এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হোয়াটঅ্যাবাউটারি | 2405:8100:8000:5ca1::f6:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০০520658
  • সন্দেশখালির মাঠের অসমান বাউন্স দেখে সোজা পুলওয়ামা রওনা হলেন কম্রেড, জানালেন - "এরকম তো কতই হয়।"
  • dc | 2401:4900:232e:a656:854e:43f0:62e5:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৮520656
  • আজ সকালে সেনসেক্স পড়ার বা গ্যাপ ডাউন ওপেন হওয়ার খুব সম্ভাবনা আছে, কারন আমেরিকার সিপিআই আবার উঠেছে। মানে যা ভাবা গেছিল তার থেকে ইনফ্লেশান একটু বেশী। ডে ট্রেডাররা সকালবেলা শর্ট করে দেখতে পারেন। 
     
    ডিসক্লেমারঃ ইহা স্রেফ উপদেশ মাত্র। আমি নিজে ডে ট্রেড করিনা, শর্ট করবোনা। 
  • Arindam Basu | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:০১520655
  • যে গণতন্ত্রে শাসকদল বা শাসকশ্রেণী সাধারণ মানুষকে ভয় পায় না, বরং উলটোটা, সেখানে এই পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হবে না, রাজা/শাসক শ্রেণী আসবে যাবে, দিন বদলাবে না। এরা সব সমান।
     
