পড়া , সম্ভবত  খুব পুরনো কোনো  শারদীয় কিশোর - জ্ঞান  - বিজ্ঞান এ . কিন্তু গানটা  শুনে লালু কেন  রেগে যাবেন ?   শেষে  লা  লা লু  লু  আছে বলে ?   ওটা  হু  লা লা লা  হু  লু লু  লু  করে দিলেই  হবে . :)
  • Bratin Das | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:০৯529851
  • আমরা ISI এর পাঁচ বন্ধু বোলপুরে  এসেছি। দারুণ  সময় কাটছে।
  • Guru | 2409:4060:2e1a:933f:b549:a6ab:aefc:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৩৫529850
  • As a grandstrategy, রাহুল গান্ধী বিজেপি রিলিজিয়াস polarization কে কাউন্টার করতে কাস্ট polarization (কাস্ট সেনসাস) ব্যবহার করছেন কাউবেল্টে l এটা কি সফল হবে ? আপনারা কী বলেন ?
  • Guru | 2409:4060:2e1a:933f:b549:a6ab:aefc:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:২৪529849
  • আচ্ছা বিজেপি যেমন খোলাখুলি মুসলিম বিদ্ধেষ ছড়ায় প্রচারে সেরকমভাবে পব তে বিহারি ডেমোগ্রাফিক ইনভেশন নিয়ে একটা বড়ো ইলেকশন ইস্যু কেন হয়না পব তে ? মানে ধার্মিক polarization এর এগেইনস্ট এথনিক polarization কি একটা grandstrategy হবেনা ? বামপন্থী বা অন্যেরা কেন এটা করেনা ?
  • kk | 172.58.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:৪১529848
  • ব্রতীন, তুমি খোঁজ করেছো দেখলাম। আমি সারাদিন পর এই বাড়ি ঢুকলাম। তোমার তো আজ আর কাল ছুটি। জিলিপি সিঙাড়া খেলে? আর কী কী খেলে?
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:f489:68a9:f4e2:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:১৮529847
  • গচ্যা অবাঙালী এমপিদের অপসারণ দাবি করছে না? 
     
    যা ভাবতাম এ তার চেয়েও বড় ভাঁড়।
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:০০529846
  • সেদিনের পর আর লেখা হয়নি। ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:২৭ এবং ৩৪ এর উত্তর দিতে হয়।
    ঘ্যাচাং ফু গানটি জাতীয়সঙ্গীত ভালোই তো তবে কিনা লালুজী আপত্তি তুলতে পারেন।
    আর বারিদবরণের গল্পটি জানতুম না। সুন্দর কাহিনী।কার লেখা? আয়নায় আপনার যে বন্ধুনীকে দেখেন, তাঁর? 
    আরও কতো লেখা। 
    একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জানলুম। শ্রাবণ মাসে মুর্গী সস্তা হয়। দুহাতে আনারস আর তাল একই সঙ্গে ব্যালান্স করে বাইকে বসা -- ওহ ভিসুয়ালাইজ করেই কেমন লাগছে। :)
     
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৪২529845
  • ভোট কাটাকাটি না হলেই কি আর বান্নির মতো কেউ সাদা বাড়ীর মালিক হতে পারবে? এতো সহজ কি অঙ্ক! 
  • NRO | 165.124.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:৪১529844
  • আমার মনে হয় ভারতেও American-style Primary election প্রথা চালু করা হোক। তাহলে ভোট ভাগ হওয়া বন্ধ হবে। প্রথমে সবাই যে যার ইচ্ছামতো দলের হয়ে বা নির্দল হয়ে primary election এ দাঁড়াক তারপর let top two vote-getters compete in the General election. এতে ত্রিদলীয় -চতুর্দলীয় ভোট কাটাকাটি আর হবে না। 
  • একক | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:৩১529842
  • আমি একদিন বাগুইয়াটির মোড়ে দেখেসিলুম। এক হাতে আনারস আরেক হাতে তাল নিয়ে, উবার ধত্তে গিয়ে তখন এমনিতেই খ্রাপ অবোস্তা,  গরগোয়েল দেকি নেতাজী মুত্তির নুনকুর ডগায় দাঁড়িয়ে চেল্লাচ্চে : বাংলায় বাঙালী আইপিএস থাকবে!  বিনিত গোয়েলের অপসারণ চাই। 
     
    অপসারণ আমিও চাই, কিন্তু এহেন যুক্তি শুনে, আর এমনিতেও বাইক এসে গেস্লো, সে যাত্রা কেটে পল্লুম। 
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৫০529841
  • সমানে বিহারি "সানজায় রাই" — হ্যাঁ সেতো দেখছিলাম। প্রতি তিন মিনিটে একটা করে পোস্ট, একই শব্দগুলোর হরেক পারমুটেশন কম্বিনেশন। কিন্তু গত সাত দশ দিন তো দেখছি না গচ্যাকে। ফেবুতে শেষ পোস্ট তো ২৮ তারিখের।
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৩০529840
  • অ্যাঁ? বাংলা পক্ষ চুপ কে কইল? তারা তো সমানে বিহারি "সানজায় রাই" এর ফাঁসি চেয়ে আসছে। মিডিয়া ন্যারেটিভের সঙ্গে যাচ্ছেনা বলে দেখাচ্ছেনা।
     
    স্লোগান এমনি বাংলাই হচ্ছে। তবে যেখানেই দেখবেন আজাদি বলে হিন্দিতে ডাক পাড়ছে, জানবেন ওটা লেফট দের গজল্লা। আর যেখানেই শাঁখ বাজছে, সেটা হিন্দুবীরদের। পুরোট ফুলপ্রুফ না, কিন্তু মোটামুটি ভাল মেজার।মেপে একটা এস্টিমেশন করে নিতে পারেন। 
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:২৬529839
  • ক্ষমতা ধরে রাখতে শাসক বিরোধী দুইদিকই ম্যানেজ করে রাখা অনেএক পুরোনো জিনিস, ইতিহাসে কত পেছনে যেতে হবে এর শুরু পেতে জানি না। তবে নব্বইয়েই "তরমুজ" বাস্তবতা একটা উদাহরণ। ফলে সেটিং বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা তো নয়।
     
    ভোট ট্রান্সফার করা যায় না। ভোট ইয়োইও না যে পাঠিয়ে দিলাম আবার ফিরিয়ে নেব পরে। তাছাড়া সাধারণ মানুষের নির্দিষ্টভাবে কে কে আমাকে ভোট দিয়েছে এটা জানা যায় না, তাই কানে কানে গিয়ে এবার অমুককে ভোটটা দিও বলা যায় না,। একই পরিবারে একেকজন একেক পার্টিকে দেয়। বামেদের নিজেদের কর্মী সদস্য ও পরিবার নিয়েও ভোটের সংখ্যা এক শতাংশ হয়তো হবে বড়জোর। সেটাই ট্রান্সফার করতে পারে। সাধারণ ভোটার ট্রান্সফার করতে হলে একমাত্র উপায় প্রার্থী না দেওয়া, সেটা তো হয় নি। উল্টোদিকে অবাঙালি ভোট ১১ তে তৃণ পেয়েছিল অনেকটাই, এখন বিজেপি পায়। অনেক পরিবর্তন পক্ষের মানুষ বিজেপি সমর্থন করে এখন। উল্টো দিকে ১১ তে সিপিএম মুসলমান ভোটের একটা অংশ তো পেয়েই ছিল। এখন তৃণমূল পায়। ইত্যাদি। তাই সিপিএম বিজেপিকে ভোট ট্রান্সফার করেছে এটা তৃণমূল প্রচার, সেটিং ঢাকতে।
  • Ranjan Roy | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:১৭529838
  • ডিসির সঙ্গে পুরোপুরি য়েছেন
     
    ১ এই মধ্যবিত্ত শিক্ষিত নবজাগরণের আভায় আলোকিত বাঙালী  ব্রিগ্রেড এবং  বাম সমাবেশে ভীড় করেন, কিন্তু ভোটের ফলে তার প্রভাব কতটুকু?
     
    ২ বামেদের ভোট ৪০% থেকে কমে  ৬% হয়,  বিজেপির বেড়ে একটা স্থির জায়গায় দাঁড়িয়েছে। কোত্থেকে বেড়ে গেল? তিনোদের মোটামুটি স্থির।  এবার সেলিম এবং সুজন চুলচেরা বিশ্লেষণের আশ্বাস দিয়েছেন। তিন মাস হতে চলল।
     
    ৩ গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে বিজেপি বঙ্গে নির্বাচন জিততে বিশাল বিনিয়োগ করে চলেছে। অপারেশন কমল করে তিনোদের থেকে অনেক বিধায়ক এবং নেতা ছিনিয়ে নিয়েছে--এমনিই? এটাও সেটিং? 
    নাট্য আকাডেমি থেকে খেলোয়াড় ফিল্ম স্টার সব জায়গায় টোপ ফেলছে। 
    একটু কান পাতলেই শোনা যাবে বাম পরিবারেই অনেকে আজকাল বর্ডার থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। হিজাব এবং বোরখা ইদানীরং বেড়ে গেছে বলে হা-হুতাশ করছেন। 
    মুর্শিদাবাদে কারও তালিবানি আস্ফালন নিয়ে আশংকা প্রকাশ করছেন। 
       বুদ্ধিজীবি রেনেসাঁর ভগ্নদূতেরা ঠেকাতে পারবে?
     
    বিজেপিকে ঠেকাতে নতুন চিন্তা নতুন রণনীতি চাই। 'চল টুম্পা ব্রিগ্রেড যাবি' গাইলে হবে না।
     --একজন ধর্মগুরু এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করা মানুষ কী করে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট হয়ে যান এটা আজও বুঝতে পারিনি। 
  • Bratin Das | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:১৬529837
  • কেকে,আটোজ,যো দি আছো?
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:০০529836
  • ডিসি ২০:৫৬, ঠিকই শুনেছেন। কলকাতার রাস্তায় ঘুরলে বা বাড়ির ছাতে উঠলে, অন্তত কলকাতার খাস অংশে, ইতিউতি ভাগওয়া ঝান্ডা দেখতে পাওয়া খুব বিরল ঘটনা এখন নয়। এই পরিমাণ বৃদ্ধি কোনো শাসক সহায়তা ছাড়া অসম্ভব। আর আরএসএস তৃণমূল দুটোর সংগঠনই তো কমন অনেকাংশে, অনেক জায়গায়। তবে সেটা দেখবেন কি করে, আরএসএস তো ঠিক ওপেন সংগঠন নয়। আর শুধু ওদের বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে তা নয়, নিজের হাতেও ওদের কাজ করছে। তৃণমূল পার্টির ছেলেদের উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় প্রচণ্ড সংখ্যায় উত্তর ও পশ্চিম ভারতের পুজোর বাড়বাড়ন্ত, ওইসব সংস্কৃতির পালন, গনেশ থেকে হনুমান, রাম থেকে আরো কত কি। মাঝে মাঝে আমাদের পাড়ায় দেখি একটা আস্ত গরু ছোট ম্যাটাডোর গাড়িতে চড়িয়ে কারা ঘোরাচ্ছে তার টাকা পয়সা চাইছে। এইসব জীবনে দেখিনি, কারা কি করে এত বাড়লো! অন্যদিকে শ্রাবণ মাসে মুরগির মাংসের দাম আড়াইশো থেকে নেমে একশ আশি হয়েছিল এইবারে, কলকাতায় এখন শ্রাবণ মাস পালন হচ্ছে।
     
    বাইরের অনেক রাজ্যে, যেমন দক্ষিণে তেলেঙ্গানা অন্ধ্রপ্রদেশে আরএসএস অনেকদিনই শক্তিশালী। সেখানে বিজেপি পানি পায় না উত্তর ভারতের দল বলে, ওরা দক্ষিণে নিজেদের জমি ছাড়ে না। তামিলনাড়ু কেরালা আমি জানি না। অন্য অনেক রাজ্যেই মতাদর্শ নিয়ে বিরাট আপত্তি নেই, সেখানে রাজনৈতিক লড়াই বিজেপির সঙ্গে থাকতে পারে, যেমন মহারাষ্ট্রে ছিল, আরএসএসের সঙ্গে ততটা না। বিগত দশকে সেসব রাজ্যে আরএসএসের বৃদ্ধিতে বিরাট বাধা কিছু ছিল না — টাকা পয়সা এসেছে বেড়েছে। সেটা বাংলার ক্ষেত্রে আলাদা।
     
    "ম্যাচিওর করে নি" — হ্যাঁ, স্পেকুলেশন তো বটেই, direct knowledge তো নয়, তবে আমি বলবো যে 'আমার জানাবোঝা অনুযায়ী'। আরএসএস তো সাধারণ নির্বাচনী জেতা হারার জন্যে কাজ করে না, কারণ ইতিহাস জানে এই ভারত এই সংবিধান ওরা মানে নি, তো তার ভোট জেতা। এরা শাসন ক্ষমতায় যেতে বেশি আগ্রহী যদি সেটা তাদের এজেন্ডা ফুলফিলিংয়ে সহায়ক হয়। পশ্চিমবঙ্গে এখনও তৃণমূলকে সরালে বামেদের ও কংগ্রেসকে অর্ধেক জায়গা দিয়ে দিতে হবে এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষের চেতনা ও ডেমোগ্রাফি যা তাতে এই যেমন আরজিকরে যা দেখছেন সেটা আরও তাড়াতাড়ি আরও ব্যাপক আকারে হবে, ক্ষমতা হারিয়ে বাম ও/বা কংগ্রেস চলে আসবে। সেটা মানে আরএসএস বিজেপির সেট ব্যাক, যেটুকু সংগঠন এগিয়েছিল চেতনা বদলের কাজ চলেছিল সেইসব আবার পিছিয়ে যাবে। এই ধরনের আপ রাইসে পুলিশ প্রশাসন কাজ করে না, জমিতে সমর্থন দরকার হয়। জরুরী অবস্থা সাক্ষী।
     
    শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি পশ্চিমবঙ্গের চালক শক্তি ছিল, আমাদের তো আর জমিদার ছিল না স্বাধীনতার পরে, টাটা বিড়লাও না। জনসংখ্যা কোনোদিনই মারাত্মক ছিল না, লাগেও না, কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতা সামাজিক প্রভাব মন্যগণ্যতা বিরাট। আর আরএসএস এর মূল লড়াইটা তো বৌদ্ধিক, সেখানে এরাই প্রতিদ্বন্দ্বী।
     
    বাইরের রাজ্যের মানুষ সংখ্যায় নগন্য নয়। গত পনেরো বছরে আন্দাজ মোটামুটি দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের কুড়ি শতাংশ মতন বোধহয়। কোনো একটা কাগজে একটা স্ট্যাট দেখেছিলাম। তারা বাইরের হলেই বিজেপির হবে সেটা কখনই নয়, একটা শতাংশ নয়, কিন্তু এরা ঠিক অর্থনৈতিক কারণে কাজের দরকারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলে এসেছে এমন নয়। একটা সংগঠিত উদ্যোগ ছিল, তার পেছনে আরএসএস শুভাকাঙ্খীদের সাহায্য ছিল এটাই মনে হয়েছে। আর এদের ভোট বিজেপির দিকে যায় এটা ফ্যাক্ট। গোবলয়ের হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তান সেন্টিমেন্ট তাদের মধ্যে বেশি, বাংলায় আসলে আরেকটু বাড়া অস্বাভাবিক নয়, আমরাও বাইরে গিয়ে বেশি বাঙালি হয়ে যাই। কিন্তু ইন জেনারেল আমি এরকম কোনো ট্যাগিং করতে চাই না।
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২529835
  • এই সংঘ start up টার মূল লক্ষ্য ছিল বোধহয় সমস্যাজর্জরিত বাঙালি ক্ষেপে উঠলে তার রাশটা ধরার জন্য একটা ব্যবস্থা রাখা এবং ক্ষোভটাকে গাধার ইয়েতে ঢুকিয়ে দেওয়া। কিন্তু মুশকিল হল বোধহয় এই ব্যাপারে যে সাধারণ বাঙালির গড় ইন্টেলেক্ট এদের কর্মী সদস্যদের গড় ইন্টেলেক্টের অন্তত চার-পাঁচ গুণ বেশি। হতে পারে start up টাকে স্ক্র্যাপ করবে। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:bd5c:ce7:9502:***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৬529834
  • অরিত্র, বিস্তারিত লেখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার দুয়েকটা পয়েন্ট বুঝতে পেরেছি, দুয়েকটা পারিনি। একটা ব্যাপারে সহমত, যে পবতে আরেসেস এর দ্রুত বৃদ্ধি হয়েছে বোধায় লাস্ট দশ থেকে পনেরো বছরে। যদিও আমি এগুলো খুবই ইনডাইরেক্টলি জানি, দুয়েক সময়ে আত্মীয় বা বন্ধুদের সাথে যা আলোচনা করি তার থেকে এরকম মনে হয়েছে, আমি ভুল হতে পারি। তবে যদি ঠিক হই (অন্তত আমাদের ছোটবেলায় যে পবতে আরেসেসের প্রায় কোন বেসই ছিল না সেটা জানি), তাহলেও প্রশ্ন করা যায়, সেটা কি তিনোদের সহায়তায়, নাকি আরেসেস এর নিজের উদ্যোগে? কারন এই সময়টায় আরেসেস আরও বেশ কিছু রাজ্যে ইনফিলট্রেট করেছে আর নিজেদের সংগঠন বাড়িয়েছে, যেসব রাজ্যে আগে ওদের উপস্থিতি সেরকম ছিল না। 
     
    "কিন্তু এখনো ম্যাচিওর করে নি। এখন সরাসরি শাসন ক্ষমতা নিলে সামলাতে পারবে না, এখনও বিরোধীই থাকতে চাইবে আরও কিছুদিন"
     
    এখানটা একেবারেই স্পেকুলেশান মনে হচ্ছে। বিজেপি কিন্তু কোন রাজ্যেই ক্ষমতায় যেতে এতোটুকুও দ্বিধা করে না, সামান্যতম সুযোগ পেলেও ঝাঁপিয়ে পড়ে, এককভাবে না পারলে অন্য দলের সাথে জোট তৈরি করে, তারপর এমেলে কিনে সরকার বানায়। বেশ কয়েকটা রাজ্যে অপারেশন কমল হয়েছে, কোথাও সফল হয়েছে, কোথাও হয়নি, কিন্তু চেষ্টার খামতি হয় নি। কাজেই পবতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার সামান্যতম সুযোগ পেলেও যে ছেড়ে দেবে, সেটা তো মনে হচ্ছে না। আর সরাসরি শাসন ক্ষমতা নিলে সামলাতে পারবে না, এটাও বুঝতে পারলাম না। পুলিশ, সিবিআই, ইডি, মিডিয়া, রাজ্যপাল, প্রেসিডেন্ট, সমস্ত ওদের হাতে, তাহলে সামলাতে পারবে না কেন? 
     
    "আর একই সঙ্গে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি যারা নবজাগরণ জাত চেতনার প্রধান ধারক বাহক, তাদের একেবারে ভিটে মাটি ছাড়া করবে, একটা তথাকথিত শ্রমজীবী কেন্দ্রিক অর্থনীতিই শুধু চলবে যেখানে বাইরের রাজ্যের কিছু শ্রমিক বর্গের মানুষ সেই স্থান পূরণ করবে যাদের আরএসএস মতাদর্শের পথে নিয়ে যাওয়া সহজ"
     
    এখানেও বেশ কিছুটা দ্বিমত আছে। "শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি যারা নবজাগরণ জাত চেতনার প্রধান ধারক বাহক" - এরা টোটাল ভোটের কতো পার্সেন্ট? এরা কি নির্ণায়ক শক্তি? আমার তো মনে হয় পুরো পবতে যারা ভোট দেন তাদের এক অতি ক্ষুদ্র অংশ হলো এই "শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি" নামের প্রাণীটি। এরা হয়তো মিডিয়ায় অনেকটা স্পেস নিয়ে থাকে, কিন্তু এরা কি ভোটেও অতোটাই প্রভাব ফেলে? আরও কথা হলো, বাইরের রাজ্যের মানুষরাই বা পবর ভোটারদের কতো পার্সেন্ট? তারাও কি এতোটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম যে বিজেপিকে এনে ফেলবে? আর বাইরের রাজ্যের মানুষ হলেই যে তাকে "আরএসএস মতাদর্শের পথে নিয়ে যাওয়া সহজ", এরকম কেন মনে হলো? বাইরের বেশ কিছু রাজ্যে কিন্তু বিজেপি সহজে ক্ষমতায় আসতে পারছে না, এমনকি বিহারেও নীতিশ কুমারের ডিগবাজির ওপর ভরসা না করে বিজেপি নিজেদের জমি তৈরি করতে পারছে না।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত