চতুর্ভুজ,আপনার ওই পোস্টটি হঠাৎ চোখে পড়ল।
আপনি জানতে চেয়েছেনঃ
- ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ০১:৪৪-এ চতুর্ভুজকে লেখা অংশটির ভিত্তি কী সেটা জানতে মঞ্চায়। অতো জনের লেখা পড়ে সত্যিই আপনি নিজে "কনফার্ম" করেছিলেন নাকি গাঁজাগোপাল জাতীয় কারও কনফার্মেশনে বিশ্বাস করেছিলেন?
আমার বক্তব্যঃ
আমি বিনোদিনীর স্মৃতিচারণ ছাড়া বাকি গুলো নিজে পড়েছি। কথামৃত তো বিশেষ প্রিয়, ভাল লাগে বলে এবং একটি সময়কে চমৎকার ধরে রাখা হয়েছে বলে। এখন সেদিন দিল্লির একটি ছেলে (ভক্ত মানুষ) আমাকে লিখল এই ব্যাপারে কিছু জানি কিনা। ও সবগুলোই পড়েছে, কিন্তু বিনোদিনীর লেখায় পায় নি। কিন্তু স্বামী অভেদানন্দ এবং কথামৃতে তো শুধু সাক্ষাতকারের উল্লেখ আছে, বিনোদিনী কথিত বর্ণনাটি নেই। আমি অন্য কোন সোর্স জানি কিনা। তখন আপনাকে লিখলাম। আপনার পাঠানো লিংকে ইংরেজি ভার্সন পড়ে দেখলাম ঠিকই আছে। ছেলেটিকে রিকোয়েস্ট করতে ও মূল বাংলা পিডিএফ পাঠালো। সেটাও মিলিয়ে দেখলাম। একেবারে খাপে খাপ।
কিন্তু ছেলেটির মতে ঃ
সম্পাদক বলেছেন ওটা বুড়ো বয়সে স্মৃতি নির্ভর, এবং তাতে কিছু নাম-সাল-তারিখে গণ্ডগোল আছে। কাজেই, ছেলেটির মতে, ওই বর্ণনাটা তত ক্রেডিবল নয়। আমার বক্তব্য যা ওকে বলেছি এবং ছেলেটি মেনেও নিয়েছে। তা হল --
১ ছেলেটি পিডিএফ মোবাইলে পড়তে গিয়ে একটা পাতা, আসল পাতাটাই, মিস করে গেছল। ইন ফ্যাক্ট, মোবাইলে পড়তে গিয়ে তাড়াহুড়োয় এই ভুল প্রথম বার আমারও হয়েছিল। ল্যাপিতে সব ঠিকঠাক হল।
২ বিনোদিনী সাল তারিখের খুঁটিনাটিতে ভুল করতে পারেন কিন্তু কনটেন্টে নয়। আর এত বড় ঘটনা!
৩ বিনোদিনীকে সেই সময়ের সমাজে সব পুরুষই ব্যবহার করেছে এবং নাট্যগুরু গিরিশচন্দ্রও ব্যতিক্রম নন। সেই বঞ্চিতা অপমানিতাকে -- যে সে নয়, একজন খ্যাতিমান ধর্মগুরু -- সম্মান দিলেন, মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করলেন, এটা উনি সারাজীবন ভুলতে পারেন না। মানুষ দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাট খুঁটিনাটি ভুলতে পারে, কিন্তু বড় অপমান এবং বড় সম্মানের স্মৃতি সারাজীবন বয়ে বেড়ায়। তাই বিনোদিনীর স্মৃতি অধিক বিশ্বসনীয়।
৪ অন্যেরা ভিক্টোরিয়ান রুচি এবং ব্রাহ্ম সংস্কারের ফলে (শ্রীম) সংকোচ বোধ করে এই ঘটনার বর্ণনায় কিছুটা টোন ডাউন করেছেন মনে হয়।
এবার আপনাকেঃ
১ আমি নিজের মুখে ঝাল খাই, অন্যের কথায় নাচি না। আমার ভুল হয়, স্বীকার করি কিন্তু ডিজনেস্ট নই। বিদ্যাসাগর আলোচনায় দেখে থাকবেন। কিছু ক্ষেত্রে এলেবেলে ঠিক ছিল আমি ভুল, যেমন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ব্যাখ্যায়।
২ আমার পছন্দের হাইপোথিসিসির পক্ষে কোন সাক্ষ্য পেলে দ্বিগুণ সতর্ক হই। আরও যত্ন নিয়ে বিপরীত সাক্ষ্যগুলো খুঁজে বেড়াই, পাল্লায় তুলে দুপক্ষের সাক্ষ্য যাচাই করি।
৩ হাতে একটা বোতাম পেলে তাতে শার্ট সেলাই করতে শুরু করি না, বরং সেলাই করা শার্টে বোতাম লাগাই।ঃ)))
তাই আপনাদের সাহায্য চাওয়া। এবং আগামী দিনেও চাইব।
আপনি আগেও আমায় অনেক তথ্যসূত্র দিয়ে সাহায্য করেছেন। জানি, ভবিষ্যতেও করবেন।
আবারও বলি -- অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদের সবার শাসদোৎসব ভাল কাটুক, আনন্দে থাকুন -- এই কামনা।