    যেদিন সাধারণ মানুষ শাসককে ভয় পাওয়াতে পারবে, সিস্টেমটাকে শোধরানোর ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিতে সক্ষম হবে, সেদিন অবশ্য "বাতেলা"র প্রয়োজন‌ও হবে না, তবে সে অন্য কথা।  
  • ফেকুলার | 2405:8100:8000:5ca1::96:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:০১520654
  • সেকুলারিজম কি জানেন?
    আহ্ অবশ্যই জানেন। মুখে স্বীকার করুন বা না করুন এরাজ্যের হিন্দু নাগরিক হয়ে থাকলে মনে মনে খুব ভালো জানেন। আরো ভালোভাবে জানতে নীচের ভিডিওটা দেখুন।
    আহা না না, জাস্ট কী বলছে ওটা নয়... ওটা দেখতে বলছি না। আরেকটু গভীরে।
    কী ভাবছেন? "বেছে বেছে হিন্দু মেয়েদের তুলে নিয়ে যেত। মুসলমানদের কিন্তু নয়।" এটার কথা বলছি? নাহ্... ওটা তো নিজের জ্ঞানমতে ফ্যাক্ট বলেছে বক্তা। ওটা তো সহজেই শোনা যায়। আমি আরেকটু গভীর, সেকুলারিজমের মননকে ধরতে বলছি। একটা দ্বন্দ্ব দেখতে পাচ্ছেন?
    একটা মাইক্রোফোন, যেটা এসেছে কলকাতা থেকে, হয়তো মাইক্রোফোনধারী মনন আগমার্কা সেকুলার, ইসলামোফিলিক কোনো কলকাত্তাইয়া শিক্ষাযন্ত্রের প্রোডাক্ট। হয়তো... বাট ফ্যাক্ট হল মাইক্রোফোনটা কলকাত্তাইয়া। আর মাইক্রোফোনের উল্টোদিকে রাজ্যের সাধারণ মনন।
    তো ব্যাপারটা কিরকম দাঁড়াল?
    রাজ্যের সাধারণ মনন প্রতিনিয়ত দেখছে ক্রাইম হচ্ছে এবং তারা দেখছে সেই ক্রাইমটা হচ্ছে "বেছে বেছে হিন্দু" বলেই। অথচ তারা যখন সেটা কলকাতার কানে তুলতে যাচ্ছে, সেই কলকাতা(যে কোনো রঙের কলকাতা), যারা শাসন করে এই গোটা রাজ্যকে, তারা সাথে সাথে সরিয়ে নিচ্ছে তাদের মাইক্রোফোন। সেই সাধারণ থেকে উঠে আসা ভয়েজের মুখে সজোরে রুমাল চাপা দিতে গলাবাজি করে বলে উঠছে "না না জাতের কথা বলা যাবে না।"
    এর অর্থটা কীরকম দাঁড়াল?
    ভেবেছেন? আমি তো ভেবে ফেললাম। এর অর্থটা আমার কাছে মনে হল এইরকম, আপনি হিন্দু বলে, এক্সক্লুসিভলি হিন্দু বলেই অত্যাচারিত হতে পারেন। আপনার এগেনস্টে ক্রাইম হতেই পারে। এবং শুধু হিন্দু বলেই যদি সেটা হয়ও তবু আপনি তা বলতে পারেন না। আপনি আপনার দেখা অত্যাচারের কথা, আপনার উপর হওয়া অত্যাচারের কথা কতটুকু বলতে পারেন, কীভাবে বলতে পারেন সেটা ঠিক করে দেবে রঙবেরঙের কলকাত্তাইয়া সেকুলার শাসকপক্ষ।
    "নারীদের উপর অত্যাচারের কথা বলতে হবে।" যে নির্লজ্জ রুমালে এই বাণী লিখে অত্যাচারিত রাজ্যবাসীর মুখে ঠেসে ঢুকিয়ে দেওয়া হল, সেই নির্লজ্জদের কাছে একটা ছোট প্রশ্ন করাই যেত, ক্রাইম যদি সিলেক্টিভলি একটি নির্দিষ্ট আইডেন্টিটি দেখে তাদের এগেনস্টেই হয়, তবে "নারীদের উপর" মানেটা কী? সাধারণ জনতার বক্তব্য যেটুকু শোনা গেল তাতে তো অতি স্পষ্ট যে তারা পরিষ্কার বলছেন অত্যাচারটা অন্ততঃ ওখানে "নারীদের উপর" নয়, অত্যাচারটা এক্সক্লুসিভলি "বেছে বেছে" হিন্দু নারীদের উপর। 'নারীরা নারী হবার জন্যই অত্যাচারিত' এই ন্যাকা পলিটিকাল কারেক্ট বুজরুকি তো জনতার ঐ বক্তব্যেই নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে। বরং যে নারীরা অত্যাচারিত, যাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা অত্যাচারিত হবার মূল কারণটাই তাদের আইডেন্টিটি, বলেই তারা বোঝাতে চেয়েছেন। তাই নয়?
    এবার ঘটনা হচ্ছে কলকাত্তাইয়া মাইক্রোফোন জানে এই সবটা। ঐ সাধারণ রাজ্যবাসীটি হয়তো মনে মনে জানে, কিন্তু শাসকের মাইক্রোফোন যখন পালাচ্ছে এবং পালাতে পালাতে মুখে রুমাল চাপাও দিচ্ছে, তখন সেটাকে ধরে মুখের উপর কথাগুলো গুছিয়ে বলতে পারে না।
    শাসকপক্ষের সেকুলারির রুমাল ভরে দেওয়া হয় তাদের মুখে।
    এইটাই সেকুলারিজম।
    এই সেকুলারিজম আসিফা কান্ডে বা বিলকিস কান্ডে প্রকাশ্যে হিন্দু শেমিং করতে পারে, এমনকি বিচারালয়ের রায় ফায়ের অপেক্ষা না রেখেই হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে প্রকাশ্যে বাণী ঝাড়তে পারে। কিন্তু যখন তাদের সেকুলারিজমের মোটা টায়ারে বাইচান্স গ্রাউন্ড রিয়ালিটির পাথর ছিটকে উঠে এসে আওয়াজ করে "বেছে বেছে হিন্দু মেয়েদের.." তখন তারা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। পাথর লেগে তাদের সেকুলার গাড়ির মোবিল ট্যাঙ্ক ফুটো হয়ে গেল না তো? মোবিল ট্যাঙ্ক ফুটো হয়ে গেলে কলকাত্তাইয়া সেকুলার ইঞ্জিন স্মুদলি কি করে চলবে? ঠিকই তো।
