এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.58.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ২৩:৩০526613
  • " নাহলে ঘুরিয়ে বললে আবার অন্য লোকে দুঃখ পায় "
     
    এইটা বাস্তব ঘটনা। আমি যেমন ঘুরিয়ে বললে কিছুই বুঝতে পারিনা :-)
  • r2h | 174.163.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ২৩:২৫526612
  • হুঁ। সব পড়তেই বা হবে কেন।
    আবার খেরোতেও ভালো ভলো লেখা বেরোয়। সৈকতদাই খেরোর খাতায় নিয়মিত লেখে, চমৎকার সব লেখা।
    তো, কাঁটা বাছলে গলায় ফুটবে তখন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে গিয়ে সাইলেশিয়া খেতে হবে, এ আর নতুন কী। কিছু লেখা ভালো কিছু লেখা মন্দ। আমার ইচ্ছে হলে গাল দিয়ে আসবো, ইচ্ছে হলে প্রশংসা করে ফাটিয়ে দেবো। আবার আলাদা লোকের আলাদা রুচি। যেমন লক্ষণ ভান্ডারীর কবিতা গুরুতে বহুখিল্লিত, কিন্তু আমার খুব পছন্দের - সিমপ্লিসিটি মূলত, এমনকি আমি ওঁর টইয়ে গিয়ে ওঁর মত লেখার চেষ্টাও করেছি এক সময়।

    জগন্নাথদেবের টইয়ে সমালোচক লিখেছেন, একটু বেশি অ্যাগ্রেসিভ, অনেকের পছন্দ হয়নি, কিন্তু কবিতার আঁশ ছাড়ানো আমার কাছে মনে হয় শিক্ষনীয়। তাতে প্রত্যয় ভুক্ত রেগে গিয়ে কাউন্টার করেছেন, সেসব আমার মনে ধরেনি। তাতে সমালোচক খোকা অশিক্ষিত এইসব বলেছেন - সেসবও আমার মনে হয়েছে ক্ষতিকর, আলোচনার পক্ষে। তবে আমি যেহেতু কবিদের মারপিট বিশেষজ্ঞ, তাই কবিতা নিয়ে বোতল ছোঁড়াছুড়ি আমার তেমন মন্দও লাগেনা। পরে সিএসের সংযোজন ভালো লেগেছে। এবার এ পাঠক সমালোচকের হুড়যুদ্ধ - তাতে কবি নিজে জড়িয়ে পড়লে আরেক প্রস্থ গোলমাল।

    এক সময় কাজু লিখতো - শুরুতে তাকে অনেকে আজাইরা খিল্লি করেছে (মর্মপীড় ক্ষমা করুন, আমিও বোধয়), কয়েকজন ধৈর্য ধরে বুঝিয়েছে - পরবর্তীকালে কাজু অত্যন্ত ভালো লিখেছে।

    আমার মনে হয় সত্যিকারের অবজার্ভেশন, কেন ভালো লাগলো না, কোনটা হলে আরও ভালো হতে পারতো - এমন মতামত যেকোন সিরিয়াস লেখক শিল্পী কবি ভালোভাবেই নেবেন। শুরুতে রেজিস্ট্যান্স থাকতে পারে, কিন্তু সিন্সিয়ারিটি বোঝা যায়।

