গুরুর মোটামুটি অর্ধেক বই ওই ২০০ টাকায় হয়ে যাবে। সে অবশ্য এমনি দাম করে নিলেও তার থেকে খুব বেশি হবেনা। কৌশিকবাবু বইমেলায় গুরুর স্টলে এলেই বুঝবেন সেকথা ঃ)
আর দমদি, আমি মোটামুটি প্রতিবার সিকিওরিটিতে খান ৭-৮ ট্রে জমা দিই। এখন আর কোন রিস্ক নিইনা, ব্যাগগুলো মোটামুটি খালি করে সব জিনিস বাইরে। এম্নিতে তো চেকিনের ওজন চক্করে আমার হ্যান্ডব্যাগগুলো ১৪-১৫ কেজি হয়ে থাকে। ওগুলোর ওজন ব্যাডলাক খুব খারাপ না হলে মাপেনা। মাপলেও এক দুটো ব্যাগ আমার পিঠের পিছনে কি শালের আড়ালে কমই দেখা যায়।
আজ তো দেখেও কাঁধে ঝোলানো হ্যান্ডব্যাগটা ছাড়ই দিয়ে দিল। বাকি দুটোর ওজনই ছিল ১১.৫. হ্যান্ডব্যাগটা খুবই ডিসেপ্টিভ লুক দিতে পারে। নইলে ওটাও ওজনে ঢোকালে ১৫-১৬ তে দাঁড়াত।
তো, আজ হ্যান্ডলাগেজ ওজন করে দেখলেও ব্যাডলাক খারাপের দিন বলব না ভাল, ভাবতে হবে।
কারণ ব্যাগ খুলে একের পর এক স্লাইড বাক্স, ফ্লাস্ক, আর টিফিন ব্যাগ ( আর তারসঙ্গে আমার আউটব্রেক ইনভেস্টিগেশনের চিঠি) দেখে ছাড় দিয়ে দিল!
এরপরেও ধন্দ রয়ে গেল, লাক ভাল বলব, না খারাপ। কারণ ফোনটা তারপরেই বেলটের তলায় ঢুকে পড়ে।
আবার দুজন এয়ারহোস্টেসের অশেষ কেরদানিতে তিনি উদ্ধার পেলেন, এটা ভাল বলব, নাকি আহত হয়ে এলেন, সেটা খারাপ, সেও ধন্দের।
এই বিপুল হ্যান্ডলাগেজ নিয়ে হ্যা হ্যা করে হাঁপাতে হাঁপাতে ফ্লাইটে ঢুকতে গিয়ে উলটে পড়তে গিয়ে হাত ফোলালাম , সেটা খারাপ, নাকি সামনের সিটে বসিয়ে বিমানসেবিকাদের এত যত্নয়াত্তি পেলাম, সেইটা ভাল।
কিম্বা সামনের সিট বলেই শেষ বিকেলের আলোর ছবি তোলার মনোমত ফ্রেম পেয়ে যাওয়া। খারাপ, না ভাল? ভাল, না খারাপ?
সেই যেবার গর্ডন কনফারেন্সে আমার স্যুটকেস চুরি গেল, ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে, তারপর ফেরার পথে একের পর এক ফ্লাইট ক্যান্সেল আর দেরি হয়ে হুজ্জুত হাঙ্গাম, সেবারে শেষমেশ সব দুঃখ ভুলেছিলাম, একটা পুরো অন্য রুটে রাতের বেলা আসতে গিয়ে, র্যাদার ফ্লাইট একবার চলতে থাকা আর থেমে যাওয়ার চক্করে অদ্ভত সব আলো আর তার ছবি তোলার নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পেরে। সেবার সেই আলো দিয়ে কত কিছু যে লিখতে পেরেছিলাম। তো, দিনের শেষে সেটা খারাপ আর বলব কী, ভালই।