    এই ডায়ালেক্টিক্স আমি রাজ্যের সর্বত্র দেখেছি। কলকাতার(এবং কলকাতার সুবিধাভোগী বিভিন্ন জেলাসদরের মুষ্টিমেয় আঁতেলগোষ্ঠি) নাকউঁচু খোয়াবসর্বস্ব নির্লজ্জ পরিবেশ ছাড়া এ রাজ্যের সর্বত্র এই দ্বন্দ্ব আছে। শুধু সে দ্বন্দ্বকে প্রকাশ্যে আনার মত কোনো রাজনীতি নেই। আমার পোস্ট গাদা বিজেপির ছোট, বড়, মাঝারি নেতা টেতারা পড়েন টড়েন। আমি অত্যন্ত ছোটলোক বলে আমার সাথে খাতির হয়তো নেই, তবুও তাদের বলি, আপনারা নেহাৎ অপদার্থ না হলে কলকাত্তাইয়া অচলায়তনের পাল্টা এই ভয়েজগুলোকে রাতারাতি স্পটলাইটের তলায় এনে ফেলতে পারতেন। এরা সাধারণ। এদের অসাধারণ করতে যে রাজনীতিটা দরকার হয় সেটা করতে পারলে রাজ্যের রিয়ালিটি এমন হত না। "বেছে বেছে সেকুলারিজম" এক্সপোজড হয়ে যেত অনেক আগেই।
    আমি যদি রাজনীতি করতাম, তবে এদেরকেই খুঁজে এনে মঞ্চে তুলতাম। বিজ্ঞবিচি নেতাদের বালবাজারির থেকে গ্রাউন্ড রিয়ালিটির আবেদন সবসময়েই বেশী। বিজ্ঞবিচিরা বাস্তিলও ভাঙেনি, বাবরিও নয়। হানাদারীর চিহ্ন মুছতে, হানাদারের মুখের উপর মিথ্যার তত্ত্বসৌধকে আঘাত করতে পারে ওই সাধারণ "হ্যাভ নটস"রাই। বিজ্ঞবিচিদের মত তারা প্রিভিলেজড নয় তো। পলিটিক্যাল কারেক্টনেস তারা জানেও না, মানেও না। সত্য জিনিসটা তাদের কাছে দৈনন্দিন। রাংতার মোড়ক নয়।
    অন্ততঃ আমার কিন্তু এইরকমই মনে হয়। আপনার আলাদা মনে হতেই পারে। এই সোশ্যাল মিডিয়া খামারটায় মূলতঃ প্রিভিলেজড ক্লাসই নড়েচড়ে বেড়ায় কিনা! আমিও তাই। তবে লুম্পেন টাইপের বলে ভদ্দরলোকেদের সাথে এক পংক্তিতে বসতে কুন্ঠাবোধ করি।
  • পলিটিশিয়ান | 2607:fb91:357:1539:ac39:8391:67c1:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫১520653
  • কাজ হয়নাটা আপনার মতামত। সেটাতেও কাজ হবেনা।
  • শান্তনু | 2401:4900:1c84:7eba:eda1:e4b1:b57d:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:০৫520652
  • বাতেলা বা মতামত, দুটোই দেওয়া হয়, কোনোটাতেই কাজ হয় না।
  • যোষিতা | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:৩৫520651
  • গত দুদিনে বিশাল থিসিস নেমে গেছে সন্দেশখালির ওপর। একটাও পড়ি নি যদিও ডিটেলে। 
    আমার মতামত জানাচ্ছি। গত ইলেকশনে যেসব কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনোরা জিতেছিল, ঐসব পকেটে সন্দেশখালি স্টাইলে স্বৈরতন্ত্র চলছে কিনা দেখা দরকার।
    দুই, পার্টির রং না দেখে মানুষের ওপর অত্যাচার কেমন করে বন্ধ করা যায়, সেটা দেখা জরুরি। অনেক বই, অনেক থিয়োরি, অনেক ফিলসফি মানুষ দেখেছে। বাতেলায় কাজ হয় না। 
    তিনোরা হারবে ঠিকঠাক ভোট হলে, অন্যরা প্রার্থী দিতে পারলে। তিনোদের হঠানোর টাইম আগতপ্রায়।
  • অরিন | 119.224.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:৪০520650
  • অরণ্য, "personal is political - যেমন বললেন", এ কথাটা আজকাল প্রাচীন প্রবাদে পরিণত হয়েছে বটে, তবে ১৯৬৯ সালে যখন ক্যারল হ্যানিশ লিখেছিলেন (কথাটা সম্ভবত ওনারই), তখনও যা ছিল, আজও সমাজের পরিস্থিতির যে বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে তা নয়, বরং আরো বিগড়ছে | লেখাটা উল্লেখযোগ্য, পড়ে দেখতে পারেন (পড়েছেনও হয়ত),
    এই জায়গাটা সবিশেষ প্রণিধানযোগ্য,
    "Can you imagine what would happen if women, blacks, and workers (my definition of worker is anyone who has to work for a living as opposed to those who don’t. All women are workers) would-stop blaming ourselves for our sad situations? It seems to me the whole country needs that kind of political therapy. That is what the black movement is doing in its own way. We shall do it in ours. We are only starting to stop blaming ourselves. We also feel like we are thinking for ourselves for the first time in our lives."
  • বকলম -এ অরিত্র | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:০৩520649
  • এবি যা বলেছেন তার সঙ্গে দ্বিমত হওয়ার জায়গা নেই। ভারতের কৃষক আন্দোলন কিন্তু সামাজিক সংবদ্ধতার জন্যেই সংগঠিত হতে পেরেছিলো, এখনো পারছে। বস্তুত ভারতে তারাই করে খাচ্ছে, টিকে আছে যারা সঙ্গবদ্ধ। ইরানের এখনকার সমাজ সম্পর্কে সামান্যই জানি, আমি ওই কিয়ারোস্তামির "and life goes on/life and nothing more" দেখেছি, অসাধারণ অসাধারণ সিনেমা, তবে সেই সমাজ নিশ্চয় এখন নেই।
  • বকলম -এ অরিত্র | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:০৩520648
  • আর.সি. প্রশ্ন রেখেছিলেন "চিকিৎসা হবে কিভাবে"...।

    চিকিৎসার অভিমুখ ধরে নিচ্ছি সমষ্টি/সমাজবদ্ধতার দিকে এগোনো যেখানে এলাকার সমস্যা ভালো মন্দ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা যায় এবং জোটবদ্ধভাবে সমস্যার সম্মুখীন হওয়া যায়, সমাধান করা যায়। এবারে এই ব্যাপারে এলাকায় প্রতিবেশী বাড়িতে গিয়ে কথা বলতে গেলে খুব বিরল ঘটনা ছাড়া বিড়ম্বনার শিকার হবেন। অনেকে হয়তো উদ্যোগের মৌখিক প্রশংসা করবে কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সঙ্গে আসবেন না। যিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি নিরাশ হয়ে ক্ষান্ত দেবেন।

    তাই প্রাথমিক কর্তব্য, এলাকায় মেলামেশা। কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, জাস্ট মেলামেশার অভ্যেস ফেরানো। হয়তো কিছু দৈনন্দিন ব্যাপার যেমন সকালে হাঁটাচলা, বা সাইক্লিং, শরীর স্বাস্থ্যের চর্চা। কেউ উৎসাহ পেলে তাকেও সঙ্গে যাওয়ার আওহ্বান জানানো। ব্যাডমিন্টন। অথবা হয়তো নেহাতই গাছপালা বাগানের নেশা, সেটা ভাগ করে নেওয়া। সাহায্য করা। উৎসাহ থাকলে কোনো সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আসর, গল্প পড়ার, গানের আসর ইত্যাদি শুরু করা। কোনো উদেশ্য নিয়ে নয়, কাউকে টার্গেট করে নয়। আস্তে আস্তে এমনিই এলাকার সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে কথা বার্তা হয় এবং তখন একসঙ্গে কিছু কাজ করার উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ আসবে, "সোশ্যাল গ্লু" ফিরে আসবে। তার উৎযাপন করতে আয়োজন করা যেতে পারে রবীন্দ্রজয়ন্তী বা বাচ্চাদের জন্য বসে আঁকো ইত্যাদি। এরপর পথই রাস্তা খুঁজে দেবে।

    যাই হোক, এলাকায় স্বাভাবিক মেলামেশার অভ্যেস ফেরানোর পাশাপাশি, বিভিন্ন এলাকার যারা এইরকম উদ্যোগ শুরু করছেন প্রথমে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে পারেন প্রথমদিকে, নেহাত অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্যে। বড় কাজের ক্ষেত্রে পরবর্তী ক্ষেত্রে সময় অসময় একত্রিত হতেও এটা কাজে দেবে।

    আমি আসলে ইন্ডিভিজুয়ালিজম থেকে কিছুটা হলেও সরে আসার কথা বলছি। এতে ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর কোপ কিছুটা পড়বেই। সমষ্টির সুবিধে নিতে চাইলে তাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আনুষ্ঠানিক সংগঠন সমিতি করে যেটা হয় সেটা ইন্ডিভিজুয়ালিজমকে বহাল রেখেই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা, একটা শর্টকাট, যেখানে লাঠি না ভেঙেই সাপ মারা যাবে। সেটা হবে না, এটা একটা ট্রেড অফ, বা অনেকে বলবেন দ্বন্দ্ব। কারণ এই সর্বোচ্চ ব্যক্তিস্বাধীনতার ইন্ডিভিজুয়ালিজম-এর একটা মূল্য চোকাতে হয়, সেটা বিচ্ছিন্নতা এবং সামাজিক রাজনৈতিক শক্তিহীনতার মধ্যে দিয়ে। তাদের ব্যবস্থার/সিস্টেমের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়, কোনো এলাকার অবস্থা পরিবর্তনের থেকে যেখানে অবস্থা ভালো সেখানে স্থানান্তরিত হতে হয়। 
  • ওদিকে | 45.138.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:৫৫520647
  • সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় পথে নামল সিপিএম। পাশাপাশি, তাদের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনে সংহতি জানাতেও এই পদক্ষেপ। এই কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন জেলায়। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবাদীরা। পাল্টা পুলিশকে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে। কোথাও কোথাও বামেদের সঙ্গে রয়েছে কংগ্রেস।

    মেদিনীপুরে ‘আইন অমান্য’ কর্মসূচি চলছে বামেদের। বারুইপুরে এই কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির অভিযোগ উঠেছে। বাম বিক্ষোভে উত্তাল বহরমপুরও। টেক্সটাইল মোড়ে জ্বালানো হয়েছে টায়ার। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন প্রতিবাদীরা। আসানসোলে বাম এবং কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন যৌথ ভাবে পথে নেমে প্রতিবাদ করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। প্রতিবাদের আঁচ পড়েছে বাঁকুড়াতেও। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরেও ধুন্ধুমার কাণ্ড। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
     
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:৫০520646
  • অরাজনৈতিক বলতে মার্কেটে এভেলবল রাজনৈতিক দলকে এভয়েড করার কথাই বলেছি। হ্যাঁ, একভাবে দেখতে গেলে এটাও একটা রাজনীতি। 
  • Arindam Basu | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:৪২520645
  • "তাহলে একই জিনিস আবার রিপিট করে কি লাভ? কেন কাজ করলো না সেটা ভেবে দেখতে হবে"
     
    সোস্যাল মিডিয়ার এবং তাৎক্ষণিকতার চাপে পড়ে অধিকাংশ মানুষের গভীর ভাবে কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা করার বা অন্যের প্রতি সমমর্মিতার বোধ ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। যার জন্য চেতনার এবং সামগ্রিক শুভবোধের রাজনীতির জায়গাটা দখল করছে আবেগের রাজনীতি, বা "আগে আমি, তারপর দেখা যাবে" বোধের রাজনীতি,যাকে অনেকটা libertarianism এর মোড়কে চালানোর একটা চাল থাকে। ভারতের বা আমেরিকার মত বড় দেশগুলোতে এই ধরণের আবেগের রাজনীতি কেন্দ্রিক জীবন। সামাজিক প্রভাব এবং টাকার প্রতিপত্তি এক ধরণের ভিস্যুয়াল আবেগ, এবং যত দেশে সেলিব্রিটি সংস্কৃতির রমরমা বাড়বে ততই তথাকথিত নাগরিক পরিসরের প্রভাব কমবে। 
    এই পরিস্থিতিতে নাগরিক সমাজ মানুষকে জোটবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করবে, সে আশা দূরস্থান। 
    ভারতের কৃষকদের আন্দোলন এবং ইরানের নারীদের আন্দোলন থেকে কিছুটা শেখা যেতে পারে হয়ত, কিন্তু বাঙালী মধ্যবিত্ত সবজান্তা তো, বাক‌বাগীশ, কাজ করে দেখানোর হিম্মত নেই। 
  • বকলম -এ অরিত্র | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:৪৩520644
  • আমি একটা কনফিউশন ঠিক করে নিচ্ছি, প্রথমে আর.সি. যখন নাগরিক সংগঠন বলেছেন তখন আমি সাধারণ অর্থে অর্থাৎ সমাজের মধ্যে মানুষদের সংগঠিত হওয়ার কথা হিসেবে ধরেছিলাম, কিন্তু নির্দিষ্ট সভা/সমিতি/সংগঠন হিসেবে ধরিনি যা পরে অরণ্য ও অন্যরা বলেছেন। সেগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে আমার ততটা আস্থা নেই।
     
    অরণ্য, হ্যাঁ কিছু কাজ তো নিশ্চয় হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় স্থায়ী সামগ্রিক সমাধান হবে না। আমি চাইছি তেমন কোনো পরিবর্তনের খোঁজ করতে।

    :-O অবাক হয়ে যা বলেছেন, আমি তার সঙ্গে একমত, লিখতে গিয়েও লিখিনি। যা হয়েছে খুবই খারাপ, কিন্তু তাকে কেউ অনিয়মিত কোনো নির্যাতন বলে মনে করার বা করানোর চেষ্টা করলে তা ভুল হবে। একশো দিনের কাজ নিয়ে যা বলছেন, মিড্ ডে মিলের কর্মীদেরও ব্যাপারেও একই রকম শুনেছি। কাজ পাওয়া ও বহাল রাখার জন্যে জন্যে নেতা-দাদাদের ওপর নির্ভর করতে হয় এবং এই quid pro quo ব্যবস্থা চালু থাকে।
  • :-O | 198.16.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:২১520643
  • খুবই অবাক লাগছে যে আপনারা একেবারেই জানতেন না - তৃণমূলপোষিত রাজ্যের  নানা ক্লাব ও  পার্র্টিঅফিসেই নানা  রাতে মেয়েদের ডাক পড়ে। মূলত দরিদ্র অনাথ ঠিকে কাজের লোক ১০০  দিনের কাজের মেয়েরা ইত্যাদি নানা অসহায়  প্রোফাইলের।
    সম্ভবত অলকানন্দার পুত্রকন্যা  নাটকে এক অবিবাহিতের  প্রেগনেন্ট হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এই ক্লাবে  পাঠিয়ে দেওয়ার ডিমান্ড দেখানো হয়েছিল হ্যাঁ আগের সরকারের আমলেই। উর্র্মিমালা বসু আর চন্দন সেনকে মনে পড়ছে।    গুন্ডাবাহিনী তাদের পোষা ভোট করানো কিছুই পাল্টায়নি  যখন বরং আরও বেশি অকপট হয়েছে যেহেতু। 
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:dcd:d188:3147:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১৩520642
  • অরিন, রাজনীতি তো থাকবেই, জীবন থাকলে রাজনীতিও থাকবে। personal is political - যেমন বললেন 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:dcd:d188:3147:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১১520641
  • জানি না, অরিত্র। কিসে কাজ হয়। বগটুই হত্যাকান্ড নিয়ে জয় কিছু কবিতা লিখলেন, আমরা 'দগ্ধ' বার করলাম, তাতে কি কিছু কাজ হল? 
    হল হয়ত, খুবই সামান্য কিছু 
  • Arindam Basu | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১০520640
  • অরণ্যের "দলীয় রাজনীতির বাইরে নাগরিক সংগঠন" বক্তব্যটি খুব ইন্টারেস্টিং। হয়ত নির্দিষ্ট দলের বা গোষ্ঠীর বাইরে সংগঠন করার কথা বলছেন, সে যাই হোক, তাকে "রাজনীতির" বাইরে রাখা যাবে না। 
  • বকলম -এ অরিত্র | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪৫520639
  • নাগরিক সংগঠন।

    কিন্তু অরণ্য, এইসব তো অনেক হয়েছে, নতুন তো কিছু নয়। কাজ হয়নি, হলে এই জায়গায় এসে পড়তাম না। তাহলে একই জিনিস আবার রিপিট করে কি লাভ? কেন কাজ করলো না সেটা ভেবে দেখতে হবে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:dcd:d188:3147:***:*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩১520638
  • দলীয় রাজনীতির বাইরে নাগরিক সংগঠন খুবই সম্ভব। যেমন ইমানুল একটা সংগঠনের কথা লেখেন - ভাষা ও  চেতনা সমিতি 
  • Arindam Basu | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:২৭520637
  • দ, "অরাজনৈতিক বলে কিস্যুই হয় না। " 
    খুব সত্যি কথা!
    "The personal is political", :-)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:dcd:d188:3147:***:*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:২৬520636
  • অরাজনৈতিক বলতে আমি দলীয় রাজনীতি (দল = ভোটে অংশ গ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ) - র কথা বলছি। 
    তা বাদে, সবই তো রাজনীতি, অরিত্র যেমন লিখলে 
  • বকলম -এ অরিত্র | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৭520635
  • সংগঠনের বদলে 'সমাজ' জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে, যদিও তার ধারণা ধারণ কাঠামো নিজেদের ইচ্ছেমতন করা যেতে পারে, কথা থেকে টোকার দরকার নেই। বা ক্লাব, যদি আলগা ভাবে রাখতে হয়। সংগঠন নয়, তার একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। আর আরেকটা জিনিস যেটা অপ্রয়োজনীয় সেটা হলো নাম ও সদস্যতা। এটা একটা জীবনযাপন ধরণ, মেলামেশা একটা অভ্যেস, এর জন্য আনুষ্ঠানিক সংগঠন বা নাম এসব লাগে না। এখানে লক্ষ্য সমষ্টি হিসেবে বাঁচা, সবকিছুতে। এবং সেখানে রাজনীতি থাকবেই, সবই তো রাজনীতি (পার্টি রাজনীতি নয়)। গুরুচন্ডালি একটা ক্লাব হতে পারে, কিন্তু সেটা অঞ্চল ভিত্তিক হতে হবে। নাহলে ইন্টারনেটের ক্লাব শুধু ইন্টারনেটেই সমাজ বদলাবে।
  • | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:১০520634
  • অরাজনৈতিক বলে কিস্যুই হয় না।  (আসলে লিখতে চেয়েছিলাম :অরাজনৈতিক' এক বিশুদ্ধ ন্যাকামি, কিন্তু একটু নরম করে লিখলাম) বাজারে অ্যাভেইলেবল রাজনৈতিক দলের কারো  অনুসারী না হওয়া মানে সেটা অরাজনৈতিক নয়। সেটাও রাজনীতি। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:dcd:d188:3147:***:*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৫০520633
  • গুরুচন্ডালি কেই তো একটা অরাজনৈতিক নাগরিক সংগঠন বলা যেতে পারে :-)
    নন্দীগ্রাম পর্বে কলকাতা অরাজনৈতিক নাগরিক মিছিল দেখেছিল । সন্দেশখালির অত্যাচারের প্রতিবাদে তেমন কোন প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে? 
  • Rouhin Banerjee | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৪৪520632
  • @ramit "অরাজনৈতিক নাগরিক সংগঠন" বলে কিছু হওয়া আদৌ সম্ভব? অরাজনৈতিক সংগঠন সোনার পাথরবাটি নয়?
  • বকলম -এ অরিত্র | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৪১520631
  • আর.সি.,
    হ্যাঁ এই কথাই বলছিলাম। আপনি প্রথম ধাপ বলেছেন। পরের ধাপে, রাজনীতিতেও অংশগ্রহণ করতে হবে। আমাদের মধ্যে থেকেই কাউন্সিলার হতে হবে, না হওয়ার তো কিছু নেই। ভয় পেতে পেতে রাস্তা ছেড়ে ঘরে ঢুকে গেছি, এখন তারা আমাদের ঘরে ঢুকে আসছে। আমরা রাজনীতির পরিসরটি পুরোটাই ছেড়ে দিয়ে বসে আছি, তাই সেই জায়গা সমাজবিরোধীদের হাতে গেছে। তাদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গেছে, যেটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করিনি। আমরা আশা করেছি ক্ষমতায় এলে তারা আমাদের ইচ্ছে পছন্দ মতন রাজ্য/দেশ চালাবেন। কেন করবেন? কষ্ট করে রিস্ক নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন কি আমাদের হয়ে কাজ করার জন্য! রাজনীতি করেছেন, নিজেদের স্বার্থে করেছেন, ক্ষমতা পেয়েছেন এখন নিজেদের যা প্রাণে চায় তাই তো করবেন।

    তবে উল্টোদিকে আজকের সময়ে বিশেষ করে শিক্ষিত অংশের জন্য এই সামাজিক মেলামেশার একটা অন্তরায় হলো আজকের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, যেখানে আমাদের জীবিকার/পেশার চাহিদায় কোথাও আমরা স্থায়ীভাবে বসবাস করার পরিকল্পনা করতে পারি না, সবাই ক্ষণস্থায়ী। সেখানে সমষ্টিবোধ আসার কোনো বাস্তব জমি নেই। সেটা সমস্যা।
  • π | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৩৩520630
  • প্রসূন আচার্য লিখেছেন দেখলাম। অনেকাংশেই একমত।
     
    মাথা হেঁট করে দেওয়া সন্দেশখালি প্রভাব ফেলবে লোকসভা ভোটেও।

    --- প্রসূন আচার্য 

    সন্দেশখালির ঘটনা বাংলার লজ্জা। বাঙালির লজ্জা। 

    সন্দেশখালি কোনও মাওবাদী মুক্তাঞ্চল নয়। যেখানে পুলিশ প্রশাসন যেতে পারে না। মূলত তফসিলি, আদিবাসী এবং সংখ্যালঘুদের বাস এই সুন্দরবন সংলগ্ন  এলাকায় গত দেড় মাস ধরে যা হচ্ছে, এবং স্থানীয় মানুষ বিশেষ করে মহিলারা প্রকাশ্যে দীর্ঘ দিনের অত্যাচারের যে ধরনের অভিযোগ করছেন, তাতে সত্যি লজ্জা লাগে, আমরা কোন রাজ্য, কোন সমাজে বাস করছি! পুলিশ প্রশাসন এত দিন ধরে কী করত? 

    এক শিশুর ভিডিও দেখলাম। কী ভাবে ধানের জমিতে জোর করে জল ঢুকিয়ে, ধান কাটতে না দিয়েই মাছের চাষ করেছে শাজাহান বাহিনী, তারই বিবরণ দিচ্ছে সেই ছয় সাত বছরের শিশু!

    লুম্পেন ক্রিমিনাল শাজাহান বাহিনী নির্বাচিত তৃণমূলের জন প্রতিনিধির সিলমোহর নিয়ে দিনের পর দিন যে ধরনের অত্যাচার চালিয়েছে, তার শাকরেদ উত্তম সর্দার  শিবু হাজরারা যে অন্ধকারের রাজত্ব কায়েম করেছে, তার কোনও খবর কালীঘাট, ক্যামাক স্ট্রিটের শান্তিনিকেতন  বিল্ডিং বা নবান্নের কাছে ছিল না, এটা হতে পারে না। 

    কিন্তু একদিকে বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের মত দাপটের সঙ্গে কোটি কোটি টাকা অবৈধ রোজগার, পার্টি নেতৃত্বের একাংশকে সেই টাকার ভাগ দেওয়া, অন্য দিকে রাজনৈতিক পেশী শক্তির জোরে ভোট নিয়ন্ত্রণ, এই দুই কারণেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এবং তৃণমূল নেতৃত্ব চোখ বন্ধ করে ছিল। হ্যাঁ, বড় বড় কথা বলা ডায়মন্ড ভাইপো অব্দি!

    বিক্ষোভরত মহিলারা বলছেন, তাঁদের রাতে ডাক আসত। ভোর বেলায় ফিরতে হতো। দেখলাম, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গাঙ্গুলি (যিনি মূলত সিনেমা সিরিয়ালের স্ক্রুপট লিখিয়ে এবং এই যোগ্যতায় তিনি ওই পদে আছেন)  বলেছেন, "ধর্ষণ এর কোনও অভিযোগ পাইনি। রাতে নিয়ে গিয়ে মহিলাদের দিয়ে কাজ করানো হতো!"

    How strange! আরে দূর্যোধনও তো দ্রৌপদীকে ধর্ষণ করেনি!  শুধু বস্ত্র হরণ করেছিল মাত্র। আপনার মন্তব্য এটাই প্রমাণ করে আপনি নারী নির্যাতনকে এত ভালো ক্লাসিফিকেশন করেন বলেই  বলেই এই পদে বসেছেন! ধন্য আপনার মহিলার কমিশন। 

    ভাবতে আরও লজ্জা লাগে এই কারণে যে, একদা অগ্নিকন্যা মমতা ব্যানার্জি শুধু এই অভাগা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন, দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী! কিন্তু এখনও অব্দি সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মমতাকে এমন কোনো কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখিনি বা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখিনি, যেটা রাজধর্ম পালনের প্রাথমিক শর্ত।

    আর ফেরার ক্রিমিনাল শাজাহান? তাকে যে ইচ্ছে করলেই ধরা যায়, নিয়মিত আদালতে তার আইনজীবীর পেশ করা বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার। এখন তার নতুন আবদার, তাকে গ্রেফতার করা না হলে সে আদালতে হাজিরা দেবে ! ভাবুন একবার! তৃণমূল নেতৃত্ব বা রাজ্য পুলিশ জানে না, শাজাহান কোথায় আছে এটা হতে পারে না।

    সরকার যে সাধারণ মানুষ থেকে আরম্ভ করে সাংবাদিক বা সংবাদ মাধ্যম কারও অভিযোগকেই পাত্তা দেয় না, এতটাই দম্ভ আর অহংকারের চূড়ায় বসে আছে, তার প্রমাণ এক সন্দেশখালিতে ED রেইডের দিন সাংবাদিক নিগ্রহের ব্যাপারে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভার পরে দোষীদের শাস্তি সহ একাধিক দাবিতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রক ( CMO ) , রাজ্যের চিফ সেক্রেটারি এবং ডিজিকে। কিন্তু সেই চিঠির প্রাপ্তি টুকু এক মাসের মধ্যে স্বীকার করা হল না। সাংবাদিক নিগ্রহের ব্যাপারে দোষীদের শাস্তি তো অনেক দূরের কথা!

    একটা কথা ক্ষমতাসীন হলেই সবাই ভুলে যান। "চির দিন কাহারো সমান নাহি যায়।" এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। আজ মমতা যদি বিরোধী নেত্রী হতেন,  সন্দেশখালিতে মা বোনদের অপমানের বিরুদ্ধে, নারীর সন্মান ভূলুণ্ঠিত হওয়ার অভিযোগে, রাজ্যে আগুন জ্বলতো, বাংলা বনধ হত। কোনোটাই হয়নি।

    তার কারণ, বিজেপি এই সুযোগে ভোট ভাগের লক্ষে হিন্দু মুসলিম বিভাজনের কার্ড খেলছে। তাদের একটাই কথা, শাজাহান বাহিনী আদিবাসী  মহিলাদের নির্যাতন করত। অর্থাৎ মুসলিমদের হাতে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা। আর সিপিএম পথে নেমে প্রতিবাদ জানালেও তারা আজ বড়ই দুর্বল। এবং ৩৪ বছরের শাসনে তাদের বিরুদ্ধে এত রকমের অভিযোগ এখনও মানুষের মনের মধ্যে ভেসে ওঠে যে তাদের পক্ষে জনমত গঠন বা জোরদার রাজনৈতিক লড়াই করা খুবই কঠিন। 

    তবু ভীত প্রশাসন দৃষ্টি ঘোরাতে ১০০ কিমি দূরে বাঁশদ্রনী থেকে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করেছে! সবাই বুঝতে পারছে , আন্দোলনরত মহিলাদের মুখ বন্ধ করতে, তাদের ভয় দেখাতেই প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। বিনাশ কলে বিপরীত বুদ্ধির মতই এই ঘটনা।

    সব শেষে একটা কথাই বলবো। মানুষ ভোট দেয় পারসেপশান অনুযায়ী। সিঙ্গুরে টাটাদের গাড়ি কারখানা হলে ভালো হতো কিনা, শিল্প এলে কর্মসংস্থান কতটা হতো , সেই বিতর্কে না গিয়ে মানুষের মধ্যে পারসেপশান বা ধারণা গড়ে উঠেছিল, সিপিএম জোর করে কৃষকদের জমি নিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে মুসলিমদের। নন্দীগ্রামের পরে সেই ধারণা আরও জোরদার হয়। ফল কী সবাই জানেন।

    সন্দেশখালির  ঘটনা সাধারণ গরীব মধ্যবিত্ত মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদের মনে একটাই ধারণার জন্ম দিল, শাজাহান বাহিনীর মত গ্রামের তৃণমূল নেতাদের হাতে মহিলাদের লাঞ্ছনা আর কালীঘাটকে কাঁদায় না। বরং প্রকারান্তরে নানা চক্রান্তের তত্ত্ব উপস্থাপনা করে এই শাজাহান বাহিনীর পাশেই দাঁড়ায় কালীঘাট। 

    লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ২০০ টাকা বাড়িয়ে বা  দ্বিগুণ করে এই পারসেপশন বা ধারণার মোকাবিলা করা যাবে তো ? 

    তৃণমূল নেতৃত্ব এই কথাটা ভালো করে ভাবুন। 

    লোকসভার ভোট আর তিন সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা হবে। 

    সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের ফায়দা যেমন মমতা পেয়েছিলেন, তেমনি সন্দেশখালির ফায়দা বিজেপি পাবে না তো ?

    C@ প্রসূন আচার্য
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:8e51:e06e:2bab:***:*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:১২520629
  • মানসিংহ আওরঙ্গজেবের সেনাপতি ছিল!! নাঃ, ডিসি বাবুই ঠিক। চাড্ডিদের ইতিহাস খুব অকথ্য জায়গায় থাকে।
     
    আকবর মানসিংহ বললেও, অভিষেকের সেনাপতি শাজাহান। ধর্মের অ্যাঙ্গলটা খাটছে না স্যার। আইটি সেল অলস হয়ে যাচ্ছে। অমিত শা এবারে পয়সা কাটবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত