কতগুলো অরজারভেশন দেখছি এ ক'দিনে।সন্দেশখালিতে মেয়েদের শ্লীলতাহানি বলতে আদতে কী বোঝায়, সেটা ধর্ষণ হতেই হবে, নাকি রাতবিরেতে মহিলাদের জোর করে ডেকে নিয়ে যাওয়াটা সম্মানহানি নয়, তাদের মারধের করাটা সম্মানহানি নয়, তাদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো পিঠে বানানো সম্মানহানি নয়।
চমৎকার সুন্দর দামী সাদা শাড়ি পরা লীনাদেবীর সন্দেশখালি যাত্রা। টিভির স্ক্রীণ ফুঁড়ে ওঁর পারফিউমের গন্ধ যেন নাকে এসে ঠেকছিল।
তার ওপর আলোচনার পর আলোচনা চলছে কদিন এখানে। কেউ অ্যাকাডেমিশিয়ান, কেউ তা নন। কেউ কপি পেস্ট করা অধ্যাপক, প্রযুক্তিবিদ্যার কলেজে পড়ালেও নিজে কিছু লিখতে পারেন না, কেবলই কপি পেস্ট। অন্যান্য পণ্ডিতবর্গ ফুল রেফারেন্সিং সহকারে কিছু একটা প্রমান করবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু ঠিক কী প্রমান করতে চাচ্ছেন সেটা অস্পষ্ট।
এই সাইটে আগে কালীভক্ত কমিউনিস্ট দেখেছি, এথেইস্ট বৈজ্ঞানিক দেখেছি, হিন্দুবিদ্বেষী হিন্দু দেখেছি (এটা খুব পোলিচিক্যালি কারেক্ট ট্রেন্ড), দেখেছি স্বঘোষিত নকশাল (বাট মনে প্রাণে হিন্দু ধর্ম গুলে খাওয়া, পোলিটিক্যাল কারেক্টনেসের জন্য অ্যান্টি হিন্দু), চাড্ডি প্রোফেসর দেখেছি, ক্ষ্যাপা (লড়াই) মাস্টার দেখেছি, কী দেখি নি!
দেখেছি অ্যাকাডেমিশিয়ানদের নকল করা ননঅ্যাকাডেমিশিয়ানদের ( রেফারেন্সিং ছাড়া কিচ্ছু লিখতে পারেন না)।
মাইরি আমি অশিক্ষিত সাধারণ মানুষ, এঁদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারি না। কে কত বড়ো পণ্ডিত সেই নিয়ে প্রতিযোগিতা? নাকি কে কতটা কল্কে পাবেন সেই নিয়ে বেদম দৌড়?
আপনারা আদতে বোঝেন আদৌ অত্যাচারিত মানুষের দুঃখ কষ্ট? একেবারেই বোঝেন না।
শুধু প্রবন্ধ আরা থিসিস নামিয়েই যাচ্ছেন। ভেতরটা আপনাদের ফাঁকা, এম্পটি। তাই এত আওয়াজ হচ্ছে।