    আর অত সময় না থাকলে কাটিয়ে দেওয়া ভালো পন্থা।

    তো, সব মিলিয়ে মনে বেশি যাতনা হলে যে লেখা নিয়ে সমস্যা সেখানে লিখে দেওয়া ভালো। নাহলে ঘুরিয়ে বললে আবার অন্য লোকে দুঃখ পায় - ভাবে এই রে, আমার লেখা নিয়ে বলছে না তো? আবার কম্বল নিন্দাও একটা উপায় - কিসুই হচ্ছে না, সেই আমাদের রবিঠাকুরের পর আর কবি কই - এমনও বলা যায়, তাতেই বা ঠেকায় কে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ২৩:১১526611
  • খেরোর খাতার কিছু লেখা যেমন। কাহিনির মাথামুন্ডু কিছু বোঝাই যাচ্ছে না, এমনকি শব্দ, বাক্যগুলো পর্যন্ত এলোমেলো, বানানের তো মাবাপ নেই, অথচ সেই লেখা সাপোজ্ড টু বি ধারাবাহিক উপন্যাস। এইরকম ক্ষেত্রগুলোতে খারাপ লাগা জানানোও তো বৃথা। তারচেয়ে না পড়েই স্কিপ করা একটা অপশন।
  • kk | 172.58.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ২৩:০৭526610
  • বাইশটা বাহান্নর পোস্ট [ফুটিচার সাহেব তোফা এই একটা পদ্ধতি শিখিয়েছেন :-)], আমি তো ব্যাকরণে সেইরকমই চৌকশ! হৃদিবাস শুনতে তো বেশ লাগছে। ব্যাসবাক্য দুটোই থাক না। এমনকি হৃদয়ের গন্ধ বললেই আর ক্ষতি কী? cheeky
  • kk | 172.58.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ২৩:০৩526609
  • হ্যাঁ অ্যান্ডর, আমার মনে হতো লেখার সমালোচনা অমনি হলে লেখকের নিজের মান বুঝতে সুবিধা হয়। কিন্তু দিনকাল, পরিস্থিতি সব বদলাচ্ছে। এখন আমার নিজেরও অনেক সময় মনে হয় যে সব্সময় অত বিশ্লেষণ করে বলা সম্ভবও নয়। বিশ্লেষণ করতেই হবে ভাবলে অনেক সময়ে ভালোলাগা টুকু জানানোই হয়ে ওঠেনা। উল্টো দিকে আবার এও সত্যি যে অনেকে সৎ সমালোচনা নিতেও পারেননা। কিছু বললেই খুব রাগ করেন। সেরকম হয় বলেই অনেকে খারাপ লাগা জানানোর থেকে চুপ থাকাই ভালো মনে করেন। সেক্ষেত্রে পাঠককে খুব দোষ দেওয়া যায়না। তো এক নম্বর অপশন হলো, আইডিয়াল -- ভালো ও খারাপ লাগা দুইই জানানো (ভদ্রভাবে, রুড তিক্ততা দিয়ে নয়)। তা নাহলে, দু নম্বর অ্যাক্সেপ্টেবল অপশন -- যদি অল্প কথায় ভালোলাগা জানাতে ইচ্ছে হলো তো তাই জানানো। খারাপ লাগা নিয়ে মন কষাকষি করতে ইচ্ছে হলোনা তো এড়িয়ে যাওয়া। আর তৃতীয় যেটা, ভালো না লাগলেও সামাজিক চাপে পড়ে মিথ্যে করে ভালো বলা, সেটা আমার মতে না করাই ঠিক। দিনের শেষে, নিজের কিছু তো মূল্যবোধ থাকে, মনরাখা মিথ্যে কথা বললে সেখানে বিশ্বাস ভাঙা হয়। এরকম আমার মনে হয়। আমার নিজের ক্ষেত্রে কেউ যদি মতামত দেন তো আমার নিশ্চয়ই ভালো লাগে। কিন্তু কেউ কিছু না বললেও আমার তাতে কোনো নালিশ নেই। আবার, এও আমার ব্যক্তিগত মনে হওয়া। সবার সঙ্গে না মেলাই স্বাভাবিক।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ২২:৫২526608
  • যাক সেসব কথা। কেকে, হৃদিবাস কেমন নাম গো? এর সমাসই বা কী হবে? কৃত্তিবাস যেমন কৃত্তি (বাঘছাল?) যার বাস। সেইরকম হৃদি যার বাস? নাকি হৃদয়ে যিনি বাস করেন?
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ২২:৪৫526607
  • আসলে কেকে, তোমাকে জিজ্ঞেস করছিলাম এইজন্যেই যে তুমি একবার বলেছিলে ভালো লাগলে লোকে সেটা জানায় কিন্তু খারাপ লাগলে জানায় না। এরকম হওয়া অনুচিত। সম-আলোচনা দরকার। ভালো লাগলেও আহা উফ্ফ কী কান্ড ধরণের কিছু বলে দিয়ে চলে যায়, সেটা আদৌ সেরকম কাজের কিছু না। কেন ভালো লাগল সেটা একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হয়। আর খারাপ লাগলেও কেন খারাপ লাগল সেটা একটু বিশ্লেষণ করে যদি বলা হয় তাহলে কাজের হয়। কিন্তু হয় না সেসব তেমন। এমনি কোনো বড় ধরণের রাজনৈতিক, সামাজিক বা বিজ্ঞানপ্রযুক্তি আলোচনাতে পর্যন্ত কটা পোস্ট যেতে না যেতেই ব্যক্তিগত আক্রমণে মারামারিতে গালাগালিতে পর্যবসিত হয় ব্যাপারটা, সেখানে কারুর নিজস্ব লেখা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যে কী হবে সে তো---
  • . | ১১ জুলাই ২০২৪ ১০:৩৫526606
  • email করে প্রশংসা?
    এটা টোটাল...
  • | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৯:৩০526605
  • erm... একবার দুর্মুখ বলে নাম করে ফেললে লোকে আর মেল টেল করে প্রশংসা চায় না। তবে আমিও এখন আর খারাপ লাগলেই বা তত ভাল না লাগলেও সবসময় বলি না। জাস্ট এড়িয়ে যাই। ভাল লাগলে বলে দিই। 
  • r2h | 2601:c6:d200:2600:cdd9:60b3:11f2:***:*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৮:০৮526604
  • কেকে, হ্যাঁ, সে তো বটেই, বাহবা, ভ্যালিডেশনের পারস্পরিক ইয়ে আরকি।

    এমনিতে, আমি এসবে নতুন কিছু দেখি না, আগে এসবের অন্যরকম মেকানিজম ছিল, আর বেশ খানিকটা পয়সা খরচ করতে হতো - মোসাহেব পোষা, জাঁক করে বেড়ালের বিয়ে দেওয়া। আজকাল জুকারবার্গদার হাত ধরে একটু সাম্য এসেছে, শস্তা পড়ে - এই যা।

    তবে দুঃখের কথা কী আর বলি, লোকে করবেই বা কী। এই যে আমি এত করে বলি আমি যশের কাঙালী, আমাকে একটা পুরস্কার দেওয়া হোক - তাও ফেসবুকে পদ্য পোস্ট করলে তিনটের বেশি লাইক পাই না। তো আরেকটু উদ্যমী হলে আমিও কি আর ইমেল করতাম না?
  • সুধাংশু শেখর | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৫:২৫526603
  • @&/ | 151.141.85.8 | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৩:০৯

    ঠিক-ই বলেছেন। আসলে আমি সমাজমাধ্যমে খুব বেশি যাতায়াত করি না। তবে, হ্যাঁ, এটাও ঠিক যে জনপ্রিয় জিনিষ ঠিক কেন জনপ্রিয় সেটা ভাবি। উদাহরণ "তান্ত্রিক থ্রিলার"। অভীক সরকার নামক একজনের লেখা পড়ার দুর্ভাগ্য হল সম্প্রতি। 
    হয়ত আপনি যেমন বলছেন ঐ ক্যাটেগরি। জনপ্রিয় জঞ্জাল। সানডে সাস্পেন্সেও দেখলাম ওঁর লেখা থেকে অডিও স্টোরি হয়েছে। এই থ্রিলারের আকস্মিক উত্থানের পশ্চাতে হয়তো সানডে সাস্পেন্স ও অন্যান্য "রহস্য রেডিও"-র কিছুটা ভূমিকা আছে। টেস্ট বিল্ড করতে অন্তত হেল্প করেছে। 
  • kk | 172.58.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৪:৫১526602
  • অরিনবাবুর ৪ঃ০০র পোস্টের ঐ অভিজ্ঞতাটা আমারও আছে বটে। ঐ যে লোকে ইমেল করে প্রশংসা করতে বলে। তারাই আবার বড় মুখ করে এও বলেছেন যে "ও, অমুকের লেখা? ও তো আমি না পড়েই ডিলিট করে দিই। নিয়ে বলে দিই খুব ভালো হয়েছে"। কী আর বলার!

    হুতোর পোস্টের শেষ লাইনের সাথে একমত। তবে ঐ সারস্বত সমাজে জায়গা পাওয়াটাও একরকম বাহবা পাবার প্রয়োজন থেকেই এলো না?
  • r2h | 2601:c6:d200:2600:98de:3d19:31af:***:*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৪:১৩526601
    • &/ | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৩:০৯
    • ...এসব তো পার্সেপশনের ব্যাপার কিনা! 
     
    এইটা মেকস সেন্স। যার যার পারসেপশন।
    আমি যেমন সৃষ্টিমূলক কাজের বাধ্যতামূলক প্রশংসা বা যেকোন রকম ফিডব্যাক দিতেই হবে - এরকম অবলিগেশনের ব্যাপারটা বুঝতেই পারি না।
    হতেই পারে কেউ আশা করে, কিন্তু সে আর কী করা, আমিও তো আশা করি লটারিওলারা আমাকে জ্যাকপট দেবে।

    এর আবার অন্য দিকও হয়। কারো হয়তো কোন একটা বিষয়ে আদৌ আগ্রহ নেই, কিন্তু বন্ধুলোক লেখালিখি করলে হইহই করে প্রশংসা করে দিয়ে এলো। লেখক হয়তো ইন্সিন্সিয়ার আজাইরা প্রশংসার ভিড় দেখে খচে বোম বা দুঃখে কাতর।
    কিন্তু মন্তব্যকারী হয়তো এটাকে বাধ্যতামূলক বন্ধুকৃত্য হিসেবে মনে করছেন, বা কঠিন প্রবন্ধে কমেন্ট করে সারস্বত সমাজে জায়গা করতে চাইছেন। 
  • অরিন | 2404:4404:1732:e000:edfb:878a:3abc:***:*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৪:০০526600
  • kk, এই প্রশংসা পেতে চাওয়া ব্যাপারটি সোস্যাল মিডিয়া ইত্যাদিতে একটা চরম অবস্থায় পৌঁছেচে। লোকজন রীতিমত ইমেল করে বিরক্ত করতে থাকে। তারা যে সৎ প্রতিক্রিয়া চায় তা নয়, মেকি প্রশংসার আবদার। যার জন্য হতে পারে অ্যাণ্ডরের চোখে লাগছে। মেকি প্রশংসায় ভরা লেখাগুলো এখানে প্রচুর দেখা যায়, একেকসময় হাস্যকর লাগে, যে কিছু লোকের কি সাংঘাতিঅ ভক্তের দল।
  • kk | 172.58.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৩:৪৯526599
  • অ্যান্ডর,
    একটা ব্যাপার আজকাল খুবই চোখে পড়ে, সেটা হলো মানুষের অ্যাটেনশন পাবার স্ট্রং নীড। হয়তো আগেও ছিলো, এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বেশি চোখে পড়ে। জীবনের কাছে সবাইই প্রত্যেকদিন নানাভাবে পরাজিত হচ্ছে। তার ফলে ইনসিকিউরিটি, হতাশা, আনহ্যাপিনেস, এগুলো সবার মনে জমা হতেই থাকছে। সোশ্যাল মিডিয়া তখন সবাইকে একটা জাদুজগতের প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে যেখানে লোকে নিজেকে মেলে ধরতে পারে। সেই জিনিষটা সত্যি বলতে কী আগে এমন সহজলভ্য ছিলোনা। এবার বলার জায়গা পেলে, সেখানে অন্য কারুর প্রশংসা পেলে মানুষ কিছুক্ষণের জন্য নিজের কষ্টগুলো ভুলে যায়। তারপর সেটা বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছয় যখন ঐ লোকের বাহবা পাওয়াটাও আসল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আমি কী বললাম, কতখানি ভেবেচিন্তে বললাম তার থেকেও অনেক বেশি দামী হয়ে যায় কতজন লাইক দিলো, ভালো বললো। কারণ ফাঁকা হলেও হাততালি জিনিষটা মানুষকে একটা ফল্স সেন্স অফ পাওয়ার দেয়। পাওয়ারফুল ফীল কে না করতে চায় বলো? তো, ব্যাপার হলো এটাই যে অথেন্টিসিটির তোয়াক্কা খুব কম লোককেই করতে দেখি আজকাল। লেখক হোন বা পাঠক, বা গায়ক, বা ব্লগার। আমি লোকের চোখে কেমন হলাম সেটাই আয়না বলে ভাবে দেখি এখন সবাই। কিন্তু এগুলো সেই যক্ষর দেওয়া সাত নম্বর ঘড়ার মত মনে হয় আমার। অনেক দাম দিয়ে, অনেক ভুল রাস্তায় ঠোক্কর খেয়ে আজ এটুকু রিয়ালাইজ করেছি যে অথেন্টিসিটি জিনিষটা কত দরকারি। দিন যত যাচ্ছে তত আনপপুলার হচ্ছি, একঘরে হচ্ছি। তবু অ্যান্ডর, আমি মনে করি এখন নিজের চোখ দিয়ে নিজেকে দেখতে পাই, সেটাই জীবনের একটা খুব বড় পাওয়া। কোনো কিছুর বদলেই এটা আমি আর পাল্টাতে চাইনা।
  • অরিন | 2404:4404:1732:e000:edfb:878a:3abc:***:*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৩:৪৫526598
  • Inauthentic প্রশংসা না করলেও পড়ে কী মনে হল সেটুকু ভদ্রভাবেও জানান যেতে পারে। অনেকের ভাগ্যে সেটুকুও জোটে না। সম্প্রতি একটি প্রবন্ধের সূত্রে এত তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে যে এখানে আর কোন রকমের দীর্ঘ লেখা লেখার উৎপাহ একেবারেই নেই। তিক্ত, ইচ্ছাকৃত অপমান করার থেকে (বিশেষ করে দলবেঁধে) মেকি প্রশংসা ঢের ভাল। আমার কোন লেখায় কেউ করে না, করলে মন্দ হত না।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৩:১৯526597
  • কেকে, তোমার বক্তব্যে একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম। খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের অথেন্টিসিটি। এটা লেখকের দিক থেকেও যেমন, প্রকৃত সিরিয়াস পাঠকের দিক থেকেও তেমন। লেখক নিজের অথেন্টিসিটি হারিয়ে যদি হাততালি কুড়োবার জন্য প্লাস্টিকের ফুল দিতে থাকেন, তাহলে হাততালি কুড়োচ্ছেনই বা কাদের থেকে? তাদেরও তো অথেন্টিসিটি নেই তখন। যাঁদের আছে তারা হয়ত সরে গেছেন। এ তো শেষ অবধি আমও গেল ছালাও গেল কেস হয়ে যায়।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৩:০৯526596
  • অনেক ধন্যবাদ কেকে, ডট, সুধাংশু, হুতেন্দ্র। সকলের থেকেই ভালো ভালো সাজেশন পেলাম। ঠিকই, সত্যিকারের মতামত না দিতে পারলে বানিয়ে বানিয়ে মত দেবার মানে নেই।
    @সুধাংশুবাবু, উদাহরণ দেবার কিছু নেই। চোখ কান খোলা রাখলে নিজেই হয়তো দেখতে পাবেন। কিংবা পাবেন না। এসব তো পার্সেপশনের ব্যাপার কিনা!
  • kk | 172.58.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০২:৪২526595
  • *শেয়ালের রায়ে রা <...> ইত্যাদি
  • kk | 172.58.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০২:৪০526594
  • অ্যান্ডর,
    আমি আর কী এমন লোক তোমার এই প্রশ্নের উত্তর দেবার! তবে ঠিকই, সত্যিকারের যা মনে হয়েছে তা না জানাতে পারলে কিছু না লেখাই ভালো। সবাই ভালো বলছে বলেই মিথ্যে করে, বানিয়ে বানিয়ে ভালো বলতে হবে এটা তো আমি একেবারেই করা উচিৎ বলে মনে করিনা। লেখকের স্টাইল টাইল বদলে যায়, অনেক সময় নানা কারণে হাততালি পাবার প্রয়োজনটাই বড় হয়ে ওঠে। সেটা তাঁর ব্যাপার। পাঠকের দিক থেকে সেটা ভালো না লাগা, আর সামাজিক চাপে পড়ে সব শেয়ালের রা রা না মেলাবার ইচ্ছেটা পাঠকের ব্যাপার। আমার মতে নিজের অথেন্টিসিটির সাথে কম্প্রোমাইজ না করাটা খুব জরুরী জিনিষ জীবনে। তাতে কেউ খারাপ ভাবলে ভাবুক।
  • সুধাংশু শেখর | ১১ জুলাই ২০২৪ ০২:৩৬526593
  • @একটা প্রশ্ন ছিল গুরুদের কাছে | 103.249.39.163 | ১০ জুলাই ২০২৪ ২০:১৫

    "কিন্তু আজ অবধি শুনিনি"

    - দুঃখের কথা আমি শুনেছি। তবে, নামধাম বা খবরের লিংক দিতে অক্ষম। "মানসিকভাবে বিপন্ন" একটু আলগা কথা, বিপন্নতাবোধ তো থাকেই। তবে, আমি আরও অনেক ট্রজিক মর্মন্তুদ ঘটনার কথা জানি। তবে সেটা আপনার প্রশ্নের উত্তর নয়। এই বিষয়ে অবশ্য ভাটেই বা কে কী বলবেন? মানে, তেমন এক্সপার্ট কেউ আছেন কি না কে জানে। 

    &/ | 151.141.85.8 | ১১ জুলাই ২০২৪ ০১:১০

    উদাহরণ দিন না। কেমন সে লেখা? কি বিষয়ক? কার লেখাও বলতে পারেন। তিনি কি এখানেও আছেন? আসলে, আমিও এই ব্যাপারটা জানতে আগ্রহী। 
  • . | ১১ জুলাই ২০২৪ ০২:২৫526592
  • জিতে গেল ইংলন্ড।
  • r2h | 2601:c6:d200:2600:98de:3d19:31af:***:*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০১:৫৭526591
    • &/ | ১১ জুলাই ২০২৪ ০১:১০
    • ...এই সত্যিকার অনুভূতিটা ভাগ করে নিতে পারিনা সোশামিডিতে...
     
    না পারলে করবেন না, সোজা হিসেবঃ)
  • . | ১১ জুলাই ২০২৪ ০১:৩৫526590
  • কেকেদা উত্তর দেবার আগে আমার খ্যাঁদা নাকটা গলাচ্ছি।
    ঐরকম লেখা পড়ে কোনও কমেন্ট না করলেই হলো।
    এখানেই এরকম লেখা ইদানীং পড়লাম। অনেকের প্রশংসা সেসব লেখায়। কিন্তু মন ছোঁয় না। হয়ত দোষ আমার মনেরই। বড্ড সুপারফিশিয়াল লাগে। জীবন এত জটিল, তাতে এত রকমের পরত, সেই তুলনায় ঐসব লেখা একমাত্রিক, প্রেডিক্টেবল, ভাষার জিমন্যাস্টিকপূর্ণ, ছদ্ম গভীরতাময়। পাঠককুল ওরকমই চান নিশ্চয়। আর থাকে পিঠ চুলকে দেবার ব্যাপার। থাকুক না। ক্ষতি কীসের?
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০১:১০526589
  • কেকে, আছো? আমার একটা অদ্ভুত সমস্যা হয়েছে। এই সোশামিডি যুগে নির্ঘাৎ অনেকেরই এটা হয়। ব্যাপারটা হল, লোকপ্রিয় এক লেখকের লেখাপত্র পড়ে বহু জন আহা, আউট্স্ট্যান্ডিং দারুণ নতুন ভাঁজ খুলে গেল ---এরকম সব আপ্লুত প্রতিক্রিয়া দেন। এদিকে আমার ওগুলো পড়ে প্লাস্টিকের ফুল বলে মনে হয়, যেন টেম্প্লেটে ফেলা উদ্দেশ্যবিধেয়হীন কিছু একটা। একসময়ে কিন্তু একই লেখকের জ্যান্ত লেখাপত্র পড়েছি, যেন বাগানের ফুল, যেন ফনফনিয়ে ওঠা লাউডগা, যেন ফণাতোলা সাপ, যেন উড়ন্ত তুলো। কিন্তু কিছুতেই এই সত্যিকার অনুভূতিটা ভাগ করে নিতে পারিনা সোশামিডিতে, সেখানে বললে বলতে হবে খুব ভালো লেগেছে, এক্কেবারে যেন নতুন দিগন্ত।
  • . | ১১ জুলাই ২০২৪ ০১:০৯526588
  • এই সীজনে ইংলণ্ডকে পেনাল্টিশ্রী বলা উচিৎ। আগের খেলাতেও পেনাল্টি শুটাউটে জিতল। এখনও পেনাল্টিতে গোল শোধ করল। ধুস্!
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০১:০২526587
  • ব্রতীনবাবুর ব্যাপারে উদ্বিঘ্ন রইলাম।
  • একটা প্রশ্ন ছিল গুরুদের কাছে | 103.249.***.*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ২০:১৫526586
  • মানুষের জীবনে তো অনেকরকম বিচ্ছেদই হয়। প্রিয় বন্ধুর সাথে বিচ্ছেদ, বাবা মা পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদ, সন্তানের সাথে বিচ্ছেদ, ইত্যাদি, সবরকম বিচ্ছেদই মানুষকে যন্ত্রণা দেয়, কিন্তু আজ অবধি শুনিনি, শুধুমাত্র বিচ্ছেদ হওয়ার পর কেউ তাঁর বন্ধুকে বাবা মাকে বা সন্তানকে খুন করেছে বা মানসিকভাবে বিপন্ন হয়ে গেছে। ( অন্য সম্পত্তির ইস্যু থাকলে সেটা আলাদা কথা।) কিন্তু কখনও স্ত্রী বা প্রেমিকা যদি বিচ্ছেদ দিয়ে অন্য কাউকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেয়, তখন কেউ কেউ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, মানসিক রোগগ্রস্থ বা খুন অবধি করে। এটা হয় কেন? এখানে কি একটা যৌন ঈর্ষা মিশে থাকে, যা অন্য সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রে থাকে না? এটাই কি কারণ? নাকি মেল ইগোও একটা কারণ, নাকি দুটোই?
  • kk | 172.58.***.*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ১৯:৫৮526585
  • :-((
  • . | ১০ জুলাই ২০২৪ ১৯:৫৬526584
  • না। ব্রতীন ভালো নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত